Apricot Oil Processing Business Idea in Bengali – নতুন ধরনের এপ্রিকট তেল তৈরির ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে? এপ্রিকট তেল তৈরির ব্যবসার কত চাহিদা? কত টাকা ইনকাম হবে? কি কি প্রয়োজন হবে? জানুন সবকিছু এপ্রিকট তেল তৈরির ব্যবসা সম্পর্কে।
প্রকৃতির মাঝে এমন অনেক ফল গাছ রয়েছে যেগুলি হয়তো অনেকেই চেনেন আবার অনেকেই চেনেন না। তবে এসব গাছ আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। আমাদের মানব জীবনে বিভিন্ন চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এগুলি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যে প্রকৃতি ছাড়া যেন কোন কিছুই ভাবায় যায় না। তেমনি একটি ফল হল “খুবানি” যাকে ইংরেজিতে Apricot বলা হয়। এপ্রিকট একপ্রকার ফল এবং এই গাছকে “এপ্রিকট গাছ” বলা হয়, এটি প্রনাস প্রজাতির উদ্ভিদ।
আর এই এপ্রিকট থেকে তেল তৈরি হয়। হারবাল প্রোডাক্ট পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুবই কম রয়েছেন। তবে তার মধ্যে এই এপ্রিকট তেল বিশেষভাবে জায়গা করে নিয়েছে। আর যদি আপনি কোন ব্যবসার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে এই এপ্রিকট তেল তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে তার থেকে মোটা টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এপ্রিকট তেল তৈরির ব্যবসায় প্রচুর উপার্জন
বর্তমানে সকলেই খুবই কম টাকা বিনিয়োগ করে বেশি টাকা উপার্জন করার চিন্তা করে থাকেন কোন ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করে। আর যদি এমন চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তাহলে অ্যাপ্রিকোট অয়েল অথবা এপ্রিকট তেল তৈরি করার ইউনিট লাগিয়ে খুব ভালো আয় করতে পারবেন। খুবই কম জায়গায় এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।
শরীরের জন্য এই তেল খুবই উপকারী হওয়ার জন্য সকলের খুবই পছন্দের আর বিক্রির মাত্রা বাড়তে থাকবে দ্বিগুণ পরিমাণে। এপ্রিকট অয়েল যাকে এপ্রিকট কর্নেল অয়েলও বলা হয়ে থাকে।
এই তেলটি কোনরকম গন্ধ যুক্ত নয়, গন্ধ ছাড়া এই তেল এপ্রিকটের বীজ অথবা কর্নেল থেকে তৈরি করা হয়ে থাকে। এই তেল খুবই হালকা হয়ে থাকে আবার পৃথিবীর কিছু কিছু জায়গায় এই তেল খাওয়ার জন্যও ব্যবহার করা হয়।
এই তেলের দুটি আলাদা আলাদা দিক রয়েছে, প্রথমত অ্যাপ্রিকোট অয়েল প্রসেসিং ইউনিট বসিয়ে উপার্জন করতে পারেন। আবার খাবার তৈরি করার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এ
ই তেলে ভিটামিন E, ভিটামিন K, ও আরো অন্যান্য উপকারী উপাদান পাওয়া যায়। তাছাড়া এই তেল সাধারণত মালিশ করার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এপ্রিকট তেল তৈরির ব্যবসাতে বিনিয়োগ
খাদি এবং গ্রাম উদ্যোগ আয়োগ (KVIC) এই ব্যবসার ইউনিট লাগানোর জন্য একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে, এখানে বলা হয়েছে যে অ্যাপ্রিকোট অয়েল প্রসেসিং ইউনিট লাগানোর জন্য প্রায় ১০.৭৯ লক্ষ টাকার প্রয়োজন পড়বে।
তাছাড়া এই ব্যবসাটি কিন্তু আপনি কমপক্ষে ২ লাখ টাকা দিয়েও শুরু করতে পারেন। আর বাকি টাকা আপনি লোন এর মাধ্যমে নিতে পারেন। এই ইউনিট লাগানোর জন্য নিজের জমি থাকতে হবে অথবা কোন জায়গা ভাড়া নিতে পারেন।
বিভিন্ন ধরনের মেশিন বসানোর জন্য ১.৫০ লাখ টাকা এবং ব্যাংকিং ক্যাপিটাল এর জন্য ৪.৩৯ লাখ টাকার প্রয়োজন পড়বে।
এপ্রিকট তেল তৈরির ব্যবসায় টাকা উপার্জন
এই ব্যবসার রিপোর্ট অনুসারে জানা যায় যে, ব্যবসাটি করে প্রতিমাসের ৬০,০০০ টাকা থেকে ৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা যাবে। আর দিন যাওয়ার সাথে সাথে যখনই যখনই আপনার ব্যবসাটি বাড়তে থাকবে তখনই কিন্তু এর আয়ও দ্বিগুণ পরিমাণে বাড়তে থাকবে।
এই তেল শরীরের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। তাই এর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। মালিশ করার ক্ষেত্রে এবং চুলের যত্নে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জানা যায় যে এই তেল ব্যবহার করার ফলে চুলের বৃদ্ধি ঘটে। তাই বোঝাই যায় বাজারে এর চাহিদা অনেকখানি।
এই ব্যবসাটি থেকে প্রতি মাসে কয়েক হাজার টাকা থেকে শুরু করে বেশ কিছুদিনের মধ্যে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা যেতে পারে।
প্রতিটি ব্যবসায় কিছু না কিছু টাকা আপনাকে বিনিয়োগ অবশ্যই করতে হবে। কোন ব্যবসাতে কম আবার কোন ব্যবসাতে একটু বেশি। তবে বেশি টাকা বলে অনেকেই হয়তো পিছিয়ে যান, সে ক্ষেত্রে লোন নিয়েও ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আর উপার্জন শুরু হওয়ার সাথে সাথে সেখান থেকে লোনের ইএমআই পরিশোধ করতে পারবেন যা সম্পূর্ণ নিশ্চিন্তায়। অবশ্যই মার্কেটিং ভালোভাবে করলে আপনার উপার্জন আরো বেশি হতে থাকবে।