Gas Agency Dealership Business Idea in Bengali – গ্যাস এজেন্সি ডিলারশিপ ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন? গ্যাস এজেন্সি ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করে প্রথম দিন থেকেই শুরু করুন রোজগার.
Gas Agency Dealership Business Idea in Bengali: ভারতে এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা চাকরি অথবা যে কোন জব করছেন। কিন্তু সেই কাজে কোনরকম সন্তুষ্টি কিন্তু পাচ্ছেন না। আবার অনেকেই নিজের একটি ব্যবসা তৈরি করার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকেন। যেখানে নিজের একটা ব্যবসা হবে এবং সেই ব্যবসা থেকে অধিক পরিমাণে লাভবান হতে পারবেন।
যারা ব্যবসা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেন, তারা সব সময় এমন কিছু ব্যবসার কথা খোঁজ করে থাকেন, যেখানে খুব সহজেই লাভ পাওয়া যায় এবং সেই ব্যবসার চাহিদা যেনো প্রচুর হয়। সে ক্ষেত্রে এলপিজি গ্যাস এজেন্সি ডিলারশিপ (LPG Gas Agency Dealership Business) নিতে পারেন।
আপনি ঠিকই শুনছেন, এটা এমন একটি ব্যবসা, যার চাহিদা প্রতিদিনই বাড়তেই আছে বলতে পারেন। এমন কোন সময় আসবে না যখন এই গ্যাসের চাহিদা কমে যাবে অথবা এর প্রয়োজন থাকবে না। তাছাড়া এই ব্যবসা হাজার নয়, লাখ নয়, একেবারে কোটি টাকা লাভ করার জন্য যথেষ্ট।
ভারতে অবস্থিত এলপিজি গ্যাস কোম্পানিগুলি:
ভারতে এমন কিছু নামী কোম্পানি আছে যে কোম্পানিগুলি এলপিজি গ্যাস এজেন্সি ডিলারশিপ দেওয়ার কাজ করে থাকে এই ডিলারশিপ নেওয়ার পর আপনি লাভ থেকে কোটি টাকা ইনকাম করতে পারবেন, সেই কোম্পানি গুলি হল:
- ১) এইচ পি গ্যাস (HP Gas)
- ২) ইন্ডেন গ্যাস (Indane Gas)
- ৩) ভারত গ্যাস (Bharat Gas)
- ৪) রিলায়েন্স গ্যাস (Reliance Gas)
- ৫) সুপার গ্যাস (Super Gas)
- ৬) টোটাল গ্যাস (Total Gas)
- ৭) জ্যোতি গ্যাস (Jyothi Gas)
এলপিজি গ্যাস এজেন্সি কিভাবে নেবেন:
ভারতে গ্যাস এজেন্সি ডিলারশিপ নেওয়াটা কোন বড় বিষয় নয়, তবে এই ডিলারশিপ নিতে গেলে একটা বড় অঙ্কের টাকা আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে। তারপরেই আপনি এই এজেন্সি নিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন, এবং অনেক লাভবান হতে পারবেন।
তাছাড়া অনেক কঠিন সমস্যার মধ্যে দিয়েও আপনাকে যেতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার ব্যবসাটাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এবং ভবিষ্যতে চালিয়ে রাখার জন্য নিজেকে আরো বেশি উদ্যমী হতে হবে।
তাছাড়া যে কোন গ্যাস এজেন্সি কোম্পানি আপনাকে এই ডিলারশিপ দিতে পারে নতুন করে ব্যবসা শুরু করার জন্য, কিন্তু তার আগে নিজেদের কোম্পানির প্রচার করে থাকে, তারা নিজেদের ব্যবসার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অথবা খবরের কাগজের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এই ব্যবসা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য পৌঁছানোর কাজ করে থাকে।
এলপিজি গ্যাস এজেন্সি নেওয়ার যোগ্যতা:
- ১) ভারতের বসবাসকারী যে কোন ব্যক্তি এই গ্যাস এজেন্সি ডিলারশিপ নিতে পারেন।
- ২) গ্যাস এজেন্সি ডিলারশিপ এর জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে কম করে মাধ্যমিক পাস সার্টিফিকেট আপনার কাছে হওয়াটা জরুরী।
- ৩) পুরুষ অথবা মহিলা যে কেউ এই এজেন্সির জন্য আবেদন করতে পারেন।
- ৪) গ্যাস এজেন্সি ডিলারশিপ এর জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে বয়স সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ২১ বছর থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত আবেদনকারীর বয়স হতে হবে।
- ৫) তাছাড়া যে ব্যক্তি এই এজেন্সির জন্য আবেদন করবেন, তার উপর যেন কোন কেস অথবা ক্রিমিনাল রেকর্ড না থাকে।
- ৬) যে ব্যক্তি এই ব্যবসার জন্য আবেদন করবেন সেই ব্যক্তির পরিবারের অন্য কোন সদস্য কোন রকম অয়েল কোম্পানিতে যদি কাজ করে থাকেন সেক্ষেত্রেও আবেদন করা যাবে না।
- ৭) আবেদনকারীর কাছে গ্যাস সিলিন্ডার রাখার জন্য গুদামঘর এর ব্যবস্থা করাটা অবশ্যই জরুরি। অথবা গুদামঘর করার জন্য জায়গা থাকা প্রয়োজন।
এলপিজি গ্যাস এজেন্সি অনলাইনে আবেদন:
এলপিজি গ্যাসের এজেন্সি নেওয়ার আগে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে ভারতের তিনটি বড় গ্যাস কোম্পানির মধ্যে আপনি কোন কোম্পানির ডিলারশিপ নিতে চান। প্রত্যেকটি কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ দেওয়ার জন্য বিজ্ঞাপন দেয়া হয়ে থাকে।
তার মাধ্যমে আপনি ওই কোম্পানির অফিসার ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে কোন গ্যাস কোম্পানি আপনাকে কত টাকায় ডিলারশিপ দিতে পারে। তারপর আপনি এই পদ্ধতিতে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন:-
- ১) অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনি যে কোম্পানিটি নির্বাচন করেছেন সেই কোম্পানির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
- ২) আপনার ইমেইল আইডি অথবা মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে আপনি এই ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করে নিতে পারবেন।
- ৩) তারপর আপনার রেজিস্টার নাম্বার আর ইমেইল আইডি তে একটি ওটিপি পাঠাবে। যেটা দিয়ে আপনি আপনার নাম্বার এবং মেইল আইডি ভেরিফাই করতে পারবেন।
- ৪) ভেরিফাই হয়ে যাওয়ার পর আপনার একটি একাউন্ট ওই ওয়েবসাইটে তৈরি হয়ে যাবে। যেখানে এজেন্সি নেওয়ার জন্য অনলাইন আবেদন পত্র পেয়ে যাবেন। অথবা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পেয়ে যাবেন।
- ৫) আবেদন করার সময় এখানে কিছু টাকা আপনাকে দিতে হতে পারে। যেটা ওখানে দেওয়া লিংকের মাধ্যমেও করতে পারেন।
গ্যাসের এজেন্সির জন্য প্রয়োজনীয় টাকা:
আবেদন করতে গেলে ওই সময় কিছু টাকা আপনাকে দিতে হতে পারে। কিন্তু একটা কথা খেয়াল রাখতে হবে আবেদন করার পর আপনার আবেদন পত্র এক্সেপ্ট হয়েছে কি রিজেক্ট হয়েছে সেক্ষেত্রে আপনার সেই টাকাটা কিন্তু ফেরত নাও পেতে পারেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনি গ্যাস এজেন্সি নেওয়ার জন্য আবেদন করতে গেলে কত টাকা আপনাকে দিতে হতে পারে।
১) যদি শহরাঞ্চলের কথা বলা হয়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ ক্যাটাগরি মানুষের জন্য আবেদনের সময় ১০,০০০ টাকা দিতে হতে পারে।
২) আবার যদি আবেদনকারী ওবিসি ক্যাটাগরিতে হয় সেক্ষেত্রে ৫০০০ টাকা দিতে হতে পারে।
৩) আবার কোনো ব্যাক্তি যদি এসসি এসটি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে ৩০০০ টাকা আবেদনের সময় দিতে হতে পারে।
৪) আবার যদি গ্রামাঞ্চলের কথা বলা হয় সে ক্ষেত্রে সাধারণ ক্যাটাগরির ব্যাক্তিদের ৮০০০ টাকা, ওবিসি ক্যাটাগরিতে ৪ হাজার টাকা এবং এসসি, এসটি ক্যাটাগরিতে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হতে পারে আবেদনের সময়।
গ্যাস এজেন্সির সিকিউরিটি ডিপোজিট:
যদি আবেদনকারী ব্যক্তির আবেদনপত্র এক্সেপ্ট হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করতে হবে। কাগজপত্র এর সাথে সিকিউরিটি ডিপোজিট করতে হয়।
সেক্ষেত্রে যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনার টাকা ফেরত আসবে না। শহরাঞ্চলে ডিলারশিপ নেওয়ার জন্য ৫ লাখ টাকা জমা করতে হয়। আর গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে ৪ লাখ টাকা সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা করতে হয়।
এলপিজি গ্যাস এজেন্সির জরুরি বিষয়:
১) গ্যাস এজেন্সি থেকে ডিলারশিপ নেওয়ার জন্য আপনার কাছে কমপক্ষে ১৭ লাখ টাকা থাকা প্রয়োজন।
২) আবেদনপত্র যখন আপনি পূরণ করবেন সেই সময় আবেদনপত্রটি খুব ভাল করে পড়ে নেবেন। যেখানে আপনার কোন বিষয় দিতে ভুলে গেছেন অথবা ভুল দিয়েছেন কিনা সেটাও একবার খতিয়ে দেখবেন।
৩) যদি আপনি একটি রাজ্য থেকে বিভিন্ন জায়গায় ডিলারশিপ এর জন্য আবেদন করে থাকেন অথবা করতে চান তো আপনি এরকম করতে পারেন। তাছাড়া খেয়াল রাখবেন সব জায়গার জন্য আলাদা আলাদা পেমেন্ট করতে হবে আপনাকে।
৪) আপনি চাইলে অনলাইন ফর্ম পুরন করার পর ওটাকে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন কিন্তু আবেদনপত্রটি শেষ তারিখের আগে অবশ্যই জমা করে দিতে হবে।
৫) ওই আবেদনপত্র তে আপনার ছবি এবং সিগনেচার অথবা সই ও করতে হবে সেক্ষেত্রে ছবি ও সিগনেচার স্ক্যান করে এখানে লাগাতে হবে।
গ্যাস এজেন্সি খুলে আপনি সারাবছর একটা ভালো রকম আয় করতে পারবেন, কেননা এটি এমন একটি ব্যবসা, না কোনদিন বন্ধ হয়ে যাবে, না কোন দিন শেষ হয়ে যাবে, না এর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে আসবে। এই ব্যবসাতে লোকসানের কোনো রকম ভয় নেই। কিন্তু এই ব্যবসার রক্ষণাবেক্ষণ এবং দেখভাল টা বেশ ভালোভবেই রাখতে হয়।