Medical Courier Service Business Idea in Bengali – মেডিকেল কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা কি? শুরু করবেন কিভাবে? মেডিকেল কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসার কত চাহিদা? কত টাকা ইনকাম হবে? জানুন সবকিছু মেডিকেল কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা সম্পর্কে।
বর্তমান সময়ে সকল মানুষের কোন না কোন ওষুধের প্রয়োজন হয়। আর এই ওষুধের উপরেই নির্ভর করে বেঁচে আছেন বহু মানুষ। হাসপাতাল থেকে বাড়ি পর্যন্ত সকলেরই এই ওষুধের প্রয়োজন পড়ে। ছোটখাট জ্বর, সর্দি, কাশি থেকে একেবারে বড় ধরনের কোনো অসুখের জন্য ওষুধের উপরেই নির্ভর করতে হয় আমাদের।
আর এই ওষুধ কে কাজে লাগিয়ে শুরু করতে পারেন মেডিকেল কুরিয়ার সার্ভিস এর ব্যবসা। আর এই ওষুধ কুরিয়ার সার্ভিস করে নিজের একটি সুন্দর ব্যবসা তৈরি করতে পারেন। যদি আপনি ঘরে থেকে কোন ব্যবসার সন্ধান করে থাকেন তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য খুবই ভালো ব্যবসা হতে পারে।
নতুন এই যুগে অনেক রকমের ব্যবসা রয়েছে। যেটা আপনি ভালোভাবে করতে পারবেন সেই ব্যবসাটিকেই বাস্তবায়িত করাটা জরুরী। এমন ব্যবসা করতে হবে যেখানে প্রতিযোগিতা খুবই কম আর বেশ অল্প কিছু পুঁজি নিয়ে শুরু করা যেতে পারে, আর উপার্জন হবে প্রচুর পরিমাণে।
এক্ষেত্রে মেডিকেল কুরিয়ার সার্ভিস শুরু করতে পারেন যেখানে অসুস্থ ব্যক্তিকে আর হাসপাতাল থেকে কোন ডাক্তারের চেম্বারে পর্যন্ত ওষুধ কুরিয়ার সার্ভিস দিতে পারবেন।
অল্প টাকায় মেডিকেল কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু করুন
ব্যবসার কথা মাথায় আসলে তার জন্য কিছু পুঁজির জোগাড় করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই অথবা অনেকের কাছে এমন অনেক পুঁজি রেখেই তবেই ব্যবসার কথা চিন্তা করেন। আর এই মেডিকেল কুরিয়ার সার্ভিস (Medical Courier Service) ব্যবসাটি করতে খুবই অল্প টাকা বিনিয়োগ করতে হয়, আর প্রতি মাসে মোটা টাকা উপার্জন হয়। যেহেতু প্রতিনিয়ত ওষুধের প্রয়োজন রয়েছে তাই এই ব্যবসাতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে সেটা শহর হোক অথবা গ্রাম। এক্ষেত্রে আপনার শুধুমাত্র একটি বাইক আর স্মার্টফোন এর প্রয়োজন পড়বে, আর এই দুটি জিনিস প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই লক্ষ্য করা যায়।
সম্পূর্ণ শহর ঘুরে এই ব্যবসাটি করার কোন প্রয়োজন নেই যেখান থেকে আপনার কাছে ওষুধের জন্য ফোন আসবে সেখানেই আপনার এই মেডিকেল কুরিয়ার সার্ভিস নিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন।
মেডিকেল কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে?
বহু মানুষ নিজের কাজের তাগিদে শহরে গিয়ে বাধ্য হয়ে রয়েছেন আবার পরিবার-পরিজন এবং গ্রামের পরিবেশ ছেড়েও অনেকেই শহরে রয়েছেন কাজের জন্য। তাই এমন একটি ব্যবসা যদি শুরু করা যায় যা শহর হোক অথবা গ্রাম যে কোন জায়গা থেকে শুরু করা যেতে পারে। এই মেডিকেল কুরিয়ার সার্ভিস সব সময়ের জন্য একই রকম ভাবে চলতে থাকা একটি ব্যবসা। আর বর্তমান থেকে ভবিষ্যতে এই ব্যবসাটির চাহিদা বেশি বেড়ে যাবে।
দেখা যায় অনেকেই বাড়িতে রয়েছেন এবং অসুস্থ থাকার কারণে ওষুধের উপরে নির্ভর করে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু এমন সময় দেখা যায় যে সেই ওষুধ শেষ হয়ে এসছে এবং নিয়ে আসার জন্য কোন মানুষ নেই বা বাড়ি থেকে ওষুধের দোকান অনেকটাই দূরে।
মেডিকেল স্টোর থেকে ওষুধ নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ অনেকটাই সময় লেগে যায় তাই আপনি এই কাজটি যদি করতে পারেন ফোন পাওয়ার সাথে সাথে তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য খুবই ভালো আইডিয়া হতে পারে।
আপনাকে গ্রাহকের থেকে ডক্টরের দেওয়া প্রেসক্রিপশন নিয়ে মেডিকেল স্টোর থেকে ওষুধ নিয়ে সেই গ্রাহকের বাড়ি পর্যন্ত অথবা গ্রাহকের হাত পর্যন্ত সেই ওষুধ পৌঁছে দিতে হবে।
ডাক্তারের লেখা প্রেসক্রিপশন আপনি Whatsapp এর মাধ্যমে চাইতে পারেন আবার কখনো কখনো আপনাকে নিজে থেকে গিয়েও এটি নিয়ে আসতে হতে পারে। নিজে থেকে ওষুধ কিনে গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার পর সেখান থেকে আপনি ওষুধের দাম এবং সার্ভিস চার্জ পেয়ে যাবেন।
এই ব্যবসা থেকে কিভাবে প্রচুর উপার্জন করবেন?
প্রথমত বলা যেতে পারে এই ব্যবসা থেকে আপনি যে উপার্জন টা করবেন সেটা হল বাইক নিয়ে যে গ্রাহকের কাছে ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন তার জন্য আলাদা করে একটি সার্ভিস চার্জ অথবা টাকা পাবেন আবার যখন আপনি কোন মেডিকেল স্টোর থেকে প্রতি নিয়ত অথবা প্রতিদিন ওষুধ কিনবেন তখন আপনার ক্রেডিট এবং কমিশন শুরু হয়ে যাবে।
মেডিকেল স্টোরের বিল আর আপনার সার্ভিস চার্জ গ্রাহকের কাছ থেকে নিতে পারেন এর থেকে আপনার গ্রাহক আর মেডিকেল স্টোর দুই জায়গা থেকে উপার্জন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ব্যবসাটি আরও বড় করার জন্য এবং আগে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিতে পারেন।
এর ফলে প্রচার করতে পারেন আপনার এই সার্ভিস এর কথা। আবার অনেক মানুষের মধ্যে আপনার এই সার্ভিসের কথা প্রচার করতে পারেন, এর ফলে আপনার ব্যবসার উন্নতি ঘটবে, আর আপনার এই কাজের কথা সকলে জানতেও পারবেন।
কত টাকা বিনিয়োগ করতে হতে পারে?
বলা যেতে পারে ওষুধ প্রথমে আপনাকে কিনে নিয়ে গ্রাহকের কাছে যেতে হবে আর তারপরে সেখান থেকে টাকা পাবেন। তাই প্রথম দিকে আপনাকে নিজে থেকেই তো কিছু না কিছু বিনিয়োগ করতেই হবে তাই না!
তাই অল্প পরিসরে শুরু করতে গেলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে শুরু করতে পারেন এই ব্যবসাটি। এছাড়া এর থেকে কমে হলেও অর্থাৎ ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা থেকে শুরু করতে পারবেন, সেটা খুবই অল্প পরিসরে হবে।
আর যদি আপনার সামর্থ্য থাকে বা পরে যদি ব্যবসাটি বাড়তে থাকে তাহলে আরো কিছু টাকা বিনিয়োগ করে বহু এমন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন তাঁদের প্রয়োজনীয় ওষুধ।
মেডিকেল কুরিয়ার সার্ভিস থেকে উপার্জন ও লাভ:
প্রথমদিকে যে টাকাটা বিনিয়োগ করবেন সেই টাকাটা আপনার খুবই কম সময়ের মধ্যে পূরণ হয়ে যাবে। আর লাভের কথা বলতে গেলে প্রতিমাসে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন এবং ব্যবসা করার সাথে সাথে এই উপার্জনের মাত্রা আরো বেশি বাড়তে থাকবে।
যখন ওষুধের দোকান ও গ্রাহক দুই জায়গা থেকেই কমিশন ও টাকা পেতে থাকবেন তখন লাভের মাত্রা বেড়ে যাবে। অল্প টাকা বিনিয়োগে শুরু করা ব্যবসা উপার্জন দেয় প্রচুর তার পাশাপাশি কোন গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিকে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার মধ্যে যে আনন্দ উপভোগ করবেন সেটা অনেক বেশি দামি।
বিভিন্ন ব্যবসার মধ্যে দিয়ে, বিভিন্ন কাজের মধ্যে দিয়ে মানুষ নিজেদের কর্মজীবন চালিয়ে যাচ্ছেন, যদি আপনি কোন ছোট ব্যবসার কথা চিন্তা করে থাকেন আর অন্যান্য কাজের পাশাপাশি না করে সম্পূর্ণ এই কাজের মধ্যে মনোনিবেশ করতে পারেন, নিজেই নিজের কাজের মালিক হতে চান তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য ভাগ্য বদলের চাবিকাঠি হতে পারে। আর আপনার জন্য বেঁচে যেতে পারে কোন মানুষের জীবন।