Grocery Store Business Idea in Bengali – হার হরিত যোজনা কি? শুরু করবেন কিভাবে? সরকারি সহযোগিতায় কিভাবে মুদিখানা দোকান ব্যবসা করে টাকা ইনকাম হবে? জানুন সবকিছু হার হরিত মুদিখানা দোকান ব্যবসা সম্পর্কে।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির মধ্যে আমাদের জীবনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেটি হল মুদিখানা দোকান। এখানে চাল, ডাল থেকে শুরু করে প্রতিদিন খাবারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি শ্যাম্পু, সাবান এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যা কিছু প্রয়োজন সবকিছুই পাওয়া যায় এই দোকান থেকে।
তাহলে তো ধারণা করাই যায় এই ব্যবসার চাহিদা কতখানি। যদি কোন ব্যবসার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে সরকার থেকে সাহায্য নেওয়ার পাশাপাশি নিজের কাছে থাকা কিছুটা টাকা নিয়েও শুরু করতে পারেন এই মুদিখানা দোকানের ব্যবসাটি।
ব্যবসা শুরু করার জন্য কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকার থেকে বিভিন্ন ধরনের যোজনা চালানো হচ্ছে। এখানে বলে রাখা ভালো যে হরিয়ানা সরকার গ্রামে যুবকদের জন্য এই ব্যবসাটি শুরু করতে সাহায্য করছে এবং এর জন্য “হার হরিত (Har Harith Scheme) যোজনা” চালাচ্ছে। এই যোজনার মধ্যে গ্রাম এবং শহরে মর্ডান রিটেল স্টোর খোলা যেতে পারে। আর আপনিও কিন্তু এই ব্যবসাটি শুরু করে বেশ ভালো টাকাও উপার্জন করতে পারবেন।
মুদিখানা দোকান ব্যবসায় উপার্জন করুন প্রচুর টাকা
কাজের পাশাপাশি অনেকেই ব্যবসা করার চিন্তা করে থাকেন অনবরত। শুধুমাত্র সঠিক পরিকল্পনা এবং পুঁজির অভাবে অনেকেই এই ব্যবসা থেকে দূরে সরে আছেন আর যদি এমন কোন ব্যবসার আইডিয়া মাথায় না থেকে থাকে তাহলে আজকের এই ব্যবসার আইডিয়াটি আপনার জন্য। বর্তমানে যুব সম্প্রদায়ের সকলেই কিন্তু কাজের পাশাপাশি ব্যবসা করার দিকে বেশি ঝুঁকে থাকেন।
নিজের কাছে কিছু পুঁজি রেখে তার পাশাপাশি কেন্দ্র সরকার অথবা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই ব্যবসার জন্য সহযোগিতা নিয়ে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন গ্রাম হোক অথবা শহরে। জানা যায় সরকার এই দোকানের সমস্ত জিনিসপত্রের জন্য সহযোগিতা করে থাকে।
আর যিনি এই দোকানটি চালাবেন সেই মালিক কে অনলাইনে জিনিসপত্র অর্ডার করতে হবে। তারপর দোকানে মুদিখানার সমস্ত জিনিসপত্র চলে আসবে এতে কোনরকম চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।
সরকারি যোজনাতে কারা আবেদন করতে পারবেন
হার হরিত যোজনা অনুসারে যদি আর্থিক সহযোগিতা পেতে চান এই ব্যবসাটি করতে, তাহলে কিছু শর্ত আপনাকে মানতে হবে। এই শর্ত অনুযায়ী আপনি যদি এই যোজনার জন্য উপযুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আর্থিক সহযোগিতা পাবেন।
- যদি আপনি এই যোজনা অনুসারে ব্যবসাটি করতে চান তাহলে আপনার বয়স ২১ বছর থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে অবশ্যই হতে হবে।
- এর পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক (H.S.) পাস হওয়াটাও জরুরী।
- আবেদনকারী তাঁর দোকান শহর হোক অথবা গ্রাম যে কোন জায়গাতে খুলতে পারেন।
- আপনার আবেদনটি যখন মঞ্জুর হয়ে যাবে তখন ১০,০০০ টাকা জমা করতে হবে।
- হর হরিত স্টোর খোলার জন্য কমপক্ষে ২০০ বর্গ ফিট এর দোকান অবশ্যই থাকতে হবে।
- যদি বিনিয়োগের কথা বলা যায় তাহলে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা দিয়ে শুরু করা যাবে এই ব্যবসা।
- বলে রাখা ভালো এখানে সরকার থেকে সমস্ত ব্যবসার জিনিসপত্র উপলব্ধ করা হয়ে থাকে।
- এছাড়া এই দোকানে পশুদের জন্য খাবার, গাছের খাদ্য ইত্যাদি জিনিসপত্রও বিক্রি করতে পারেন।
সরকার থেকে জিনিসগুলি পেতে পারেন
হর হরিত স্টোর এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন নামী কোম্পানির বিউটি প্রোডাক্টও পেতে পারেন। আর এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এর জন্য আপনাকে কোন কোম্পানির ডিলার্স এর কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
সরকারের তরফ থেকে স্টোরে এই জিনিসগুলো উপলব্ধ করা হবে। শুধু তাই নয়, স্টেশনারির জিনিসপত্রও যুক্ত থাকবে। যাতে ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে আরও অনেকেরই সহযোগিতা হয়।
এছাড়া নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন চা, চিনি, রান্না করার জিনিসপত্র, চাল, ডাল, বিভিন্ন ধরনের মসলা, সবকিছুই পাওয়া যাবে। গ্রামে প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসপত্র এই দোকানে পাওয়া যাবে। এই পর্যন্ত ২,০০০ এর থেকেও বেশি হার হরিত স্টোর খোলা হয়েছে।
মুদিখানা দোকান ব্যবসা থেকে উপার্জন হবে কেমন?
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে এই দোকান থেকে বিক্রি হওয়ার জিনিসপত্র কমপক্ষে ১০% লাভ রেখে বিক্রি করা যেতে পারে। এর সাথে সাথে সময়ের উপর নির্ভর করে আরো বেশি লাভ অর্জন করা যায়।
আর দোকানের মালিক প্রতিমাসে ৫০,০০০ থেকে ৬০,০০০ এর কাছাকাছি উপার্জন করতে পারবেন। আর আরো দিন যাওয়ার সাথে সাথে এই ব্যবসাটি বেশ বড় আকার ধারণ করবে।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে স্টেশনারি জিনিসপত্র, বিউটি প্রোডাক্ট, গ্রামে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা শহরের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সবকিছু যদি একই দোকানে পাওয়া যায় তাহলে তো আর কথাই নেই।
স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও এদিক-ওদিক না ঘুরে আপনার দোকানে আসবে এবং বাড়ির সকলেই এই দোকান থেকে তাঁদের সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেয়ে যাবেন। তাই এই ব্যবসার চাহিদা এবং উপার্জন অনেক বেশি।
ব্যবসার কথা চিন্তা করে থাকলে এই ব্যবসাটি সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতার পাশাপাশি শুরু করতে পারেন আর কম সময়ের মধ্যে নিজের একটা ব্যবসায়িক জীবনযাত্রা শুরু করতে পারেন।