মহিলা হোক বা পুরুষ সকলের জন্য দুর্দান্ত ভার্চুয়াল ওয়েডিং প্লানার ব্যবসা আইডিয়া, এই ব্যাবসা করে বাড়িতে বসে রোজগার করুন লক্ষ টাকা। Virtual Wedding Planner Business Idea in Bengali
সময়ের অভাবের ও অন্যান্য পরিস্থিতিতে বিয়ে বাড়ি অনুষ্ঠান আয়োজিত করার জন্য এই একটি নতুন ব্যবসা। এই 2023 ভার্চুয়াল ওয়েডিং প্লানার ব্যবসা করে লক্ষ টাকা ইনকাম করে থাকেন অনেকেই। ঘরে বসেই আপনি এই কাজ করতে পারবেন, তেমনি কিছু আইডিয়া রয়েছে এ ব্যাবসার আর্টিকেলে।
ভার্চুয়াল ওয়েডিং প্লানার ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে:
সহজ ভাষায় ভার্চুয়াল ওয়েডিং বলতে অনলাইনে বিয়ে যেখানে বর এবং কনে এর বিয়ে হয় সমস্ত রকম নিয়ম প্রথা মেনে, সব আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব অনলাইনে একসাথে সামিল হয়ে।
এখানে ঘরে থেকেই অনলাইনে ইনভিটেশন দেওয়া হয় যেমনভাবে বিয়ের কার্ড দেওয়া হয়ে থাকে, সেইভাবে সমস্ত আত্মীয়-স্বজন বন্ধু- বান্ধব দের বিয়ের তারিখ সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হয় সেইদিন।
আর কিছু একই সময় সবাই একেবারে সেজেগুজে বিয়ের পার্টিতে অনলাইনে শামিল হতে হয়, এমন বিয়ে করোনা ভাইরাস চলাকালীন বেশ ট্রেন্ডিং এ রয়েছে।
লকডাউনে ভার্চুয়াল ওয়েডিং প্লানার ব্যবসার চাহিদা:
অনেক সময় দেখা যায় যে, খুব কাছের কোন আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব এর বিয়েতে তাদের আয়োজন করা পার্টিতে আপনি কোন কারণে হয়তো যেতে পারছেন না, সে দেশ হোক অথবা বিদেশে, বা অন্য কোন কারণে অনেকেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সহজে যেতে পারছেন না।
সেক্ষেত্রে এরকম ওয়েডিং প্ল্যানার এবং ক্যাটারার এর ব্যবসা, এরকম বিয়ের ব্যবস্থা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সবাই কিন্তু পার্টিতে উপস্থিত না হতে পারলেও অনলাইনে সবাই সামিল হতে পারবেন।
এইরকম বিয়ের আয়োজন বিদেশে খুব প্রচলিত কিন্তু আমাদের দেশে এরকম বিয়ে করোনা ভাইরাসের জন্য বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই কারণে ভবিষ্যতে এই ব্যবসার অনেক বেশি চাহিদা আছে বলে মনে করা হয়। এক্ষেত্রে বেশি টাকা খরচ করার প্রয়োজন পড়বে না, আর এতে মানুষের মজাও কিন্তু দারুণ হয়। এই জন্য এই ব্যবসা ভবিষ্যৎ সময়ে আপনাকে প্রচুর টাকা উপার্জন করে দিতে পারবে।
এই ব্যবসা করার জন্য পরিকল্পনা:
যদি আপনি এইরকম ব্যবসা শুরু করতে চান বা এরকম ব্যবসা শুরু করার চিন্তা করে থাকেন, তাহলে খুব ভালোভাবে আপনাকে পরিকল্পনা করতে হবে। সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে কিভাবে আরো ভালোভাবে সবাইকে এই ব্যবসার মাধ্যমে আনন্দ উপহার দেওয়া যায়, সেই হিসাবে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন আপনি।
১) প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন:
ভার্চুয়াল ওয়েডিং প্ল্যান করতে গেলে আপনাকে সবার প্রথমে একটি ওয়েব প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি ভার্চুয়াল ওয়েডিং এ অথবা অনলাইনে বিয়েতে সামিল করতে পারবেন সমস্ত মানুষজনকে।
যেমন ধরুন এরকম প্ল্যাটফর্ম:- জুম অ্যাপ্লিকেশন, গুগোল হ্যাংগআউট, ফেসবুক লাইভ, গুগল ডুয়ো, ফেসটাইম এবং হাউস পার্টি ইত্যাদি। এদের মধ্যে থেকে আপনি যেকোনো একটি প্ল্যাটফরম নির্বাচন করে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
২) সেটআপ করবেন কিভাবে:
আপনি এই ব্যবসার জন্য প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করে নিয়েছেন, এরপরে আপনাকে ভালো করে সাজাতে হবে এটাকে। যার কারনে এখানে কেমন ধরনের কাজ হতে পারে, কিভাবে লোক এখানে একসাথে হতে পারবেন, আর বিয়ের অনুষ্ঠানে একসাথে আনন্দ করতে পারবেন।
৩) ই-ইনভিটেশন দেওয়ার পরিকল্পনা:
আপনি আপনার এই ব্যবসাতে আলাদা আলাদা বিভিন্ন রকমের আকর্ষণীয় ই-ইনভিটেশন কার্ড এর ডিজাইন সার্চ করে রাখুন। যার ফলে আপনার গ্রাহক এই কার্ড টা কে নিজেদের আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবের নিমন্ত্রণ করার জন্য সিলেক্ট অথবা নির্বাচন করতে পারে।
অনলাইন ফটোগ্রাফার:
আপনি যদি অনলাইনে বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করে থাকেন, সেক্ষেত্রে অনলাইন ফটোগ্রাফার এর ব্যবস্থাও আপনাকে করতে হতে পারে। এর জন্য আপনি এমন কোন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করুন, যে ব্যক্তি ভার্চুয়াল ফটোগ্রাফি করার ক্ষেত্রে একেবারে পারফেক্ট।
এমন ব্যক্তিকে আপনি আপনার ব্যবসাতে সামিল করতে পারেন এবং তার কাজ অনুসারে তাকে বেতন দিয়ে রাখতে পারেন।
অন্যান্য পরিকল্পনা:
আপনাকে আপনার এই ব্যবসার জন্য কিছু ছোটখাটো পরিকল্পনা ও করে রাখা প্রয়োজন। যেমন ধরুন অনলাইনে পুরোহিত, সঙ্গীত, ডিজে, এবং গিফট ইত্যাদি এর ব্যবস্থা করাও জরুরি। এই সমস্ত পরিকল্পনা করে নেওয়ার পর আপনি এই ব্যবসা শুরু করার জন্য একেবারে তৈরি।
এই ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবসার নাম নির্বাচন:
যখন আপনি এরকম অনলাইনে বিয়ে করানোর ব্যবসা শুরু করবেন, সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক হয়ে যাওয়ার পর আপনার ব্যবসার একটি সুন্দর আকর্ষনীয় নাম দেওয়া টাও প্রয়োজন। যার মাধ্যমে মানুষ আকর্ষিত হয়ে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
ভারতে মুম্বাইতে এমন ভার্চুয়াল ওয়েডিং প্ল্যান করে, এমন কোম্পানি তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। তাদের নাম- পার্টি স্ট্যাটাস এবং মাই ইভেন্ট, এই কোম্পানির এই বছরের শুরু হয়েছে এবং এর মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইতিমধ্যে আয় করে ফেলেছে। আপনিও এইরকম কোন আকর্ষণীয় নাম নির্বাচন করতে পারেন, আপনার এই ব্যবসার জন্য।
এই ব্যবসার জন্য লাইসেন্স এর প্রয়োজনীয়তা:
যখন আপনি এই ব্যবসা শুরু করবেন, তখন ব্যবসার জন্য আইনত লাইসেন্স থাকতে হবে আপনার। কারণ যে কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে সেই ব্যবসার লাইসেন্স থাকাটা প্রয়োজনীয়।
তার ফলে আপনি যেকোনো সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। যার মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে, আপনি কোন বেআইনি কাজ করছেন না। সেক্ষেত্রে আপনার এই লাইসেন্স থাকাটা ভীষণ প্রয়োজন এবং এর ফলে আপনি খুব সহজ ভাবেই এই ব্যবসাটি চালিয়ে যেতে পারবেন।
এরকম বিয়ের পরিকল্পনার ব্যবসাতে ম্যানুয়াল পরিকল্পনা:
আপনার এই ব্যবসার জন্য আপনি একটি অনলাইন ওয়েবসাইটের ডিজাইন করতে পারেন তার সাথে সাথে অ্যাপ বানাতে পারেন। যার ফলে আপনি কিছু আকর্ষণীয় কিছু তথ্য দিতে পারেন আপনার গ্রাহকদের যা ভীষণ আকর্ষণীয় এবং ইনোভেটিভ হয়ে থাকে। যা কিনা মানুষের ভীষণ পছন্দ হয়।
এরপরে ওই গ্রাহক আপনার ওয়েবসাইটে এবং অ্যাপের মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ করার সুবিধা পাবে। যখন তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং আপনার পরিকল্পনাগুলি তাদের পছন্দ হবে এর মাধ্যমেই কিন্তু আপনি তাদের থেকে এই কাজের অর্ডার নিতে পারেন।
ভার্চুয়াল ওয়েডিং প্ল্যান কিভাবে করবেন:
যখন আপনি আপনার গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো অর্ডার নেবেন তারপরের কাজ হলো, আপনি ওই গ্রাহকের অনুষ্ঠান অথবা বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন কিভাবে করবেন চলুন জানা যাক:-
প্রত্যেক কাজকর্মের একটি তালিকা বানান:
সবার প্রথমে আপনি আপনার গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করে সেই গ্রাহকের সমস্ত রকমের কার্যক্রম এর একটি তালিকা বানিয়ে নিন।
নিজের মতো করে কি অনুষ্ঠান এবং কিভাবে করতে চায় সেই অনুষ্ঠানের সমস্ত রকম তথ্য কতজন অথিতি এই অনুষ্ঠানে থাকবেন, আর আপনাকে তাদের সাথে যোগাযোগ করে সমস্ত রকমের তথ্য কিন্তু নেওয়াটাও জরুরি।
অনুষ্ঠানের দিন এবং সময় নির্ধারণ করা:
এরপরে আপনাকে আপনার গ্রাহকের সাথে কথাবার্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের দিন এবং সময় সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হয়। তার ফলে ওই সময় আপনি সমস্ত অতিথিকে একসাথে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ করিয়ে রাখতে পারেন।
অনুষ্ঠানের পোশাক নির্বাচন করা:
আপনি আপনার গ্রাহকের মাধ্যমে সমস্ত রকমের অনুষ্ঠানের রীতি নীতি অনুসরণ করে পোশাক নির্বাচন করার জন্য সবাইকে বলতে পারেন।
তার ফলে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের এবং বন্ধু-বান্ধবদের অনুষ্ঠানের পোশাক সম্পর্কে জানানো যাবে এবং তারা অনুষ্ঠানের সেই রকম পোশাক পরে ভার্চুয়ালি উপস্থিত হতে পারবেন এবং সবাইকে আকর্ষণীয় লাগবে। যেমনটা সাধারণত অনুষ্ঠানেই হয়ে থাকে, তেমনটাই করতে হবে অনলাইনেই।
ইনভিটেশন কার্ড নির্বাচন করুন এবং অতিথিদের ইনভাইট করুন:
অনলাইন ইনভিটেশন কার্ড বানিয়ে অতিথিদের ইনভাইট করা এই ব্যাবসার আরও একটি ইনকামের রাস্তা, এখানে অনলাইন ইনভিটেশন কার্ড বানানো থেকে সকল অতিথিদের পাঠানো পর্যন্ত পেকেজ বানাতে পারেন।
ভার্চুয়াল ফটোগ্রাফার বুক করুন:
আপনি আপনার গ্রাহকের অনুষ্ঠানের জায়গায় ভালো ফটোগ্রাফারদের বুক করে নিতে পারেন সেটা কন্ট্রেক্ট করে করতে পারেন।
জায়গা নির্বাচন করুন:
আপনি আপনার গ্রাহকের অনুষ্ঠানের জন্য জায়গা নির্বাচন করতে পারেন, যেখানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে, সে ক্ষেত্রে বড় জায়গার প্রয়োজন হবে না। ৫০ জন একসাথে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন এমন জায়গা হলেও চলবে। যেটা লকডাউনে বিয়ে অথবা অনুষ্ঠানের প্রধান বিষয়। ৫০ জনের বেশি নয়।
বড় স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা:
আপনার গ্রাহকের অতিথিদের একসাথে একই প্লাটফর্মে এক জায়গায় করার জন্য একটি বড় স্ক্রিনের প্রয়োজনীয়তা পড়বে। যার কারণে সব আত্মীয়-স্বজন বিয়ের অনুষ্ঠান কে ভালোভাবে দেখতে পারবে এবং সবার কাছ থেকে ভালোভাবে আশীর্বাদও নিতে পারবে।
সবাইকে একসাথে কানেক্ট করা:
এইসব কিছু পরিকল্পনা হয়ে যাওয়ার পর অথবা কাজ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর সব আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধবকে একটাই প্লাটফর্মে আসার জন্য আপনাকে তাদেরকে ইনভিটেশন কার্ড এর মাধ্যমে জানাতে হবে এবং সবাইকে অনলাইনে সবার সাথে সবার যোগাযোগের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন।
পুরোহিত অথবা কাজী সাহেবের ব্যবস্থা:
এতকিছু কাজ করে নেওয়ার পর এবার প্রয়োজন পড়বে পন্ডিত অথবা কাজী সাহেবের। বিবাহ অনুষ্ঠানে পন্ডিত অথবা পুরোহিত ও কাজী সাহেব ছাড়া বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবেই বা কি করে, সে ক্ষেত্রে পুরোহিত অথবা কাজী সাহেবের কানেক্ট করতে হবে এই প্লাটফর্মে।
অন্যান্য ব্যবস্থা:
এসব কিছু ছাড়াও আপনাকে সংগীত এর অনুষ্ঠান একটি মঞ্চে পরিচালনা করতে হবে। যেখানে একটি হোস্ট থাকার প্রয়োজন আছে, যে সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান কে অথবা সংগীত অনুষ্ঠান টাকে পরিচালনা করবে।
যারা এই সঙ্গীত অনুষ্ঠানে ডান্স করতে চাইবেন তাদেরকে আলাদা আলাদা গানে ডান্স প্র্যাকটিস করে নেওয়ার জন্য পরিচালনার প্রয়োজন আছে। এর জন্য আপনি ডিজে এর ব্যবস্থা করতে পারেন এই অনুষ্ঠানে। তাতে মজা, আনন্দ দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়ে যাবে।
এই ভাবে কিন্তু আপনি ভার্চুয়াল ওয়েডিং এর প্লানিং করে একে এক্সিকিউট করতে পারেন।
ভার্চুয়াল ওয়েডিং প্লানার ব্যবসায় ইনভেস্টমেন্ট:
আপনার এই ব্যবসাতে প্রত্যেক জিনিস এবং তার ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রায় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। যেখানে ভার্চুয়াল ফটোগ্রাফার, ডিজে, বড় স্ক্রিন ইত্যাদির জন্য ও যে খরচ, সেটাও কিন্তু সামিল আছে।
এই ব্যবসার জন্য প্রথমে ব্যাংক থেকে লোনও নিতে পারবেন। আবার আপনার গ্রাহকের থেকেও অ্যাডভান্স হিসেবে কিছু টাকাও নিতে পারেন।
এই ব্যবসার মার্কেটিং করবেন কিভাবে:
এই ব্যবসার বর্তমানে চাহিদা প্রচুর এবং ভবিষ্যতেও কিন্তু এর চাহিদা বাড়বে। তার কারণ কাজের ক্ষেত্রে সবাইকে বিভিন্ন জায়গায় থাকতে হয়, সেক্ষেত্রে কারো অনুষ্ঠান অথবা বিয়েতে সশরীরে গিয়ে পৌঁছানোটা অসম্ভব হয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে এইভাবে যোগাযোগ করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনন্দ উপভোগ করাটা বেশ আনন্দের এবং সহজসাধ্য। তাছাড়া এই ব্যবসার জন্য মার্কেটিং করতে গেলে সোশ্যাল মিডিয়া একটি বড় প্ল্যাটফর্ম।
তার সাথে সাথে কিছু অফার ও দিতে পারেন। যার ফলে লোক আপনার ব্যবসায় আকর্ষিত হয়ে আপনার সাথে যোগাযোগ করে অনুষ্ঠানের জন্য অর্ডার দিতে পারে। তাছাড়া আপনি টিভিতেও অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দিয়েও মার্কেটিং করতে পারেন।
ভার্চুয়াল ওয়েডিং প্ল্যানার ব্যবসায় প্রফিট অথবা লাভ:
ভার্চুয়াল ওয়েডিং প্ল্যানার ব্যবসাতে আপনি এক একটি ওয়েডিং অথবা বিয়ের অনুষ্ঠানে কম করে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। আপনাকে প্রথমে হয়তো শুরু করার ক্ষেত্রে অনেক টাকা ইনভেস্ট করতে হতে পারে, তাছাড়া এরপরে আপনার তেমন কোনো খরচ এর প্রয়োজনীয়তা পড়বে না এবং আপনার ব্যবসায় আরো বেশি প্রফিট অথবা লাভ হবে।
কেননা যে উপকরণ এবং জিনিসগুলি আপনি প্রথমে কিনেছিলেন সেগুলি বারবার ব্যবহার করতে পারবেন, অন্যান্য যেকোনো অনুষ্ঠানে সে ক্ষেত্রে লাভের বিষয়টা বেশি থাকছে আপনার খরচের বিষয়টা কমতে থাকবে।
যদি কোনো ভালো ব্যবসার কথা চিন্তা করে থাকেন, তাহলে কিন্তু এই ব্যবসাটি আপনার আনন্দ দেওয়ার সাথে সাথে বেশ লাভ দায়ক বটে। প্রথম ইনভেস্ট একটু বেশি হলেও পরবর্তীতে এই ব্যবসা আপনাকে অনেক বেশি টাকা আয় করে দেবে, এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় এবং এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাবে। এই ব্যবসা কিন্তু আপনি শুরু করতেই পারেন।