Brand New Pathology Lab Business Idea in Bengali – প্যাথলজি ল্যাব ব্যবসা শুরু করবেন? কিভাবে তার সাথে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করবেন? জেনে নিন সবকিছু
প্রত্যেকটি মানুষ জীবনে উন্নতি করার জন্য কিছু না কিছু কাজ করে থাকেন। তবে অধিক মাত্রায় উপার্জন করার ক্ষেত্রে ব্যবসা কেই বেছে নেন বেশিরভাগ মানুষ। ব্যবসা থেকে অধিক পরিমাণে উপার্জন করা যায় বুদ্ধি এবং দক্ষতা দিয়ে।
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছু মানুষের জানা থাকে না যে কোন ব্যবসাটি সেই মানুষটির জন্য উপযুক্ত হবে। নিজের পছন্দমত এবং যোগ্যতা মত যদি কোন ব্যবসা করা যায় তাহলে সেই ব্যবসাতে খুব তাড়াতাড়ি উন্নতি সাধন করা সম্ভব।
আজকের আয়োজনে থাকছে এমন একটি ব্যবসার আইডিয়া যা থেকে খুব ভালোমতো উপার্জন করা সম্ভব সেটি হল প্যাথলজি ল্যাব।
প্যাথলজি ল্যাব বিজনেস কিভাবে শুরু করবেন:
যতদিন পৃথিবীতে মানুষ আছে, ততদিন পৃথিবীতে কিছু না কিছু রোগ অবশ্যই আছে। আরো দিন যাওয়ার সাথে সাথে নিত্য নতুন রোগের জন্ম হচ্ছে। সেই কারণে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য প্রত্যেকটি মানুষ সবসময় চেষ্টা করে চলেছেন। জানা অজানা রোগে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। আর সেই কারণে সুস্থ হওয়ার জন্য চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে তাদেরকে যেতেই হচ্ছে।
তবে ডাক্তার শুধুমাত্র তাদেরকে দেখে ওষুধ দিয়ে দিচ্ছেন না কিন্তু, তার জন্য বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা করতে হয়, এই যেমন ধরুন রক্ত পরীক্ষা, প্রস্রাব পরীক্ষা, কফ পরীক্ষা, এবং আরো অন্যান্য কিছু পরীক্ষা করার পর তবেই কিন্তু ডাক্তার বুঝতে পারেন যে সেই ব্যক্তিটি আসলে কোন রোগে আক্রান্ত। আর তারপরে সেই মতো কিন্তু চিকিৎসা শুরু করা হয়।
প্যাথলজি ল্যাব বিজনেস শুরু করার প্রক্রিয়া:
বর্তমান সময়ে প্যাথলজি ল্যাব এর বিজনেস খুবই লাভ দায়ক একটি বিজনেস, কেননা যখন কোন ব্যক্তির রক্ত এবং প্রস্রাব পরীক্ষা করার হয়ে থাকে সেই ব্যক্তি কিন্তু এই প্যাথলজি ল্যাব এ এসেই পরীক্ষাগুলি করিয়ে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে এই প্যাথলজি ল্যাব বিজনেস শুরু করা কিন্তু আপনার জন্য খুবই লাভজনক হবে বলে মনে করা হয়।
চলুন তাহলে জানা যাক, আজকের এই আর্টিকেলটিতে, কিভাবে আপনি প্যাথলজি ল্যাব খুলে অধিক পরিমাণে উপার্জন করতে পারেন এবং তার সাথে সাথে মানুষের সাহায্য এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে সঠিক চিকিৎসা পাইয়ে দিতে পারেন।
চলুন জানা যাক প্যাথলজি কি:
প্যাথলজি এক প্রকারের পড়াশোনাও বলতে পারেন, যাতে বিভিন্ন রকমের রোগ এবং রোগের কারণ সম্পর্কে জানার জন্য চেষ্টা করা হয় এর সাথে সাথে রোগের কারণ সম্পর্কে বলা হয় এবং এর প্রাক্টিক্যাল বিষয়ক করা হয়।
প্যাথলজিতে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং মাইক্রোবস সম্পর্কিত পড়াশোনা হয়ে থাকে। যে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস এবং মাইক্রোবসের মাধ্যমে মানব শরীরে বিভিন্ন রকমের রোগ উৎপন্ন হয়ে থাকে।
প্যাথলজি টেস্ট কেমন ভাবে করা হয় এটাও কিন্তু প্রাকৃতিক প্র্যাকটিক্যালভাবে শেখানো হয়ে থাকে। কেননা যেকোনো রোগের কারণ জানার জন্য টেস্ট করা কিন্তু অবশ্যই জরুরি। প্যাথলজিতে ব্যাক্তির ব্লাড টেস্ট, ইউরিন টেস্ট এবং আলাদা অন্য কোন টেস্ট কিরকম ভাবে করা হয় সেগুলি শেখানো হয়।
প্যাথলজিতে যে পড়াশোনা করা হয়ে থাকে সেটা কিন্তু একরকম রিসার্চের মধ্যে পড়ে। প্যাথলজি কোর্স এর মধ্যে জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান লাগানো হয়। আর সেই কারণে এই পড়াশোনাতে প্রাক্টিক্যাল বিষয়টা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এখন জানা যাক প্যাথলজি ল্যাব কি:
সাধারণত প্যাথলজি ল্যাব কোন জনবহুল এলাকা তে অথবা হাসপাতালের আশেপাশে হয়ে থাকে আপনি হয়তো দেখে থাকবেন অথবা আজকাল প্যাথলজি ল্যাব অনেকেই চেনেন।
সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে প্যাথলজি ল্যাব এমন একটি ল্যাব যেখানে ডাক্তারের সাহায্যে রোগীর রক্ত অথবা প্রস্রাব পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয় এবং প্যাথলজি ল্যাব এর কর্মচারী দ্বারা সেই সমস্ত রোগীর রক্ত অথবা প্রস্রাব এর স্যাম্পল নেওয়া হয়ে থাকে। তারপর রোগীকে এক দুই দিন পর সেই রিপোর্ট দিয়ে দেওয়া হয়।
আর এই এক দুই দিনের মধ্যে প্যাথলজি ল্যাব এর মধ্যে সেই সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রিপোর্ট তৈরি হয়ে যায়। এরপরে কোন রোগী রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার রিপোর্ট দেখে রোগের কারণ জানতে পারেন এবং সেই মতো ওষুধ লেখেন অথবা চিকিৎসা শুরু করেন।
প্যাথলজি ল্যাব বিজনেসে কাজ:
যখন কোন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কোন রোগী প্যাথলজি ল্যাব এ গিয়ে নিজের ইউরিন টেস্ট, ব্লাড টেস্ট এবং অন্যান্য যে সব টেস্ট ডাক্তার লিখে থাকেন সেগুলো করেন, তখন কিন্তু প্যাথলজি ল্যাব এর কর্মচারী দ্বারা সেই রোগীর প্রস্তাব অথবা রক্ত পরীক্ষা করার জন্য নেওয়া হয়ে থাকে এবং পাঠানো হয় রিপোর্টের জন্য।
এক দুই দিন পর সেই রিপোর্ট নেওয়ার জন্য রোগীকে আবার প্যাথলজি ল্যাব এ যেতে হয়, এবার সেখানে রোগীর হাতে সেই রিপোর্ট দিয়ে দেওয়া হয়। সেই রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার সেইমতো চিকিৎসা শুরু করেন। সাধারণত এটুকুই হয় প্যাথলজি ল্যাব এর কাজ।
কারা প্যাথলজি ল্যাব খুলতে পারবেন:
আপনাদের মনে হয়ত এই প্রশ্নটা অবশ্যই থাকতে পারে যে প্যাথলজি ল্যাব যে কোন ব্যক্তি কি খুলতে পারেন? তবে সে ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে যে, যে ব্যাক্তি প্যাথলজি কোর্স করেছেন এবং এ সম্বন্ধে ভালোমতো ধারণা রয়েছে অনায়াসেই।
কিন্তু প্যাথলজি ল্যাব খুলতে পারেন কিন্তু প্যাথলজি ল্যাব ঐ সমস্ত ব্যক্তি খুলতে পারবেন যে সমস্ত ব্যক্তি একজন সার্টিফাইড প্যাথলজিস্ট হবেন। এছাড়াও প্যাথলজি সম্পর্কিত যেকোন রকমের শর্ট টার্ম কোর্স করেছেন এমন ব্যক্তিও কিন্তু প্যাথলজি ল্যাব খুলতে পারবেন।
প্যাথলজি ল্যাব বিজনেস শুরু করার আগে কি করবেন:
এই ব্যবসাটি শুরু করার আগে কত টাকার প্রয়োজন পড়বে আপনার, কতটা জায়গার প্রয়োজন পড়বে, কি কি লাইসেন্স এর প্রয়োজন হবে, এই সমস্ত জিনিস গুলো যদি আপনি ভালোমতো আয়ত্তে এনে নিতে পারেন তাহলে অনায়াসেই প্যাথলজি ল্যাব বিজনেস স্টার্ট করতে পারেন। তাহলে কিন্তু আপনি ভালোমতো ব্যবসাটি করতে পারবেন।
প্যাথলজি ল্যাব বিজনেস কোর্স:
প্যাথলজি ল্যাব এর এই বিজনেস শুরু করার আগে আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কোর্স এর পড়াশোনা করতে হবে যেমন ধরুন:-
১) CMLT কোর্স:
সার্টিফিকেশন অ্যান্ড মেডিকেল ল্যাবরেটরি টেকনোলজি একপ্রকার সার্টিফিকেট কোর্স। যাতে মাধ্যমিক পাস করার পর অথবা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর এই কোর্স করা যায়। এই কোর্স ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর এর জন্য প্রায় ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার পর্যন্ত ফিজ আপনাকে দিতে হবে।
২) DMLT কোর্স:
দি এম এল টি অর্থাৎ ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ল্যাবরেটরী টেকনলজি উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সাইন্স সাবজেক্ট এর সাথে পাস করার পর করতে পারবেন। ১ বছর পর্যন্ত এই কোর্স করার জন্য কম করে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত ফিজ দিতে হবে।
৩) BMLT কোর্স:
এই কোর্স আপনি উচ্চ মাধ্যমিকে সায়েন্স সাবজেক্ট এর সাথে পাস করে করতে পারবেন। আর এই কোর্সটি তিন বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর তার জন্য প্রতিবছর ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার পর্যন্ত ফিজ ভরতে হবে। এই কোর্স এর সম্পূর্ণ নাম ব্যাচেলার ইন মেডিকেল ল্যাবরেটরী টেকনোলজি।
৪) MLT কোর্স:
এম এল টি অর্থাৎ মাস্টার ইন ল্যাবরেটরী টেকনোলজি একটি উচ্চ স্তরের কোর্স। এই কোর্স কমপ্লিট করার পর এই প্যাথলজি ল্যাব এর বিজনেস স্টার্ট করতে পারেন।
আপনার সুবিধার জন্য একটা কথা জরুরী যে, যিনি এই কোর্স কমপ্লিট করে থাকেন, এর পরে প্যাথলজি ল্যাব এ চাকরি করেন, তাহলে এর বেতন কিন্তু বেশ ভাল মত হয়ে থাকে।
প্যাথলজি ল্যাব বিজনেস করার জন্য মেশিন এবং উপকরণ:
প্যাথলজি ল্যাব এর ব্যবসাটি শুরু করার ক্ষেত্রে আপনার কিছু মেশিনের প্রয়োজন পড়বে, আর সেই মেশিনের নাম গুলি হল:-
১) ফ্রিজ অথবা রেফ্রিজারেটর
২) ইনকিউবেটর
৩) টেস্ট টিউব
৪) ফ্লাস্ক
৫) স্লাইড
৬) মাইক্রোস্কোপ
৭) সেন্ট্রিফিউজ
৮) ক্যালরিমিটার
৯) ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ
১০) সফটওয়্যার
১১) ডাস্টবিন
১২) টয়লেট
১৩) পিপেট
১৪) ইঞ্জেকশন
প্যাথলজি ল্যাব টেস্ট অথবা পরীক্ষা:
প্যাথলজি ল্যাব এ সাধারণত যে সমস্ত টেস্ট অথবা পরীক্ষা গুলি করা হয় সেগুলি হল:-
১) ফরেন বডিজ
২) ইলেকট্রন মাইক্রোস্কপি ডায়াগনস্টিক
৩) ভাইল ডাক্ট ব্রাশিং
৪) ব্লাডার বেসিং
৫) অনাল স্মিয়ার সিটলজি
৬) থোরাসিক ফ্লুইড সিটলজি
৭) ইউরিন সিটলজি
৮) কমন ভাইল ডক্ট ব্রশিং
৯) অ্যাসিতেস ফ্লুইট সিটলজি
১০) বডি ক্যাভিটি বেসিং
১১) সিস্ট ফ্লুইড সিটলজি
১২) ব্রঞ্চিয়াল ব্রাসিং
১৩) ব্রঞ্চিয়াল বেসিং
১৪) ডাইরেক্ট ইমিউনো ফ্লোরিসেন্ট মাইক্রোস্কোপে
১৫) ডিওডেনাল ব্রাসিং
১৬) এসফেগেল ব্রসিং
১৭) গ্যাস্ট্রিক ব্রাসিং
১৮) ব্রেস্ট কোর বায়োপসি টিস্যু এক্সামিনেশন
১৯) ফাইন নিডেল এসপিরেশন
২০) সিএসএফ সিটলজি
২১) বোন ম্যারো বায়োপসি টিস্যু এক্সামিনেশন
২২) গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল বায়োপসি টেস্ট এক্সামিনেশন
২৩) গাইনোকোলজিক্যাল প্যাপ স্মিয়ার
২৪) কিডনি বায়োপসি টিস্যু এক্সামিনেশন
২৫) লিভার বায়োপসি টিস্যু এক্সামিনেশন
২৬) লিম্ফ বায়োপসি টিস্যু এক্সামিনেশন
২৭) পেরিকার্ডিয়াল ফ্লুইড সিটলজি
২৮) প্যানক্রিয়াটিক ব্রাসিং
২৯) স্পটম সিটলজি
৩০) সিনোবিয়াল ফ্লুইড সিটলজি
৩১) প্রডাক্ট অফ কন্সাম্পশন ফর এক্সামিনেশন
৩২) রেক্টাল ব্রাসিং
৩৩) স্কিন বায়োপসি
প্যাথলজি ল্যাব ব্যবসার জন্য লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন:
প্যাথলজি ল্যাব এর রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনাকে প্যাথলজি কন্ট্রোল বোর্ড রেজিস্ট্রেশন এর প্রয়োজন পড়বে।
এছাড়াও আপনাকে প্যারা মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া থেকে আইনত ভাবে অনুমতি নিতে হবে।
এর সাথে সাথে আপনাকে প্যাথলজিস্ট এর রেজিস্ট্রেশন ও করতে হবে।
স্থানীয় আধিকারিকের কাছ থেকে এনওসি সংগ্রহ করতে হবে।
প্যাথলজি ল্যাব এর ফ্র্যাঞ্চাইজি:
আপনি যদি নিজের কোনো প্যাথলজি ল্যাব খুলে ব্যবসাটি করতে না পারেন অথবা যদি না চেয়ে থাকেন তাহলে অন্য কোন নামি দামি প্যাথলজি কোম্পানি থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়েও এই ব্যবসাটি করতে পারেন। বর্তমান সময়ে অনেক নামী এবং ভালো প্যাথলজি ল্যাব রয়েছে যাদের থেকে আপনি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে পারেন।
প্যাথলজি ল্যাব ব্যবসার জন্য জায়গা নির্বাচন:
এতক্ষণে নিশ্চয়ই আমরা জানতে পেরেছি যে, প্যাথলজি ল্যাব আসলে কি এবং এখানে কি কি কাজ করা হয়ে থাকে। আর সেই কারণে আপনি এই প্যাথলজি ল্যাবরেটরি এমন জায়গায় করতে পারেন যেখানে ভিড় থাকবে এবং জনবহুল এলাকা তে আপনি খুলতে পারেন। তার সাথে সাথে হাসপাতালের আশেপাশে প্যাথলজি ল্যাব থাকাটা অবশ্যই জরুরি। আর সেটা কি আপনি কাজে লাগাতে পারেন।
প্যাথলজি ল্যাব ব্যবসার জন্য ইনভেস্টমেন্ট:
আমরা সকলেই জানি যে, যেকোন রকমের ব্যবসা করতে গেলে প্রথমে কিছুটা পরিমাণ ইনভেস্ট তো করতেই হয়। তবে সেই ব্যবসা থেকে উপার্জন করা সম্ভব হয়ে ওঠে।
আর তাই এই প্যাথলজি ল্যাব স্টার্ট করার জন্য বিভিন্ন রকমের মেশিন এবং আরো কিছু জিনিসপত্র যেগুলি আগে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলি কেনার জন্য আপনাকে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতেই হবে। এর মধ্যে এমন কিছু মেশিন এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যেগুলি বেশ দাম দিয়ে কিনতে হতে পারে আপনার।
এইভাবে আপনি যদি ছোট স্তরে এই ব্যবসাটি শুরু করেন তাহলে প্রায় ২ লাখ থেকে ৩ লাখ পর্যন্ত খরচা হতে পারে। আর যদি বড় আকার এই ব্যবসাটি শুরু করেন সেক্ষেত্রে ১০ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হতে পারে এই ব্যবসার ক্ষেত্রে।
প্যাথলজি ল্যাব ব্যবসার ক্ষেত্রে কর্মচারীর প্রয়োজনীয়তা:
এই বিষয়টি আপনার জেনে রাখা জরুরি যে, প্যাথলজি ল্যাব এ যে সমস্ত রিপোর্ট তৈরি করা হয় সেগুলিকে অ্যাপ্রুভাল দেওয়ার কাজ কিন্তু এমডি প্যাথলজিস্ট অথবা এমডি মাইক্রোবায়োলজিস্ট করে থাকেন। কেননা এই রিপোর্টে এনাদের সিগনেচার করার পরেই সেই রিপোর্টটি কে ডাক্তার দেখে থাকেন।
এছাড়াও কর্মচারীর উপরেও প্যাথলজি ল্যাব এ টেকনিশিয়ান এর প্রয়োজনীয়তা পড়বে। টেকনিশিয়ান ডি এম এল টি আই কোর্স কমপ্লিট করা হতে হবে। আর তাছাড়া আপনার প্রয়োজন মত প্যাথলজি ল্যাব এ কর্মচারী নিযুক্ত করতে পারেন।
প্যাথলজি ল্যাব ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার লাভ:
প্যাথলজি ল্যাব এর বিজনেস যদি আপনি শুরু করেন তাহলে কম করে ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ হাজার টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন। আর যদি এই ব্যবসাটিকে ভালোমতো ভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেন, তাহলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি মাসে ইনকাম করা সম্ভব।
তাছাড়া এই ব্যবসা থেকে অথবা প্যাথলজি ল্যাব থেকে আপনি কত টাকা উপার্জন করতে পারবেন এটা যার উপরেই ডিপেন্ড করবে, সেটা হল আপনার প্যাথলজি ল্যাব এ কত পরিমান গ্রাহক আসছেন।
যতটা পরিমাণ গ্রাহক আপনার প্যাথলজি ল্যাব এ আসবেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাবেন তার উপরেই নির্ভর করবে প্রতিমাসে আপনি কতটা উপার্জন করতে পারছেন।
প্যাথলজি ল্যাব বিজনেস মার্কেটিং:
এই ব্যবসার মার্কেটিং করা খুবই সহজ। শহরে অথবা আপনার এলাকাতে সবচেয়ে বেশি যে খবরের কাগজ পড়া হয়ে থাকে সেই খবরের কাগজে প্যাথলজি ল্যাবরেটরির অ্যাডভার্টাইজমেন্ট অথবা বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। তার সাথে এই ল্যাবরেটরির সম্পর্কিত সমস্ত রকম ইনফরমেশন দিতে পারেন।
যাতে মানুষ খুব সহজেই বুঝতে পারেন সমস্ত বিষয়। তাছাড়া আপনার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এর মধ্যে এই ব্যবসার কথা শেয়ার করতে পারেন। এছাড়াও যখন কোনো মানুষের শরীরে রোগ দানা বাঁধে তখন তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য তাকে অবশ্যই প্যাথলজি ল্যাব এ যেতেই হয়।
এর জন্য কাউকে জোর করে আপনার ল্যাবে আনতে হবে না। আর এই জন্যই তো এ ব্যবসাতে মার্কেটিং করা খুবই সহজ। শুধুমাত্র আপনাকে আপনার প্যাথলজি ল্যাব ব্যবসার কথা সকলের মাঝে শেয়ার করতে হবে।
প্যাথলজি ল্যাবরেটরী ব্যবসাতে ঝুঁকি (Risk):
যদি আপনি আপনার এই ব্যবসাটি তে সততার সাথে কাজ করে থাকেন এবং মানুষের সঠিক সঠিক রিপোর্ট দিয়ে থাকেন, ভালোমতো পরীক্ষা-নরীক্ষা করে থাকেন, তাহলে কোন রকম ঝুঁকি নেই। কিন্তু যদি আপনি মিথ্যে রিপোর্ট, অসম্পূর্ণ রিপোর্ট, দেওয়ার বদলে তাদের থেকে অধিক পরিমাণে টাকা নিয়ে থাকেন, তাহলে কিন্তু খুব কম সময়ের মধ্যে আপনার এই ব্যবসাটি একেবারে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আর তাই সততার জয় সব জায়গাতেই। সততার সাথে কাজ করে এবং মানুষের সহযোগিতার পাশাপাশি তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা গুলি ভালোভাবে করে সঠিক রিপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করুন।
বিশ্বাস আর ভরসা, তার সাথে সততা যদি কোন ব্যবসা টায় ভালো ভাবে লাগানো যায় সেই ব্যবসাতে কোনো রকম ঝুঁকি থাকে না বললেই চলে। আর সেই কারনে এটি যেহেতু একটি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ব্যবসা, আপনার একটি ভুল রিপোর্টের কারণে কারো ভুল চিকিৎসা হতে পারে, সেই কারণে কারো জীবন চলে যেতে পারে। আর তাই খুব সহজেই ব্যবসাটি বন্ধও হয়ে যেতে পারে। প্যাথলজি ল্যাব মানুষের সহযোগিতার জন্যই তৈরি করা হয়।
তাই সহযোগিতা করুন, কাউকে ঠকানোর কাজ নয়। তাহলে খুব সহজেই সবার মাঝে আপনার ল্যাব জনপ্রিয়তা লাভ করবে এবং সহজেই গ্রাহক আপনার প্যাথলজি ল্যাব এ এসে ভীড় করবেন, তাদের রোগের পরীক্ষা করার জন্য।