Tissue Paper Business Idea in Bengali – টিস্যু পেপার ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে? টিস্যু পেপার ব্যবসার কত চাহিদা এই ব্যাবসার? টিস্যু পেপার ব্যবসায় কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন? কি কি জিনিসপত্রের প্রয়োজন হবে? জানুন সবকিছু টিস্যু পেপার ব্যবসা সম্পর্কে।
প্রতিটি মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য কোন না কোন কাজ করে থাকেন। তবে নিজের একটি ছোট্ট ব্যবসা হবে যেখানে খুবই কম টাকা বিনিয়োগ করে ঝুঁকি কম নিয়ে ব্যবসাটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন অনেকেই। তবে বেশি লাভ দায়ক এবং কম টাকা বিনিয়োগ করা যাবে এমন একটি ব্যবসা হল টিস্যু পেপার এর ব্যবসা। টিস্যু পেপারের চাহিদা কতখানি তা আমরা দৈনন্দিন জীবনে ভালোমতোই বুঝতে পারি।
যেখানেই যাওয়া হোক না কেন টিস্যু পেপার প্রয়োজন পড়ে। কোথাও ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের সাথে টিস্যু পেপার অনেক সময় থেকে যায়। আবার রেস্টুরেন্টে খেতে গেলেও সেখানেও টিস্যু পেপার, এমনকি শিশুদের ব্যবহার, কোন হোটেল, রেস্টুরেন্টেই নয় সমস্ত জায়গায় টিস্যু পেপার একটি অতি প্রয়োজনীয় বস্তু। আর এই টিস্যু পেপার যদি তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন তাহলে খুবই কম খরচে আপনি একটি ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কম টাকা লাগিয়ে ভালো মতো উপার্জন করার ব্যবসার মধ্যে এটি একটি অন্যতম ব্যবসা। এই ব্যবসাটি প্রতিটি ঋতুতে সমানভাবে চলতে থাকবে অর্থাৎ সারা বছর এর চাহিদা প্রচুর পরিমাণে থাকবে, তাই ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই। যদি আপনি এমন কোন ব্যবসার সন্ধান করে থাকেন তাহলে আজকের ব্যবসার আইডিয়াটি আপনার জন্য। এই ব্যবসার ক্ষেত্রেও সরকারের তরফ থেকে সাহায্য পেতে পারেন। পেপার ন্যাপকিন (Paper Napkin) অথবা টিস্যু পেপার তৈরি করার বিজনেস। পেপার ন্যাপকিন বানানোর ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট (Manufacturing Unit) বসিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন, যার উপার্জন এবং লাভ প্রচুর।
দিন বদলের সাথে সাথে আমাদের জীবনধারা পাল্টে যাচ্ছে অর্থাৎ লাইফ স্টাইল এতটাই উন্নত হচ্ছে যে টিস্যু পেপার এর ব্যবহার অধিক পরিমাণে হতে শুরু করেছে। সাধারণত টিস্যু পেপার ব্যবহার করা হয় হাত, মুখ পরিষ্কার করার জন্য আর এর প্রয়োগ এই বর্তমান দিনে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া যায়। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ধাবা, অফিস, হাসপাতাল আরো অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে। তাই এর চাহিদা কখনোই কমবে না। তো চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক টিস্যু পেপার তৈরি করার ব্যবসা সম্পর্কে:
টিস্যু পেপার ব্যবসাতে কত টাকা বিনিয়োগ লাগবে?
ব্যবসাটি ছোট আকারে দেখলেও এটি খুবই বড় মানের মার্কেট, এর চাহিদা এতটাই যে আপনি খুব কম সময়ের মধ্যে বেশি পরিমাণে লাভ অর্জন করতে পারবেন।
যদি আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে চান তাহলে ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট বসানোর প্রয়োজন পড়বে, তা প্রায় ৩.৫০ লাখ টাকা মত প্রয়োজন পড়তে পারে। তাছাড়া এই টাকার জন্য আপনি কোন মুদ্রা স্কিম এর মধ্যে লোন এর জন্য আবেদন করতে পারেন।
৩.৫০ লাখ টাকা আপনার কাছে হওয়ার কারণে ব্যাংক থেকে আপনি টার্ম লোন অনুসারে প্রায় ৩.১০ লাখ টাকা এবং ব্যাংকিং ক্যাপিটাল লোন ৫.৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন পেতে পারেন।
মুদ্রা যোজনায় লোনের আবেদন করবেন কিভাবে?
এর জন্য “প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা” অনুসারে যেকোনো ব্যাংকে আবেদন করতে পারবেন এই লোনের জন্য। এর জন্য আপনার একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে, যেখানে আপনার সমস্ত ডিটেইলস অথবা তথ্য দিতে হবে।
যেমন ধরুন আপনার নাম, আপনার ঠিকানা, ব্যবসার ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আপনার বর্তমান ইনকাম এবং কত টাকা লোন নিতে চাইছেন। এই আবেদনের মধ্যে কোনরকম প্রসেসিং ফিস অথবা গ্যারান্টি ফিস দিতে হয় না, লোনের অ্যামাউন্ট আপনি খুব সহজেই সহজ কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন।
টিস্যু পেপার ব্যবসা থেকে লাভ:
প্রতিটি ব্যবসা লাভের জন্য করা হয়ে থাকে, তাই যদি লাভের কথা বলা যায় তাহলে বছরে ১.৫০ লাখ কিলোগ্রাম পেপার ন্যাপকিন এর উৎপাদন করা যেতে পারে।
এতে প্রায় ৬৫ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম হিসাবে বিক্রি করতে পারবেন অর্থাৎ আপনি বছরে প্রায় ৯৭.৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। যদি এর থেকে সমস্ত খরচ বাদ দেওয়া যায় তাহলে প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত বছরে আপনি লাভ করতে পারবেন।
আবার মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির থেকে আপনার তৈরি করার ন্যাপকিন বিক্রি করতে পারেন, এইভাবে কয়েক মাসের মধ্যে আপনি মাসে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মুনাফা অর্জন করতে পারেন আর এর মধ্যে থেকে ধীরে ধীরে লোনও পরিশোধ করতে পারবেন।
টিস্যু পেপার এমন একটি প্রয়োজনীয় জিনিস যা একবার ব্যবহার করে ফেলে দিতে হয়, তাই এটি আবার নতুন করে সঠিক জায়গায় সাজিয়ে রাখতে হয়। আর তাইতো এর চাহিদা এত।
টিস্যু পেপারের ব্যবসা করে অনেকেই লাভবান হয়েছেন, আপনার কাছে যদি ব্যবসা করার জন্য কিছু পুঁজি থেকে থাকে তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য লাভদায়ক ব্যবসা হতে চলেছে। এছাড়া সামান্য পরিমাণ লোন নিয়েও ব্যবসাটিকে বড় আকারে করতে পারেন।
মার্কেটিং থেকে শুরু করে আপনার আশেপাশে থাকা বা একটু দূরে গিয়েও হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ধাবা, হাসপাতাল এবং যে সমস্ত ক্ষেত্রে টিস্যু পেপারের ব্যবহার হয়ে থাকে সেখানে সেখানে যোগাযোগ করে টিস্যু পেপারের বিক্রি বাড়াতে পারেন।