2024 Digital Marketing Business Idea in Bengali

Digital Marketing Business Idea in Bengali (ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসা 2024) – কি কি ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে টাকা উপার্জন করবেন কিভাবে? জানুন সবকিছু এখানে।

বর্তমানে টাকা উপার্জনের জন্য বিভিন্ন রকমের উপায় অবলম্বন করে থাকেন অনেকেই। নটা থেকে পাঁচটা জব করতে গিয়ে অনেকেই হাঁপিয়ে উঠেছেন। এখন সময় এসেছে সবকিছু বদলানোর। আপনি ঘরে থেকেই কোথাও না বেরিয়েও টাকা উপার্জন করতে পারেন, কিভাবে? চলুন জানা যাক।

বর্তমান সময়ে  ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি জায়গা যেখানে উপার্জন করার বিভিন্ন রকমের উপায় রয়েছে। তবে এর মানে এই নয় যে আপনি ঘরে থেকেই কাজ করতে পারবেন বলে আপনাকে কিছুই করতে হবে না। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে কাজ করার জন্য আপনাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এ কাজ করতে হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মানে সবচেয়ে সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যাতে আপনি ইলেকট্রনিক ডিভাইস অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের কাজ করতে পারেন। তাকেই বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। এই মার্কেটিং এর বিভিন্ন ব্যবসায়িক চ্যানেল, যেমন সার্চ ইঞ্জিন, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল এবং ওয়েবসাইট এর ব্যবহার করে গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করা যায়।

প্রথমদিকে মার্কেটিং এর মানে এরকম ছিল, কি আপনাকে আপনার টার্গেট কাস্টমারের ঠিক টাইমে দিতে হবে এবং ঠিক জায়গায় টার্গেট পূরণ করতে হবে কিন্তু আজ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে অনেক রকম সুযোগ সুবিধা যুক্ত হয়েছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে টাকা উপার্জন করবেন কিভাবে?

আপনার মনে এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা কিভাবে উপার্জন করা যায়! তো চলুন জানা যাক:-

১) অনলাইনে ই-বুক লেখার মাধ্যমে:

যদি আপনি খুব ভালো লিখতে পারেন এবং আপনার মধ্যে একটি বই লেখার ক্ষমতা থাকে তাহলে এই ই-বুক লেখার মধ্যে দিয়ে আপনি উপার্জন করতে পারবেন। যেখানে আপনি আপনার প্রতিভা প্রকাশ করতে পারবেন। তবে এখানে আপনার গ্রাহক একটু দেরিতে মিলতে পারে।

কিন্তু একজন গ্রাহক মেলার পর থেকে আপনার সফলতা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। এমন বই লিখতে পারেন যা দিয়ে মানুষের টেকনিক সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন হয়, নতুন নতুন টেকনোলজি সম্পর্কে জানতে পারে এমন বই মানুষের ভীষণ পছন্দ বর্তমানে।

২) নিজস্ব অ্যাপ বানিয়ে ইন্টারনেটে মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে উপার্জন:

যদি আপনার মধ্যে অ্যাপ ডেভলপমেন্ট করার জ্ঞান থাকে তাহলে এটি আপনি কাজে লাগাতে পারেন। কিন্তু এই কাজটি যদি ভালোভাবে করতে পারেন তাহলে এর থেকে আপনি টাকা উপার্জনও করতে পারবেন। আপনি একটি ভালো উন্নত মানের অ্যাপ অথবা মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে কোটি কোটি গ্রাহকের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারেন।

একটি ভালো অ্যাপ বানানোর জন্য আপনার সময় এবং টাকার প্রয়োজন হতে পারে। যদি আপনার কাছে অ্যাপ বানানোর জন্য সম্পূর্ণ জ্ঞান না থাকে তাহলে আপনি অন্য কোনো ব্যক্তির থেকে বানিয়ে নিতে পারেন অথবা তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।  যে কিনা মোবাইল অ্যাপ সম্পর্কে ভালো দক্ষতা রাখেন।

৩) ইউটিউবে ভিডিও টিউটোরিয়াল বানিয়ে এবং অন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে:

যে সমস্ত ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়াতে খুব সহজভাবে টাকা উপার্জন করতে চান, তাদের জন্য এই বিষয়টি বেশ সহজ সাধ্য। এর সাথে সাথে ইন্টার্নেট মার্কেটিং এ টাকা উপার্জন করার সবচেয়ে ভালো বিষয়। কিন্তু এটি একটি লম্বা প্রক্রিয়া।

আপনি এতে রাতারাতি বড়লোক হতে পারবেন না অথবা রাতারাতি আপনি এখান থেকে কয়েক লাখ টাকা উপার্জন করতে পারবেন না। তবুও যদি আপনি খুব ভালোভাবে আকর্ষণীয় ভিডিও বানিয়ে আপনার নিজস্ব চ্যানেলে দিতে পারেন আসতে আসতে আপনার ইনকাম বাড়তে থাকবে।

৪) ব্লগ বানিয়ে উপার্জন:

ইন্টারনেট মার্কেটিং এর সাহায্যে টাকা উপার্জনের সবচেয়ে উপযুক্ত বিষয়টি হলো ব্লগিং বিজনেস। আর যখন আপনি একজন সফল ব্লগার হয়ে যাবেন তখন মাসে বেশ ভালো মত একটা উপার্জন চলে আসবে। আপনার কিন্তু এর জন্য প্রথমদিকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে, ধৈর্য রাখতে হবে এবং যে বিষয়ের উপর আপনি লিখবেন সেই বিষয়টিকে ভালোভাবে আয়ত্তে আনতে হবে।

এমনও হতে পারে অনলাইনে আপনার রিডার অথবা পাঠক প্রথমদিকে তেমন মিলবে না কিন্তু যদি ধৈর্যের সাথে কাজ করে যেতে পারেন ভবিষ্যতে আপনি ভালোমতো উপার্জন ক্রিয়েট করতে পারবেন।

৫) ফটোগ্রাফ বিক্রি করে উপার্জন:

ফটোগ্রাফিতে আপনার যদি ইন্টারেস্ট থেকে থাকে তাহলে আপনার জন্যেও ডিজিটাল মার্কেটিং একটি ভালো প্লাটফর্ম, যেখানে উপার্জন করতে পারবেন। আপনি নিজের তোলা ফটোগুলি ইন্টারনেটে বিক্রি করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

ইন্টারনেটে এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা আপনার তোলা ফটোগুলি কেনার বদলে তার দাম দিয়ে থাকে। এর জন্য আপনার বেশি পরিশ্রম এরও কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু একটা বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার তোলা ছবিগুলো যেন আকর্ষণীয় হয়।

৬) এস ই ও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন):

কথাটা শুনতে হয়তো একটু কঠিন লাগতে পারে। কিন্তু যখন এই বিষয়টা নিয়ে আপনি নাড়াছাড়া করবেন, শিখে যাবেন, তো সবচেয়ে বেশি সহজ বিষয় মনে হবে আপনার কাছে এটি। এস ই ও এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো সার্চ ইঞ্জিনকে সার্চ রেজাল্ট এ আপনার সাইট এর ভিজিবিলিটি বাড়ানো। প্রত্যেক সার্চ ইঞ্জিন কিছু কী ওয়ার্ডস এবং কি ফ্রেশ এর হিসাবে হয়।

এবং যেকোন সাইট বেশ উন্নত হয় এবং সেই কী-ওয়ার্ড সম্পর্কিত রেজাল্ট সবার উপরে আসে তো এস ই ও প্রফেশনাল সেই ব্যক্তি হয়, যে কিনা কীওয়ার্ডস এর দ্বারা নিজের সাইট এবং কীওয়ার্ডস কে ব্যালেন্স করতে পারে। আর নিজের সাইট কে সার্চ ইঞ্জিন এর উপরে নিয়ে আসার চেষ্টা করে থাকেন।

আপনি এস ই ও এর মাধ্যমে লিংক বানিয়ে অথবা এস ই ও এর অন্তর্গত কনটেন্ট লিখেও টাকা উপার্জন করতে পারেন। আপনার দ্বারা লেখা কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিনে ট্রাফিক আকর্ষিত করে। বিভিন্ন রকমের এস ই ও কনটেন্ট রাইটিং এর অন্তর্গত ব্লগ রাইটিং, ইনফোগ্রাফিক্স, ভিডিও, স্লাইড শো, লিস্ট মেকিং গ্লোসরিয়াস, গাইডস, আর্টিকেল, প্রডাক্ট পেজ ইত্যাদি শামিল আছে।

৭) ওয়েবসাইট ডিজাইনিং:

এই ফিল্ডে আপনি যদি ব্যবসা শুরু করতে চান তো আপনার কাছে কিছু টেকনিক্যাল নলেজ থাকতে হবে। যদি আপনি ওয়েবসাইট বানিয়ে তাকে মেইন্টেন করতে পারেন এটি আপনার জন্য একটি উপযুক্ত ব্যবসা। ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এ প্ল্যানিং, ক্রিয়েটিভ এবং আপডেটিং সব রকম প্রক্রিয়া আছে। মানে এতে ডিজাইনারের লেআউট, স্পেশাল কালার, ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা, উপযুক্ত ইমেজ, ইউজার এর অনুসারে ইন্টারফেস তৈরি করা ইত্যাদি কাজ খুব ভালোভাবে করতে হবে।

আপনাকে মার্কেটে জায়গা করে নিতে গেলে ওয়েবসাইটকে রেগুলার আপডেট করতে হবে। বর্তমান টেকনিক্যাল যুগে যে কোন ব্যক্তি অন্য কোনো গ্রাহকের জন্য ওয়েবসাইট বানিয়ে অথবা সেটির মেকওভার করেও ঘরে বসে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

৮) এফিলিয়েট মার্কেটিং:

এটি এমন একটি কাজ যেমন ধরুন আপনি কারো হয়ে তার ব্যবসার প্রমোশন করছেন। এতে আপনার নিজেরই ফায়দা আছে। এ বিষয়ে আপনি আপনার কোন বন্ধুবান্ধবকে কোন প্রোডাক্ট এর সম্পর্কে বললেন এবং সেই প্রোডাক্টের জন্য কোন সাইট এর সন্ধান দিলেন। যদি আপনার বন্ধু সেই সাইট থেকে ওই প্রডাক্ট কে কিনে থাকেন তো এর পরিবর্তে আপনি একটি কমিশন পাবেন।

একেই এককথায় এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। আপনার দ্বারা কোন কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট সেল করতে পারছে এবং আপনাকে তার থেকে কিছুটা পরিমাণ কমিশন দিচ্ছে। আর এটি সবথেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর পুরানো ব্যবসা বলতে পারেন। এমন অনেক অনলাইন ই-কমার্স কোম্পানি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে ভীষন সফলতা অর্জন করেছে।

আবার এটিকে রেফারাল মার্কেটিং ও বলা হয়ে থাকে। রেফারেল মার্কেটিংয়ে আপনি কোন কোম্পানির সাথে আপনার রেফারাল লিংক যুক্ত করতে পারেন। আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর দ্বারা টাকা উপার্জন করতে পারেন। এমন ভাবে লিংকের মাধ্যমে বিক্রি করা প্রত্যেক প্রোডাক্টের থেকে আপনি কমিশন পাবেন অর্থাৎ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

৯) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং:

আপনি হয়তো জেনে আশ্চর্য হবেন যে, যে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ও টাকা উপার্জন করতে পারেন। কিন্তু এটিও একটি ডিজিটাল মার্কেটিং। যেমন ধরুন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, আর অন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এতে প্রচুর ক্ষমতা। যদি মনে করেন এর সাহায্য নিয়ে অনেক বড় এরিয়া কে আপনি একসাথে জুড়ে রাখতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কোন মার্কেটিংকে আপনার এই সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে পোস্ট করতে হবে। আর এর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুবান্ধবদের এক একটি ক্লিক আপনার প্রফিট বাড়াতে পারে।

১০) মোবাইল মার্কেটিং:

মোবাইল মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি নতুন পদ্ধতি। যেমন ধরুন:-

  • এসএমএস মার্কেটিং
  • পুশ নোটিফিকেশন
  • অ্যাপ বেসড মারকেটিং
  • ইন গেম মোবাইল মার্কেটিং

কিউ আর কোড: কিউআর কোড মোবাইলের ক্যামেরা দ্বারা স্ক্যান করা হয়।

১১) ইমেইল মার্কেটিং:

ইমেইল মার্কেটিং একটি নতুন পদ্ধতি এবং এটি এমন একটি মারকেটিং টুল যাতে এক এডভাইজার গ্রাহক ইমেইলের মাধ্যমে যেকোনো প্রডাক্টের তথ্য সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে আপনি লাখ লাখ গ্রাহকের কাছে প্রোডাক্টের তথ্য একটি ক্লিকের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে পারেন।

১২) শপিফাই (Shopify) অনলাইন স্টোর খুলে উপার্জন:

শপিফাই (Shopify) একটি অনলাইন ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেখানে বিনামুল্যে আর সহজে যে কোন প্রোডাক্ট সহজে লিস্টিং করে বিক্রি করতে পারেন। শপিফাই (Shopify) ব্যাবহার করে নিজস্ব ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন এবং প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।

১৩) আমাজনে (Amazon) অ্যাকাউন্ট বানিয়ে উপার্জন:

আমাজন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অনলাইন স্টোর। আমাজনে প্রোডাক্ট এর অর্ডার নিয়ে সেগুলিকে প্যাক করে শিপিং করে। আর এইভাবে উপার্জন করে আসছে। যেখানে প্রতি সেকেন্ডে হাজার হাজার প্রোডাক্ট বিক্রি হয়।

এইভাবে অ্যামাজনে যেকোনো প্রডাক্টের চাহিদা প্রচুর হয়। আপনি কিন্তু এই চাহিদা টাকে কাজে লাগাতে পারেন। এখানে অ্যাকাউন্ট বানিয়ে তা থেকেও আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন।

১৪) অন্য কোনো সাইটের জন্য আর্টিকেল লিখে অথবা কনটেন্ট রাইটিং করে উপার্জন।

আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্য দিয়ে কত টাকা উপার্জন করতে পারবেন:

এই প্লাটফর্মে যে কোন ব্যক্তি নিজের ক্ষমতা, দক্ষতা, প্রতিভা, অনুভব এবং কোয়ালিফিকেশন এর হিসাবে টাকা উপার্জন করতে পারেন। আপনি যদি এই প্লাটফর্মে নিজের ক্যারিয়ার বানানোর জন্য ভেবে থাকেন তাহলে প্রতি মাসে ১৫,০০০ থেকে প্রায় ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন।

এছাড়াও যদি আপনি এই ডিজিটাল মার্কেটিং কে ব্যবসার আকারে নিয়ে থাকেন তবে থেকে প্রায় ২৫ থেকে ৫০ হাজার ডলার উপার্জন করতে পারবেন প্রতিমাসে। এছাড়াও এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে লাখ টাকা উপার্জন করছেন প্রতিমাসে।

অধিক পরিমাণে ইনভেস্টমেন্ট এর কোনো প্রয়োজন নেই। হয়তো কিছু টাকা কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার লাগতে পারে। তবে সেটা খুবই সামান্য এবং উপার্জন করতে পারবেন প্রচুর পরিমাণে। তবে এই প্লাটফর্মে সফলতা কিছুদিন অথবা কিছু মাসে পাওয়া যায় না।

এর জন্য আপনাকে সময় দিতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে। তবেই একদিন এমন সফলতা দেখতে পাবেন। যেখানে প্রতি মাসে কয়েক হাজার ডলার উপার্জন করতে পারছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top