2024 Soap Making Business Idea in Bengali

Soap Making Business Idea in Bengali – সাবান তৈরির ব্যবসা কিভাবে করবেন? কিভাবে সাবান তৈরির ব্যবসা শুরু করবেন? সাবান তৈরির ব্যবসার চাহিদা কত? কত টাকা ইনকাম হবে? জানুন সবকিছু সাবান তৈরির ব্যবসা সম্পর্কে।

আমাদের নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মধ্যে একটি প্রয়োজনীয় জিনিস হলো ‘সাবান’ আর এটি ছাড়া অনেকের দিন কাটে না বললেই চলে। তাই কসমেটিক্স এর বাজারে সাবানের চাহিদা অনেক বেশি। বিভিন্ন রকমের বিভিন্ন কোম্পানির সাবান প্রতিনিয়ত বাজারে তার একটি বড় জায়গা করে নিয়েছে। আর এই সাবান দিয়ে তৈরি করতে পারবেন আপনার নিজস্ব একটি ব্যবসা। যদি কোন ব্যবসা করার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে সরকারের সহযোগিতার সাথে শুরু করতে পারেন সাবানের ব্যবসা।

পাইকারি অথবা রিটেল দুই ভাবে বিক্রি করতে পারবেন এই সাবান। সাবানের ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট এর মাধ্যমে মোটা টাকা উপার্জন করা যেতে পারে। এর জন্য মুদ্রা লোন অথবা মুদ্রা স্কিম এর থেকে লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন। সাবান এমন একটি প্রোডাক্ট যা ছোট শহর থেকে বড় শহর এমনকি গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘরে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত এর চাহিদা রয়েছে, প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে পড়ে এটি। খুবই কম টাকা বিনিয়োগ করে একটি ফ্যাক্টরি খুলতে পারেন আর সেখানে তৈরি করতে পারেন সাবান।

সাবান তৈরি করে ব্যবসা করুন:

যদি আপনি কোন নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান অথবা ব্যবসার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে সাবান তৈরীর এই ব্যবসাটি করতে পারেন। খুবই কম টাকা বিনিয়োগ করে একেবারে কম সময়ের মধ্যে প্রতিদিন প্রয়োজন পড়ে এই সাবানের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। দিন দিন এই সাবানের চাহিদা বেড়ে চলেছে। তাই এই ব্যবসাতে কোনরকম ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কিছু কাঁচামাল থেকে শুরু করে ফ্যাক্টরিতে মেশিনের মাধ্যমে তৈরি করা যাবে বিভিন্ন ধরনের সাবান। সেগুলি সুন্দর করে প্যাকেট করে বাজারে বিক্রি করা হয়।

তাছাড়া কিছু লোক হ্যান্ডমেড সাবান তৈরি করেও বাজারে বিক্রি করে থাকেন তা থেকেও বেশ ভালো উপার্জন হয়ে থাকে। সাবান তৈরির এই কাজটি ছোট স্তরে শুরু করতে পারেন। তারপর ধীরে ধীরে লাভের টাকা থেকে বড় আকারে নিয়ে যেতে পারেন। বর্তমান সময়ে সাবানের চাহিদা কতখানি তা তো আমরা সকলেই জানি। স্নানের জন্য সাবান ছাড়া যেন কোন ভাবেই ভাবা যায় না, আর রূপচর্চায় অনেকেই সাবানের কথা আগে ভাবেন। শরীর ও ত্বক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সাবানের তুলনা নেই। আর এর জন্য সাবানের ব্যবসা খুবই লাভদায়ক একটি ব্যবসা। সরকার থেকে মুদ্রা স্কীম এর থেকে ৮০% পর্যন্ত লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সাবান তৈরির ব্যবসাতে পেয়ে যাবেন সরকার থেকে লোন:

এমন অনেক ব্যবসা আছে বেশ কিছু টাকা বিনিয়োগ করে শুরু করতে হয় তবে সব টাকা হয়তো সকলের কাছে নাও থাকতে পারে। অল্প কিছু টাকা নিজে থেকে বিনিয়োগ করে আর বেশিরভাগ টাকাটা লোনের মাধ্যমে নিয়ে সেই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। আর পরবর্তীতে সেই ব্যবসাটি অনেক বড় আকার ধারণ করে।

সাবান যেহেতু নিত্যদিনের একটি প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট তাই এই সাবানের চাহিদা সব সময় থাকবে এবং দিন বদলের সাথে সাথে বাড়তে থাকবে। সাবান বানানোর জন্য আপনাকে ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট বসাতে হবে। তার জন্য প্রায় সব মিলিয়ে ১৫,৩০,০০০ টাকা খরচ হতে পারে। এর মধ্যে ইউনিট বসানোর জন্য জায়গা, বিভিন্ন ধরনের মেশিন কেনার টাকাও শামিল রয়েছে।

এই ১৫,৩০,০০০ টাকার মধ্যে কেবলমাত্র ৩.৮২ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে আপনাকে। আর বাকি এই টাকা মুদ্রা স্কীম অনুসারে লোন নিতে পারবেন। সাবান তৈরি করার ইউনিট বসানোর জন্য আপনার প্রায় ৭৫০ বর্গক্ষেত্রের একটি জায়গা প্রয়োজন পড়বে, এর মধ্যে ৫০০ বর্গ ফিট ঢাকা থাকতে হবে আর বাকি খোলা থাকতে হবে। সমস্ত রকমের মেশিন সহ এই সাবান তৈরিতে ৮ রকমের উপকরণ প্রয়োজন পড়বে। প্রজেক্ট রিপোর্ট অনুসারে এই মেশিন গুলি লাগানোর জন্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যেতে পারে।

ভারতের বাজারে সাবানের বিভিন্ন ক্যাটাগরি:

বাজারে যে সমস্ত সাবান গুলির উপস্থিত রয়েছে সেই সমস্ত সাবান গুলো কিন্তু একটি ক্যাটাগরিতে পড়ে না, বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরিতে ভাগ থাকে। আর কোন মানুষের যেমন ধরনের সাবানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সেই ধরনের সাবানের খোঁজ করে থাকেন।

সকলের ত্বক যেমন সমান নয় তাই সেই অনুসারে সাবান তৈরি করা হয় এবং ডাক্তাররাও তেমন ধরনের সাবান মাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বাজারে যে সমস্ত ক্যাটাগরির সাবান গুলি উপস্থিত রয়েছে সেগুলি নিচে দেওয়া হল:-

  • বিউটি সোপ (Beauty Soap),
  • জামা কাপড় কাচা সাবান (Laundry Soap),
  • মেডিকেটেড সাবান (Medicated Soap),
  • পারফিউম সাবান (Perfumed Soap),
  • কিচেনের কাজে ব্যবহৃত সাবান (Kitchen Shop), ইত্যাদি।

এই সমস্ত ক্যাটাগরির মধ্যে থেকে আপনার আশেপাশের বাজারগুলোতে কেমন ধরনের সাবানের চাহিদা রয়েছে সেই ধরনের সাবান তৈরি করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন, আর একের অধিক ক্যাটাগরির সাবানও তৈরি করতে পারেন। তারপর স্থানীয় বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতে পারেন পাইকারি হিসেবে।

সাবান তৈরির ব্যবসা থেকে উপার্জনের মাত্রা:

সাবান যেহেতু প্রতিদিন ব্যবহার করা হয় সেটা যে কোন ক্যাটাগরির সাবান হতে পারে, আর সেই সাবান ব্যবহার করার ফলে সব সময় সাবানের চাহিদা বজায় থাকে। তাই বলা যেতে পারে এই সাবান তৈরির ব্যবসা থেকে প্রতিনিয়ত অনেক বেশি টাকা উপার্জন করা যেতে পারে।

কেন্দ্র সরকারের মুদ্রা স্কিম প্রজেক্ট প্রোফাইল অনুসারে আপনি যদি এক বছরে প্রায় ৪ লক্ষ কিলো মোট প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন অথবা সাবান তৈরি করতে পারেন তাহলে সব মিলিয়ে ৪৭ লক্ষ টাকা হতে পারে।

এই ব্যবসাতে বিভিন্ন ধরনের খরচ রয়েছে, সেই খরচ গুলি বাদ দিয়ে ৬ লক্ষ টাকা আপনি উপার্জন করতে পারবেন অথবা রাখতে পারবেন লাভ প্রতি বছরে, যা প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা হয়ে থাকে। এককথায় বলা যেতে পারে প্রতিমাসে ৫০,০০০ টাকা লাভ রাখতে পারবেন।

প্রতিটি বাড়িতে স্নানের জন্য সাবান থেকে শুরু করে থালা বাসন মাজা সাবান, কাপড় জামা কাচা সাবান, ডাক্তারি সাবান, সুগন্ধি সাবান এর চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি সেই সাবানের চাহিদা প্রতিনিয়ত পূরণ করতে পারেন স্থানীয় বাজার গুলিতে তাহলে আপনার ব্যবসাটি খুব ভালোভাবে চলতে থাকবে।

প্রতিদিনের কাজে আসা এই সাবানের ব্যবসা করে খুবই কম সময়ে অনেক বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। বলা যেতে পারে এক বছরের মধ্যে আপনি এ থেকে অনেক বেশি লাভ করতে পারবেন সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *