2024 Electric Vehicle Charging Business Idea in Bengali

2024 ইলেকট্রিক যানবাহন চার্জিং স্টেশন ব্যবসা আধুনিক ও লাভজনক – Electric Vehicle Charging Business Idea in Bengali 2024 (ইলেকট্রিক যানবাহন চার্জিং স্টেশন ব্যবসা 2024): Electric Vehicle Charging Station Business Plan 2024 in Bengali.

Electric Vehicle Charging Station Business in Bengali 2024: দিনবদলের সাথে সাথে বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে চলেছে। কারণ পেট্রোল আর ডিজেলের দাম যেভাবে বাড়ছে, সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন এর মত আমাদের দেশ ভারতেও বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।

তাছাড়া সরকারও চায় যে জনসাধারণের এই রকম সমস্যা দূর হোক, এবং পেট্রোল আর ডিজেলের কারণে যে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে সেটাও যেন কম হয় সেই জন্য সরকার ইলেকট্রিক অথবা বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন এর উপর বিশেষ খেয়াল দিচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানি বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে।

সে ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক যানবাহন চার্জ দেওয়ার জন্য চার্জিং স্টেশন থাকাটা জরুরি। যেখানে বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন চার্জ করা হয়। এখন কথা হল আপনি এই বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন এর চার্জিং পয়েন্ট অথবা চার্জিং স্টেশন তৈরি করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যা কিনা ভবিষ্যতে এবং বর্তমানেও প্রচুর লাভ দায়ক।

বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের চার্জিং স্টেশন ব্যবসা শুরু করুন:

বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের প্রচলন শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতবর্ষে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি এই যানবাহন গুলোর চার্জিং স্টেশন তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেন সেক্ষেত্রে ভালোমতো একটা উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পারবেন।

তাছাড়া ভবিষ্যতে এই যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। সে ক্ষেত্রে এই ব্যবসা খুব তাড়াতাড়ি উন্নতির শিখরে যাবে সেটা বলাই যায়।

বিদ্যুৎ চালিত অথবা ইলেকট্রিক যানবাহন চার্জিং স্টেশন কি:

এখন যেমন ধরুন পেট্রোল এবং ডিজেলের মাধ্যমে গাড়ি চলানো হয়, সে ক্ষেত্রে রাস্তার ধারে জায়গায় জায়গায় পেট্রোল এবং ডিজেলের পাম্প ও দোকান থাকে সেক্ষেত্রে রাস্তায় যদি গাড়িতে পেট্রোল ডিজেল ফুরিয়ে যায় সেক্ষেত্রে এসব পাম্প, দোকান থেকে গাড়িতে পেট্রোল ডিজেল ভরা হয় আবার গাড়ি চলতে থাকে।

সেরকমই ভাবে যখন ইলেকট্রিক অথবা বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন শুধুমাত্র চার্জ এর মাধ্যমে চলতে থাকে, সেক্ষেত্রে চার্জ ফুরিয়ে গেলে অথবা চার্জ কম হয়ে যাওয়ায় ব্যাটারি ডিসচার্জ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন থেকে কিছু টাকার বিনিময়ে ইলেকট্রিক গাড়িতে চার্চ করানো যেতে পারে।

ভারতে এরকম ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন স্থাপন করতে পারা কোম্পানি আছে, যারা নিজেদের ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে থাকে আর মানুষকে পার্টনারশিপ দিয়ে ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন এর ব্যবসা শুরু করার একটা সুবর্ণ সুযোগ দিয়ে থাকে।

যদি আপনার কাছে ভালোমতো পুঁজি অথবা টাকা থেকে থাকে, তো আপনি ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন শুরু করতে পারেন। অথবা আপনি কোন কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজিও নিতে পারেন।

বিদ্যুৎ চালিত অথবা ইলেকট্রিক যানবাহন চার্জিং স্টেশন কোথায় খুলবেন:

এক্ষেত্রে ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন আপনি বড় কোনো বাসস্ট্যান্ডে বাইরে, রেল স্টেশনের বাইরে, কোন পেট্রোল পাম্পের পাশে অথবা শপিং মলের পাশে শুরু করতে পারেন। এছাড়াও কোন হাইওয়ে এর পাশেও আপনি ইলেকট্রিক যানবাহন চার্জিং স্টেশন শুরু করতে পারেন।

এখানে একটা কথা বলা জরুরী যে, তিন রকমের ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন খোলা যায়। যার মধ্যে শপিং মল, পেট্রোল পাম্পে এবং রেলওয়ে স্টেশনে ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন লাগাতে পারেন।

দ্বিতীয়তঃ সরকারি সমস্ত অফিস এর ভিতর ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন খোলা যেতে পারে। আবার তৃতীয়তঃ হাইওয়ে অর্থাৎ ব্যস্ত কোন রাস্তার পাশে চার্জিং স্টেশন খুলতে পারেন।

ইলেকট্রিক যানবাহন চার্জিং স্টেশন খোলার জন্য কি করবেন:

নিজস্ব ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন খোলার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করতে পারেন, তাছাড়া আপনি যদি চান কোন জনপ্রিয় কোম্পানির ডিলারশিপ নিয়েও ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন, কেননা ভারতে বর্তমান সময়ে অনেক কোম্পানি এর ডিলারশিপ দিয়ে থাকে।

ইলেকট্রিক যানবাহন চার্জিং স্টেশনের ব্যবসার জন্য আপনার ইনভেস্টমেন্ট:

ইনভেস্টমেন্ট নির্ভর করবে আপনি আপনার নিজস্ব চার্জিং স্টেশন খুলছেন নাকি কোন কোম্পানি থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন। সে ক্ষেত্রে ধরুন কোন কোম্পানি থেকে যদি আপনি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেন সেক্ষেত্রে ৫ লাখ থেকে ৯ লাখ পর্যন্ত খরচা হতে পারে আপনার।

আর যদি নিজস্ব ইলেক্ট্রিক চার্জিং স্টেশন খুলতে চান সে ক্ষেত্রে প্রায় ৩ লাখ থেকে ৩৫ লাখ পর্যন্ত আপনার ইনভেস্টমেন্ট পড়তে পারে।

এই ব্যবসার নিয়ম:

সরকারি নিয়ম অনুসারে রাস্তার দুই ধারে তিন কিলোমিটার দূরত্বের ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন খোলা যেতে পারে। প্রথমে এই দূরত্বটা ২৫ কিলোমিটার ছিল।

এই ব্যবসার জন্য সাবসিডি অথবা ছাড়:

সরকার দ্বারা এখনো পর্যন্ত ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন ব্যবসার জন্য সাবসিডি অথবা ছাড় এর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তাছাড়া প্রায় ১০৫০ কোটি টাকা বাজেট তৈরি করেছে সরকার এই ব্যবসার সাবসিডি অথবা ছাড় এর জন্য।

ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন এর জন্য আবেদন করবেন কিভাবে:

যদি কোন ব্যক্তির কাছে ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন খোলার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পুঁজি অথবা টাকা থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে ভারতের পাওয়ার ডিপার্টমেন্ট এর মিনিস্টার এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এবং ওখান থেকে অ্যাপ্লিকেশন এর প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের তথ্য কিন্তু পেয়ে যেতে পারেন।

তার সাথে সাথে অ্যাপ্লিকেশনও করতে পারবেন। আবার যদি কোন ব্যক্তি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে চান যে কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে চাইবেন সেই কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। এইভাবেও আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

ইলেকট্রিক যানবাহন চার্জিং স্টেশন ব্যবসার লাভ:

ব্যবসাটা তো শুরু করলেন, তবে এই ব্যবসার লাভ সম্পর্কে জানাটাও তো জরুরি, তাই না। এই ব্যবসা থেকে যে লাভ আপনি পেতে পারেন সেটা নির্ভর করবে আপনি সেই গাড়ির মালিকের থেকে গাড়ি চার্জ করার বদলে কত টাকা চাইতে পারেন, তার সাথে সাথে এটার উপর উপর নির্ভর করবে যে ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশনে কি ধরনের গাড়ি, কত পরিমাণে গাড়ি চার্জের জন্য আসছে তার উপর।

একটা কথা তো পরিষ্কার যে, এই ব্যবসার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, কারণ ভবিষ্যতে ইলেকট্রিক চালিত অথবা বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে, তার সাথে সাথে এই ব্যবসা চলবে জোরকদমে।

এইজন্যই কিছু মানুষ এখন থেকেই এই ব্যবসার উপর বিশেষ খেয়াল দিয়ে ব্যবসাটি শুরু করে দিয়েছেন, যার ফলে আগে ব্যবসাটি আরো লাভদায়ক হতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top