Ice Cream Parlour Business Idea in Bengali – আইসক্রিম পার্লার ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে? আইসক্রিম ব্যবসার কত চাহিদা? কত টাকা ইনকাম হবে? জানুন সবকিছু আইসক্রিম পার্লার ব্যবসা সম্পর্কে।
গরমের মধ্যে ব্যাপক হারে চলতে থাকা এমন অনেক ব্যবসার মধ্যে রয়েছে আইসক্রিম এর ব্যবসা। ছোট থেকে বড় সকলেই এই আইসক্রিম খেতে ভীষণ পছন্দ করেন। বিভিন্ন রকমের, বিভিন্ন ফ্লেভারের আইসক্রিম আজ বাজারে সকলের নজর কাড়ে।
গরম কাল পড়ার সাথে সাথে ঘরে থেকে আইসক্রিমের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটি এমন একটি ব্যবসা যা গরম কালেই শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ থাকে না, বর্তমানে দেখা যায় বর্ষাকালে, শীতকালেও আইসক্রিম খাওয়ার মজা নিয়ে থাকেন অনেকেই।
এই ব্যবসাটি শুরু করার সাথে সাথেই উপার্জন শুরু হয়ে যায়। অর্থাৎ এই পছন্দসই এবং মুখরোচক আইসক্রিম ব্যবসা করে অনেকেই লাভবান হয়েছেন। মানুষ এখন ভীষণভাবে আরাম প্রিয় হয়েছে, সেই কারণে বর্ষাকাল থেকে শুরু করে শীতকালেও আইসক্রিমের চাহিদা কমে না।
বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই কিন্তু আইসক্রিম খেতে এতটাই পছন্দ করেন যে কারোর সামনে আইসক্রিম নিয়ে গেলে সে কখনোই না করতে পারে না।
আইসক্রিম ব্যবসা শুরু করে উপার্জন করুন
গরমকাল পড়ে গিয়েছে, আর এই ঋতুকে কাজে লাগিয়ে আপনি ছোট্ট একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন ঘরে থেকেই আর এই ব্যবসাতে কোনরকম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এটি এমন একটি ব্যবসা সব সময় এর চাহিদা রয়েছে। আর ব্যবসাটি হল আইসক্রিম পার্লার (Ice Cream Parlour) এর ব্যবসা। আইসক্রিম পছন্দ করেন এমন মানুষের সংখ্যা একদিন প্রতিদিন বাড়তেই রয়েছেন।
প্রতিমাসে আইসক্রিমের চাহিদা প্রচুর কেননা প্রায় দোকানে সফট ড্রিংকসের পাশাপাশি আইসক্রিমও রাখা হয়। এই ব্যবসাটি শুরু করে খুবই কম সময়ের মধ্যে মোটা মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। বিনিয়োগের কথা বলতে গেলে খুবই কম টাকা বিনিয়োগ করতে হবে এই ব্যবসাতে।
আইসক্রিম ব্যবসা শুরু করবেন যেভাবে
এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনার কাছে একটি ডিপ ফ্রিজার হওয়াটা অবশ্যই দরকার। বাজারে আইসক্রিম তৈরি করার এমন অনেক কোম্পানি প্রথম থেকে অবস্থিত রয়েছে।
কিন্তু আপনি যদি ভালো কোয়ালিটির আইসক্রিম তৈরি করে তার ব্যবসা করেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ব্যবসাটি থেকে লাভ অর্জন করতে পারবেন এর পাশাপাশি ব্যবসাটি বাড়িয়ে তুলতে পারবেন।
আপনি ঘরে অথবা কোন দোকান ভাড়া নিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ইন্টেরিয়র, বিভিন্ন আসবাবপত্র আর একটি ডিপ ফ্রিজারের প্রয়োজন পড়বে। এর সাথে সাথে শহরের আইসক্রিম ডিস্ট্রিবিউটার এর সাথে যোগাযোগ করে আলাদা আলাদা ব্র্যান্ডের আইসক্রিমও রাখতে পারেন আপনার তৈরি করা আইসক্রিমের সাথে। তাই সকল রকমের গ্রাহক আপনার দোকানে ভিড় জমাবেন।
আইসক্রিম ব্যবসা শুরু করার জন্য বিনিয়োগ
প্রতিটি ব্যবসার মতো এই ব্যবসাতেও কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হবে আপনাকে। প্রথমে এই ব্যবসাটি শুরু করতে ১ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে যেতে পারে।
৪০০ থেকে ৫০০ স্কয়ার ফিট কার্পেট এরিয়া হিসেবে যেকোনো জায়গায় আইসক্রিম পার্লার খোলা যেতে পারে অর্থাৎ এই জায়গাটি আইসক্রিম পার্লারের জন্য পর্যাপ্ত। এই জায়গার মধ্যে আপনি ৫ থেকে ১০ জন মানুষকে বসানোর ব্যবস্থা করতে পারবেন, কেননা অনেকেই দোকানে বসে আইসক্রিম খেয়ে থাকেন।
আইসক্রিম এর চাহিদা:
আইসক্রিমের চাহিদার কথা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। আগেই বলা হয়েছে যে, সকলেই এই আইসক্রিম ভীষণভাবে পছন্দ করেন। আর যদি পছন্দের আইসক্রিম হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। তাই বোঝাই যায় যে প্রতিনিয়ত আইসক্রিমের চাহিদা কতখানি বেড়ে চলেছে।
এছাড়াও কোন অনুষ্ঠান, বিয়েবাড়ি বা অন্য কোন পার্টিতেও আইসক্রিমের যোগান দেওয়া যেতে পারে এই ব্যবসা থেকে। আইসক্রিম এমন একটি খাদ্যবস্তু যেটি বাচ্চা থেকে শুরু করে সকল বয়সের মানুষের ভীষণ পছন্দের। গরমকালে বিশেষ করে এই আইসক্রিম অনেকে একটু ঠান্ডা অনুভূতি পাওয়ার জন্য খেয়ে থাকেন, আবার কেউ পছন্দের আইসক্রিম কিনে থাকেন।
আবার প্রতিনিয়ত একটু খানি মন ফ্রেশ করার জন্য আইসক্রিম খেয়ে থাকেন। এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা অনেক বড় বড় আইসক্রিম ট্রে কিনে নিয়ে গিয়ে ফ্রিজে রেখে দেন, বেশ কিছুদিনের জন্য, এতটাই পছন্দের। আর সেই কারণে বলা যেতে পারে যদি কোন ব্যক্তি গরমকালে কম টাকা বিনিয়োগ করে খুব তাড়াতাড়ি কোন ব্যবসা শুরু করে লাভবান হতে চান তাহলে আইসক্রিম পার্লার (Ice Cream Parlour) হলো একটি ভালো ব্যবসার আইডিয়া।
তবে একটি ভুল ধারণা আছে যে শুধুমাত্র গরমকালে আইসক্রিম ব্যবসা চলে, কিন্তু বাস্তব এমনটা নয়, সারা বছর আইসক্রিমের চাহিদা রয়েছে। শুধু গরমকালে সেটা আরো বেশি বেড়ে যায়। তাই সারা বছর এই ব্যবসাটি করে উপার্জন করতে পারবেন প্রচুর টাকা।
শীতকালেও আইসক্রিম খাওয়ার মজা নিয়ে থাকেন অনেকেই। তাই এক কথায় বলা যেতেই পারে যে এই ব্যবসা থেকে অনবরত উপার্জন করতে থাকবেন এবং খুবই কম সময়ের মধ্যে ব্যবসাটিকে আরো বড় আকার দিতে পারবেন।
আইসক্রিম ব্যবসা করার জন্য FSSAI লাইসেন্স:
যদি কোন খাবার জিনিস হয় তাহলে তার ব্যবসা করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে এই লাইসেন্স নিয়ে রাখতে হবে। ট্রেড বাডি FICCI এর একটি রিপোর্টে জানা যায় যে, ২০২২ পর্যন্ত দেশে আইসক্রিম এর ব্যবসা এক আরব ডলার পার করে গিয়েছে। FSSAI থেকে আপনাকে এই ব্যবসার লাইসেন্স অবশ্যই নিতে হবে।
এটি একটি ১৫ ডিজিট এর একটি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার, যেটা সুনিশ্চিত করে যে, আপনার কাছে বা আপনার কোন ফ্যাক্টরিতে তৈরি হওয়া কোন খাদ্য বস্তু FSSAI এর কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড কে সম্পূর্ণ করে। আর এর ফলে কারো কোন ভয় থাকবে না আপনার কাছে তৈরি হওয়া এই আইসক্রিম খেতে। আর কোন ভয় ছাড়া ব্যবসাটি চালাতেও পারবেন।
আইসক্রিম ব্যবসা থেকে লাভ:
আইসক্রিম ব্যবসা থেকে প্রচুর লাভ করতে পারবেন আর এই ব্যবসায় যখন কমপক্ষে ১ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা থেকে শুরু করবেন তখন কিন্তু প্রথম দিকে প্রতি মাসে ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ বা বলা যেতে পারে ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আর দিন বদলের সাথে সাথে আরও যখন ব্যবসাটিকে বড় করবেন তখন আরো বেশি টাকা উপার্জন করা যেতে পারে, সেটা ৬০,০০০ টাকা থেকে ৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
আইসক্রিম সকলের পছন্দের একটি খাদ্য বস্তু, তাছাড়া এর ঠাণ্ডা অনুভূতি পাওয়ার জন্য কোন বিশেষ ঋতুর প্রয়োজন পড়ে না। বিভিন্ন ধরনের আইসক্রিম এখন বাজারে রয়েছে, বিভিন্ন ফলের, চকলেট ফ্লেভার, ভ্যানিলা ফ্লেভার থেকে শুরু করে যাঁর যেটা পছন্দ তেমনটাই আইসক্রিম বাজারে উপলব্ধ রয়েছে।
আর সেই কারণে এই ব্যবসা প্রতিনিয়ত তার জায়গা বিস্তার করে চলেছে। আপনিও খুব কম সময়ের মধ্যে কম টাকা বিনিয়োগ করে এই ব্যবসা থেকে প্রচুর মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।