Artificial Jewellery Making Business Idea in Bengali – কম টাকায় আর্টিফিশিয়াল জুয়েলারি ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে? হাতে তৈরি অলংকার ব্যবসার কত চাহিদা? কত টাকা ইনকাম হবে? কি কি প্রয়োজন হবে? জানুন সবকিছু আর্টিফিশিয়াল জুয়েলারি ব্যবসা সম্পর্কে।
অনেক আগে থেকেই মেয়েদের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অলংকারের তুলনা নেই। তাছাড়া যদি সেই অলংকার সোনার হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। কিন্তু সকলের তো আর সোনার গয়না কেনার সামর্থ্য থাকে না, এছাড়াও সোনার গয়না সবসময় পরাও যায় না এবং সব জায়গায়ও পরা যায় না। সেই কারণে এই ফ্যাশনের প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন স্টাইলের অলংকার বাজারে রীতিমতো ঝড় তুলে দিয়েছে।
প্রতিটি জামার রং এর সাথে ম্যাচিং করে এবং পছন্দের ছোট থেকে বড় বিভিন্ন ধরনের জুয়েলারি চোখে পড়ার মত। মেয়েদের সাজ সজ্জায় এই জুয়েলারি না হলেই যেন চলেই না। সোনা রুপার অলংকারের পাশাপাশি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল জুয়েলারি অর্থাৎ হ্যান্ডমেড/হাতে তৈরি এমন অনেক গয়না রয়েছে যার চাহিদা রয়েছে প্রচুর।
চোখ ধাঁধানো ডিজাইনের সাথে এগুলি সকল ক্রেতাদের নজর কাড়বেই। এই আর্টিফিশিয়াল জুয়েলারির ব্যবসাটি বর্তমান বাজারে ব্যাপক হারে চলছে। আশা করা যায় ভবিষ্যতেও এর চাহিদা আরো বেশি বাড়বে। তাইতো অনেকেই এই জুয়েলারির ব্যবসা করে লাখপতি হয়ে গেছেন। তাহলে আপনি কেন পিছিয়ে রয়েছেন ! মাথায় যদি ব্যবসা করার চিন্তা থাকে আর হাতে যদি থাকে ৫০,০০০ টাকা তাহলে খুব সহজেই এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন একেবারে ঘরে বসে।
হাতে তৈরি অলংকারের ব্যবসা :
যেদিন থেকে ব্যবসাটি শুরু করবেন সেই দিন থেকেই আপনার উপার্জন শুরু হয়ে যাবে এটা বলাই যায়। এগুলি আপনি কোন পাইকারি বাজার থেকে কিনে এনে লাভ রেখে বিক্রি করতে পারেন অথবা নিজে তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। আবার কিছু কর্মচারী রেখে তাঁদের দিয়ে তৈরি করেও সেগুলি বাজারে বিক্রি করতে পারেন।
আর যদি নিজে তৈরি করে নিজের একটি ছোট্ট দোকানে সেগুলি সাজিয়ে বিক্রি করেন তাহলে তো আরো বেশি লাভ রাখতে পারবেন। শুধুমাত্র বাজারেই নয় অনলাইনে এবং বিভিন্ন জায়গায় ডেলিভারি দিয়েও এগুলি বিক্রি করে প্রতিমাসে কয়েক হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা যেতে পারে।
অনেকেই হয়তো জেনে থাকবেন যে আর্টিফিশিয়াল জুয়েলারির এই মার্কেট খুবই বড়। এর ভিতরে বিভিন্ন ধরনের অলংকার পাওয়া যায়, যা মেয়েদের সাজ সজ্জার চাহিদা পূরণ করে। আর এই চাহিদা বরাবরই ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
আপনি যদি মনে করেন তাহলে ১০,০০০ টাকা নিয়েও খুবই ছোট স্তরে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। তারপর ধীরে ধীরে বিক্রি বেড়ে গেলে আবার কিছু টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসাটি বাড়াতে পারেন।
আর্টিফিশিয়াল জুয়েলারির ব্যাপক চাহিদা:
সোনা অথবা রুপা এর অলংকার এর দাম এত পরিমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে যে সাজ সজ্জায় আর্টিফিশিয়াল জুয়েলারি একমাত্র ভরসা। সবার তো আর সোনা ও রুপার গহনা তৈরি করার সামর্থ্য থাকে না, তাই না !
বিভিন্ন ধরনের আধুনিক ডিজাইনের হাতে তৈরি এই অলংকার সকলের নজর কেড়েছে। তাছাড়া স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে বাড়ির গৃহবধূ ও মডেল থেকে সমস্ত মেয়েরা সোনার গয়না থাকার পাশাপাশিও এই গয়নাগুলি পরতে ভীষণ পছন্দ করেন।
কেননা এগুলি খুবই কম দামে পাওয়া যায় এবং খুবই জাঁকজমক হয় আবার পছন্দ মতো হয়ে থাকে। ড্রেস হোক অথবা কোন শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে পরা যেতে পারে তাই এর চাহিদা অনেক। এই অলংকারের ব্যবসাটি পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ব্যবসা বলে মনে করা হয়। আর এর ভারতীয় অর্থ ব্যবস্থাতে জিডিপির (GDP) যোগদান ৫.৯ শতাংশ।
আর্টিফিশিয়াল জুয়েলারির ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?
এই ব্যবসাটি শুরু করতে গেলে খুবই কম টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন, কোন খুচরা বাজারে বিক্রি করতে পারেন অথবা অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন বা পাইকারি বাজারেও বিক্রি করতে পারেন।
আবার নিজে থেকে ডিজাইন করা বিভিন্ন ধরনের হাতে তৈরি জুয়েলারি তৈরি করেও বিক্রি করতে পারেন। একেবারে কম খরচে বেশি টাকা উপার্জন করার মাধ্যম বলা যেতে পারে এই আর্টিফিশিয়াল জুয়েলারির ব্যবসাটিকে।
আর্টিফিশিয়াল জুয়েলারির ব্যবসা থেকে লাভ
বলা যেতে পারে যদি ভালোমতো ব্যবসাটি চলতে থাকে এবং আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সুন্দর ডিজাইন এর অলংকার তৈরি করতে পারেন তাহলে কমপক্ষে প্রতি মাসে ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা উপার্জন তো করবেনই তার পাশাপাশি যদি ব্যবসাটি আরো বড় হয় তাহলে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন।
আর যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা খুবই বড় জায়গায় এই আর্টিফিশিয়াল ব্যবসাটিকে নিয়ে গিয়েছেন অর্থাৎ যেখান থেকে প্রচুর মানুষ অলংকার নিয়ে গিয়ে ব্যবসা করছেন তাহলে সে ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে কয়েক লক্ষ টাকা উপার্জন হয় এই ব্যবসা থেকে প্রতিমাসে।
নারীদের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অলংকারের তুলনা নেই। তাই এই অলংকার গুলি সকলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পছন্দের হয়ে থাকে আর কমদামের মধ্যে বিভিন্ন ভ্যারাইটি পাওয়ার জন্য সকলেই এই জুয়েলারির উপরেই নির্ভর করে থাকেন নারীরা। সেটা কোন অনুষ্ঠান বাড়ি হোক নিজের বিয়ে হোক বা যেকোনো পার্টিতে বিভিন্ন ড্রেস ও শাড়ির সাথে পড়তে পছন্দ করেন বর্তমানের নারীরা। তাইতো এই ব্যবসাটির চাহিদা যত দিন যাচ্ছে ততই দ্বিগুণ পরিমাণে বাড়তে থাকছে।