Online Boutique Business Idea 2023 (অনলাইন বুটিক ব্যবসা 2023): How to Start Online Boutique Business in India? | Online Boutique Business Idea in Bengali | Online Boutique Business Plan in Bengali. জানুন অনলাইন বুটিক ব্যবসা শুরু করার সম্পূর্ণ পদ্ধতি এবং লাভ ও ইনভেস্টমেন্ট।
সবাই চাইবেন যে কিছু ইউনিক বিজনেস আইডিয়া যদি থাকতো তাহলে বিজনেস করে কিছু টাকা উপার্জন করা যেত, তাই না। তো আপনার কাছে কি কোন ইউনিক বিজনেস আইডিয়া আছে? আপনি কোন চাকরি অথবা কোন কোম্পানিতে কাজ করাতে আগ্রহী নন! যদি এমন হয় তাহলে আজকের এই বিজনেস আইডিয়া টি আপনার ভালো লাগতে পারে।
নিজের একটা ব্যবসা থাকলে তা থেকে ইচ্ছামতো কাজ করে উপার্জন করা সম্ভব হবে অনেকেই হয়তো ভেবে থাকেন যে ব্যবসা করার জন্য অধিক পরিমাণে টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু সব ব্যবসাতে অধিক পরিমাণে টাকার প্রয়োজন হয় না।
এমন কিছু ব্যবসা আছে যেটি আপনি খুব অল্প টাকা ইনভেস্ট করে শুরু করতে পারেন, এবং লাভ পেতে পারেন অধিক পরিমাণে, এবং দিন যাওয়ার সাথে সাথে এই ব্যবসাটি বড় আকার ধারণ করলে আপনি তা থেকে ভালো মত একটা উপার্জন তৈরি করতে পারবেন প্রতিমাসে।
আজকাল তো অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের ব্যবসা বলতে গেলে একেবারে জিরো ইনভেস্ট দিয়ে শুরু করা যায়। যা থেকে আপনি ভালোমতো একটা উপার্জন করতে পারবেন ভবিষ্যতে।
প্রথমত হয়তো আপনি অনলাইনে এমন কিছু মাস কোন উপার্জন করতে পারলেন না। কিন্তু পরবর্তীতে সেই ব্যবসাটি অনলাইন থেকে আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর ইনভেস্টমেন্ট বলতে গেলে একেবারে শূন্য।
আজকের বিজনেস প্লান টি হল অনলাইন বুটিক বিজনেস (Online Boutique Business), চলুন তাহলে জানা যাক এই বিজনেস প্ল্যান সম্পর্কে:
অনলাইন বুটিক বিজনেস এর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় স্টেপ:
আপনি অনলাইন প্লাটফর্মের উপর কি বিক্রি করতে চাইছেন এটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নয়। সব থেকে যেটা বড় বিষয় হলো সেটা আপনার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস। যদি নিজের প্রতি বিশ্বাস টুকু না থাকে কোন কাজে কিন্তু আপনি সফল হতে পারবেন না।
যদি আপনি অনলাইন কোন কাপড়ের দোকান খুলতে চান অথবা কোন পোর্টাল বিজনেস করতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে আশা করা যায়। তাছাড়া আপনার প্রচেষ্টা, প্ররিশ্রম, বুদ্ধি, দক্ষতা সবকিছু দিয়ে কোন কাজ করলে তা একদিন সফলতা পাবেই।
বিজনেস প্লান তৈরি করুন:
যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে গেলে ভালোমতো অনুশীলন এবং প্লান এর প্রয়োজন হয়। এটা তো আমরা সবাই জানি, কিন্তু সফল হওয়ার জন্য কিছু পলিসি মেইন্টেন করতে হয়। যে কোন বিজনেস সেট করা কিন্তু প্রথম পদক্ষেপ হয়ে থাকে। অনলাইন গার্মেন্টস বিজনেস এ সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় হলো ফাইন্যান্স তৈরি করা।
প্রোডাক্ট নির্বাচন, প্রমোশন, অর্ডার এক্সেপ্ট করা, আর ডেলিভারি হয়ে যাওয়ার পর পেমেন্ট নেওয়া এমন কিছু প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয়। আর তার জন্য প্রপার প্লানিং এর প্রয়োজনীয়তা হবে। এরফলে কিন্তু আপনার শুধুমাত্র যে অনলাইন বিজনেস জমে উঠবে তা কিন্তু নয়। তার সাথে সাথে মার্কেটে রেপুটেশন ও বজায় থাকবে।
মার্কেট রিসার্চ:
যদি আপনি একবার এই ব্যবসাটি প্ল্যান তৈরি করে নেন, কোন প্রফেশনাল এর কাছ থেকে মার্কেট রিসার্চ করতে পারেন। কোন ব্যক্তি মার্কেট রিসার্চ বাদ দিয়ে সফলতা হাসিল করতে কিন্তু পারেননি। এই বিষয়টি কিন্তু অনলাইন গার্মেন্ট স্টোর কে শেপ দেওয়ার জন্য ডাটা উপলব্ধ করাবে।
যেমন ধরুন মানুষ বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র পছন্দ এর ডেলিভারি কিভাবে দেবেন। মার্কেট রিসার্চ আপনাকে টার্গেট কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।
স্টোর এর জন্য উপযুক্ত নাম নির্বাচন:
একবার সমস্ত ডেটা আপনার হাতে চলে আসলে তখন কিন্তু আপনি আপনার অনলাইন ক্লোথিং বুটিক এর নাম নির্বাচন করতে পারেন। এটা সহজ লাগলেও কিন্তু বেশ মুশকিল একটা কাজ। এর জন্য বড় এবং পুরনো এবং যেকোন রকমের নাম আপনি এড়িয়ে যেতে পারেন।
অনলাইন স্টোরের নাম এমন হতে হবে যেন গ্রাহকদের আকর্ষিত করে। খুব সুন্দর এবং স্মার্ট নাম রাখতে হবে। আর এটা সুনিশ্চিত করতে হবে যে, গ্রাহকরা সেই নামটিকে পড়ে সহজেই বুঝতে পারেন যে, এই স্টোর থেকে কি কি জিনিস পাওয়া যেতে পারে।
অনলাইন ডোমেইন নির্বাচন:
এই বিষয়টি বলাটা খুবই জরুরী যে, অনলাইন গার্মেন্ট বুটিকের জন্য প্রপার অনলাইন জায়গা হতে হবে। এর জন্য একটি ওয়েবসাইট থাকাটা অবশ্যই প্রয়োজন। যার উপরে গ্রাহক নিজের পছন্দের আইটেম নির্বাচন করতে পারে। আর এই জন্য পরের পদক্ষেপ হলো ডোমেইনের নাম নির্বাচন।
ডোমেইনের নাম | Click here |
ডোমেইন হওয়ার সাথে সাথে একটি প্রফেশনাল টাচ পাওয়া যাবে। এই ব্যবসার ক্ষেত্রে মানুষ এই স্টোরকে বেশি বিশ্বাস করতে শুরু করবে। অন্যদের তুলনায় এর জন্য প্রিমিয়াম প্লান সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এতে অনলাইন গার্মেন্টস বিজনেস বিশেষ উন্নতি লাভ করে।
অনলাইন বুটিকের ওয়েবসাইট বানানো:
যদি আপনার অনলাইন রিপ্রেজেন্টেশন ঠিক না হয়ে থাকে, তাহলে কিন্তু খুব তাড়াতাড়িই বিজনেস টি আপনার বন্ধ হতে চলেছে। একবার নিজের স্টোর আর ডোমেইন নাম নির্বাচন করে নিলেন তখন কিন্তু আপনাকে স্টোরের জন্য একটি প্রভাবশালী ওয়েব পেজ বানাতে হবে।
ওয়েবসাইটের জন্য হোস্টিং | Click here |
এটি এমন ভাবে কাজ করে যেখানে গ্রাহক আপনার ষ্টোর এর জিনিসপত্র দেখতে পাবেন ভালোভাবে। গ্রাহকদের আকর্ষণ করবে, এমন প্রোডাক্ট এর ছবি আপনাকে রাখতে হবে। আর এইজন্য সাইটকে আকর্ষণীয় বানাতে হবে। যদি ট্যাপ নেভিগেট করা খুবই শক্ত হয়ে থাকে তাহলে গ্রাহক কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি অন্য কোন স্টোরে লগইন করে নেবে।
ইউনিক ব্র্যান্ড তৈরি করা:
গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে অনলাইন ব্র্যান্ডিং সবচেয়ে বেশি জরুরি, কিন্তু আপনার গ্রাহক প্রোডাক্ট নাম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে নির্ভর করে যদি আপনি শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য জিনিসপত্র রেখে থাকেন তাহলে মহিলাদের পছন্দের রং রিপ্রেজেন্টেশন করা।
প্রোডাক্ট এবং কোয়ালিটি হাইলাইট করা:
যদি আপনি একবার আপনার গ্রাহকদের ইমপ্রেস করতে পারেন, তাহলে আপনার স্টোরে গ্রাহকদের ভিড় লেগেই থাকবে। আপনি আপনার প্রোডাক্ট গুলিকে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ফটো তুলে সেগুলি রাখতে পারেন। গ্রাহকদের জন্য যাতে তারা সবদিক থেকে সেই প্রোডাক্ট ভালোভাবে দেখতে পারে। আর পছন্দ মত নিজেদের জিনিসপত্রগুলি কিনতে পারে।
সঠিক দাম নির্বাচন:
আমরা সবাই জানি যে, ভালো কোয়ালিটি জিনিসপত্র সবাই পছন্দ করলেও একটু সস্তা দাম হলে তার সাথে কোয়ালিটি যদি ভালো হয়, সে ক্ষেত্রে গ্রাহকদের বেশ পছন্দ হবে। আর প্রত্যেক মানুষের কাছে একটা বাজেট থাকে।
সেই বাজেটের মধ্যে যদি কোন পোশাক পছন্দের পেয়ে যান, তাহলে কিন্তু সেখান থেকে এসেই পোশাকটি কিনতে পছন্দ করবেন। অন্য সাইটে গিয়ে সেই একই প্রোডাক্ট দেখতে পারে। এই জন্য আপনার ষ্টোর এর প্রোডাক্ট এর দাম নির্বাচন করার আগে একটু ভেবে দেখবেন।
প্রোডাক্টের সোর্সিং:
এখন হয়তো ভাবছেন যে এই সমস্ত বুটিকের জামাকাপড় গুলি আপনি কোথায় থেকে নেবেন! তার জন্য কোন হোলসেলার, রিটেলার, ম্যানুফ্যাকচারার এবং অন্য কোন স্টোর থেকেও নিতে পারেন এবং তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন। যার কারণে আপনার এই পোর্টাল এর জন্য ভালো একটা মানের প্রোডাক্ট আপনি পেতে পারেন।
প্রপার ডেলিভারি সার্ভিস:
এখন মানুষ ঘরে বসেই পছন্দের জিনিস পেতে ভীষণ পছন্দ করছেন। আর সেই কারণে আপনার ডেলিভারির বিষয়টা কিন্তু ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। গ্রাহক যখন কোন জিনিসের অর্ডার দিয়ে থাকেন, তখন সেই প্রোডাক্ট খুব তাড়াতাড়ি এবং সুরক্ষিতভাবে সেই গ্রাহকের ঘর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হবে একটি দায়িত্বপূর্ণ কাজ।
আর এই গার্মেন্টস পাঠানোর জন্য কুরিয়ার সার্ভিসের সহযোগিতা নিতে হবে আপনি কোন ডেলিভারি সার্ভিস নির্বাচন করছেন সেটা কিন্তু বড় বিষয় নয়, তবে এ বিষয়ে যেন গ্রাহকদের কোনরকম অসুবিধা না হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া প্রমোশন:
যে কোন জিনিসের বিজ্ঞাপন ছাড়া আপনি সেই জিনিসটি অনেক মানুষের মধ্যে বিক্রি করতে পারবেননা। বিজ্ঞাপনের দ্বারা আকৃষ্ট হয়েই কিন্তু কোন প্রোডাক্ট মানুষ কিনে থাকেন। আর তাই সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ষ্টোর এর বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।
যার ফলে কোন মানুষ সেই প্রোডাক্ট দেখে আকর্ষিত হয়ে আপনার পোর্টালে এসে অথবা স্টোরে এসে সেই জিনিস গুলো দেখতে পছন্দ করবেন। আর তাই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট বানিয়ে সেখানে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।
এই ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট এবং লাইসেন্স:
১) কোম্পানির ব্যাংক একাউন্ট।
২) কোম্পানির প্যান কার্ড।
৩) কোম্পানির ওনারশিপ এর পেপার।
৪) ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স।
৫) রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট।
৬) ব্যবসার জিএসটি রেজিস্ট্রেশন ডকুমেন্টস।
৭) সেল ট্যাক্স/ বেট রেজিস্ট্রেশন জিএসটি রেজিস্ট্রেশন।
৮) পরিচয় এর প্রমাণ পত্র।
৯) ঠিকানার প্রমাণপত্র।
১০) অনলাইন টার্ম অ্যান্ড প্রাইভেসি পলিসি।
স্টাফ এবং বেতন প্রণালী:
যদিও আপনি অনলাইন গার্মেন্ট স্টোর খুলতে যাচ্ছেন তো, আপনার অনেক সহযোগিতার প্রয়োজন পড়বে না। এই কাজ খুবই ছোট আর তাই আপনি একাই সামাল দিতে পারবেন কিন্তু যখনই আপনার এই ব্যবসাটি বড় হতে থাকবে তখন দুই চার জন ব্যক্তিকে আপনি স্টোরে রাখতে পারেন।
অনলাইন স্টোরের মালিক এর ফ্যাক্টরির কোন প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র যদি কর্মচারীর মত প্যাকিং, স্টাকিং এর জন্য কিছু ব্যাক্তি রাখেন তাহলে তাদের ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত প্রতি মাসে বেতন দিয়ে রাখতে পারেন।
অনলাইন গার্মেন্টস স্টোর এর ব্যবসায় ইনভেস্টমেন্ট এবং লাভ:
অনলাইন স্টোর শুরু করার জন্য কোনরকম নির্দিষ্ট ইনভেস্টমেন্টের উল্লেখ নেই। যদি আপনি কেবলমাত্র ব্র্যান্ডেড কাপড় বিক্রি করে থাকেন তাহলে ইনভেস্টমেন্ট লোকাল গার্মেন্টের তুলনায় অনেক বেশি ভালো হবে। অনলাইন স্টোর ইনভেস্টমেন্ট খুবই কম করে দেয়।
যদি আপনি আপনার পরিচয় রেডিমেড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি তে তৈরী করতে চান, তাহলে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচা করতে হতে পারে। আর এই ব্যবসার ক্ষেত্রে লাভের কথা বলতে গেলে মানুষের ডিজাইনার কাপড় পরার ভিশন শখ থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি প্রতিমাসে কয়েক লাখ টাকা উপার্জন করতে পারেন।
অনলাইন গার্মেন্ট স্টোর ব্যবসার রিস্ক:
স্টোর করার ক্ষেত্রে সমস্যা: কাপড়গুলি খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অনলাইন স্টোর হলেও কালেকশনে রাখা জামাকাপড় গুলিকে রাখতে হবে। অবশ্যই প্রপার স্টোরেজের জন্য জায়গা কম থাকলে সে ক্ষেত্রে গার্মেন্টসের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি এ থেকে আপনি প্রফিটও অনেক কম পাবেন।
গ্রাহক পাবেন না: যদি আপনার কাছে ভালো কালেকশন না থাকে তাহলে কিন্তু গ্রাহক এই সমস্ত জিনিস গুলো পছন্দ করবেন না। আর তাছাড়া প্রোডাক্টের দাম কিন্তু একটা বড় কারণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার এই অনলাইন ব্যবসাটি একেবারে ডুবে যেতে পারে। কথায় আছে মানুষের ব্রেন পড়া মুখের কথা নয়।
তবে বাস্তবে কোন দোকানদার তার গ্রাহককে প্রোডাক্টের সম্পর্কে খুব সহজেই বুঝিয়ে ফেলতে পারেন। যেটা অনলাইনে অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয়না। আর সেই কারণে ভালো প্রোডাক্ট এবং আকর্ষণীয় পোশাক আপনাকে রাখতে হবে। তার সাথে সাথে দামটাও রাখতে হবে সাধ্যের মধ্যে।