2024 Mushroom Business in Bengali | 2024 মাশরুম ব্যবসা

2024 মাশরুম ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন? কত ইনকাম হবে? জানুন – Mushroom Business Idea in Bengali 2024 (মাশরুম ব্যবসা 2024): ভারতে কিভাবে মাশরুম ব্যবসা শুরু করবেন? বাংলায় মাশরুম বিজনেস আইডিয়া 2024 মাসে কত ইনকাম হবে? জানুন সবকিছু।

মাশরুম ব্যবসা 2024: দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন রকমের চাষাবাদ কে ঘিরে বিভিন্ন রকমের ব্যবসা বাণিজ্য করে অনেক বেকার মানুষ নিজেদের রোজগারের রাস্তা খুঁজে নিয়েছেন।

সে ক্ষেত্রে আপনি যদি একজন চাষী হয়ে থাকেন এবং নিজের বিভিন্ন রকমের চাহিদা ও স্বপ্ন পূরণ করার জন্য এবং এক্সট্রা কিছু ইনকাম যদি করতে চান, তাহলে এই নতুন ব্যবসাটি করে দেখতে পারেন। এই ব্যবসা আপনার জন্য ভীষণ লাভ দায়ক হতে পারে।

যেকোনো চারা গাছ লাগিয়ে যেমন তাকে যত্ন করতে হয়, তার ফলে সেই চারা গাছ থেকে উপকৃত হওয়া যায়। তেমনি একটু শ্রম ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে যদি আপনি এই মাশরুম চাষ করতে পারেন, তাহলে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন প্রতি মাসে।

এই মাশরুম আসলে কি:

মাশরুম এক ধরনের গাছ বলতে পারেন, তবে এটাকে অনেক সময় আমিষ হিসেবে দেখা হয়, কারণ একে আপনি একেবারে নিরামিষ বলতে পারেন না, কারণ এই মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন ডি।

এই মাশরুম খড়, ভুসি ইত্যাদিতে চাষ করা হয় এবং এই মাশরুমের আকার দেখতে কিছুটা ব্যাঙের ছাতার মতো, আবার অনেক ক্ষেত্রে এই মাশরুমকে দেখতে লাগে ললিপপ লজেন্সের মত। কারণ মাশরুমের অনেক প্রকারভেদ আছে।

মাশরুম এর প্রকারভেদ :

বিজ্ঞান অনুসারে এই মাশরুমের ১০,০০০ রকমের প্রজাতি পৃথিবীতে দেখা যায়, কিন্তু আপনি যদি এই মাশরুম নিয়ে ব্যবসা করার কথা ভাবেন তাহলে প্রায় পাঁচ রকমের মাশরুম এই আওতায় পড়ে।

যা কিনা উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং মানুষের শরীরে বিশেষ উপকারী। আর এর মধ্যে তিন রকমের মাশরুম কে সবচেয়ে বেশি ভালো বলে জানা যায়। আর ভারতের বিভিন্ন জলবায়ুতে এদের চাষ হয়।

এই তিন রকমের মাশরুমের নাম হল: পোয়াল, ধিংড়ি আর বোতাম মাশরুম।

মাশরুমের বীজ কোথা থেকে কিনবেন:

ঘরেতেই আপনি কিছুটা জায়গা এবং ফাঁকা কোন ঘর থাকলে সেখানে একটু হালকা যত্নেই মাশরুম চাষ করে নিতে পারবেন। আপনি সে ক্ষেত্রে মাশরুমের বীজ কোথা থেকে কিনবেন?

আপনি যদি মাশরুমের বীজ কিনতে চান তাহলে অনলাইনে ও কিনতে পারেন, Amazon.in অনলাইনে এখান থেকেও কিনতে পারেন অথবা সরাসরি সরকার কৃষি কেন্দ্র এর সাহায্যে এই মাশরুমের বীজ সংগ্রহ করতে পারন।

এখন সরকারি ভাবে মাশরুমের বীজ রোপণ থেকে তার পরিচর্যা সবকিছু প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বোঝানো হয় এবং চাষের ক্ষেত্রে সহযোগিতাও করা হয়।

মাশরুমের বীজ এর দাম:

মাশরুমের বীজ প্রতি কিলোগ্রাম এ ৭৫ টাকা করে হয়। তাছাড়া ব্র্যান্ড অনুযায়ী অথবা কোম্পানি অনুযায়ী দামের হেরফের হতে পারে।

তাই আপনি আগে থেকে ঠিক করে নিতে পারেন যে, আপনি কোন কোম্পানি এবং কেমন দামের মাশরুম বীজ সংগ্রহ করতে চাইছেন তার উপর আপনার মাশরুম বীজের দাম নির্ভর করবে।

উৎপাদিত মাশরুম কোথায় বিক্রি করবেন:

আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মাশরুমে প্রচুর দাম, উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য এবং খেতে সুস্বাদু এবং সহজেই হজম হয়ে যায় সে কারণে এই মাশরুমের চাহিদা প্রচুর।

এই মাশরুমের চাহিদা বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে, যেমন এই মাশরুম বিক্রি করার জন্য কোনো ভালোমানের রেস্তোরাঁ, হোটেল, ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ইত্যাদি জায়গাতে আপনি বিক্রি করতে পারেন।

তাছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চাইনিজ খাবারের এই মাশরুম বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়। আবার যেখান থেকে আপনি এই মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ পেতে পারেন সেখান থেকেও আপনি এই মাশরুম বিক্রি করার অনেক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাবেন।

মাশরুমের ব্যবসা করার পদ্ধতি:

আপনি যদি মনে করেন তাহলে কৃত্রিমভাবেও মাশরুম কিন্তু চাষ করতে পারেন। তার জন্য আপনার কাছে কিছুটা ফাঁকা জায়গা থাকা প্রয়োজন। যেখানে আপনি খুব সহজেই মাশরুম চাষ (Mushroom Farming) করতে পারবেন।

আমাদের দেশে বর্তমানে মাশরুম এর ব্যবসা দুই প্রকারের হয়ে থাকে। আপনি যদি চান তাহলে কোন কোম্পানি তৈরি করে ব্যবসা করতে পারেন আবার দ্বিতীয়তঃ আপনার কাছে যদি কোনো ফাঁকা জমি থাকে অর্থাৎ আপনি যদি চাষী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রেও কিন্তু আপনি খুব সহজেই ব্যবসা করতে পারবেন।

শুধু আপনার ওই জমি কে বাঁশ, লাঠি দিয়ে শুধুমাত্র একটা ঘরের আকার দিতে হবে তার ওপরে ছাউনী, যতটা জায়গায় আপনি মাশরুম চাষ করতে চান, ততো বড় ঘর আপনাকে তৈরি করতে হবে, কারণ মাশরুম ছাওয়া জায়গাতে উৎপাদন হয়। ব্যাস তাহলে আর কি, মাশরুম চাষ এবং ব্যবসা করার জন্য আপনার জায়গা একেবারে তৈরি।

ছোট এবং বড় আকারে মাশরুমের চাষ:

আপনি যদি চান যে, আপনার এই মাশরুম চাষ থেকে বেশ ভালো একটা রোজগার আসুক, তাহলে প্রথমত খুব অল্প পরিমাণে এই মাশরুম চাষ শুরু করুন, সে ক্ষেত্রে আপনি বর্তমানে যে কাজ করছেন সেই কাজে যেন কোন রকম চাপ সৃষ্টি না হয়।

তারপর ধীরে ধীরে এই ব্যবসার দিকে আপনি খেয়াল দিতে পারবেন, আরো বড়ো আকারে নিয়ে যাওয়ার জন্য সে ক্ষেত্রে মাশরুম চাষে তেমন কোনো অতিরিক্ত দেখভালের প্রয়োজন নেই।

শুধুমাত্র কিছু নিয়ম পালন করলে বাকি মাশরুম উৎপাদন প্রক্রিয়া সব একই রকম। সে ছোট হোক এবং সেটা বড় ব্যবসার আকারে চলে যাক।

মাশরুম ব্যবসায় ক্ষেত্রে পুঁজি কতটা লাগতে পারে:

মাশরুম উৎপাদন কে আপনি যদি ব্যবসার জায়গায় নিয়ে যেতে চান, তাহলে আপনাকে প্রথমে তো কিছুটা টাকা ইনভেস্ট করতেই হয়, তাই না।

সে ক্ষেত্রে এই মাশরুম চাষ এবং ব্যবসা পর্যন্ত যখন স্তর চেঞ্জ হবে অর্থাৎ ছোট থেকে বড় আকারের দিকে যাবে তখন ইনভেস্টমেন্টের পরিমাণটাও চেঞ্জ হতে থাকবে।

এই ব্যবসা করতে গেলে আপনার প্রথমত দেখভাল এবং মাশরুম উৎপাদন করার জন্য যে জায়গা বানাতে হবে সেখানে কিছুটা টাকা খরচ হতে পারে আবার কীটনাশক, ঔষধ এর ব্যবহারের ক্ষেত্রেও খরচ হবে, যদি আপনি ছোট ব্যবসা শুরু করেন তো ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।

আবার যদি বড় ব্যবসার কথা বলা হয়, সে ক্ষেত্রে কিন্তু ১ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আপনি ইনভেস্ট করতে পারেন এই ব্যবসার জন্য। তাহলে ঠিকঠাক ভাবে আপনার মন মত ব্যবসাটি দাঁড় করাতে পারবেন আপনি।

মাশরুমের ব্যবসাতে যে লাভ গুলি পাওয়া যায়:

আপনি কষ্ট করে কোন কিছু উৎপাদন করলেন সেটা নিয়ে ব্যবসাও করলেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার লাভ কতটা হতে পারে সেটা নিশ্চয়ই জানার আগ্রহটা এবং উৎসাহটা অনেকটাই বেশি থাকে তাই তো, তাহলে জানা যাক, মাশরুম চাষে আপনি কতটা লাভ করতে পারবেন।

আপনি যদি ভালোভাবে এই ব্যবসা মনোযোগ সহকারে করতে পারেন, তাহলে খুব বড় ধরনের লাভ আপনি পেতে পারেন এই ব্যবসা থেকে।

সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ১০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে ব্যবসা আরম্ভ করতে পারেন, তো আপনার প্রায় ১ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন প্রতিবছর, এই ব্যবসা থেকে। তাছাড়া আপনার উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর উপর নির্ভর করবে আপনার রোজগার ও লাভ।

কাঁচামাল এবং মাশরুম চাষের উপযুক্ত জিনিসপত্র ও জায়গা:

ভারতের ক্ষেত্রে মাশরুমের চাষ শীতকালে বেশ ভালো হয়। কারণ মাশরুম খুব কম তাপমাত্রায় ভালো হয় এবং মাশরুমের বীজ রোপন করার জন্য ঘাস, খড়, ভুসি, ধানের ভুসি, এর প্রয়োজন হবে।

এবং সুরক্ষার জন্য যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সেই কারণে কীটনাশক, ওষুধ এর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রথমত মাশরুমের চাষ আপনার কোন ফাঁকা ঘরেও করতে পারেন।

বড় মাত্রায় মাশরুমের চাষ:

আপনি যদি বড় আকারে মাশরুমের ব্যবসা করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার মাশরুম চাষের জন্য বড় জায়গার সাথে সাথে বীজের পরিমাণটাও অনেকটাই বৃদ্ধি করতে হবে।

শুধুমাত্র জায়গা, আপনার পুঁজি এবং কাঁচামাল কেনার জন্য খরচটা একটু বেশি পড়বে, তাছাড়া ব্যবসার ছোট অথবা বড় মাশরুম উৎপাদন প্রক্রিয়া সবসময় একই রকম হয়।

 মাশরুম চাষ করার প্রক্রিয়া:

ঘরের মধ্যে মাশরুম চাষ করার প্রক্রিয়া: ঘরের মধ্যে মাশরুম চাষ করার জন্য আপনার প্রয়োজন হতে পারে, কোন কিছুর বেড়া দিয়ে ঘর বানিয়ে ফেলতে পারেন।

তারপর সেখানে মাশরুম উৎপাদন শুরু করে দিতে পারেন। তা ছাড়া বাকি সব কিছু প্রক্রিয়া একই রকম।

১) প্রথম প্রক্রিয়া- ঘাস, খড় এবং ধানের ভুসি দিয়ে কম্পোস্ট সার বানানো:

মাশরুমের চাষ করতে গেলে এটি বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়, এটার জন্য আপনাকে ধানের ভুসি, খর ইত্যাদি বেশ ভালো করে একসাথে মিশিয়ে তাতে কীটনাশক দিয়ে জীবানু নাশ করতে হবে।

এর ফলে মাশরুম যখন আপনি রোপন করবেন তখন যেন কোন রকম ব্যাকটেরিয়া সেই মাশরুমের বীজ কে নষ্ট করে দিতে না পারে।

সেক্ষেত্রে আপনার ১৫০০ লিটার জলে ১.৫ কিলোগ্রাম ফার্মলিন এবং ১৫০ গ্রাম বেবিস্টেন মেশাতে হবে।

তারপর এই দুটো রাসায়নিক কীটনাশক একসাথে মিলিয়ে এরপর জলে ১ কুইন্টাল ৫০ কিলোগ্রাম গম এবং ধানের ভুসি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।

তারপর এই মিশ্রন টিকে কিছু সময় ঢেকে রেখে দিতে হবে। যার মাধ্যমে এই ধানের ভুসি অথবা গমের ভুসি মাশরুম উৎপাদনের জন্য একেবারে তৈরি হয়ে যাবে।

২) দ্বিতীয় প্রক্রিয়া- মাশরুম রোপন:

প্রথম প্রক্রিয়া হয়ে গেলে সেই ভিজিয়ে রাখা ধান অথবা গমের ভুসি ভালো করে কোন জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে, এটা এই কারণে করতে হবে যে বাতাসের সংস্পর্শে এসে এর যে আদ্রতা ৫০ ভাগ পর্যন্ত কম হয়ে যেতে পারে, অতিরিক্ত জল নিঃসরণ হয়ে যাওয়ার পর এই মিশ্রনটিকে বারবার ওলট-পালট করে মেশান প্রয়োজন। তারপর ১৬/১৮ মাপের পলিথিন ব্যাগ নিয়ে এরমধ্যে ওই ভুসি ভালো করে ভরতে হবে।

যেমন, প্রথমে এই ভুসি দিলেন তার ওপর মাশরুমের বীজ, আবার ভুসি, আবার মাশরুমের বীজ এইভাবে ৩, ৪ স্তর বানিয়ে নিতে হবে ওই পলিথিনের ব্যাগ এর মধ্যে। পলিথিন-এর ব্যাগের দুই কোণে ছিদ্র করে নিতে ভুলবেন না, এর কারনে ওই ভুষির মধ্যে যে জল অতিরিক্ত থাকবে সেটা বেরিয়ে যাবে।

তা ছাড়া আর কোন ছিদ্র করার প্রয়োজন নেই। তবে খেয়াল রাখবেন মাশরুমের বীজ এবং ওই ভুষির পরিমাণটা যেন সমান সমান থাকে। মাশরুমের বীজ রোপন করা হয়ে গেলে ওই প্যাকেট এর মধ্যে কিছু ছোট ছোট ছিদ্র করে দিতে হয়, যেখান থেকে মাশরুম বাইরে বেরিয়ে আসতে রাস্তা পায়।

হাওয়া বাতাস থেকে মাশরুমকে রক্ষা:

বীজ রোপণের প্রায় ১৫ দিন পর্যন্ত মাশরুমকে কোনরকম হাওয়া বাতাস লাগতে দেওয়া হয় না, হাওয়া বাতাস থেকে তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়, যার জন্য আপনি ঘরের মধ্যে পুরো বন্ধ অবস্থায় রাখতে পারেন এদের।

১৫ দিন পর এই ঘর সম্পূর্ণ খোলা অবস্থায় ছেড়ে দিন এবং পাখা দিয়ে হওয়ার ব্যবস্থা করে দিন, তারপর দেখবেন আপনার মাশরুম উৎপাদন কেমনভাবে হয়েছে এবং মাশরুমের রং সাদা হতে শুরু করেছে যা দেখে আপনার মন আনন্দে ভরে উঠতে পারে।

আদ্রতা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ:

আদ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনাকে কখনও কখনও ঘরের দেয়ালে জল ছেটাতে  হতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন আদ্রতা যেন ৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো মাশরুম চাষের জন্য ঘরের তাপমাত্রার দিকটা খেয়াল রাখাটা জরুরি। মাশরুমের উৎপাদন ভালোভাবে হওয়ার জন্য ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রা সব সময় ঠিক থাকে যেন।

মাশরুমের প্লাস্টিক এর থলি কে কিভাবে রাখবেন:

ঘরের মধ্যে মাশরুম চাষ করার ক্ষেত্রে মাশরুমের থলি কিভাবে রাখবেন, আপনি এগুলোকে চাইলে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন অথবা বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে তার উপরেও রাখতে পারেন।

মাশরুম কখন কাটতে পারবেন আপনি:

উৎপাদন তো হল, তারপর আপনি  কখন কিভাবে মাশরুম সংগ্রহ করবেন! বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে রোপণের ৩০ থেকে ৪০ দিনের ভিতরে আপনি মাশরুম কাটতে পারবেন।

এরপর আবার আপনার ওই মাশরুমের থলি থেকে মাশরুম উৎপাদন শুরু হবে। তাছাড়া এই মাশরুম আপনি হাত দিয়েও ভেঙে নিতে পারবেন।

সরকারি সহযোগিতা:

মাশরুম চাষের জন্য সরকার থেকে ঋণ দেওয়ার জন্য যোজনা বানানো হয়েছে। তাছাড়া nabard.org এই ওয়েবসাইটের মধ্যে দিয়ে এই সরকারি সহযোগিতা বিস্তারিত তথ্য আপনি জানতে পারবেন।

আবার মাশরুমের ব্যবসা করার জন্য সরকারি কার্যালয় এ একটি প্রস্তাব লিখে কিংবা দরখাস্ত লিখে আপনাকে যেতে হবে, সে ক্ষেত্রে লাগতে পারে আপনার প্যান কার্ড, আধার কার্ড, আপনার ঠিকানার প্রমাণপত্র এবং ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট এগুলো ওখানে জমা দিতে হতে পারে। এগুলোর ফলে আপনি সরকার থেকে অনেকটাই ছাড় পাবেন এই ব্যবসার জন্য।

আপনি যদি ছোট চাষী হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে মাশরুমের একেকটি থলিতে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত এবং একটু বড় আকারের ব্যবসার ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ পর্যন্ত আপনি ছাড় পেতে পারেন।

তাছাড়া আপনি যদি এই ব্যবসায় কোনরকম সাবসিটি অথবা আর ছাড় যদি না চান তাহলে আপনার এখানে রেজিস্ট্রেশন অথবা দরখাস্ত করার কোন প্রয়োজন নেই, আপনি নিজে থেকেই করতে পারেন।

সরকার থেকে মাশরুম চাষের জন্য প্রশিক্ষণ:

ছোট ছোট চাষীদের জন্য এ ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে চাষীদের মাশরুম চাষে অনেক সহযোগিতা করা হয়ে থাকে। এছাড়াও সরকার থেকে একেবারে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, কিভাবে আপনি মাশরুম চাষ করতে পারেন।

যে প্রশিক্ষণ এর মধ্যে আপনি হাতে কলমে শিখতে পারবেন মাশরুম বীজ রোপন থেকে উৎপাদিত ফসল কাটা পর্যন্ত। Step-by-step সবকিছু শেখানো হয় এই প্রশিক্ষণে।

এই ব্যবসা সম্পর্কে নিশ্চয়ই ভালো লেগেছে, দিনদিন মাশরুমের চাহিদা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে একটু প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করে আপনি খুব সহজেই নিজের কোনো ফাঁকা ঘরে অথবা কোন জায়গাতে ঘর বানিয়ে মাশরুম চাষ করতে পারেন অনায়াসেই।

প্রক্রিয়া জানা হয়ে গেলে, এতে তেমন কোনো পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই, তারপর আপনার উৎপাদন অনুযায়ী আপনার লাভ এবং ইনকাম নির্ভর করবে। তবে বলা যেতে পারে মাশরুম চাষ ও ব্যবসা অনেকটাই লাভজনক একটি ব্যবসা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top