T-shirt Printing Business Idea 2024 (টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা 2024): How to Start T-shirt Printing Business in India | T-shirt Printing Business Plan 2024 in Bengali.
2024 T-shirt Printing Business Idea in Bengali (2024 টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করলে হবে দারুন উপার্জন মাসে): টি-শার্ট পরতে সকলেই বেশ পছন্দ করেন। তার সাথে সাথে যদি বিভিন্ন রকমের প্রিন্টেড টি-শার্ট হয় তাহলে তো বেশ নজরকাড়া, তাই নয় কি!
নিজের পছন্দের প্রিন্টেড টি-শার্ট কিনতে পারলে খুশি হওয়া তো স্বাভাবিক, আর তাই এই প্রিন্ট করা টি-শার্ট মার্কেটে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বলে সবাই জানি। বর্তমান সময়ে যেকোনো ব্যক্তি সবথেকে ভালো ডিজাইনের টি-শার্ট পরতে বেশি পছন্দ করবেন।
এই সময়ে বিভিন্ন রকমের কাপড়ের কোম্পানি কিন্তু শুধুমাত্র প্রিন্টেড টি-শার্ট বিক্রি করে বাজারে বেশ একটা ভালো মত জায়গা করে নিয়েছে। বলতে গেলে পুরো বাজারে ছড়িয়ে গিয়েছে এই প্রিন্টেড টি-শার্ট এর রমরমা। বাজার থেকে অনলাইনে সব জায়গাতেই প্রিন্টেড টি-শার্ট যেন বেশ নজর কাড়ে।
আলাদা আলাদা রকমের রং, নতুন নতুন ডিজাইন, পছন্দমত প্রিন্ট, এসবের সাথে যদি টি শার্ট আপনি বিক্রি করতে পারেন, তার থেকে ভালো মত একটা উপার্জন আসবে।
তো চলুন তাহলে জানা যাক, কিভাবে আপনি প্লেন টি-শার্টের উপরে প্রিন্ট করে এ গুলিকে মার্কেটে বিক্রি করতে পারেন এবং ভালো মত একটা ব্যবসা তৈরি করতে পারেন।
টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন:
টি-শার্ট প্রিন্টিং এর জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী:
এই কাজের জন্য ট্যাফ্লোন শিট, সাবলিমেশন মেশিন, সাবলিমেশন টেপ, সাবলিমেশন প্রিন্টার, কালি অথবা রং, টি-শার্ট প্রয়োজন যা আপনি অনলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবেন। যদি আপনি লোকাল হোলসেল মার্কেটের কাছাকাছি থাকে তাহলে ওই মার্কেটে গিয়েউ এই জিনিসপত্রগুলি পেয়ে যাবেন। জেনে নিন অনলাইনে কোথায় এইগুলি কিনতে পারবেন
ট্যাফ্লোন শিট (Teflon sheets) | Click here |
সাবলিমেশন মেশিন (Sublimation Machine) | Click here |
সাবলিমেশন টেপ (Sublimation tape) | Click here |
সাবলিমেশন প্রিন্টার (Sublimation printer) | Click here |
কালি অথবা রং (Ink or paint) | Click here |
টি-শার্ট (T-shirt) | Click here |
টি-শার্ট প্রিন্টিং করার জন্য মেশিন:
টি-শার্ট প্রিন্টিং করার জন্য যে মেশিনটা আপনার প্রয়োজন পড়বে, সেটি হল Sublimation T-shirt Printing Machine প্রিন্টিং মেশিন।
এই মেশিনের সাহায্যে বিভিন্ন রকমের সাইজের টি-শার্ট এবং বিভিন্ন রকমের কাপড়ের টি-শার্ট, যেমন ধরুন পলিয়েস্টার, পলি কটন, নাইলন, সিল্ক, ইত্যাদি কাপড়ের উপরে প্রিন্ট করতে পারবেন।
#১) দাম: টি-শার্ট প্রিন্টিং মেশিনের দাম প্রায় ১২ হাজার টাকা হতে পারে। যদি আপনি আরো ভালো কোয়ালিটির মেশিন কিনতে চান, তাহলে মেশিনের কোয়ালিটি অনুযায়ী সেই মেশিনের দাম আর একটু বাড়তে পারে। সেটা আপনার উপরেই নির্ভর করবে, যে আপনি কি রকম মেশিন কিনে ব্যবসাটি শুরু করতে চাইছেন।
#২) কোথায় থেকে কিনবেন: এই মেশিন কেনার জন্য এই লিংকে ভিজিট করে অর্ডার করতে পারেন।
সাবলিমেশন মেশিন (Sublimation Machine) | Click here |
এবার জানা যাক কিভাবে টি-শার্ট গুলি প্রিন্টিং করবেন।
টি-শার্ট প্রিন্টিং করার প্রক্রিয়া:
টি-শার্ট প্রিন্টিং করা বেশ সহজ একটি কাজ, আপনি খুব আনন্দের সাথে এবং সহজ ভাবেই এই কাজটি করতে পারবেন।
#১) সবার প্রথমে টি-শার্ট প্রিন্টিং মেশিন কে ইলেকট্রিসিটির মাধ্যমে চালু করতে হবে।
#২) এরপর এই মেশিনের টেম্পারেচার সেট করতে হবে।
#৩) তার পরে সাবলিমেশন প্রিন্টিং পেপার এর উপরে ছাপানো ডিজাইন টি-শার্টের উপরে রাখতে হবে। আর সেটিকে সাব্লিমেশন টেপ দিয়ে ভালো করে আটকে দিতে হবে। অনেকটা মোবাইলের ব্যাক কভার প্রিন্টিং এর মত।
#৪) তারপরে সেই টি-শার্ট কে মেশিনের ভিতরে টেলকান শিটের ওপরে রেখে দিতে হবে।
#৫) তার পরের এই প্রক্রিয়া হল মেশিন টা বন্ধ করে ৭০ সেকেন্ড এর টাইমিং সেট করতে হবে, ৭০ সেকেন্ডের পর যে ডিজাইনটি আপনি দিয়েছেন সেই ডিজাইন টি-শার্টের উপরে ছাপা হয়ে যাবে।
#৬) এভাবে আপনি নিজের হাতে টি-শার্ট গুলি কে ছাপিয়ে বের করতে পারবেন।
টি-শার্ট প্রিন্টিং করার জন্য কতটা সময় লাগে:
যদি সময়ের কথা বলা হয়, তাহলে দুই মিনিটের ভিতরে একটি টি-শার্ট একেবারে তৈরি হয়ে পরার জন্য একেবারে রেডি। এই প্রিন্ট এর সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো, এই প্রিন্ট কখনোই কাপড় থেকে উঠে যায় না।
টি-শার্ট প্রিন্টিং করার জন্য জায়গার প্রয়োজনীয়তা:
প্রতিটি ব্যবসা করার জন্য তার মেশিন বসানো এবং র ম্যাটেরিয়ালস রাখার একটা জায়গা প্রয়োজন তো অবশ্যই পড়ে। তবে এই টি-শার্ট প্রিন্টিং করার জন্য অর্থাৎ এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য খুবই কম জায়গা আপনার প্রয়োজন পড়বে।
বলতে গেলে আপনি কোন ঘরে থেকেও এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। তার জন্য আলাদা করে কোনো টাকা আপনাকে খরচ করতে হবে না, দোকান ভাড়া অথবা জায়গা নেওয়ার জন্য।
টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা শুরু করার জন্য ইনভেস্টমেন্ট:
এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনার ইনভেস্টমেন্ট প্রায় ৪২ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে, এই টাকার মধ্যে আপনি টি শার্ট, প্রিন্টিং মেশিন, ট্যাফ্লোন শিট, সাবলিমেশন পেপার প্রিন্ট, প্রিন্টার, টিশার্ট, সব কিছু কিনে নিতে পারবেন।
কি, খুবই অল্প টাকার মধ্যে এই লাভ দায়ক ব্যবসাটি শুরু করতে পারছেন, বেশ ভালো বিষয় বলতে পারেন। আর এর চাহিদা বাজারে কতখানি সেটা একটু রিসার্চ করলেই বুঝতে পারবেন।
টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা থেকে লাভ:
সবথেকে ভালো বিষয় হল, ব্যবসাটি আপনি খুবই কম টাকা ইনভেস্ট করে শুরু করতে পারছেন। খুবই কম জায়গাতে এই ব্যবসাটি শুরু করছেন, বলতে গেলে একেবারে ঘর থেকে। তার উপরে এর চাহিদা মার্কেটে অনেকখানি।
তাই এই ব্যবসাতে ৯০ টাকার যে টি-শার্টের উপরে প্রিন্ট করবেন, সেই টি-শার্ট প্রিন্ট করার জন্য ১১০ টাকা খরচ হতে পারে। আর সেই t-shirt টিকে আপনি মার্কেটে ২০০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
এইমতো হিসাব করে আপনি কতগুলি টি-শার্ট বানিয়ে বিক্রি করতে পারছেন তার উপরেই কিন্তু নির্ভর করবে আপনার লাভ অথবা প্রফিট। তবে বলা যেতে পারে যে, ভালোভাবে যদি এই ব্যবসাটি করতে পারেন এবং মার্কেটিং টা আপনার যদি ভালোমতো আয়ত্তে আসে, তাহলে প্রতি মাসে কম করে ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তাছাড়া বড় আকারে যদি ব্যবসাটি করেন সেক্ষেত্রে ইনকাম টা তো এমনিতেই বেড়ে যাবে।
প্রিন্টেড টি-শার্ট এর প্যাকেজিং:
কিভাবে টি-শার্ট প্রিন্ট করা হয় সেটা তো জানলেন, তারপরে মেশিনের মাধ্যমে টি-শার্ট গুলি তৈরিও করে নিলেন, যখন টি-শার্ট গুলি একেবারে তৈরি হয়ে যাবে, এবার আপনার যে কাজটি করতে হবে, সেটা হল, সুন্দর করে সেগুলিকে প্যাকিং করা। এজন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে প্যাকেটস। এই প্যাকেটের উপরে টি শার্টের সাইজ, তার রঙ এমনকি ক্যাটালগও ছাপিয়ে রাখতে পারেন।
এতে কিন্তু কাস্টমারদের বুঝতেও সুবিধা হয় এবং আকর্ষণ করে। এছাড়াও ডিজাইন কে আকর্ষণীয় করার জন্য বড় বড় বলিউড সুপারস্টার এর ছবিও এই প্যাকেটের গায়ে ব্যবহার করতে পারেন।
টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসার জন্য মার্কেটিং:
যেহেতু এই ব্যবসাটি সম্পূর্ণরূপে ডিজাইনের উপরে নির্ভর করে অর্থাৎ যত আপনি নতুন নতুন আকর্ষণীয় ডিজাইনের উপরে টি-শার্ট ছাপাতে পারবেন ততোই কিন্তু মার্কেটে চাহিদা এবং একটা ব্রান্ড তৈরি হয়ে যাবে, এবং সহজেই বিক্রি হবে।
কেননা প্রতিনিয়ত মানুষ নিত্যনতুন ডিজাইনের জিনিসপত্র পরতে পছন্দ করছেন, এর জন্য আপনাকে বিশেষ রূপে বলতে গেলে, একজন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে হবে।
যেটা আপনি কম্পিউটারের সাহায্যেও নিত্য নতুন ডিজাইন তৈরি করতে পারেন। তাছাড়া কোথাও থেকেও ডিজাইন কিনতেও পারেন। আর এই ডিজাইন সম্পর্কে একটু তথ্য জোগাড় করলে অথবা ফটোশপের মাধ্যমে আপনি এই ডিজাইন কালেক্ট করতে পারেন।
এর পরে আপনি আপনার জন্য একটা স্টোর খুলতে পারেন। যেখানে আপনার বানানো ডিজাইন করা টি শার্ট বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও শহরের অথবা আপনার স্থানীয় দোকানে, আশেপাশে রেডিমেড দোকানগুলিতে এই টি শার্ট বিক্রি করতে পারেন।
কিন্তু যদি আপনি আপনার স্টোর থেকে নিজের বানানো টি-শার্ট গুলো বিক্রি করতে চান তাতে কিন্তু বেশি পরিমাণে আপনি উপার্জন করতে পারবেন। তাতে লাভ অথবা প্রফিট ভাল মত আসবে।
আবার এই ডিজাইন করা প্রিন্টেড টি-শার্ট গুলি ইকমার্স ওয়েবসাইট এর সাথে যোগাযোগ করে সেখানেও বিক্রি করতে পারেন, যেমন- ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন, স্ন্যাপডিল, মিন্ত্রা, ইত্যাদির সাথে আপনি এই প্রিন্টেড টি-শার্ট এর ব্যবসা করতে পারেন।
তাতে মার্কেটে আপনার একটা ব্রান্ড তৈরি হয়ে যাবে, তবে অবশ্যই আপনার এই ব্যবসাটির একটা ইউনিক ব্রান্ড তৈরি করতে হবে এবং ভালো একটা নাম রাখতে হবে সেটাও যেন ইউনিক হয়। আর এর মধ্যে দিয়ে আপনি ভালোমতো একটা অ্যামাউন্ট প্রতিমাসে উপার্জন করতে পারবেন।
প্রতিটি ব্যবসা যদি মনোযোগ সহকারে, ধৈর্য ধরে করা যায় তাহলে সেই ব্যবসাটি উন্নতির শিখরে যেতে বেশিদিন সময় নেবে না। আর তাছাড়া টি-শার্ট এখন একটি ট্রেন্ডিং পোশাক বলতে পারেন। তার ওপরে সুন্দর সুন্দর প্রিন্টেড টি-শার্ট সকলের নজর কাড়বে এটা তো বলাই যায়।
সেই কারণে খুবই অল্প টাকা ইনভেস্ট করে অধিক পরিমাণে উপার্জন করার একটি ভাল রাস্তা হল এই টি-শার্ট প্রিন্টিং এর ব্যবসা। যদি এমন কোন ব্যবসা কথা চিন্তা করে থাকেন, যেটা কিনা ৫০ হাজার টাকার মধ্যে আপনি অনায়াসেই শুরু করতে পারবেন, তাহলে কিন্তু এই ব্যবসাটি আপনার জন্য বেস্ট অপশন।