Goat Farming Business Idea in Bengali – কম বিনিয়োগে ছাগল ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে? ছাগল ব্যবসার প্রচুর চাহিদা লক্ষ টাকা ইনকাম হবে, জানুন সবকিছু ছাগল ব্যবসা সম্পর্কে।
গ্রাম্য পরিবেশে গৃহপালিত পশুর মধ্যে গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি এমন অনেক কিছুই রয়েছে। তবে বর্তমানে ছাগল চাষের পদ্ধতি অবলম্বন করে অনেকেই লাভবান হয়েছেন এবং ব্যবসা করে বেশ ভালো মোটা টাকা উপার্জন করছেন। ছাগল ব্যবসা করতে গেলে সরকার থেকে আর্থিক সহযোগিতা ও পাবেন তাই নিজের কাছে কিছু পুঁজি থাকার পাশাপাশি সরকার থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়েও এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন খুবই ছোট স্তরে।
আজ শুধুমাত্র গ্রামেই নয় শহরের বাড়ির ছাদে অথবা ছোট্ট কোন জায়গায় অনেকেই ছাগল চাষ করে উপার্জন করছেন। বাজারে খাসির মাংসের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন জায়গায় ছাগল চাষ করা হয়ে থাকে। আর আপনি যদি এই ব্যবসাটি শুরু করেন তাহলে খুব কম সময়ের মধ্যে ব্যবসাটিকে বড় করতে পারবেন, প্রতি মাসে ভালো উপার্জনও করতে পারবেন।
ছাগল ব্যবসা করে মোটা টাকা উপার্জন করুন
ভারতের কোনায় কোনায় এই ব্যবসাটির চাহিদা রয়েছে প্রচুর, তাছাড়া খুবই কম টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা যায় ব্যবসাটি থেকে। রাজ্য সরকার থেকে ৯০% পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। তাছাড়া যে কোন ব্যাংক থেকে লোনও নিতে পারবেন। NABARD থেকেও ছাগল চাষ করার জন্য লোন এর সুবিধা রয়েছে।
যদি আপনি খুবই কম টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে কয়েক হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে চান তাহলে এমন একটি ব্যবসার কথা আপনি চিন্তা করতে পারেন। ছাগল ব্যবসা করে অনেকেই খুবই কম সময়ের মধ্যে প্রতি মাসে কমপক্ষে ২ লাখ পর্যন্ত উপার্জন করছেন।
যদি আপনার ঘরের পাশে অল্প কিছু জায়গা থাকে সেখানেও খুবই ছোট স্তরে অল্প টাকা বিনিয়োগ করে ছাগল চাষ করে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। ছাগল চাষ করার সাথে সাথে ছাগলের দুধ এবং মাংস দুটোই কিন্তু নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য। আর খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসার চাহিদা কখনোই কমে যায় না।
ছাগল ব্যবসাতে সরকারি আর্থিক সহযোগিতা ও ছাড়
আরো অন্যান্য ব্যবসার মতোই এই ব্যবসাতে সরকার থেকে আর্থিক সহযোগিতা পাবেন। কেন্দ্র সরকার এই ব্যবসার জন্য ৩৫% পর্যন্ত ছাড় দিয়ে থাকে আবার রাজ্য সরকার ৯০% পর্যন্ত ছাড় দিয়ে থাকে।
তাছাড়া আপনার কাছে যদি তেমন পুঁজি না থাকে তাহলে কোন ব্যাংক থেকে লোনও নিতে পারবেন। গ্রামীণ অর্থ ব্যবস্থাতে এই ব্যবসা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অন্যান্য গৃহপালিত পশুর তুলনায় ছাগল চাষ করতে খরচ খুবই কম হয়, কেননা খুবই কম জায়গাতে রাখা যায় তাদের এবং এক একটি ছাগল এর জন্য প্রতিদিন দুই কিলো খাবার এবং আধা কিলো দানা শস্য পর্যাপ্ত থাকে।
কিভাবে ছাগল ব্যবসা করতে পারেন?
বাড়িতে বসে খুবই অল্প পরিসরে খুবই কম টাকা বিনিয়োগ করে কিছু ছাগল কিনে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন, তাছাড়া অনেকেই আবার ছোট বাচ্চা ছাগল কিনে থাকেন আপনি সেখানেও বিক্রি করতে পারেন। আবার ছাগলের দুধ বিক্রি করতে পারেন বা বড় ছাগল কোন খাসির মাংসের দোকানে বিক্রি করতে পারেন।
মোটকথা একবার যদি ব্যবসাটি শুরু করেন তাহলে কিন্তু প্রতি মাসে উপার্জন আসতেই থাকবে। আবার অনেকেই একসাথে অনেকগুলো ছাগল বিক্রি করেও বেশ অনেকটা টাকা উপার্জন করে থাকেন, সেটা ৬ মাস হোক অথবা এক বছর পর।
কম খরচ এবং বেশি লাভ
এমন ব্যবসার সন্ধান অনেকেই করে থাকেন যেখানে অল্প টাকা বিনিয়োগ করে বেশি টাকা লাভ করা যায়। তেমনি এই ব্যবসাটি থেকেও তেমনি মোটা টাকা উপার্জন করা যেতে পারে।
ছাগলের দুধ বাজারে খুবই চাহিদা সম্পন্ন আবার এই দুধে অনেক রোগ সেরে যায় বলে বিশেষভাবে অনেকেরই চাহিদা থাকে এবং তেমন একটা পাওয়া যায় না বলেই এর দামও অনেক। তাই ছাগলের দুধ বিক্রি করেও আলাদাভাবে উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়া লাভের কথা বলতে গেলে ১৮ টি ছাগল থেকে বছরে ২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা উপার্জন করা যেতে পারে।
আবার আরো অন্যান্য ছাগল থেকেও ১ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা উপার্জন করা যায়। বাড়িতে দুধ ও মাংসের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বাজারেও চাহিদা মেটানো যায় ছাগল চাষ করে। ছাগলের দুধ মানব শরীরের জন্য খুবই উপকারী এবং মানব শরীরের রক্তের প্লেট খুবই তাড়াতাড়ি বাড়িয়ে তোলে বলে এই দুধের চাহিদা প্রচুর। তাই সারা বছর ধরে ছাগলের দুধ বিক্রি করেও আলাদা করে উপার্জন করতে পারবেন।
প্রতিটি ব্যবসার তুলনায় এই ব্যবসাতেও একটুখানি পরিশ্রম আর দেখভাল এর প্রয়োজন বেশি রয়েছে। আর ছোট ছোট ছাগল ছানা নিয়েও হয়তো আপনার সময় কেটে যাবে খুবই ভালোভাবে। এই ব্যবসাটির মাধ্যমে নিজের আর্থিক সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি আশে পাশের মানুষের দুধ ও মাংসের চাহিদাও পূরণ করতে পারবেন এবং যাঁরা ছাগল কিনে ছোটখাটো ব্যবসা করতে চান তাঁরাও কিন্তু আপনার থেকে ছাগল কিনতে পারবেন। পশু পালনে যদি আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই ব্যবসাটি করে খুবই কম সময়ের মধ্যে লাভবান হতে পারবেন।