2024 Perfume Making Business Idea in Bengali

Perfume Making Business Idea 2024 (পারফিউম তৈরির ব্যবসা 2024): How to Start Perfume Making in India? | Perfume Making Business Idea in Bengali | Perfume Making Business Plan in Bengali. জানুন পারফিউম তৈরির ব্যবসা শুরু করার সম্পূর্ণ পদ্ধতি এবং লাভ ও ইনভেস্টমেন্ট।

পারফিউম এমন একটি জিনিস যা কিনা সব বয়সের মানুষ ব্যবহার করে থাকেন। বাজারে বিভিন্ন রকমের পারফিউম বিক্রি হয়। যদি পারফিউমের ব্যবসা করার কথা বলা হয়, তাহলে কিন্তু অন্যান্য প্রফিটেবল বিজনেস এর মত এটিও একটি লাভ দায়ক অথবা প্রফিটেবল বিজনেস।

পারফিউমের ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে প্রথমে মার্কেটে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন রকমের পারফিউম সম্পর্কে ভালোমতো তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। যখনই আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করবেন এই ব্যবসা সম্পর্কিত বিভিন্ন রকমের তথ্যের জন্য রিসার্চ করতে হবে আপনাকে খুবই ভালভাবে। এর ফলে ব্যবসা করার সময় আপনি এই রিসার্চের থেকে অনেক কিছু উপকারিতা পাবেন।

বিভিন্ন রকমের পারফিউম:

মার্কেটে বিভিন্ন রকমের পারফর্ম পাওয়া যায়। যাকিনা একটা পারফিউম আর একটা পারফিউমের থেকে গন্ধের দিক থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। যখন কোন পারফিউম থেকে খুবই অল্প পরিমাণে সুগন্ধ পাওয়া যায় সেটাও কিন্তু একটা আলাদা ধরনের পারফিউম।

এই ব্যবসাটি শুরু করার আগে এটা আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে যে যা আপনি কি ধরনের পারফিউম এর ব্যবসা করতে চাইছেন অথবা কি ধরনের পারফিউম আপনি বানাতে চাইছেন।

বিভিন্ন রকমের পারফিউমের নাম:

১) পারফম (Parfum):

এই ধরনের পারফিউমের থেকে একটু বেশিমাত্রায় সুগন্ধ পাওয়া যায়। এইরকম পারফিউমে কম এলকোহল মেশানো হয় এইজন্য এই পারফিউম সেই সব লোকদের জন্য সবচেয়ে বেশি পছন্দের হবে যাঁদের ত্বক ভীষন সেনসিটিভ হয়।

এ ধরনের পারফিউম এ ১৫% থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সুগন্ধ থাকে। এইজন্য এই পারফিউম অন্যান্য পারফিউম এর তুলনায় কিছুটা দামী হয়ে থাকে। তাছাড়া এই পারফিউমের গন্ধ কম করে ৮ ঘণ্টা একই রকম থাকে।

২) ইউ ডে পারফম (Eau De Parfum):

আরেক রকমের পারফিউম বাজারে বিক্রি হয় যার মধ্যে একটা ইউ ডে পারফম। আর এই ধরনের পারফিউম এর গন্ধ পারফম পারফিউমের তুলনায় অনেক কম হয়। এই পারফিউমে ১৫% থেকে ২০ পার্সেন্ট পর্যন্ত ফ্রেগ্রেনস কনস্ট্রেশন হয়। এই পারফরম্যান্স গন্ধ কিছু ঘন্টা পর্যন্ত স্টে করে।

৩) ইউ ডে কোলন (Eau De Cologne):

এই ধরনের পারফিউমে কম পরিমাণে সুগন্ধ পাওয়া যায়। আর তাছাড়া অন্যান্য পারফিউম এর তুলনায় এই পারফিউম টি বেশ সস্তা ও বটে। এইরকম পারফিউমে ২% থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত ফ্রিগ্রেন্স কনস্ট্রাকশন পাওয়া যায়। তাছাড়া এতে বেশি মাত্রায় এলকোহল মেশানো হয়।

৪) ইউ ডে টুইলেট (Eau De Toilette):

এই পারফিউমে ৫% থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত সুগন্ধি মেশানো হয়। আর এই রকমের পারফিউমের গন্ধ কেবল মাত্র তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই পারফিউম এর অধিক পরিমাণে এলকোহল মেশানো হয়।

৫) ইউ ফ্রাইচি (Eau Fraiche):

এইরকম পারফিউমে কেবল মাত্র ১% থেকে ৩% পর্যন্ত সুগন্ধি মেশানো হয়। আর এই কারণে এই পারফিউম বাজারে খুবই কম দামে পাওয়া যায়। তাছাড়া এই পারফিউম এ অ্যালকোহলের মাত্রা বেশি প্রয়োগ করা হয় না অ্যালকোহলের জায়গাতে এই পারফিউমে জল মেশানো হয়ে থাকে।

এই সমস্ত পারফর্ম এছাড়াও মিস্ট, আফটার শেভ, ডিও এই ধরনের পারফিউম বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।

ভারতে নামকরা পারফিউম ব্র্যান্ড:

ভারতের বিভিন্ন রকমের কোম্পানি নিজেদের পারফিউম বিক্রি করে থাকে ।আর সেই সমস্ত কোম্পানির মধ্যে এই কোম্পানিগুলো বেশ জনপ্রিয়।

  • ১) ব্লুবেরি
  • ২) কেলভিন ক্লিন
  • ৩) ডেবিট অফ
  • ৪) এসকড়া
  • ৫) গুচ্চি

পারফিউম এর ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

এই ব্যবসাটি শুরু করার আগে এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলি সম্পর্কে আপনার সম্পূর্ণ ধারণা থাকা প্রয়োজন। এইগুলি জানার ফলে আপনার এই বিজনেস অথবা ব্যবসাটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোন রকম অসুবিধা হবে না।

নির্বাচন করুন কেমন ধরনের পারফিউম তৈরি করবেন:

পারফিউম পুরুষ হোক অথবা মহিলা, সকলেই কিন্তু ব্যবহার করে থাকেন। বেশিরভাগ দোকানে ছেলে এবং মেয়েদের জন্য আলাদা আলাদা পারফিউম বিক্রি করা হয়। এইজন্য যখনই আপনি এই পারফিউমের ব্যবসাটি শুরু করবেন তার আগে আপনাকে এটা নির্বাচন করে নিতে হবে যে মেয়েদের জন্য পারফিউম বানাবেন নাকি পুরুষদের জন্য পারফিউম বানাবেন।

পারফিউমের গন্ধ আলাদা হতে হবে:

পারফিউম যেহেতু একটি সুগন্ধি ব্যবসা, সেই ক্ষেত্রে আপনি যে ধরনের পারফর্ম বানান না কেন একটি পারফিউম থেকে আরেকটি পারফিউমের গন্ধ যেন সম্পূর্ণ আলাদা হয়। তাছাড়া মার্কেটে আগে থেকে এমন অনেক পারফিউম বিক্রি হচ্ছে যেগুলো গন্ধ খুবই আলাদা।

আর তার চাহিদা বর্তমানে প্রচুর। এইজন্য যখনই আপনি আপনার পারফিউমের গন্ধ সম্পর্কে কাজ করবেন সেহেতু কিন্তু বাজারে বিক্রি হওয়া পারফিউমের গন্ধ থেকে আপনার পারফিউমের গন্ধ যেন সম্পূর্ণ আলাদা হয় এবং অনেকটাই উন্নত ধরনের হয়। তবেই ভালোমতো মার্কেটিং করতে পারবেন আপনি।

পারফিউম এবং ডিও এর মধ্যে পার্থক্য:

পারফিউম এবং ডিও আলাদা আলাদা প্রোডাক্ট তাছাড়া অনেকেই হয়তো জানেন না যে পারফিউম আর ডিও সম্পূর্ণ আলাদা নাকি এক জিনিস!

আপনি যদি পারফিউমের ব্যবসা শুরু করেন অথবা শুরু করার চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন, তাহলে কিন্তু প্রথমত পারফিউম এবং ডিওর মধ্যে কি পার্থক্য আছে তার সম্বন্ধে বিশেষ জ্ঞান রাখা জরুরি।

তাছাড়া ডিও এর ব্যবহার শরীর থেকে যে দুর্গন্ধ বের হয় সেটি কে আটকানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তেমনি অন্যদিকে পারফিউম এর ব্যবহার সুন্দর বন্ধ বের হওয়ার জন্য অনেকে ব্যবহার করে থাকেন আবার ডিও বানানোর জন্য কেবল মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ  গন্ধ যুক্ত তেল ব্যবহার করা হয়, তেমনি অন্যদিকে পারফিউমের গন্ধযুক্ত পদার্থ অথবা তেল এর মাত্রা অধিক পরিমাণে দেওয়া হয়।

ডিও এর ব্যবহার শরীরের উপর করা হয় এবং পারফিউম এর ব্যবহার কাপড়ের উপরে করা হয়। তাছাড়া ডিও পারফিউম এর তুলনায় অনেকটাই সস্তা।

ডিও এবং পারফিউম এর মধ্যে পার্থক্য আপনার ভালোমতো আয়ত্তে চলে এসেছে আশা করি। কারণ ডিও এবং পারফিউম আলাদা আলাদা উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।

পায়ফিউম বানানোর জন্য ব্যবহৃত কাঁচামাল:

পারফিউম বানানোর জন্য বিভিন্ন রকমের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তার ফলেই একটি সুগন্ধিযুক্ত পারফিউম তৈরি হয়। এই সামগ্রী গুলি আপনি খুব সহজেই বাজার থেকে পেয়ে যাবেন।

অ্যালকোহল (Alcohol):

পারফিউম বানানোর জন্য অ্যালকোহল প্রচুর মাত্রায় ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া প্রত্যেক রকম পারফিউম এ অ্যালকোহল আপনি পাবেন। তাছাড়া প্রত্যেক পারফিউমে অ্যালকোহলের মাত্রা টা কিন্তু আলাদা আলাদা হয়।

ফুল (Flower):

পারফিউম বানানোর জন্য ফুলের রস ব্যবহার করা হয়। পারফিউমের বোতলের ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ফুলের রস মেশান হয়। তাছাড়াও ফুল ছাড়াও ঘাস, বিভিন্ন রকমের মসলা, বিভিন্ন রকমের ফল, কাঠ, রেজিন, ব্লোজম, পেট্রোকেমিক্যাল, কয়লা, কয়লার পাত, এর ব্যবহার করা হয় পারফিউম বানানোর জন্য।

পশু পদার্থ (Animal Substance):

পশু পদার্থ কিন্তু পারফিউম বানাতে ব্যবহার করা হয়। এর ব্যবহার সাধারণত Fixatives, এইভাবে করা হয়। ফিক্সাটিভ এর সাহায্যে পারফিউমে বিভিন্ন রকমের পদার্থ কে বাষ্পের আকারে বের হতে সাহায্য করে।

সিন্থেটিক রাসায়নিক:

বিভিন্ন রকমের কৃত্তিম রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয় পারফর্ম বানানোর সময়। এইরকম রাসায়নিক এর সাহায্যে ফুল এবং গাছ পাতার গন্ধ তৈরি করা হয় যা থেকে প্রাকৃতিক তেল নিঃসৃত হয় না।

২৫০০০০ ফুল আর গাছ এর প্রজাতির মধ্যে প্রায় ২০০০ এমন ফুল আর গাছের প্রজাতি আছে যা থেকে প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণ করা যায়।

লিলি ফুল ও এই ধরনের ফুলের মধ্যে একটি যা থেকে প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণ হয় না। আর এই ধরনের ফুলে সুগন্ধ বানানোর জন্য কৃত্রিম রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়।

পারফিউম বানানোর মেশিন ও দাম:

পারফিউম বানানোর জন্য বিভিন্ন রকমের আলাদা আলাদা ক্ষমতাসম্পন্ন মেশিন এর প্রয়োজনীয়তা হবে এগুলি মার্কেটে পাওয়া যায়। আপনি যদি বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন মেশিন নিয়ে থাকেন তাহলে একটু বেশি পরিমাণে দাম পড়বে। তাছাড়া কম ক্ষমতা সম্পন্ন মেশিন কিছুটা সস্তা পড়বে। এইজন্য আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী পারফিউম বানানোর মেশিন কিনতে পারেন।

কোথায় থেকে কিনবেন মেশিন:

এসমস্ত মেশিন গুলো কে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে নিচে দেওয়া এই সমস্ত ওয়েবসাইটের মধ্যে দিয়ে কিনতে পারেন:-

Standard Perfume Making MachineCheck here
Automatic Perfume Making MachineCheck here
Huge Production Perfume Making MachineCheck here

পারফিউম বানানোর প্রক্রিয়া:

১) সামগ্রী গুলি কে এক জায়গায় করা:

যে ফুলের গন্ধ যুক্ত পারফিউম আপনি বানাতে চাইছেন আপনাকে সবার প্রথমে সেই ফুল কিনতে হবে। আর যদি গোলাপ ফুল ব্যবহার করতে চান পারফিউম তৈরি করতে, তাহলে গোলাপ ফুল আপনাকে কিনতে হবে।

এমন ভাবে আপনি যে ফুলের পারফর্ম বানাতে চাইছেন সেই ফুল আগে থেকে কিনে রাখুন যেখানে আপনি পারফিউম বানানোর কাজ করবেন।

২) ফুল অথবা গাছ পাতার রস বের করার পদ্ধতি:

পারফিউম বানানোর জন্য ফুল হোক অথবা গাছ অথবা পাতার রস অথবা তার তেল বের করা হয় এই রস অথবা তেল বার করার জন্য বিভিন্ন রকমের প্রক্রিয়ায় সাহায্য নিতে হয়।

ম্যাক্রেশন প্রসেস (Maceration Process):

এই পদ্ধতির সাহায্যে ফুল অথবা গাছ থেকে তেল বের করা হয়ে থাকে।

এক্সট্র্যাকশন প্রক্রিয়া:

এই পদ্ধতিতে গাছ এবং ফুল থেকে তেল বার করার হয়। তবে এটি খুবই পুরানো একটি পদ্ধতি যেমন ধরুন ফুল এবং গাছ থেকে তেল বের করার জন্য সেগুলিকে ভালো করে পেশাই করতে হয় তারপর এগুলি থেকে তেল নিঃসরণ হয়।

Enfleurage Process:

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও ফুল এবং গাছ থেকে তেল বের করা হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়াতে ফুলগুলিকে একটি গ্লাস সিটের উপর ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তারপর এর উপরে গ্রিস লাগিয়ে দেওয়া হয়।

গ্রিস লাগানোর পর গ্লাস সিট কে কাঠের ফ্রেমের মধ্যে রাখা হয়। যার ফলে গ্রীস ফুলের গন্ধ কে ভালোভাবে শোষণ করে নেয়। এরপরে ফুলগুলিকে আলাদা করে দেওয়া হয়। এমনভাবে ফুল থেকে ফুলের সুগন্ধ সংগ্রহ করা হয়।

সলভেন্ট এক্সট্রেকশন:

এই প্রক্রিয়াতে ফুল আর পারফিউম বানানোর বিভিন্ন গাছপালা কে বড় ট্রাক অথবা ড্রামের মধ্যে রাখা হয়। তারপর এরমধ্যে পেট্রোলিয়াম ইথার দেওয়া হয়। তারপর ফুলগুলি এই ড্রামের মধ্যে একেবারে বিলীন হয়ে যায়, তারপর শুধুমাত্র এর এক্সট্রাক্স গুলি থেকে যায়। আর এই বেক্সি সামগ্রী ফুলের তেল কে শোষণ করে নেয়।

তারপর এরমধ্যে এলকোহল মেশানো হয়।

Steam Distillation:

এই প্রক্রিয়ার ভিতর ভাপ এর সাহায্যে গাছ এবং ফুলের মধ্যে থাকা তেল কে গ্যাস এর আকারে পরিবর্তিত করা হয়, অথবা ফুলের পাপড়ি গুলিকে জলে ফুটিয়ে তা থেকেও তেল বের করা হয়।

ব্লেন্ডিং:

ফুল থেকে তেল নিঃসরণ করে নেওয়ার পর ফর্মুলার সাহায্যে সেই তেলকে সুগন্ধীতে পরিবর্তিত করা হয়। এক একটি কোম্পানির এক এক রকমের ফর্মুলা হয়, যার ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন রকমের সুগন্ধ তৈরি করে থাকে।

একটি সুন্দর গন্ধ বানানোর ফর্মুলা তৈরি করতে অনেক সময় লেগে যায়। কিন্তু একবার যদি এই ফর্মুলা তৈরি হয়ে যায় তাহলে এ থেকে অনবরত এরকম সুগন্ধি তৈরি করা হয়ে যায়। তারপরে এই সুগন্ধি কে অ্যালকোহল এর মধ্যে মিশিয়ে দেওয়া হয়।

এজিং:

ব্লেন্ডিং করে নেওয়ার পর কিছু মাস পর্যন্ত অথবা কিছু বছর পর্যন্ত এ এগুলোকে রেখে দেওয়া হয়ে থাকে। ভালোমতো সুগন্ধ আসার পরে এগুলি একেবারে রেডি হয়ে যায়। যদি ভালোমতো সুগন্ধ না হয় তাহলে আবার এগুলিকে ব্লেন্ড করা হয়। পারফিউমের গুণমান চেক করা হয়, তারপরে এগুলিকে মার্কেটে বিক্রি করার পারমিশন দেওয়া হয়।

প্যাকেজিং:

পারফিউম প্যাকেট করার জন্য অথবা আপনি যে বোতলে ভরবেন তার জন্য বোতল বানায় এমন কোম্পানির সাথে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে। আপনার পারফিউম কিন্তু বোতলে ভরতে হবে।

বাজারে বিক্রি হওয়া পারফিউমের কাচের বোতল গুলি আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন। সেগুলি কতটা সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হয় তার ধারণা কিন্তু আপনার কমবেশি আছে। আর সেই কারণেই আপনাকেও আপনার পারফিউমের বোতল নির্বাচন করার জন্য সুন্দর এবং আকর্ষণীয় দেখে নির্বাচন করতে হবে।

লেভেলিং:

পারফিউম ভরার জন্য আপনি বোতল নির্বাচন করে নিয়েছেন, কেমন আকারের কেমন আকর্ষণীয় নেবেন সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেল। এরপরে ওই বোতলের উপরে যে লেভেল আপনি লাগাবেন সেটা কেও কিন্তু আপনাকে নির্বাচন করতে হবে।

সেই লেভেলের উপরে আপনার কোম্পানির নাম, ঠিকানা, তাছাড়া অন্যান্য জিনিসের তথ্য যেন এই লেভেলের মধ্যে থাকে। তার জন্য আপনাকে কোন লেভেল বানানো কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে এগুলিকে তৈরি করতে হবে। 

ব্যবসার জন্য রেজিস্ট্রেশন:

আপনার নিজস্ব পারফিউম কোম্পানিকে শুরু করার আগেই আপনাকে আপনার কোম্পানির নাম রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। তাই জন্য আগে থেকেই আপনাকে আপনার কোম্পানির নাম নির্বাচন করে রাখতে হবে। যখন আপনি নাম নির্বাচন করবেন তখন একটু ভালোভাবে নামটি রাখবেন যাতে সেই নাম ভীষণ অ্যাট্রাক্টিভ হয়।

রেজিস্ট্রেশনের আগে আপনার এটাও কিন্তু ঠিক করে নিতে হবে যে আপনার ব্যবসাটি সোলো প্রোপাইটর, পার্টনারশিপ, কর্পোরেশন এন্ড লিমিটেড, লাইবেলিটি এরমধ্যে কোনটা করতে চাইছেন। আপনি যদি এ সম্পর্কে বেশি না বুঝতে পারেন, তাহলে যে কোন উকিলের সাথে অথবা কোন একাউন্টেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ সম্বন্ধে আলোচনা করতে পারেন।

জায়গা নির্বাচন:

পারফিউম কোম্পানি করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে যেখানে আপনি খুব সহজেই এগুলি তৈরি করতে পারবেন এবং এখান থেকে মার্কেটের সাপ্লাই দিতে পারবেন।

চেষ্টা করবেন কোন ফ্যাক্টরি এরিয়ার পাশাপাশি কোন ফ্যাক্টরি আপনি ভাড়াতে নেবেন। কেননা এই সমস্ত এরিয়াতে খুব সহজেই আপনি কর্মচারী পেয়ে যাবেন তার সাথে সাথে এইরকম এলাকাতে বিদ্যুৎ পরিষেবা খুব ভালো থাকে।

কর্মচারী নির্বাচন:

পারফিউম বানানোর জন্য আপনাকে বিভিন্ন রকমের ফর্মুলা ব্যবহার করতে হবে। আর এই জন্য এই সমস্ত কর্মচারী আপনি রাখতে পারেন, যারা পারফিউম বানানোর ক্ষেত্রে বেশ ভালোভাবে দক্ষ। তাছাড়া পারফিউম যখন আপনি প্যাকেজিং করবেন তখনই কিন্তু কিছু কর্মচারী আপনাকে বেতন দেওয়ার মাধ্যমে রাখতে হতে পারে।

সাবধানতা অবলম্বন:

পারফুম এমন একটি জিনিস যাতে অ্যালকোহল থাকার জন্য খুব সহজেই এ থেকে কিন্তু আগুন লেগে যেতে পারে। আর এই জন্য আপনাকে পারফিউম যখন তৈরি করবেন তখন খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

তার সাথে সাথে তৈরি হয়ে যাওয়া পারফর্মের বোতল এমন জায়গায় আপনি রাখবেন যেখানে আগুন লাগতে পারে এমন উপকরণ যেন না থাকে। তাছাড়া আপনার ফ্যাক্টরিতে আগুন নেভানোর উপকরণ গুলি অবশ্যই নিয়ে রাখবেন।

মার্কেটিং:

যে কোন ধরনের ব্যবসা করতে গেলে সেই ব্যবসাতে সাকসেসফুল হতে গেলে সর্বপ্রথম আপনার খুব ভালোভাবে মার্কেটিং বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। আর এইজন্যই আপনাকেও আপনার এই পারফিউম ব্যবসা সাকসেসফুল করার জন্য মার্কেটিং এর সাহায্য আপনাকে নিতেই হবে।

মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার পারফিউমের কোম্পানির প্রচার খুব ভালোভাবে করতে পারবেন, এবং মানুষের মধ্যে আপনার পারফিউম সম্পর্কে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। তাছাড়া মার্কেটিং করার জন্য মার্কেটে প্রচুর বিকল্প আছে, এই সমস্ত বিকল্প থেকে যে কোনো বিকল্প নির্বাচন অথবা সিলেক্ট করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

অনলাইন:

অনলাইনে পারফিউম বিক্রি করার জন্য আপনি যদি চান, তাহলে ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন এমন টাইপের ওয়েবসাইটের সাথে যোগাযোগ করে অথবা আপনার নিজস্ব কোন ওয়েবসাইট বানিয়ে আপনার তৈরি করা পারফিউম বিক্রি করতে পারেন।

আর যদি নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পারফিউম বিক্রি করতে চান তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের নামটা কিন্তু আপনার পারফিউমের নামের সাথে মিলিয়ে রাখতে হবে।

বাজেট এবং লোন:

এই ব্যবসাটি শুরু করার আগে আপনাকে প্রথমে এই ব্যবসায় খরচ কতটা হবে সে সম্পর্কে একটি সুন্দর তালিকা তৈরি করতে হবে। এমন করার ফলে আপনার তো এতটা অনুমান হয়ে যাবে যে, এই ব্যবসাটি করতে গেলে কতটা ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন পড়বে আপনার। আর সেই অনুযায়ী আপনার কাছে যথেষ্ট পুঁজি যদি না থাকে তাহলে লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন।

ট্রেনিং:

এই ব্যবসাতে বিভিন্ন রকমের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। তাই এই সম্পর্কে নলেজ থাকাটা ভীষণ জরুরী। এর জন্য আপনি কোথাও থেকে ট্রেনিং নিয়ে নিতে পারেন, এবং কর্মচারীদের ট্রেনিং দিয়ে নিতে পারেন।

এই ব্যবসা থেকে লাভ:

মেশিন এবং কাঁচামাল এর ওপর আপনার ইনভেস্টমেন্ট নির্ভর করবে। তাছাড়া যদি কম করে ধরা যায়, আপনি ব্যবসা থেকে প্রতিমাসে কম করে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া মার্কেটিং যদি ভালো করে করতে পারেন এবং আপনার ব্যবসাটি খুব বড় পর্যায় চলে যায়, তাহলে সেটা কয়েক লাখ টাকাতে পৌঁছাতে পারে। কারণ পারফিউমের চাহিদা বাজারে প্রচুর।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top