2024 Social Media Influencer Business Idea in Bengali

Social Media Influencer Business Idea in Bengali – সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ব্যবসা কিভাবে করবেন? সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ব্যবসার চাহিদা কত? কত টাকা ইনকাম হবে? জানুন সবকিছু সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ব্যবসা সম্পর্কে।

বর্তমান সময় সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ, আর এই সময় অনলাইন কেও কাজে লাগিয়ে কোনরকম টাকা বিনিয়োগ না করে এমন অনেক ব্যবসা করা যেতে পারে যে ব্যবসা থেকে প্রতি মাসে কয়েক হাজার থেকে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা যেতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়া যেমন সকলের একটি বিনোদনের জায়গা তেমনি এই জায়গা থেকেও বাম্পার উপার্জন করা যেতে পারে। যেমন ধরেন Instagram, Youtube, Facebook, এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ঘরে বসে উপার্জন করা যায়।

বলা যেতে পারে কিছু মানুষের পড়ার থেকে দেখা বিষয়টা বেশি পছন্দ সেই কারণে ইউটিউবে অনেক বেশি উপার্জন করা যেতে পারে। কোন একটি সোশ্যাল মিডিয়াতে একাউন্ট তৈরি করে সেখানে কনটেন্ট পোস্ট করে উপার্জন করা যেতে পারে।

অনলাইন থেকে উপার্জন:

এই পরিবর্তনের যুগে চাকরি পাওয়া খুবই কষ্টকর, আর এই চাকরি পাওয়ার পাশাপাশিও করা যেতে পারে এমন কিছু অনলাইন ভিত্তিক কাজ যা ঘরে বসেই অবসর সময় করা যেতে পারে।

যদি আপনার মধ্যে কোন ট্যালেন্ট থাকে তাহলে কিন্তু সেই ট্যালেন্টটাকে কাজে লাগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াকে সেই কাজের একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার (Social Media Influencer) হয়ে মোটা টাকা উপার্জন করতে পারেন।

যদি আপনি সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভালো একটিভ থাকেন তাহলে কিন্তু এই কাজের সাথে আপনি ভালভাবে যুক্ত হতে পারেন। ফেসবুক এবং instagram এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এর উপরে ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট (Brand Endorsement) করেও উপার্জন করা যেতে পারে। তাছাড়া এর জন্য আপনার ভালো ফলোয়ার্স থাকতে হবে যার ফলে আপনি তার উপরে ভরসা করে এই কাজটি করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার কিভাবে হবেন?

সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার জন্য আপনার মধ্যে থাকা ক্রিয়েটিভিটি সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাছাড়া আপনি কোন কাজটি ভালোভাবে করতে পারেন তার উপরে খেয়াল রাখতে হবে।

ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার জন্য আপনাকে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি আগে থেকে নির্বাচন করতে হবে। কোন কাজটি আপনি ভালো পারেন সেই কাজের উপরে ভিত্তি করে একই রকম কন্টেন্ট এর উপরে ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বানাতে পারেন অথবা ইনফ্লুয়েন্সার হতে পারেন।

একটি নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের উপরে কাজ করতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে আপনার স্পেশালিটি এবং মানুষকে আকর্ষিত করতে হবে। তারপর আপনার ফলোয়ার্স এর সংখ্যা কয়েক লক্ষ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। তারপর ফেসবুক একাউন্ট এর উপরে লাইক বাড়ানোর জন্য কভার এবং প্রোফাইল ফটোকে সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে।

যদি আপনার এই ব্যবসাটির পেজ থাকে তাহলে প্রোফাইল ফটো এর উপরে একটি লোগো লাগিয়ে নিতে হবে, কিন্তু কভার ফটো এর সাথেও কিছু ক্রিয়েটিভিটি করতে পারেন।

কনটেন্ট তৈরি করুন:

যেকোনো মানুষ যেকোনো একটি কনটেন্ট এর উপরে কাজ করে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে যখন লাইক এবং ফলোয়ার্স বাড়ানোর জন্য আপনি চেষ্টা করবেন তখন অবশ্যই আপনার কনটেন্ট এর উপরে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

মনে করুন আপনার ঘরে যেমন প্রতিদিনের খবরের কাগজ আসে আর আপনি সেটা আসলে তুলে রাখেন পড়ার জন্য। এর পাশাপাশি আপনি একটি বিজনেস পেজ ওপেন করতে পারেন। এছাড়া আপনার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের মাধ্যমে সকলের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন। আপনি চাইলে আগামীতে কি হতে চলেছে, কোন কিছু প্রোডাক্ট সম্পর্কে সকলের সাথে সেই প্রোডাক্টের সবকিছু শেয়ার করতে পারেন।

তবে কোন কিছু পোস্ট করার নামে যেমন তেমন সবকিছু পোস্ট করা যাবে না। এর ফলে আপনার একাউন্টে লাইক, শেয়ার অনেক বেশি কম হয়ে যাবে, এর ফলে ক্রেডিবিলিটির উপরে প্রশ্ন উঠতে পারে।

ইউনিক কিছু পোস্ট করুন:

প্রতিটি মানুষ কিছু না কিছু ইউনিক জিনিস জেনে থাকবেন আর সেটি যখন সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হবে তখন কিন্তু তার চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। নতুন কিছু শেখা যাবে সেই কারণে আপনি যা জানেন আপনি যা পারেন সেটি সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিন। এর ফলে আপনার একাউন্ট অনেক বেশি উন্নতির শিখরে উঠতে থাকবে।

যদি আপনি সকলের মাঝে সঠিক তথ্য প্রদান করে থাকেন তাহলে কিন্তু ধীরে ধীরে আপনার ফলোয়ার্স বাড়তে থাকবে। আপনাকে সবাই ভালবাসতে শুরু করবে, আর আপনার দ্বারা দেওয়া সমস্ত তথ্য-এর উপরে চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে পারবেন সকলে।

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে উপার্জন:

যখন যখনই আপনার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে অডিয়েন্সের সংখ্যা বাড়তে থাকবে ততই কিন্তু আপনি উপার্জন করতে থাকবেন। এছাড়া কোন কোম্পানির প্রোডাক্টের প্রমোশনের জন্য এমন কিছু করতে পারেন এর ফলে আপনি একটি কন্টেন্ট পাবেন, আর এর পরিবর্তে আপনি উপার্জনও করতে পারবেন।

কয়েক হাজার থেকে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা যেতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কোনরকম টাকা বিনিয়োগ না করে। আপনার একটি পোস্টে যত বেশি লাইক কমেন্ট আসবে ততই কিন্তু আপনার উপার্জন বাড়তে থাকবে। তবে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যে কোন রকম ভুল যেন না হয়। একটি সামান্য ভুলও কিন্তু আপনার সাথে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম থেকে আপনাকে আলাদা করতে পারে।

ব্লগিং, ইউটিউব, ফেসবুকে কোন কিছু পোস্ট করে উপার্জন করছেন এমন মানুষ প্রচুর রয়েছেন। আপনিও কিন্তু কোন রকম টাকা বিনিয়োগ না করে শুধুমাত্র কিছু সময় ব্যয় করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে নিজের একাউন্ট তৈরি করে সেখানে পোস্ট করতে পারেন।

এর ফলে প্রতিনিয়ত আপনার পোস্ট দেখার জন্য কিছু মানুষের আগ্রহ জাগতে থাকবে। তবে অবশ্যই সেই পোস্টগুলি কাজের হতে হবে। আর সেগুলি দেখতে যেন খুবই ভালো হয়, সকলে পছন্দ করে থাকেন, এমন ভাবে পোস্ট করতে হবে। এর ফলে প্রতিনিয়ত এই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে উপার্জন করতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *