2024 Best Side Business Ideas in Bengali | 2024 সেরা সাইড বিজনেসের আইডিয়া

Best Side Business Ideas 2024 (অতিরিক্ত উপার্জনের সেরা সাইড বিজনেসের আইডিয়া 2024): Best Side Business Ideas for Extra Income in India | Side Business Idea in Bengali | Top Side Business Plan 2024 in Bengali.

Best Side Business Ideas in Bengali 2024: বর্তমানে আপনি হয়তো কোন কাজে নিজেকে নিযুক্ত রেখেছেন, তবে সেই কাজের বেতন থেকে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং আপনার স্বপ্নগুলি হয়ত পূরণ হচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে এই কাজের পাশাপাশি অল্প কিছু সময় দিয়ে অন্য কোন ব্যবসাও কিন্তু আপনি করতে পারবেন অনায়াসেই।

যা থেকে এক্সট্রা কিছু টাকা আপনি উপার্জন করতে পারবেন। আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এমন কতকগুলি সাইড বিজনেস আইডিয়া যেগুলি করে অতিরিক্ত ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ের জিনিসপত্রের দাম হিসাবে বেড়েই চলেছে সেই হিসাবে বেতনের সাথে সাথে কিছু আলাদা ইনকাম দরকার পড়ে আর সেই দরকার পূরণ করার জন্যই আমাদেরকে করতে হয় কিছু আলাদা কাজ।

সমস্যাটা সেখানে দাঁড়িয়ে আছে কি আসলে আপনি কি কাজ করবেন? আর কীভাবেই বা করবেন? আপনাদের এই সমস্যাগুলো দূর করার জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেল যেখানে এই বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য আপনাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।

এছাড়াও আমাদের অন্যান্য ব্যবসার আইডিয়াগুলি থেকেও আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন যেকোনো নতুন ব্যবসা শুরু করতে আপনাকে পুরোপুরি সাহায্য করবে। চলুন জানা যাক এমন কিছু ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে:

টিউশান ক্লাস: Tuition class

আপনি আপনার অবসর সময়ে বাচ্চাদের টিউশান ক্লাস শুরু করতে পারেন। আর এই কাজের অনেক রকম সুবিধা আছে আপনার জন্যে, এর ফলে বাচ্চারা আপনার থেকে কিছু শিখতে পারবে তার পরিবর্তে আপনাকে টাকা দেবে, যার ফলে আপনার একটা ভালো মত রোজগার আসবে।

তাছাড়াও বাচ্চাদের সাথে সাথে আপনারও অনেক কিছু শেখার সুযোগ হবে, আপনার নলেজ ও বাড়বে। এই কাজটি আপনি সকালের সময় করতে পারেন অথবা আপনার যে সময়টা ফাঁকা থাকে সেই সময়ও করতে পারেন।

আবার টেকনোলজি এতটাই উন্নত যে আজকাল অনলাইনে ও টিউশান ক্লাস করানো হয় সেটাও কিন্তু করতে পারেন আপনি। সময় বাঁচানোর সাথে সাথে ঘরে থেকে আপনি আপনার সুবিধা মত এই কাজটি করতে পারেন। তার জন্য আপনাকে বাচ্চাদের ঘরে ডাকার প্রয়োজন নেই বা আপনাকে কোথাও যাওয়ারও প্রয়োজন নেই। ঘরে বসেই এই কাজটি করতে পারবেন।

কম্পিউটার, স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ এর রিপিয়ারিং সেন্টার এর ব্যবসা: Repairing center

যদি আপনি কম্পিউটার ল্যাপটপে অধিক পরিমাণে কাজ করে থাকেন অথবা এই সম্বন্ধে আপনার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অনেক বেশি। তাহলে কিন্তু আপনি এই ব্যবসাটা নিঃসন্দেহে, নির্দ্বিধায় শুরু করতে পারেন। কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ল্যাপটপের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করতে যদি আপনার সামান্য পরিমাণ সময় লাগে, তাহলে এই ব্যবসাটা আপনার জন্য।

আর এর উপার্জনের দিকটা খেয়াল করলে আপনি অবসর সময়ে সামান্য পরিমাণ সময় দিয়েও এই কাজ করে অধিক পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন।

বর্তমান যুগে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোনে মানুষ বেশি পরিমাণে কাজ করে থাকেন, তাছাড়া এখন অনলাইন গেম, অনলাইন ক্লাস, সবকিছু অনলাইনে হয়ে থাকে। তার জন্য ডিজিটাল সময়ে এসব জিনিসপত্রগুলি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা ও বেশি থাকে।

সামান্য প্রবলেম দেখা দিলে সবাই তো আর সেটাকে ঠিক করে দিতে পারে না, তাই আপনাকে এই কাজটা করে দেওয়ার পরিবর্তে তারা আপনাকে আপনি যেমনটা বলবেন তেমনটা টাকা দিতে প্রস্তুত থাকবে। এর চাহিদা দিন দিন আরো বাড়বে।

তাই এই সেন্টার যদি আপনি খুলে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন তাহলে কম করে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আপনি আয় করতে পারবেন। এর থেকেও বেশি হতে পারে।

ডিজে সাউন্ড সার্ভিস সেন্টার: DJ Sound Service Center

বর্তমান যুগের ডিজিটাল সাউন্ড এর প্রচলন এত অধিক পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে যে পার্টি অথবা কোনো অনুষ্ঠানে ডিজে না হলে চলেই না, সেই কারণে বিভিন্ন রকম পার্টি, অনুষ্ঠান এবং প্রচার কেন্দ্রে ডিজে সাউন্ড লাগানো হয়ে থাকে। আর সেই কারণে ডিজে সাউন্ড সার্ভিস সেন্টারের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আপনি যদি এরকম কোন ব্যবসার কথা চিন্তা করে থাকেন, তাহলে ডিজে সিস্টেম কিনেও আপনি সেটাকে ভাড়া দিতে পারেন অথবা এগুলিকে সার্ভিসের মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারেন। যেটা কিনা আপনার বর্তমান কাজের সাথে সাথে একটি সাইড বিজনেসও বলতে পারেন।

একটা বার ডিজে সাউন্ড কেনার পর সেটাকে বারবার ভাড়া দেওয়ার ফলে আপনার প্রফিট অনেকটাই হবে। তার জন্য হয়তো আপনাকে তিন থেকে চার জন কর্মচারী রাখতে হতে পারে, যাদেরকে আপনি কিছু টাকা বেতন দিয়ে রাখতে পারেন। এই ব্যবসা থেকেও কম করে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা সাইড বিজনেস হিসেবে আয় করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং অথবা ব্লগিং: Freelancing or blogging

ফ্রিল্যান্সিং অথবা ব্লগিং করে আপনি প্রতিমাসে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। কয়েক হাজার টাকা থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন হতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং অথবা ব্লগিং থেকে। (অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে উপার্জন করবেন?)

জিম অথবা যোগ সেন্টার: Gym or yoga center

আজকাল লোক ফিটনেসের বিষয়টি বিশেষভাবে খেয়াল রাখেন, নিজেকে ফিট রাখার জন্য এবং কোন ভাবেই নিজের ওজন কমিয়ে রাখার জন্য এমন কোন মানুষের খোঁজ করে থাকেন যাদের এই বিষয়ে ভালোমতো ধারণা ও জ্ঞান আছে এবং তাদের সাহায্যে নিজেদের ফিট রাখতে পারেন।

আপনি যদি এমন কোন ব্যবসার কথা চিন্তা করে থাকেন, তাহলে জিম অথবা যোগাসনের সম্বন্ধে ভালোমতো ধারণা ও জ্ঞান আছে এমন মানুষের খোঁজ করে সামান্য কিছু ইনভেস্ট করে এই কাজ আপনি আপনার ঘর থেকেও শুরু করতে পারেন।

লোকের মুখে মুখে অথবা এড দেওয়ার মাধ্যমে আপনার যোগাসন সেন্টারের কথা প্রচার করতে পারেন। এই কাজটি আপনি সকালের সময় ও করতে পারেন, এ থেকেও ভালো মত একটা উপার্জন আসবে আপনার। ছোট আকারে শুরু করলে কম করে মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা অনায়াসেই আয় করতে পারবেন আপনি।

ইউটিউব চ্যানেল: YouTube channel

এখন আমরা এমন একটি সাইড বিজনেসের কথা বলতে চলেছি, যে বিজনেসে আপনার মজা এবং উপার্জন খুব ভালোভাবেই আসতে চলেছে। সেটা হল অবসর সময়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলে আপনি এই ব্যবসাটি করতে পারেন। তারপর চ্যানেলে সুন্দর সুন্দর এবং আকর্ষণীয় কনটেন্ট দিয়ে সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা বাড়িয়ে স্মার্ট একটা ইনকাম জেনারেট করতে পারেন।

শুধুমাত্র আপনার যে বিষয়ের উপরে কাজ করতে ভাল লাগে এবং যে বিষয়ের উপরে আপনার যথেষ্ট ধ্যান-ধারণা আছে, সেই বিষয়টাকে কনটেন্ট বানিয়ে ভিডিওর মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে হবে, এই কাজ করার জন্য আপনাকে আলাদা করে সময় বের করার প্রয়োজন নেই, আপনি যখন খুশি অবসর সময়ে এই কাজটি করতে পারেন। প্রথমত কমপক্ষে ঘরে বসেই ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারবেন।

তো এই ছিল আজকের কিছু সাইড বিজনেস এর আইডিয়া, যেগুলি আপনি আপনার অবসর সময়ে অনায়াসেই করতে পারেন এবং তা থেকে ভালো মত একটা উপার্জন করতে পারবেন।

যেখানে আপনার বেশি পরিমাণে ইনভেস্ট করার প্রয়োজনও নেই। যে সময়টুকু আপনি এমনিতেই পার করে দেন, সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে আপনি এই ব্যবসা গুলি করতে পারেন, একেবারেই ঘরে বসে নিজের ইচ্ছা মত, আনন্দের সাথে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top