2024 Bonsai Plant Business Idea in Bengali

Start New Bonsai Plant Business Idea in Bengali – বনসাই গাছের ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে? কত চাহিদা এই ব্যাবসার? কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন? কি কি জিনিসপত্রের প্রয়োজন হবে? জানুন সবকিছু বনসাই গাছের ব্যবসা সম্পর্কে।

আমাদের আশেপাশে এমন অনেক গাছপালা রয়েছে যেগুলি পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আমাদের অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। তবে বর্তমানে ঘর সাজানো হোক অথবা পরিবেশ রক্ষার্থে বড় বড় গাছকে ছোট আকার দিয়ে ঘরের মধ্যেই সুন্দরভাবে রাখা যেতে পারে। আর এই সমস্ত গাছগুলিকে বলা হয় “বনসাই গাছ”। বনসাই গাছ এমন এক ধরনের গাছ যা অনেকেই সৌভাগ্যের প্রতিক হিসেবে মনে করেন আর এই ভেবেই বাড়িতে নিয়ে আসেন।

আবার অনেকেই বিশ্বাস করেন যে ব্যবসার ক্ষেত্রে বা কোন কাজের ক্ষেত্রে ভালো উপার্জনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এই গাছ। এই বনসাই গাছ ঘরের মধ্যে রাখলে ঘরের আবহাওয়া ঠান্ডা রাখে বলে এর কদর দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। তাই তো এই গাছের ব্যবসা করেও বেশ ভালো মানের উপার্জন করা যায়। তাছাড়া বর্তমানে সরকার থেকেও আর্থিক সহযোগিতা করা হয়ে থাকে এই ব্যবসা করার জন্য।

ঘরে বসেই আপনি এই ব্যবসা খুবই সহজে করতে পারবেন, তবে অবশ্যই ব্যবসার ক্ষেত্রে একটু ধৈর্য আর পরিশ্রম তো লাগেই, তাই না ! তো চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, বনসাই গাছের ব্যবসা সম্পর্কে:

বনসাই গাছের ব্যবসা (Bonsai Plant Business):

অনেকেই প্রতিনিয়ত নিজস্ব একটি কাজের মধ্যে থেকেও নিজের একটি ছোট ব্যবসা করার কথা চিন্তা করে থাকেন তবে কি ব্যবসা করবেন সেটা নিয়েও অনেক আইডিয়া মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে। আবার ব্যবসা করতে গেলে বেশ কিছু পুঁজি দরকার হয়, তার জন্য অনেকেই ব্যবসা করা থেকে পিছিয়ে যান।

আজ এই যে বনসাই গেছে ব্যবসার কথা বলা হলো এক্ষেত্রে যেমন খুবই কম খরচে ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন, তেমনি এখান থেকে বেশ ভালো মানের উপার্জনও করতে পারবেন।

আজকাল ঘরের মধ্যে গাছ রাখার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। ঘরকে ঠান্ডা রাখতে, সুন্দর দেখাতে বনসাই গাছের তুলনা হয় না। অনেকে এই গাছের ব্যবসা করে বেশ ভালো টাকা উপার্জন করছেন।

আপনিও চাইলে এই বনসাই গাছ লাগানো এবং তার পরিচর্যা করে বড় করে সেটি বিক্রি করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আর যদি আপনি বাগান প্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে তো আপনার জন্য এই কাজটি আরো বেশি সহজ ও ভালোলাগার বিষয় হবে। এই ব্যবসা করার জন্য কেন্দ্র সরকারও আর্থিক সহযোগিতা করে থাকে।

দুইভাবে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন:

প্রথমত আপনি খুবই কম টাকা ইনভেস্ট করে ঘরে থেকেই এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। কিন্তু এখানে কিছুটা সময় আপনাকে দিতে হবে, কেননা বনসাই গাছ তৈরি করতে কমপক্ষে দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লাগে কেননা একটি বড় গাছকে ছোট গাছের আকারে রেখে দেওয়া তার পিছনে একটু সময় ও পরিশ্রম তো লাগেই।

এছাড়াও আপনি নার্সারি থেকে তৈরি করা বনসাই প্লান্ট নিয়ে এসে যে টাকায় আপনি কিনছেন তার থেকে ৩০% থেকে ৫০% বেশি দামে আপনি বিক্রি করতে পারবেন। কমপক্ষে ২০,০০০ টাকা ইনভেস্ট করে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।

তাছাড়া আপনার হিসাব অনুসারে ছোট স্তর থেকে শুরু করতে পারবেন। তারপর প্রফিট বাড়ার সাথে সাথে এবং বিক্রি বাড়ার সাথে সাথে ইনভেস্ট বাড়াতে পারবেন আপনার সুবিধা মত।

একটি বনসাই গাছের দাম কত হতে পারে?

বর্তমানে বনসাই গাছ “লাকি প্লান্ট” হিসাবে ব্যবহার করা হয়, ঘরের সৌন্দর্য রক্ষার্থে এবং ঘরে লক্ষ্মীর আগমন ঘটাতে এই গাছ রেখে থাকেন অনেকেই।

তাছাড়া এই গাছের চাহিদা দিন দিন বাড়তেই আছে, আজকাল বাজারে এই ধরনের বনসাই গাছ সবচেয়ে কম ২০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, এছাড়াও যাঁরা এই গাছের প্রেমে পড়েছেন তাঁরা কিন্তু আপনি যেমনটা দাম রাখবেন তেমনটা দাম দিয়ে কিনতেও রাজি থাকেন। সেক্ষেত্রে বলাই যায় বেশ ভালো মানের উপার্জন করতে পারবেন।

এই ব্যবসায় কি কি জিনিসপত্রের প্রয়োজন পড়বে?

এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনার খুব বেশি দামি জিনিসপত্রের প্রয়োজন পড়বে না। যেহেতু আপনি গাছ নিয়ে কাজ করবেন তাই:-

  • পরিষ্কার জল,
  • স্যার যুক্ত মাটি,
  • গাছের টব অথবা সুন্দর দেখতে কাঁচের গামলা, যেখানে আপনি গাছটি বনসাই করবেন,
  • বেশ কিছুটা জায়গা অথবা আপনি বাড়ির ছাদেও করতে পারেন, ১০০ থেকে ১৫০ বর্গফুট জায়গা,
  • পরিষ্কার কাঁকড়,
  • কাঁচের গুলি,
  • সরু পাতলা তার,
  • গাছে জল দেওয়ার জন্য স্প্রে বোতল,
  • গাছের উপরে শেড তৈরি করার জন্য জালের প্রয়োজন পড়বে।

সরকার থেকে কেমন সাহায্য পাবেন?

এরকম ব্যবসার ক্ষেত্রে সরকার থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়ে থাকে। তিন বছরে প্রতি গাছের ক্ষেত্রে ২৪০ টাকা লাগতে পারে যেখানে ১২০ টাকা প্রতি গাছ অনুসারে সরকারি আর্থিক সহযোগিতা পাবেন।

উত্তর ও পূর্ব বাদ দিয়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে বনসাই গাছের চাষ করার জন্য ৫০% সরকার এবং ৫০% কৃষকের বিনিয়োগ হতে পারে। ৫০% সরকারি শেয়ার থেকে ৬০% কেন্দ্র এবং ৪০% রাজ্যের শেয়ার থাকবে। আবার উত্তর পূর্ব তে ৬০% সরকার এবং ৪০% কৃষকের টাকা ব্যবসাতে যুক্ত হয়।

৬০% সরকারি টাকা থেকে ৯০% কেন্দ্র এবং ১০% রাজ্য সরকারের শেয়ার থাকে। প্রতিটি জেলায় এর নোডল অধিকারী আপনাকে এর সমস্ত তথ্য বুঝিয়ে দেবেন, আপনাকে তার জন্য যোগাযোগ করতে হবে।

৩.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন:

প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন প্রজাতির বনসাই গাছ আপনার ব্যবসার মধ্যে সংযুক্ত করতে পারেন। জায়গা হিসেবে ১৫০০ থেকে ২৫০০ পর্যন্ত বনসাই গাছ লাগাতে পারেন, যেহেতু এটি সময় সাপেক্ষ তাই চার বছর পর থেকে ৩ থেকে ৩.৫ লাখ পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন। ধীরে ধীরে এর পরিমাণ বাড়তে থাকবে।

আর যদি এতটা সময় আপনি না দিতে পারেন তাহলে সরাসরি নার্সারি থেকে বনসাই গাছ কিনে নিয়ে এসে কিছুটা পরিচর্যা করে তাকে সুন্দর করে সাজিয়ে কিছু লাভ রেখে আপনি সেটি বিক্রি করতে পারেন।

ঘর কে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে সবুজ গাছের জুড়ি মেলা ভার। তবে যদি বড় বড় গাছকে ছোট আকার দিয়ে টবে ধারণ করা হয় এবং সেটি ঘরের মধ্যে সাজিয়ে রাখা যায় তাহলে তার সৌন্দর্য আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। বনসাই গাছের চাহিদা দিন দিন বাড়তেই থাকবে এর চাহিদা কখনোই কমবে না।

বিভিন্ন ধরনের ফল গাছ, ফুল গাছ অথবা ছায়া প্রদানকারি এমন অনেক বড় গাছ রয়েছে যেগুলিকে বনসাই করে ছোট আকারে টবের মধ্যে রাখা হয়। আর এই ব্যবসা নিঃসন্দেহে অধিক লাভজনক।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top