2024 Gobar Gas Business Idea in Bengali | 2024 গোবর গ্যাস প্লান্ট ব্যবসা

2024 গোবর গ্যাস প্লান্ট ব্যবসা একদম নতুন ও প্রচুর ইনকাম করুন – Gobar Gas Plant Business Idea 2024 (গোবর গ্যাস প্লান্ট ব্যবসা 2024): How to Start Gobar Gas Plant Business in India | Gobar Gas Plant Business Idea in Bengali | Gobar Gas Plant Business Plan 2024 in Bengali.

Gobar Gas Plant Business Idea in Bengali 2024: যখন সমাজ এতটা উন্নত হয়নি অথবা অনেক আগে যখন গ্যাস এর কোন রকম আভাসই ছিলনা তখন কিন্তু রান্না করার জন্য গাছের শুকনো কাঠ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো, রান্না করার ক্ষেত্রে। কিন্তু আধুনিক যুগে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার হতে শুরু করেছে ব্যাপকমাত্রায়।

আর এই গ্যাসের মাধ্যমেই আজকে রান্নাবান্না এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরীর কাজ হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা সবাই জানি যে আমাদের দেশে গরিবের সংখ্যা নেহাত কম নয়, তার সাথে সাথে middle-class অথবা মধ্যবিত্ত ও ধনী লোক সবকিছু মিলে মিশে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনা গ্যাসের মাধ্যমে রান্নাবান্না করা।

এখনো অনেক পরিবার আছে যাদের দৈনন্দিন জীবনে শুধু খাবার টুকু জোগাড় করতে গিয়ে হিমশিম খাওয়ার জোগাড়। সে ক্ষেত্রে দাম দিয়ে গ্যাস কিনে রান্নার কথা তাদের কাছে নেহাত স্বপ্ন। তাছাড়া সরকার দ্বারা কখনো কখনো গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে আবার কিছুটা সংখ্যক কমানো হচ্ছে।

এমন অবস্থায় আপনি যদি গোবর গ্যাসের প্লান্ট লাগিয়ে ফেলেন তো রান্না করার জন্য যে গ্যাসের প্রয়োজন হয় সেটা কিন্তু আপনি খুব অল্প খরচে এবং সামান্য দেখভালের মাধ্যমে পেয়ে যেতে পারেন। কেননা গোবর গ্যাসের প্লান্ট এর মাধ্যমে আপনি রান্নাবান্না থেকে শুরু করে অন্যান্য  কাজ করতে পারেন।

চলুন তাহলে জানা যাক, নিজের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর পাশাপাশি গোবর গ্যাসের প্লান্টের ব্যবসা করবেন কিভাবে:-

সাধারণত গোবর গ্যাসের প্লান্ট সে সব জায়গাতেই বেশি পরিমাণে লাগানো যেতে পারে, যেখানে গরু-মহিষের পরিমাণ বেশি। কেননা এই প্লান্ট বসানোর জন্য অধিক পরিমাণে গরু ও মহিষের গোবরের প্রয়োজন পড়ে।

আর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই গোবর গ্যাসের মাধ্যমে রান্না করা থেকে অন্যান্য কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে। আপনি যদি গোবর গ্যাসের প্লান্ট করতে চান, সে ক্ষেত্রে কিভাবে গোবর গ্যাসের প্লান্ট লাগিয়ে তার থেকে গ্যাস উৎপন্ন করে তা কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়ে কিন্তু সঠিক এবং সম্পূর্ণ ধারণা আপনাকে প্রথমে নিয়ে নিতে হবে।

গোবর গ্যাস প্লান্ট আসলে কি:

গরু এবং মহিষের গোবর গুলো কে কাজে লাগিয়ে গোবর গ্যাস প্লান্ট বসানো হয় এবং তা দিয়ে গ্যাস উৎপন্ন করা যায়। সেটা কে গোবর গ্যাস প্লান্ট বলে। যে গ্যাসের ব্যবহার বিভিন্ন বিভিন্ন কাজে করা হয়।

তাছাড়া গোবর গ্যাস এর ব্যবহার আপনি আপনার নিজের প্রয়োজনীয় কাজে লাগাতে পারেন। তাছাড়া আপনি এটাকে ব্যবসার আকার ও দিতে পারেন।

গোবর গ্যাস প্লান্ট গোবর থেকে গ্যাস উৎপন্ন করা মেশিন, গ্যাস কম্প্রেসার, গ্যাস্ট্রোলিভার, ট্যাংক, পাইপ আর মোটর আপনার প্রয়োজন হবে। তাছাড়া গোবর গ্যাস প্লান্ট এ গরু-মহিষের গোবর ছাড়াও অন্যান্য পচা জিনিসপত্র ও দেওয়া হয়ে থাকে, যা থেকে গ্যাস উৎপন্ন হতে পারে।

গোবর গ্যাস প্লান্ট বসানোর জন্য জায়গা:

এই প্লান্ট বসানোর জন্য জায়গার কথা যদি বলা হয় সেক্ষেত্রে এই প্লান্ট অথবা এই ব্যবসা শুরু করতে গেলে প্রধানত গরু-মহিষের গোবর এবং পচা-গলা জিনিস যা দিয়ে গ্যাস উৎপন্ন হয় সেগুলোর প্রয়োজন তো আছেই তাছাড়া এমন জায়গায় প্লানট বসাতে হবে যেন সেখানে গরু-মহিষের গোবর অধিকমাত্রায় পাওয়া যায়।

তাছাড়া এমন জায়গাতেও আপনি চালু করতে পারেন এই প্লান্ট যেখানে গরু-মহিষের গোবর ফেলে দেওয়া হয়। যার কারণে আপনাকে গোবর আনার জন্য অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হবে না।

গোবর গ্যাস প্লান্ট বসানোর জন্য লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন:

আপনি যদি গোবর গ্যাস প্লান্ট বসাতে চান তো আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় এবং আবশ্যিক লাইসেন্স নিয়ে রাখা প্রয়োজন। আপনি যদি বিনা লাইসেন্সে এই ব্যবসা শুরু করেন আইনের দিক থেকে আপনার অনেক সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

#১) গোবর গ্যাস প্লান্ট শুরু করার জন্য উদ্যোক্তা কে উদ্যোগ রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে।

#২) গোবর গ্যাস প্লান্ট চালু করতে গেলে ওই ব্যক্তিকে পলিউশন অথবা দূষণ সংক্রান্ত সার্টিফিকেট নিয়ে রাখতে হবে।

#৩) তাছাড়া ওই ব্যক্তির কাছে যে জায়গায় প্লানট বসানো হবে সেই জায়গার ডকুমেন্টস এবং বৈদ্যুতিক বিল অথবা কাগজপত্র সবকিছু ঠিকঠাক থাকতে হবে।

এছাড়াও আরো কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গোবর গ্যাস প্লান্ট চালু করতে গেলে আপনাকে দিতে হতে পারে এবং এগুলির ইনফর্মেশন আপনি উদ্যোগ বিভাগ থেকে নিয়ে নিতে পারেন।

গোবর গ্যাস প্লান্ট এর জন্য জরুরী সামগ্রী:

১) ইট

২) সিমেন্ট

৩) বালি

৪) পাইপ

৫) কালো রঙের পেন্ট অথবা রং

৬) গ্যাস পাইপ এবং বার্নার

এই প্লান্ট বসানোর জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা:

যে কোন ব্যবসা শুরু করতে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজনীয়তা হয়। বিশেষ করে যেখানে বিদ্যুৎ চালিত মেশিন থাকে তার জন্য বিদ্যুৎ অবশ্যই প্রয়োজন। এই কারনে গোবর গ্যাস প্লান্ট যদি আপনি শুরু করেন তো আপনার কমার্শিয়াল কারেন্ট কানেকশন নেওয়ার প্রয়োজন।

যার ফলে বিদ্যুতের ব্যবহার কম হয় এক্ষেত্রে একটা কথা মনে রাখা দরকার যে কমার্শিয়াল বিদ্যুতের সংযোগ সামান্য বিদ্যুৎ এর পরিমান বিদ্যুতের বিল কিছুটা কম আসে।

গোবর গ্যাস প্লান্ট এর জন্য মেশিন এবং উপকরণ:

গোবর গ্যাস প্লান্ট টা কে ভালোভাবে চালানোর জন্য আপনার কিছু বিশেষ প্রয়োজনীয় মেশিনের এবং উপকরণের ব্যবস্থা করতে হবে এই প্লান্ট চালানোর জন্য যে যে মেশিনের প্রয়োজন সেগুলি হল:

১) Road weighbridge for weight

২) Slurry Preparation tank

৩) Rooftop and four submersible agitator

৪) Agitator and pumps

৫) Field hand tools

৬) Pressure regulator

৭) Purification system

৮) Membrane compressor

৯) Receiver

১০) Gas storage tank

১১) Overflow tank

১২) Digester of double membrane

কোথা থেকে কিনবেন:

উপরে যে মেশিনের তালিকা গুলি দেওয়া রয়েছে সেগুলি আপনি আপনার স্থানীয়  কোন বাজার অথবা বড় কোন মার্কেট থেকে কিনতে পারবেন।

আর যদি এসব মেশিন এবং উপকরণগুলি আপনার আশেপাশের মার্কেটে না পেয়ে থাকেন তো আপনি ইন্ডিয়ামার্ট এর ওয়েবসাইটে এসবের ডিলারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এবং এই মেশিন এবং উপকরণগুলি আপনি অর্ডার দিতে পারেন।

গোবর গ্যাস প্লান্ট সেটআপ অথবা সাজাবেন কিভাবে:

গোবর গ্যাস প্লান্ট চালু করার জন্য সমস্ত রকম জিনিসপত্র তো আপনি এক জায়গায় করে নিলেন, মেশিন থেকে ফার্নিচার এবং বিভিন্ন উপকরণ এবং বিদ্যুতের সংযোগ, অফিস, মেশিন, এগুলোকে ঠিকঠাকভাবে আপনার সুবিধা মতো সাজিয়ে নিতে হবে এবং সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ও প্লান্ট টাকে ভালো ভাবে সাজিয়ে নিতে কম করে এক বছর লেগে যেতে পারে।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক গোবর গ্যাস প্লান্ট কিভাবে কাজ করে:

#১) যখন আপনার গোবর গ্যাস প্লান্ট একেবারে সম্পূর্ণরূপে তৈরি হয়ে যাবে, তারপর আপনাকে এই ট্রাঙ্ক অথবা গোবর গ্যাস প্লান্ট এর মধ্যে গরু এবং মহিষের গোবর দিতে হবে, আর তারপরে ওর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল দিতে হবে।

#২) আপনি যতটা মাত্রায় এর মধ্যে গরু এবং মহিষের গোবর দেবেন সেই মাত্রা অনুযায়ী কিন্তু আপনাকে এর মধ্যে জল দিতে হবে। যে জলটি আপনি দেবেন, সে জল পরিষ্কার হলেও হবে তা ছাড়া এমনি যেকোন জল হলেও কোন অসুবিধা নেই।

#৩) এরপর এরমধ্যে যে গ্যাস বার হওয়ার জন্য পাইপ লাগানো আছে ওই পাইপের মুখ বন্ধ করে দিতে হবে, কম করে দশ থেকে পনের দিন পর্যন্ত এই ভাবেই রেখে দিন।

#৪) এইভাবে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে গোবর গ্যাস তৈরি হয়ে যাবে।

#৫) গ্যাস তৈরি হয়ে যাওয়ার পর আপনাকে যেটা করতে হবে, যতটা সম্ভব এই গ্যাস ব্যবহার করতে হবে সেটা রান্নার ক্ষেত্রে হোক বা অন্য কাজে।

গোবরের আমদানির ব্যবস্থা:

এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গরু এবং মহিষের গোবর, সেক্ষেত্রে আপনি যদি এরকম গোবর খুব সহজেই পাওয়া যান এবং আশেপাশের থেকে খুব সহজেই আপনি নিয়ে আসতে পারবেন এমন জায়গায় যদি প্লান্ট বসিয়ে থাকেন, তো সে ক্ষেত্রে আপনি চার চাকা ভ্যান অথবা ঠেলাগাড়ি ও ব্যবহার করতে পারেন।

আর যদি অধিক পরিমাণে গোবর থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে ট্রাক্টর এবং ট্রলি এর প্রয়োজন হতে পারে। ট্রাক্টর এবং ট্রলি দূরের কোন জায়গা থেকে গোবর আনতে বেশ উপকারে আসবে।

গোবর গ্যাস প্লান্ট থেকে বিদ্যুৎ কিভাবে উৎপন্ন হয়:

#১) প্রথমে গোবর রোড ওয়ে ব্রিজ এর সাহায্যে তুলতে হয় এবং এর ওজন করতে হয় এরপরে প্রোডাকশনের হিসাব অনুযায়ী ততটাই গোবর ব্যবহার করা হয় এই প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে।

#২) এরপরে এই গোবর গুলোকে গোবর গ্যাস প্লান্ট এর যে ট্যাংক, তার মধ্যে জল এবং আরো বিভিন্ন রকমের পচা জিনিসের সাথে মেশাতে হয়।

#৩) গোবর গ্যাস প্লান্ট এর মধ্যে অর্থাৎ ওই গর্তের মধ্যে আগে থেকেই এজিটেটর আর মোটর বসানো থাকে। যেখানে মোটরের সাহায্যে Slury ডিজাস্টার পর্যন্ত পাঠানো হয় গোবর গুলোকে।

#৪) ডিজাস্টার মোট চারটি সাবমার্সিবল এজিটেটর লাগানো আছে, যার মাধ্যমে অনেক বেশি গোবর গ্যাস তৈরি হওয়ার জন্য এটাকে ব্যবহার করা হয়। এই মেশিনের মাধ্যমে অধিক পরিমাণে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়।

#৫) ডিজাস্টার এর যে roof আছে এর মাধ্যমে কাঁচামাল পিউরিফিকেশন সিস্টেমের মধ্যে চলে আসে।

#৬) এই পিউরিফিকেশন সিস্টেম CO2 এর  শোষণ করে এবং ch4 কে শুদ্ধ করে আলাদা করে দেয়। যার পরে কার্বন ডাই অক্সাইড কে মিথেন গ্যাস থেকে আলাদা করে কম্প্রেসার এর মাধ্যমে সিলিন্ডার এর মধ্যে গ্যাস ভরা হয়।

#৭) যে মিথেন faisa তৈরি হয় সেটা জেনারেটরের একটি পাইপের মাধ্যমে কম্প্রেসার এর সঙ্গে জুড়ে দেয়। যার মধ্যে দিয়ে গোবর গ্যাসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ এর ব্যবহার সম্পূর্ণ প্লান্টে আপনি করতে পারবেন।

গোবর গ্যাস সিলিন্ডার এর মধ্যে করার প্রক্রিয়া:

গোবর গ্যাস কে সিলিন্ডার এর মধ্যে ভরার জন্য তৈরি হওয়া গ্যাস পিউরিফিকেশন সিস্টেমে গিয়ে ch4 এর থেকে আলাদা করা হয়। অন্যান্য গ্যাসকে এবং তারপরেই কম্পিউটারের মাধ্যমে তৈরি হওয়া গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে ভর্তি করা হয়।

সাবধানতা অবলম্বন:

যখন আপনি গোবর গ্যাস প্লান্ট তৈরি করবেন তখন ভালোভাবে খেয়াল রাখবেন যেন সেই ট্রাংকের গায় কোনরকম ছিদ্র না থাকে, না হলে গ্যাস কিন্তু বাইরে বেরিয়ে যাবে।

তার সাথে সাথে প্লান্ট এর গায়ে লাগানো বিভিন্ন রকমের পাইপ এবং অন্যান্য জিনিসপত্রের মাঝেমধ্যে কিন্তু আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কোথাও কোনো লিকেজ আছে কিনা।

গোবর গ্যাস প্লান্ট এর মধ্যে গোবর দেওয়া এবং বার করার যে পাইপ হয় ওটা সবসময়ের জন্য ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে।

মিনি গোবর গ্যাস প্লান্ট অথবা বায়োগ্যাস কি:

মিনি কথার অর্থ হল ছোট, সে ক্ষেত্রে মিনি গোবর গ্যাস প্লান্ট অর্থাৎ ছোট গোবর গ্যাস প্লান্ট যদি কোন ব্যক্তি এই প্লান্ট বসিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে খরচ অনেক কম পড়বে। অনেকে এই মিনি গোবর গ্যাস প্লান্ট বসিয়ে থাকেন এই কারণে যে তার কাছে বেশি পরিমাণে ইনভেস্ট করার মতো টাকা থাকে না।

সে ক্ষেত্রে গ্যাস উৎপাদন কিন্তু কম পরিমাণে হবে। কেননা মিনি গোবর গ্যাস প্লান্ট মানে সবকিছু পরিমাণে এবং মাপে ছোট হবে। সে ক্ষেত্রে গ্যাস উৎপন্ন হওয়ার পরিমাণটাও কিন্তু অল্প হবে।

গোবর গ্যাস প্লান্ট চালু করতে মোট খরচ:

গোবর গ্যাস প্লান্ট বসাতে গেলে মোট কত খরচ হবে সেটা নির্ভর করবে আপনার গোবর গ্যাস প্লান্ট এর আকার অনুসারে। আপনি কত বড় প্লান্ট বসাতে চাইছেন সেই অনুসারে কিন্তু আপনার খরচ পড়বে।

যদি আপনার গোবর গ্যাস প্লান্ট টা বড় হয় তাহলে ইনভেস্ট বেশি পরিমাণে পড়বে এবং ছোট হলে ইনভেস্ট কম হবে। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় ছোট প্লান্ট বসাতে গেলে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত আপনার খরচ হতে পারে।

সেই জায়গায় আপনি যদি বড় করে গোবর গ্যাস প্লান্ট বসাতে চান, সে ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

তাছাড়া এই প্লানট বসতে গিয়ে কি কি উপকরণ এবং কাঁচামালের কোয়ালিটি হিসাবে আপনার খরচ পড়তে পারে। গোবর নিয়ে আসার জন্য কিছুটা খরচ পড়তে পারে, তারপর প্লান্ট সেটআপ অথবা সাজানোর জন্য আপনার কিছু খরচ হতে পারে।

গোবর গ্যাস প্লান্ট এর জন্য সরকারি ছাড়:

সরকার দ্বারা গোবর গ্যাস এর ওপর অনুদান দেয়া হয়ে থাকে, এটাকে সাবসিটি ও বলতে পারেন। গোবর গ্যাস প্লান্ট এর ক্ষেত্রে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সাবসিটি সরকার দ্বারা উপলব্ধ হয়। এবং ৪০% খরচা উদ্যোক্তা কে নিজের থেকে বহন করতে হয়।

গোবর গ্যাস এর ব্যবসা থেকে আয় এবং উপকারিতা:

গোবর গ্যাসের ব্যবসা থেকে আপনার কত আয় হবে সেটা কিন্তু নির্ভর করবে গোবর গ্যাস প্লান্ট এর আকার অনুসারে। আপনার যদি প্রতিদিন ভালো পরিমাণে প্রোডাকশন হয়, তো আপনি অধিকমাত্রায় লাভ করতে পারবেন।

আর যারা ছোট গোবর গ্যাস প্লান্ট লাগিয়েছেন, তারা তো প্রতি মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার পর্যন্ত আয় করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বড় প্লান্ট এর কথা বলতে গেলে দুই লাখ পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

এছাড়াও যে গোবর গ্যাস প্লান্ট বড় হয়, ওই গোবর গ্যাস প্লান্ট এর মালিক মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারেন, আর সেখানে বছরের কথা বলতে গেলে সেটা কোটি টাকা তে পৌঁছে যাবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top