2024 Stationery Store Business Idea in Bengali

Stationery Store Business Idea 2023 (স্টেশনারি দোকানের ব্যবসা 2023): How to Start Stationery Store Business in India? | Stationery Store Business Idea in Bengali | Stationery Store Business Plan in Bengali. জানুন স্টেশনারি দোকানের ব্যবসা শুরু করার সম্পূর্ণ পদ্ধতি এবং লাভ ও ইনভেস্টমেন্ট।

স্টেশনারি দোকান অথবা লেখন সামগ্রীর দোকান যা কিনা প্রতিটি মানুষের পছন্দের একটি দোকান আর তাই সম্পূর্ণ ভারতেই নয়, গোটা পৃথিবী জুড়ে এই দোকানের চাহিদা ব্যাপক।

কেননা এর চাহিদা মার্কেটে সবসময় বজায় থাকে। লেখাপড়ার সাথে সম্পর্কিত জিনিসপত্র, স্কুল, কলেজ এবং দপ্তরের যে সমস্ত জিনিসপত্র প্রয়োজন হয় সেগুলো এই স্টেশনারি দোকানে পাওয়া যায় অতি সহজে। আর সেই কারণে কখনোই এই দোকানের চাহিদা কমবে না।

স্টেশনারি দোকান খোলার জন্য কি কি জিনিসের প্রয়োজন পড়বে:

স্টেশনারি দোকান খোলার জন্য আপনার কিছু জায়গা অথবা কোন ঘর প্রয়োজন পড়বে প্রথমত। যেখানে আপনি দোকানটি চালু করতে পারবেন। এই ব্যবসাটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটি আপনি নিজের ঘর থেকেও চালু করতে পারেন।

এইজন্য যদি আপনি আপনার ঘরের বাইরে একটি ঘরকে এই ব্যবসার জন্য নির্বাচন করে থাকেন তাহলেও বেশ ভালোভাবে আপনি ব্যবসাটি করতে পারবেন। এছাড়াও একেবারে অল্প খরচের মধ্যে ছোট কোন ঘর তৈরি করে নিতে পারেন।

আর যদি আপনি চান যে ভাড়া তে ঘর নিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে দোকান ভাড়া নিতে পারেন এছাড়াও শপিংমলেও কিছুটা জায়গা নিয়ে সেখানেও এই দোকান খুলতে পারেন। এবার আপনার উপর নির্ভর করছে আপনার কোন জায়গায় সবচেয়ে বেশি কমফর্টেবল হবে এই ব্যবসা করার জন্য।

এই ব্যবসা করার জন্য আপনার কম করে ৪০০ বর্গমিটার জায়গা প্রয়োজন পড়বে। যার মধ্যে স্টেশনারি দোকানের সমস্ত রকমের জিনিসপত্র আপনি ভালোভাবে গুছিয়ে রাখতে পারবেন। আর যদি আপনি চান যে আপনি ব্যবসাটি বেশ বড় আকারের শুরু করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে একটু বেশি জায়গা আপনি নিতে পারেন, আপনার পছন্দমত।

ফার্নিচার সেটআপ করা:

যেকোনো দোকান সাজানোর উপরেই সুন্দর লাগে। কাস্টমার সব সময় সুন্দর জিনিসের উপরে আকর্ষিত হয়ে থাকেন। আর সেই কারণে আপনার দোকানকে ভালোভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য দোকানের ভিতর ফার্নিচার এর ব্যবহার করতে হবে। যার মধ্যে আপনি স্টেশনারি দোকানের জিনিসপত্র ভালো ভাবে সাজিয়ে রাখতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনি আগে থেকে ফার্নিচার বানিয়ে রাখতে পারেন ফার্নিচারের দোকান থেকে অথবা তৈরি করা ফার্নিচারও কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো দিয়েও দোকান সাজিয়ে তুলতে পারেন।

যদি আপনি মনে করেন যে স্টেশনারি দোকানের একটি ডিজাইন হলে খুবই ভাল হয় আপনার নতুন স্টোর খোলার জন্য গুগল এ গিয়ে ডিজাইন দেখতে পারেন, তারপর সেই ডিজাইন অনুসারে নিজের স্টেশনারি দোকান সেটআপ করতে পারেন।

এর ফলে আপনার দোকানটি আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে, এবং কাস্টমার বেশি পরিমাণে ভিড় করবে আপনার দোকানে। দোকান সাজানোর জন্য বিভিন্ন রকমের ফার্নিচার আপনি অনলাইন আমাজন থেকে অর্ডার করতে পারেন।

এই দোকানে আপনি কি কি জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারেন:

আপনি এই দোকানে বিশেষ করে পেন, বই, নোটবুক, স্ট্যাপলার, ক্যালকুলেটর, পেন্সিল এবং পড়াশোনা সম্পর্কিত বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র রাখতে পারেন। তাছাড়া আজকাল স্টেশনারি দোকানে অথবা এই লেখন সামগ্রী দোকানে গ্রিটিংস কার্ড, বিয়ের কার্ড এবং গিফট কার্ড রাখার ফলে মানুষের এই দোকানের প্রতি উৎসাহ বেড়ে চলেছে।

সোজা কথায় বলতে গেলে আপনি এই দোকানে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় এবং খুবই দরকারি ছোট ছোট জিনিসও রাখতে পারেন, যেগুলো তারা নিজের পছন্দমত কিনতে পারেন এবং বেশি খোঁজাখুঁজি করতে না হয়। আর যদি সেগুলি আপনার দোকানে অনায়াসেই পেয়ে যায় তাহলে একবার ভাবুন তাদের কতটা খুশি হওয়ার কথা।

কোথায় থেকে কিনবেন এই জিনিসপত্র গুলি:

আপনার এই দোকানটি সম্পূর্ণরূপে ভালোভাবে সাজিয়ে নিতে অফলাইন এবং অনলাইন দুই রকম ভাবেই জিনিসপত্র কিনে সাজাতে পারেন কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি যদি সরাসরি পেন পেন্সিল বই এবং স্টেশন এর সমস্ত রকমের জিনিসপত্র যারা বানিয়ে থাকেন, যে সমস্ত কোম্পানি তাদের থেকে যদি আপনি নিতে পারেন তাহলে অনেকটাই লাভ রাখতে পারবেন। আর তাছাড়া আমাজন থেকেও অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন।

স্টেশনারি দোকানের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

এজন্য আপনার প্রথমেই প্যান কার্ড প্রয়োজন পড়বে, সরকারের নতুন নিয়ম অনুসারে দোকানের মালিকের কাছে আধার কার্ড অবশ্যই থাকতে হবে। তার সাথে সাথে আপনার কাছে ব্যাংকের সমস্ত রকমের কাগজপত্র সঠিক থাকতে হবে।

যে জায়গার উপরে আপনার দোকানটি অবস্থিত যদি সেটি আপনার নিজস্ব হয়ে থাকে, তাহলে সেই জায়গার কাগজপত্র আর যদি আপনি ভাড়ায় নিয়ে থাকেন তাহলে আপনার এবং সেই দোকানের মালিকের মধ্যে যে চুক্তিপত্র হয়েছিল দোকান ভাড়া সম্পর্কিত তার কাগজপত্র লাগতে পারে।

লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন এর প্রয়োজনীয়তা:

শপ অ্যান্ড ইসটেবলিশমেন্ট অ্যাক্ট:

১) স্টেশনারি শপ খোলার জন্য আপনাকে শপ অ্যান্ড  ইস্টেবলিশমেন্ট অ্যাক্ট এর অন্তর্গত রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং এর মধ্যে যে নিয়ম গুলি পড়ে সেগুলি আপনাকে ভালো ভাবে পালন করতে হবে।

এতে আপনার এবং আপনার কর্মচারীর কাজ করার দিন ছুটি এবং একদিনে কাজ করার সময় নিশ্চিত করা হয়। শুধু তাই নয় এর অন্তর্গত ধার্মিক এবং সরকারি ছুটি থাকাকালীন দোকান বন্ধ করতে হবে।

২) আপনি আপনার দোকান থেকে যে ব্যবসাই করুন তার লেখা লেখি কাগজপত্র আপনার কাছে সুরক্ষিত থাকতে হবে। শুধু তাই নয় আপনি আপনার দোকানের মেনটেইনেন্স এর জন্য যে খরচ হয় তার সাথে যদি কিছু টাকা খরচ করেন সেক্ষেত্রে আপনার ডাটা সুরক্ষিত রাখাটাও জরুরী।

৩) এই নিয়মের মধ্যে বেতন এবং বেতনের যে টাকাটি কাটা হয় সেটি এর মধ্যে পড়ে এই নিয়মের মধ্যে দোকানে যারা কাজ করে থাকেন বেতন সম্পর্কিত নিয়মের সাথে সাথে কাছ থেকে বের হওয়ার নিয়ম পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। এই নিয়ম মহিলা এবং পুরুষের জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

শপ অ্যান্ড ইস্টেবলিশমেন্ট অ্যাক্ট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন কিভাবে:

১) এর জন্য অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনাকে https://wbshopsonline.gov.in/ এই ওয়েব সাইটে যাওয়ার পর কিছু তথ্য আপনাকে ভরতে হবে এবং তারপর ফর্ম সাবমিট করতে হবে। এই সমস্ত তথ্যের মধ্যে আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা এবং দোকানে প্রকার ইত্যাদি ভরতে হবে।

Stationery Store Business Online Registration
Stationery Store Business Online Registration

২) এছাড়াও আপনার দোকানের ওয়েবসাইট এবং আপনি কাকে ম্যানেজার বানাচ্ছেন অথবা কোন পরিচিত ব্যক্তির নাম দিতে হবে। এইভাবে দশটি ফর্ম ভরতে হবে, যার মধ্যে দোকান এবং শপ অ্যান্ড ইস্টেবলিশমেন্ট অ্যাক্ট এর নিয়ম সম্বন্ধিত সমস্ত রকমের তথ্য দেওয়া থাকবে সবিস্তারে।

৩) যখন দোকানের মালিক এই সমস্ত তথ্য গুলি দিয়ে ফরম ফিলাপ করবেন তখন দশ দিন পর সরকার সেই আবেদনকারীর লাইসেন্স দিয়ে দেবে, এবং তার সাহায্যে আপনি আপনার ব্যবসাটি সম্পূর্ণরূপে ভালোমতো শুরু করতে পারবেন। আর ভবিষ্যতে আরো ভালোভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

৪) যদি কোনরকম কারণে অনলাইনে আপনি এই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে না পারেন তো আপনি সরাসরি স্থানীয় আধিকারিকের কাছে গিয়ে অফলাইনেও এই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন।

স্টেশনারি দোকান ব্যবসার লাভ:

এই দোকান থেকে যে সমস্ত লাভ আপনি করতে পারবেন সেটা কিন্তু নির্ভর করবে আপনার দোকানের প্রোডাক্টের উপর। শুধু তাই নয় সেই প্রোডাক্ট এর ব্রান্ড, নাম এবং কোম্পানির সাথে সম্পূর্ন সরাসরি লাভ জড়িয়ে আছে। আর যদি আপনি আপনার ব্রান্ডের প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকেন তাহলে আন ব্র্যান্ডেড প্রোডাক্ট এর তুলনায় কম লাভ হতে পারে।

যেখানে আপনি কোন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট বিক্রি করে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত লাভ করতে পারবেন। সেই জায়গায় আনব্র্যান্ডেড প্রোডাক্ট বিক্রি করে দুই থেকে তিন গুণ পর্যন্ত লাভ করতে পারবেন।

এই ব্যবসাটি করার মধ্যে দিয়ে যে ইনভেস্টমেন্ট আপনি করবেন তার ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত লাভ অর্জন করা খুবই সহজ, উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, পেন আর পেন্সিল এর ব্যবসাতে আপনার থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত লাভ হতে পারে।

আর যখন আপনি আন ব্র্যান্ডেড ডাইরি, নোটবুক, বই, বিক্রি করতে থাকবেন সেখানে ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত লাভ করতে পারবেন, যা কিনা ইনভেস্টমেন্টের ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনি যদি ১ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে থাকেন তাহলে প্রতি মাসে ৩৫ হাজারের কাছাকাছি ইনকাম করতে পারবেন।

স্টেশনারি দোকানের ব্যবসার জন্য ইনভেস্টমেন্ট:

আমাদের দেশে অর্থাৎ ভারতে এই দোকান খোলার জন্য কম করে ৫০ হাজার পর্যন্ত ইনভেস্ট করা যেতে পারে তাছাড়া আর যা যা খরচ আছে সেগুলি আপনার উপরই নির্ভর করছে।

আপনি কেমন ভাবে দোকানটি সাজাতে চাইছেন, কেমন ভাবে খুলতে চাইছেন সেটাও নির্ভর করবে আপনার উপর। আর এই স্টোর খুলে ব্যবসাটি কম ইনভেস্টমেন্ট করে অধিক পরিমাণে লাভ অর্জন করার ব্যবসা। আপনি যদি এই ব্যবসাটি শুরু করতে চান তবে সে ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকার উপরেও ইনভেস্ট করে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

স্টেশনারি দোকানের ব্যবসার মার্কেটিং:

১) বাজারের মধ্যে আপনার স্টেশনারি শপ করার জন্য আপনাকে গ্রাহক খুঁজতে হবে, প্রথমে আপনাকে প্রচার করতে হবে এবং এর জন্য পোস্টার-ব্যানার টিভি এবং রেডিওতে আপনি এর বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।

২) এই দোকানে যে সমস্ত জিনিসপত্র বিক্রি করা হয় সেগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অফিস, কলেজ এবং স্কুল তে বেশি পরিমাণে প্রয়োজন পড়ে। আর সেজন্য আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যে, এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলে ঠিক করে রাখতে হবে, যে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেন আপনার দোকান থেকেই নিয়ে থাকেন।

ভারতে এই সময় শিক্ষার উপরে ব্যাপকমত্রায় জোর দেওয়া হচ্ছে এথেকে এটা পরিস্কার হয়েছে এ ব্যবসা থেকে আপনি অধিক পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন। তাছাড়া এই ব্যবসা থেকে ভালোমতো লাভ পাওয়া যায় বলে দিন দিন এর চাহিদা প্রচুর মাত্রায় বেড়ে চলেছে।

কম টাকা ইনভেস্ট করে তিন থেকে চার গুণ পরিমাণ লাভ করা যায় এই ব্যবসাটি থেকে। আপনার কাছে যদি অল্প পরিমাণ পুঁজি থেকে থাকে তাহলে সেই টাকা দিয়ে অনায়াসেই এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

কম ইনভেস্ট করে যদি কোন ব্যবসার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য বেশ উপযোগী হবে বলে আশা করা যায়। আশা করি আজকের এই ব্যবসার আইডিয়া টি আপনাদের ভাল লেগেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top