2024 Fuchka Making Business Idea in Bengali

Fuchka Making Business Idea in Bengali 2024 (ফুচকা তৈরির ব্যবসা 2024) – ফুচকার স্টল দিয়ে অথবা ফুচকা তৈরির ব্যবসা করে উপার্জন করবেন কিভাবে? জানুন সবকিছু ফুচকা তৈরির ব্যাবসা সম্পর্কে

ফুচকা লোভনীয় একটি জিনিস, যা কিনা সমস্ত বয়সের মানুষ খেতে ভীষণ পছন্দ করেন। বর্তমান সময়ে এমন কোন জায়গা নেই যে যেখানে ফুচকা বিক্রি হয় না। আর এই ফুচকার বিভিন্ন রকমের নাম আছে জায়গা বেশেষে এইসব নামই ব্যবহার করা হয়, যেমন ধরুন- গোলগাপ্পা, ফুচকা, পানিপুরি, ফুলকি, ইত্যাদি।

তাছাড়া এই মশলাদার মুখোরোচক খাবার এর নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে তাই না। এই ফুচকার ব্যবসাও কিন্তু খুবই কম পুজি নিয়ে শুরু করতে পারেন। আপনি যদি ফুচকা স্টল না দিতে চান এবং একজন হোলসেলার হিসেবে কাজ করতে চান তাহলেও কিন্তু এইভাবে ও ব্যবসা করতে পারেন। চলুন জানা যাক ফুচকার ব্যবসা সম্পর্কে:-

ফুচকা বানানোর জন্য র মেটিরিয়ালস অথবা কাঁচামাল:

ফুচকা বানানোর জন্য অধিক পরিমাণে কোন সামগ্রীর প্রয়োজন পড়ে না, সাধারণত ফুচকার জন্য আটা, সুজি, জল আর স্বাদমতো লবণ এগুলির প্রয়োজন হয়।

এগুলির দাম:

আটা: ২২ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম

সুজি: ৮০ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম

লবণ: ২০ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম

ফুচকা বানানোর মেশিন:

ফুচকা বানানোর জন্য দু’রকমের মেশিন হয়, এই দু’রকমের মেশিনের থেকে একটি মেশিনের কাজ হয় ময়দা অথবা আটা ভালোভাবে মেশানো, আর অন্য মেশিনের কাজ হল ফুচকা বানানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। যেটাকে ফুচকা তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

ফুচকা বানানোর মেশিনের দাম:

যেহেতু ফুচকা বানানোর জন্য দু’রকমের মেশিন প্রয়োজন হয়। ময়দা মাখানো হয় সেই মেশিনের দাম ২৭ হাজার টাকা এবং অন্যটি মেশিনে ফুচকা তৈরি করা হয়, সেই মেশিনের দাম ৫৫ হাজার টাকা।

এছাড়াও অনেকেই ছোট স্টরে হাতে ফুচকা বানিয়েও সেগুলিকে কড়াইতে ভেজে বিক্রি করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে মেশিন এর প্রয়োজন হয় না। তবে বড় আকারের ব্যবসা করতে হলে আপনার মেশিনের প্রয়োজন পড়বে আপনার।

মেশিন কোথায় থেকে কিনবেন:

ফুচকা বানানোর জন্য কাঁচামাল সামগ্রী আপনি যেকোন মুদিখানা দোকান থেকে পেয়ে যাবেন খুবই সহজ ভাবে, এবং যদি এগুলো কেও ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করতে চান এবং মেশিন যে জায়গা থেকে কিনবেন সে ওয়েবসাইটগুলি নিচে দেওয়া রইল:-

Fully Automatic Pani Puri Making MachineView Details

ফুচকা বানানোর পদ্ধতি:

১) সবার প্রথমে আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুসারে ময়দা অথবা আটা এবং তার সাথে সুজি একসাথে মিশিয়ে নিন যার জন্য আপনাকে মিক্সার মেশিনের মধ্যে দিতে হবে উপকরণ গুলি।

২) এরপর মেশিন অন করে মিক্সচারে মিশ্রণটি বানানোর জন্য প্রয়োজন অনুসারে অল্প অল্প পরিষ্কার জল দিতে হবে।

৩) এরপর মেশিনের সাহায্যে আটা অথবা ময়দা এবং সুজি গুলি একসাথে মিশে একটি মিশ্রণ তৈরী হয়ে যাবে।

৪) তারপর সেই মিশ্রনটিকে ফুচকা তৈরি করার মেশিন এর মধ্যে দিতে হবে।

৫) এই মেশিনের সাহায্যে সেই মিশ্রন থেকে ফুচকার গোল গোল আকারের তৈরি হয়ে যাবে।

৬) এই গোল গোল আকারের ফুচকা গুলি কে এরপর তেলে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন ভাজার সময় আগুনের আঁচ যেন ঠিক থাকে এবং ফুচকা গুলো ভেঙে না যায় কেননা এগুলো বেস মুচমুচে হয়।

ফুচকা বানানোর জন্য জায়গার প্রয়োজনীয়তা:

যদি মেশিন কিনে ব্যবসাটি শুরু করেন তাহলে কম করে ১০/১০ এর একটি ঘর আপনার জন্য যথেষ্ট। আপনি চাইলে এর থেকেও বেশি জায়গা ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা তো আপনারই হবে। কেননা কাজ করার জন্য এবং জিনিসপত্র ভালোভাবে রেখে দেওয়ার জন্য ভালো হবে।

ফুচকার সংখ্যা প্রতি কিলোগ্রাম এ কতটা:

হিসেবে ধরা গেলে প্রতি কিলোগ্রাম সুজিতে প্রায় ১০০ থেকে ১১০ পিস ফুচকা তৈরি হতে পারে।

ফুচকার ব্যবসা শুরু করতে গেলে ইনভেস্টমেন্ট:

এই ব্যবসা শুরু করতে গেলে যদি ৪০০০ পিস ফুচকা বানানোর প্রয়োজন হয়, তাহলে মোট ৩৮ কিলোগ্রাম সুজি প্রয়োজন পড়বে। তাছাড়া এই ব্যবসাতে তেলের দাম, সুজির দাম, বিদ্যুৎ খরচ সবকিছু মিলিয়ে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

ফুচকা বানানোর জন্য মোট সময়:

খেয়াল রাখবেন এই মেশিনের প্রোডাকশন খুবই অধিক পরিমাণে হয়, এই মেশিনের সাহায্যে আপনি এক ঘন্টায় মোট ৪০০০ পিস ফুচকা তৈরি করতে পারবেন।

ফুচকা বানানোর ব্যবসাতে লাভ:

এই ব্যবসায় প্রতি ঘন্টায় ৪০০০ পিস ফুচকা বানালে মোট ৮০০ টাকা লাভ করতে পারবেন। এইভাবে খুবই কম পরিশ্রম করে এবং কিছু টাকা ইনভেস্ট করে প্রতিদিন যদি ৮ ঘন্টা কাজ করতে পারেন, তাহলে প্রায় ৬০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন প্রতিদিন।

ফুচকা বানানোর ব্যবসাতে মার্কেটিং:

এই ব্যবসাটি করতে গিয়ে আপনি নিজের একটি স্টলও লাগাতে পারেন। তাছাড়া অন্য কোন মানুষকে কাজ দেওয়ার জন্য লোক দিয়েও স্টল দিয়ে রাখতে পারেন। তাতে আপনার উপার্জন হওয়ার সাথে সাথে সেইসব মানুষগুলো একটা কর্মসংস্থান খুঁজে পাবে।

আপনার ব্যবসা করার জন্য এবং ভালোমতো উপার্জন করার জন্য সঠিক জায়গা নির্বাচন করুন। শহরে হোক অথবা গ্রামে সেই সব জায়গাতে স্টল লাগাতে পারেন যেখানে লোকের ভিড় অধিক পরিমাণে থাকে।

যেমন ধরুন বাস স্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন, স্কুলের বাইরে, কলেজের বাইরে, ফিল্ম থিয়েটার, মন্দির ইত্যাদি জায়গাতে আপনার ফুচকা স্টল লাগাতে পারেন। কেননা ফুচকা এমনই এক লোভনীয় খাবার ভিড়ভাট্টা জায়গাতে আপনি অনায়াসেই বিক্রি করতে পারবেন। এমনকি গ্রাহকরা ভিড় করে থাকবেন আপনার স্টলে।

যদি আপনি সুস্বাদু ভাবে ফুচকা বানিয়ে, টক জলের সাথে সবাইকে পরিবেশন করাতে পারেন তাহলে তো আর কথাই নেই। আপনি হবেন আশেপাশের মধ্যে সবথেকে সেরা ফুচকা বিক্রেতা।

কেননা ফুচকা এমনিতেই মুখরোচক তার সাথে যদি মশলা যুক্ত করে সেটিকে আরও বেশি মুখরোচক করে তুলতে পারেন তাহলে ভাবতেই পারবেন না এই ব্যবসা থেকে আপনি কত পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top