Biscuit Making Business Idea 2024 (বিস্কুট তৈরির ব্যবসা 2024): How to Start Biscuit Making Business in India? | Biscuit Making Business Idea and Plan in Bengali | Ways to Start a Small Scale Biscuit Manufacturing Business in Bengali.
প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিস্কুট কিন্তু একটি অতিপ্রয়োজনীয় জিনিস। ছোট থেকে বড় সবাই বিস্কুট খেতে পছন্দ করেন। তাছাড়া চায়ের সাথে বিস্কুট না হলে ঠিক জমে না, তাই না! আর তাইতো বিস্কুটের এতটা চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে।
মার্কেট এর আগে অনেক রকমের বিস্কুট রয়েছে আর এই বিস্কুট বানানো কোম্পানি ও নেহাত কম নয়। যারা নানা রকম স্বাদের বিস্কুট বানিয়ে মার্কেটে বিক্রি করছে এবং তা থেকে প্রচুর পরিমানে উপার্জন করছে।
বিস্কুটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বাচ্চাদের হয়। বাড়িতে ব্রেকফাস্ট থেকে স্কুলের টিফিন বক্স পর্যন্ত বাচ্চারা বিভিন্ন স্বাদের বিস্কুট খেতে পছন্দ করে। আর সারা বছর এর চাহিদা একই রকম থাকে। বলতে গেলে দিনবদলের সাথে সাথে আরও বেড়ে চলেছে বিভিন্ন স্বাদের বিস্কুটের চাহিদা। চলুন জানা যাক এই ব্যবসাটি শুরু করতে গেলে কি কি প্রয়োজন:
বিস্কুট তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী:
সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন রকমের বিস্কুট তৈরি করা হয়। আর সেই কারণে এক এক রকমের বিস্কুট তৈরি করার জন্য বিভিন্ন রকমের সামগ্রির প্রয়োজন হয়।
যেমন উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, যদি আপনি সুগার ফ্রি বিস্কুট বানাতে চান তাহলে কিন্তু সেখানে সাধারণ সামগ্রী আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না। তেমনি সাধারণ এমন অনেক বিস্কুট আছে যেগুলিতে বিভিন্ন রকমের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়।
বিস্কুট তৈরি করার জন্য কি কি সামগ্রী প্রয়োজন হয়:
১) গমের আটা: গমের আটা আপনি খুব সহজেই যেকোনো জায়গা থেকে পেয়ে যাবেন। এই আটার দাম যদি বলা হয়, তাহলে আপনি যেমন কোয়ালিটির আটা নেবেন তেমনি দাম পড়বে। সে ক্ষেত্রে ৩০ টাকা কিলো পড়তে পারে এই গমের আটা। তাছাড়া আপনি যদি চান তাহলে সস্তার আটাও নিতে পারেন। যদি আপনি গমের আটার পরিবর্তে ময়দার আটার বিস্কুট বানাতে চান তাহলে ময়দার দাম কিন্তু এই দামেই পড়বে।
২) চিনি: পাউডার সুগার অথবা পাউডার চিনি আপনি যেকোন জায়গা থেকে পেয়ে যাবেন। আর এই পাউডার সুগারের দাম ৪১ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম এর কাছাকাছি হয়। তাছাড়া কোয়ালিটির উপরে আপনার দাম কম অথবা বেশি হতে পারে। তাছাড়া বিস্কুট বানানোর সমস্ত উপকরণ আপনি একটি দোকান থেকেও নিতে পারেন সে ক্ষেত্রে দাম টা অনেকটা কম হবে আপনার।
৩) ডালডা ঘি অথবা বনস্পতি তেল: সমস্ত রকমের বিস্কুট বানানোর জন্য এই তেল ব্যবহার করা হয়। খুব সহজেই আপনি পেয়ে যাবেন। যার দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু প্রতি কিলোগ্রাম।
৪) অন্যান্য সামগ্রী: এই ব্যবসাতে ব্যবহৃত আরো অন্যান্য সামগ্রী যেমন ধরুন গ্লুকোজ, পাউডার দুধ, লবণ, বেকিং পাউডার, আরও বিভিন্ন রকমের কেমিক্যাল যা কিনা সমস্ত রকমের বিস্কুট বানানোর জন্য লাগবে। আর এই সমস্ত সামগ্রী আপনি একটি দোকান থেকেই সংগ্রহ করতে পারবেন।
বিস্কুট বানানোর জন্য বিভিন্ন রকমের মেশিন:
সাধারণ বিস্কুট বানানোর জন্য চার রকমের মেশিনের প্রয়োজন পড়বে।
১) মিক্স করার জন্য মেশিন: বিস্কুট বানাতে গেলে বিভিন্ন রকমের সামগ্রী আপনাকে একসাথে মেশাতে হবে আর তার জন্য মিক্সার এর প্রয়োজন হয়। মিক্সার এর সাহায্যে আপনি এগুলো খুব সহজ ভাবে মিশিয়ে নিতে পারেন। একবারে আপনি এই মিক্সার এর সাহায্যে ২০ কিলো গ্রাম পর্যন্ত এবং তার থেকেও বেশি সামগ্রী একসাথে মেশাতে পারবেন।
আর যদি চান যে এর থেকেও বেশি মিশ্রণ তৈরি করবেন তাহলে আপনাকে বড় মিক্সার নিতে হবে। আর এই মিক্সার মেশিনের দাম যদি বলা হয়, ১ লাখের মধ্যে আপনি পেয়ে যাবেন। যদি আরো বেশি পাওয়ার সম্পন্ন মেশিন যদি নিতে চান তাহলে দামটা হয়তো আরো বেশি হতে পারে।
২) ড্রপিং মেশিন: এই মেশিন ব্যবহার করে আপনি আপনার বিস্কুটের যে আকার বা আকৃতি দিতে চান সেটা দিতে পারবেন। আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন যে বাজারে বিভিন্ন রকমের আকারের বিস্কুট পাওয়া যায়। সেগুলি খুব আকর্ষণীয় হয়। যদি এই মেশিনের দাম বলা হয় তাহলে ৫ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত পড়তে পারে।
তবে এই মেশিনটি কেনার সময় এটা অবশ্যই জেনে নেবেন যে সেই মেশিনটি কত সময়ের মধ্যে কত বিস্কুটের আকার আকৃতি দিতে পারে। যার ফলে আপনি একটা আন্দাজ করতে পারবেন যে আপনি কত সময়ের মধ্যে কত বিস্কুট বানাতে পারবেন।
৩) বেকিং ওভেন মেশিন: এই মেশিনের সাহায্যে বিস্কুট তৈরি করা হয়। যার পর বিস্কুট গুলি খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে ওঠে। এই মেশিনের ব্যবহারে শুধুমাত্র বিস্কুট বানাতে পারবেন, তা নয়। যদি আপনি মনে করেন তাহলে কেক, ব্রেড টাইপের বেকারি জিনিসপত্র বানাতে পারবেন। এই মেশিনের দাম নির্ভর করবে আপনি কত বড় মেশিন নিতে চাইছেন তার উপরে, তাছাড়া এই মেশিনের দাম সবথেকে কম অথবা শুরু বলতে গেলে ৪ লাখ টাকা থেকে।
৪) বিস্কুট প্যাক করার মেশিন: যখন আপনার সমস্ত বিস্কুট। একেবারে তৈরি হয়ে যাবে এবং খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে যাবে তখন এগুলিকে প্যাকেজিং করতে হবে অবশ্যই কেননা বিস্কুট মুচমুচে এবং ভালো থাকার জন্য ভালোভাবে প্যাকিং করাটা অবশ্যই জরুরি। আর এই বিস্কুট প্যাক করার জন্য আপনার প্যাকিং মেশিন এর প্রয়োজন পড়বে।
খুব সহজেই অল্প সময়ের মধ্যে আপনার তৈরি করা বিস্কুট প্যাকিং করতে যে মেশিনটি লাগবে সে মেশিনের দাম ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা, এর মধ্যে আপনি পেয়ে যাবেন।
যদি আপনার কাছে বেশি বাজেট না থাকে, তাহলে হাতেও এই বিস্কুট প্যাক করতে পারেন। যদিও হাতে বিস্কুট প্যাক করতে গেলে কিছুটা সময় লাগে।
মেশিন কোথায় থেকে কিনবেন:
এই ব্যবসার জন্য যে চার রকমের মেশিনের প্রয়োজন পড়বে, আপনি অনলাইনে নিচে দেওয়া এই লিংক গুলির মাধ্যমে কিনতে পারেন। তাছাড়া মার্কেটে গিয়েও এই মেশিন আপনি কিনতে পারেন।
বাজার থেকে যখন মেশিন কিনবেন তখন মেশিনের দাম নিয়ে আলোচনা করতে পারেন, তাতে হয়তো কিছুটা কম হতে পারে এবং মেশিনের সম্পর্কে সমস্ত রকমের তথ্য, কেমন ভাবে কাজ করে, কেমন ভাবে বিস্কুট তৈরি হয় এবং কত সময়ের মধ্যে কত বিস্কুট তৈরি করতে পারবে, সমস্ত রকমের তথ্য কিন্তু মেশিন কেনার আগে ভালোমতো জেনে নেবেন।
Bakery Biscuit Machines | Click here |
বিস্কুট বানানোর প্রক্রিয়া:
বিস্কুট তৈরি করার জন্য সবার প্রথমে যা যা সামগ্রী প্রয়োজন হয় সেগুলি একসাথে মিক্সার এর সাহায্যে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর মিক্সার এর সাহায্যে তৈরি হওয়া মিশ্রন ড্রপিং মেশিনের মধ্যে দিয়ে বিস্কুট এর আকার দিতে হবে। বিভিন্ন রকম আকারের বিস্কুট তৈরি হয়ে যাওয়ার পর বেকিং মেশিনের সাহায্যে বিস্কুট গুলিকে বেক করতে হবে। তবে খাওয়ার উপযুক্ত হবে।
তবে এখানেই কিন্তু আপনার কাজ শেষ নয়। ওই বিস্কুট আপনাকে প্যাক করতে হবে। যার পর বাজারে বিক্রি করার জন্য তৈরি হয়ে যাবে। বিস্কুটের প্যাকেট গুলি আপনি চাইলে হাতেও প্যাকেট করতে পারেন, অথবা প্যাক করার জন্য মেশিন পাওয়া যায় সেটাও কিনতে পারেন।
ছোট স্তরে অথবা ঘর থেকে ব্যবসাটি কি শুরু করা যায়?
অবশ্যই শুরু করা যায়, আপনি যদি খুব ছোট আকারে ঘর থেকে এই ব্যবসাটি করতে চান তাহলে অনায়াসে শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি ঘর থেকে শুরু করার জন্য শুধুমাত্র আপনার ওভেনের প্রয়োজন পড়বে। তাছাড়া যা যা সামগ্রী দরকার বিস্কুট বানাতে গেলে সেগুলো তো আছেই।
ঘরে বিস্কুট বানানোর প্রক্রিয়া:
ঘর থেকে বিস্কুট বানাতে গেলে ৩-৪ জন কর্মচারী নিয়ে আপনি হাতের সাহায্যে বিস্কুট বানিয়ে সেগুলিকে ওভেনের মধ্যে দিয়ে তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতে পারেন, চলুন জানা যাক কিভাবে ঘরে বিস্কুট বানাবেন।
১) সবার প্রথমে গমের আটার সাথে অথবা আপনি চাইলে ময়দা ও নিতে পারেন তার সাথে চিনি, স্বাদমতো লবণ, বেকিং পাউডার আর ওপরে যে যে সামগ্রী গুলি বলা হয়েছে-সেগুলো মেশাতে পারেন। তবে সেগুলি যেন খুবই অল্প পরিমাণে হয়।
এই সমস্ত সামগ্রী গুলি ভালোভাবে মিশিয়ে নেওয়ার পরে এর মধ্যে সামান্য পরিমাণ ঘি অথবা মাখন মেশাতে হবে। হাতের সাহায্যে ভালো করে মিশ্রণটি তৈরি করুন তারপর কিছুক্ষণ রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর সেই মিশ্রণ থেকে বিস্কুট হাতের সাহায্যে তৈরি করুন। দেখবেন কাঁচা বিস্কুট তৈরি হয়ে গেছে।
২) এরপর ওই কাঁচা বিস্কুট গুলিকে ওভেনের মধ্যে দিয়ে বেক করতে হবে। যদি আপনার কাছে ওভেন কেনার মতো টাকা না থাকে তাহলে কয়লার আঁচের উপরে বিস্কুট গুলিকে তৈরি করতে পারেন।
৩) বিস্কুট গুলি তৈরি হয়ে যাওয়ার পর আপনি হাতের মাধ্যমে এগুলাকে প্যাকেট করুন। কিছু প্লাস্টিকের ব্যাগ আপনার প্রয়োজন পড়বে। তারপর মোমবাতির সাহায্যে প্যাকেটের মুখগুলি আটকে দিন।
যার ফলে বিস্কুট বাইরে যেন বেরিয়ে আসতে না পারে, এবং বাইরের হাওয়া বাতাস যেন প্যাকেটের মধ্যে না যেতে পারে। এমন ভাবে ব্যবসাটা চালাতে পারেন এবং পরবর্তীতে ব্যবসা কে বড় আকারে নিয়ে যেতে পারেন।
বিস্কুট বানানোর এই ব্যবসাতে রেজিস্ট্রেশন:
এই ব্যাবসাটিকে সরকারের অন্তর্গত রেজিস্ট্রেশান করাতে হবে। যেহেতু এটি একটি খাদ্য সেহেতু কিছু লাইসেন্স প্রয়োজন হয়ে থাকে। খাদ্যের সঠিক গুণবত্তা ও সঠিক দাম ইত্যাদি ব্যবস্থিত করতে এই কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়।
১) ব্যবসার নাম নথিভূক্ত করতে হবে:
আপনি যে ব্যবসাটি করবেন বিস্কুটের, তার নিশ্চয় নাম রাখবেন, আর সেই নাম টি এমন ভাবে রাখুন যাতে আকর্ষণীয় হয় এবং বলতে সুবিধা হয়। নাম ঠিক করার পর এই ব্যবসার সাথে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এমনভাবে আপনার ব্যবসার নাম কিন্তু অন্য কেউ চুরি করে নিতে পারবে না।
আর আপনার এই ব্যবসা নামের সাথে আপনি অনায়াসেই নিশ্চিন্তে বিস্কুট বিক্রি করতে পারবেন। আপনার শহরে অথবা গ্রামে এই কাজের সাথে যুক্ত সরকারি দপ্তরে গিয়ে ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন করে নিন।
২) ট্রেড লাইসেন্স:
আপনার ব্যবসাটি শুরু করার আগে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে রাখতে হবে অবশ্যই। যে কোন ব্যবসা করতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
৩) এফ এস এস এ আই লাইসেন্স:
ট্রেড লাইসেন্স করিয়ে নেওয়ার পর ভারতীয় খাদ্য সংরক্ষণ এবং মানব প্রাধিকরণ থেকে FSSAI এই লাইসেন্স করাতে হবে। কেননা এফ এস এস এ আই কোন খাদ্যবস্তুকে পরীক্ষা করে দেখে সেটি খাওয়ার উপযুক্ত কিনা এবং শরীরের কোন ক্ষতি হবে কিনা।
যদি আপনার তৈরি খাবার অথবা যে বিস্কুটের ব্যবসাটি আপনি করবেন সেগুলো যদি খাওয়ার উপযুক্ত হয় এবং কোন রকম অসুবিধা না থাকে তবেই আপনি এগুলি মার্কেটে বিক্রি করার অনুমতি পাবেন। যে কোন খাওয়ার জিনিস এই লাইসেন্স ছাড়া বিক্রি করা যায় না। আর সেই জন্য এই লাইসেন্স করার জন্য আপনার কিছুটা খরচ হতে পারে।
প্যাকেজিং এবং বাক্সের প্রয়োজন:
আপনি তৈরি করা বিস্কুট গুলিকে প্যাক করার জন্য আপনার কোম্পানির নাম, লোগো, সবকছু তথ্য দিয়ে প্যাকেট বানাতে পারেন, অথবা বক্স বানাতে হবে। আর সেই প্যাকেটের গায়ে এফ এস এস এ আই লেখাটা থাকাটা অবশ্যই জরুরি।
বিস্কুটের প্যাকেট একটি কার্ড বক্সের ভিতরে প্যাক করতে হবে আর সেই কার্টুন বক্সের মধ্যে আপনার কোম্পানির নাম লিখতে একেবারেই ভুলবেন না। তাছাড়া এই ব্যবসাটি শুরু করার আগে কোন ব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগ করুন যে ব্যবসায়ী আপনার প্যাকেট এবং বক্স বানিয়ে দেবে। এই কাজের জন্য আপনার কিছুটা টাকা খরচ হবে সেটা আমি ইনভেস্টমেন্ট এর মধ্যে ধরে নিতে পারেন।
বিস্কুট বানানোর জন্য জায়গা নির্বাচন:
এই ব্যবসাটি করার জন্য কম করে হাজার বর্গ মিটার জায়গা প্রয়োজন পড়বে। আর এত বড় জায়গার ভাড়া নিশ্চয়ই অনেকটাই হবে।
এই জন্য শহরের বাইরে এরকম কোন জায়গায় আপনি ভাড়া নিন, কেননা শহরের বাইরে গেলে একটু কম দাম পড়বে। তবে জায়গা নেওয়ার সময় ট্রান্সপোর্টের সুবিধাটা অবশ্যই দেখে নেবেন।
কর্মচারী নির্বাচন:
যদি আপনি শহরের বাইরে ব্যবসা করার জন্য জায়গা নিয়ে থাকেন তাহলে সেখানকার স্থানীয় কোন কর্মচারী আপনার এই ব্যবসাতে রাখতে পারেন এমন করলে আপনি খুব কম টাকা দিয়ে কাজ করার জন্য কর্মচারী পেয়ে যাবেন।
তাছাড়া কর্মচারীদের কাজে রাখার আগে অবশ্যই মেশিন সম্পর্কে সমস্ত তথ্য তাদের জানিয়ে ট্রেনিং দিয়ে তবেই কাজে রাখুন।
বিস্কুট বানানোর জন্য সাবধানতা অবলম্বন:
যে জায়গাতে আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে চাইছেন সেই জায়গায় সুরক্ষার জন্য আপনার কিছুটা খরচ হতে পারে। বিদ্যুতের পরিষেবা অবশ্যই চেক করে নেবেন কেননা পরবর্তীতে কোনো রকম অসুবিধা যেন না হয়।
তার সাথে সাথে আগুন ধরে যেতে পারে এমন জিনিসপত্রগুলি বিদ্যুৎ এর কাছাকাছি একেবারেই রাখবেন না।
এই ব্যবসার জন্য মার্কেটিং:
আগে থেকেই মার্কেটে প্রচুর পরিমাণে বিস্কুটের কোম্পানি বিস্কুট বিক্রি করছে। আর সেই কারণে আপনার এই ব্যবসার জন্য খুব ভালোভাবে মার্কেটিং করতে হবে। ব্যবসার শুরুতে কিছু সস্তা মার্কেটিং বিকল্প নির্বাচন করুন।
তারপর আস্তে আস্তে যখন আপনার ব্যবসাটি বড় হবে তখন আপনার মার্কেটিং এর বিষয়ে একটু বেশি করে ভাবতে পারেন। যেমন ধরুন বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য টিভি, রেডিও, খবরের কাগজ সোশ্যাল মিডিয়াতে তো এমনিতেই আপনি প্রথম থেকেই বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।
বিস্কুট বানানোর ব্যবসাতে বাজেট এবং লোন এর সুবিধা:
এই ব্যবসাটি শুরু করতে গেলে কম করে আপনার কাছে ৩৫ লাখ টাকা থাকতে হবে অর্থাৎ সম্পূর্ণ ব্যবসাটি গুছিয়ে নিতে গেলে আপনার ৩৫ লাখ টাকা পড়তে পারে। যদি আপনার কাছে এত টাকা না থেকে থাকে তাহলে ব্যাংক থেকে এই ব্যবসার জন্য লোন নিতে পারেন।
সারাবছর চলতে পারে এই ব্যবসাটি অধিক লাভ দায়ক আর সেই কারণে বড় আকারে শুরু করতে গেলে আপনার এত টাকা খরচ হতে পারে।
বিস্কুট বানানোর ব্যবসাতে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে:
যেহেতু বাজারে আগে থেকেই নানা রকমের বিস্কুট আছে আর এই বিস্কুট বানানোর জন্য আপনার অন্যরকম মেশিন এবং সামগ্রী প্রয়োজন পড়তে পারে উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, আপনি যদি ক্রিম বিস্কুট বানাতে চান তো আপনাকে ক্রিম বানানোর মেশিন কিনতে হতে পারে। আর সেই কারণেই আপনি প্রথমে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি কি রকমের বিস্কুট বানাতে চাইছেন।
এছাড়াও নিজের বাজেট সম্পর্কে ভালো মত একটা সিদ্ধান্ত নিন, যে কত টাকা পর্যন্ত আপনি এই ব্যবসাতে ইনভেস্ট করতে পারবেন। এই সমস্ত বিষয়গুলি নির্বাচন করে নেওয়ার পর অনায়াসেই আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। তাছাড়া ঘরে থেকে খুব ছোট আকারে ও ব্যবসাটি শুরু করা যায়।
ভারতে বিস্কুট ব্যবসার চাহিদা:
কোন ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে সবার প্রথমে এই বিষয়ের উপরে খেয়াল রাখতে হবে যে, যে ব্যবসাটি আপনি শুরু করতে যাচ্ছেন আপনার দেশে সেই ব্যবসাটার চাহিদা কতটা। এমন অনেক ব্যবসা রয়েছে যা কিনা অন্য দেশে খুব ভালভাবে চলে কিন্তু আপনার দেশে হয়তো একেবারেই চলে না।
সেদিকে খেয়াল রাখবেন ভালোভাবে। সমস্ত রকমের তথ্য সংগ্রহ করার পর চাহিদা বুঝে তবেই সেই ব্যবসাতে আপনার নামতে হবে। তবে ভারতে বিস্কুটের চাহিদা প্রচুর। এই ব্যবসাটি আপনি অনায়াসেই শুরু করতে পারেন।
এই ব্যবসা থেকে লাভ:
যেহেতু বিস্কুট ব্যবসা বড় ব্যবসা, ভারতের ৯০ % মানুষ বিস্কুট খেয়ে থাকেন। প্রত্যেক ঘরে এর উপস্থিতি আছেই। সে ক্ষেত্রে আপনি আন্দাজ করতেই পারেন যে, এই ব্যবসা থেকে কতটা পরিমাণ লাভ অথবা উপার্জন করতে পারবেন আপনি। তাছাড়া আপনি কত টাকা খরচ করে বিস্কুট বানাচ্ছেন তার উপরেও নির্ভর করবে আপনার এই ব্যবসায় লাভ।
যদি আপনি এই ব্যবসার জন্য যে সমস্ত সামগ্রী ব্যবহার করছেন সেগুলি দাম অনেক বেশি হয় সেক্ষেত্রে আপনার লাভটা একটু কম হতে পারে। আবার যদি সেই জায়গায় কমদামের সামগ্রী, মেশিন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে লাভটা বেশি হবে। তাছাড়া বিস্কুটের প্যাকেট এর উপরে আপনি দোকানদারকে কতটা ছাড় দিচ্ছেন তার উপরেও নির্ভর করবে এই ব্যবসার লাভ।
যেমন ধরুন ৫ টাকার বিস্কুটের প্যাকেট এ কোম্পানি ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে বলাই যায় যে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ছোট স্তরে আপনি উপার্জন করতে পারবেন। তাছাড়া বড় স্তরে গেলে এটা লাখ থেকে কোটি টাকায় যেতে পারে আপনার উপার্জন।