Potato Chips Making Business Idea in Bengali – আলুর চিপস তৈরির ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে? আলুর চিপস তৈরির ব্যবসার কত চাহিদা? কত টাকা ইনকাম হবে? কি কি প্রয়োজন হবে? জানুন সবকিছু আলুর চিপস তৈরির ব্যবসা সম্পর্কে।
মুখরোচক খাবারের মধ্যে যে সমস্ত খাবারগুলি পড়ে তার মধ্যে পটেটো চিপস অর্থাৎ আলুর চিপস অনেকেই পছন্দ করে থাকেন বিশেষ করে বাচ্চারা তো এই চিপস খেতে ভীষণ ভালোবাসে। বাচ্চা থেকে বড় সকলেরই পছন্দের এই আলুর চিপস কারো স্বপ্নের ব্যবসা হতে পারে। কিভাবে ? তো চলুন আজকের এই ব্যবসা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা যাক।
এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাঁরা কাজের তুলনায় ব্যবসা করতে পছন্দ করেন। আর যদি সেই ব্যবসাটি খাদ্য দ্রব্যের ব্যবসা হয়ে থাকে তাহলে তা অনবরত চলতেই থাকে। আর আপনি যদি কোন ব্যবসার কথা চিন্তা করেন বা কোন ব্যবসার আইডিয়ার খোঁজ করে থাকেন তাহলে এই আলুর চিপসের ব্যবসাটি (Potato Chips Manufacturing Business) আপনার জন্য লাভদায়ক ব্যবসা হতে পারে।
হালকা খিদে অথবা স্ন্যাকস হিসাবে বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দিতে আর কিছুটা সময় কাটানোর জন্য আলুর চিপস সকলের যে খুবই পছন্দের। বাজারে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি লক্ষ্য করা যায় এই আলুর চিপসের। অনেক বড় বড় কোম্পানির আলুর চিপস পছন্দ করেন ছোট থেকে বড় সকলেই, তবে আপনিও এই আলুর চিপস ঘরে তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আলুর চিপস তৈরির ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ
খুবই কম টাকা বিনিয়োগ করে আলুর চিপসের এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। বলা যেতে পারে একেবারে ১ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। কেননা আলুর চিপস তৈরি করতে যে মেশিন প্রয়োজন পড়বে তা কমপক্ষে ৮৫০ টাকা দাম পড়বে।
এই ছোট মেশিন কিনেও এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। পরবর্তীতে এই ব্যবসাতে আরো অনেক টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসাটিকে বড় করতে পারেন। আর ব্যবসা যত বড় হবে তত আমদানিও বাড়বে আর উপার্জনও বৃদ্ধি পাবে।
আলুর চিপস তৈরির মেশিন ও অন্যান্য খরচ:
যদি কোন ব্যবসার কথা চিন্তা করা যায় তাহলে আনুমানিক কমপক্ষে ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে এমনটাই ধারণা করা হয়। তবে এই আলুর চিপস তৈরি করার ব্যবসাটি শুরু করলে প্রথমে খুবই কম অর্থাৎ ৮৫০ টাকা দামের একটি মেশিন কিনেই ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে। ম্যাটেরিয়ালস বলতে আলু এবং কিছু মসলা, প্রথমে ১০০ থেকে ২০০ টাকার কাঁচামাল দিয়ে শুরু করতে পারেন।
আর এই চিপস তৈরি করার মেশিন অনলাইনেও খুব সহজেই কিনতে পারবেন। এই মেশিন কোন টেবিলে রেখে অনায়াসেই চিপস এর আকারে আলু কাটতে পারবেন। যেহেতু খুবই ছোট মেশিন, কোন বড় জায়গার প্রয়োজন পড়ে না, তাই ঘরে বসেই এই ব্যবসাটি করতে পারবেন। তাছাড়া কোনরকম বৈদ্যুতিক খরচ নেই কেননা এটি আপনি হাত দিয়ে চালাতে পারবেন। আর কাজটি এতটাই সহজ যে বাচ্চা থেকে বাড়ির মহিলারাও এই কাজটি করতে পারবেন।
তৈরি আলুর চিপস কিভাবে বিক্রি করবেন:
চিপস বানানোর পরে সব থেকে যেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটা হলো বিক্রি করবেন কিভাবে ? তবেই না উপার্জন করতে পারবেন, তবে এখানে বলে রাখা জরুরী যে অনেকেই পছন্দ করেন চোখের সামনে কোন কিছু তৈরি করা খাবার খেতে। আর আপনি যদি চান তাহলে ছোট্ট কোন ঠেলাগাড়িতে ক্রেতাদের সামনে তেলে আলুর চিপস ভেজে সরাসরি তাদের হাতে তুলে দিতে পারেন।
আর যদি আলুর চিপসের স্বাদ ও মান খুবই ভালো হয় তাহলে খুব কম সময়ের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা বেড়ে যাবে। আরো একটি ভাবেও বিক্রি করতে পারেন, এই চিপস গুলিকে ছোট ছোট প্যাকেটে ভরে বাজারে, দোকানে দিতে পারেন অথবা আপনি যে ছোট ঠেলাগাড়িটি নিয়েছেন সেখানেও রাখতে পারেন। আলুর চিপসের চাহিদা বরাবরই ভালো তাই এই ব্যবসাটি বড় আকারে নিয়ে যেতে বেশি দিন সময় লাগবে না।
আলুর চিপস থেকে উপার্জন ও লাভ:
আলুর চিপস তৈরি করার জন্য যে সমস্ত কাঁচামালের প্রয়োজন পড়ে তাতে খুব একটা খরচ পড়ে না বললেই চলে। তবে এই খরচের তুলনায় ৭ থেকে ৮ গুণ উপার্জন হয়ে যাবে। যদি একদিনে ১০ কিলো আলুর চিপস তৈরি করা যেতে পারে তাহলে কিন্তু এক হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিদিন উপার্জন করা যাবে। আর এর জন্য কোনরকম আলাদা করে বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়বে না।
প্রথমদিকে উপার্জনের মাত্রা এতটা না থাকলেও প্রতিদিন ৫০০ টাকা অবশ্যই উপার্জন করতে পারবেন। ধীরে ধীরে যখন ব্যবসা বাড়তে থাকবে, জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকবে তখনই কিন্তু এর উপার্জনও বাড়তে থাকবে।
প্যাকেট যত সব খাবারই পছন্দ করে বাচ্চারা, তবে যদি সেই খাবার চোখের সামনে তৈরি করে প্যাকেটজাত করা হয় তাহলে তার চাহিদা বহুগুণ বেড়ে যায় এবং এর গুরুত্ব ও রয়েছে। তাই বাবা মায়েরাও চাইবেন যে বাচ্চাদের হাতে এমন খাবার তুলে দিতে যা নিজের চোখের সামনে তৈরি করা হয়েছে।
আর যদি আপনি এমন ব্যবসা শুরু করেন তাহলে খুব কম সময়ের মধ্যে কম টাকা বিনিয়োগ করে একটা সুন্দর ব্যবসা তৈরি করতে পারবেন, তার সাথে সাথে নিজের ব্যবসার স্বপ্নটাকে পূর্ণ করতে পারবেন।