2024 Rabbit Rearing Business Idea in Bengali

Rabbit Rearing Business Idea 2024 (খরগোশ পালনের ব্যবসা 2024): How to Start Rabbit Rearing Business in India? | Rabbit Rearing Business Idea in Bengali | Rabbit Rearing Business Plan in Bengali. জানুন খরগোশ পালনের ব্যবসা শুরু করার সম্পূর্ণ পদ্ধতি এবং লাভ ও ইনভেস্টমেন্ট।

খরগোশ একটি খুব সুন্দর জীব যা সকলে ভীষণ পছন্দ করে থাকেন। তাই এই খরগোশ পালন করে তাদের ব্যবসা করতে পারবেন অনায়াসেই। কিভাবে এর ব্যবসা করবে, চলুন জানা যাক:-

১) খরগোশ পালন করার জন্য খরগোশের ন্যূনতম সংখ্যা:

আপনি কতগুলি খরগোশ পালন করতে চাইছেন সেটা একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা খুবই কম খরগোশ পালন করার মধ্যে দিয়ে আপনি বেশি উপার্জন করতে পারবেন না।

সে ক্ষেত্রে দশটি খরগোশ দিয়ে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যদি মনে করেন খরগোশ ফার্ম খুলবেন তাহলে কমপক্ষে ১০০ টি খরগোশ প্রয়োজন পড়বে। আপনার সে ক্ষেত্রে  ৬৫ থেকে ৭০ টি মেয়ে খরগোশ এবং ৩০ থেকে ৩৫ পুরুষ খরগোশ রাখতে হবে।

২) খরগোশের জন্য খাবার:

ফার্ম করার পর খরগোশের জন্য খাবারের প্রয়োজনীয়তা পড়বে আপনার। এই খাবারগুলি আপনাকে জোগাড় করতে হবে। তাছাড়া দিনে দুবার খাবার দেওয়ার প্রয়োজন হয়। একবার সবুজ গাছপালা, সবজি দিতে হবে এবং অন্য সময় খরগোশ পছন্দ করে এমন খাবার দিতে হবে।

৩) ফার্ম করার জন্য উপযুক্ত জায়গা:

খরগোশ পালন করার জন্য ফার্ম সাধারণত এমন জায়গাতে করতে হবে যেখানে দূষণ এবং শোরগোল খুবই কম মাত্রায় হয়। আপনি এই ফার্ম জনবহুল জায়গা থেকে একটু দূরে তৈরি করতে পারেন তাছাড়া গ্রামের ক্ষেত্রে এই ফার্ম বেশ উপযোগী।

৪) এই ব্যবসার জন্য রেজিস্ট্রেশন:

ফার্মিং এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে আপনাকে অবশ্যই। আপনি আপনার ফার্ম প্রোপাইটার শিপে অথবা পার্টনারশিপ এর অন্তর্গত রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। তার সাথে সাথে ফার্ম টিকে ভালোভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিবছর ইনকাম ট্যাক্স জমা দিতে হবে আপনাকে। এছাড়াও আপনার এই ফার্ম এর কারেন্ট ব্যাংক একাউন্ট এবং প্যান কার্ড থাকাও অবশ্যই জরুরি।

৫) ফার্ম স্থাপন করার জন্য মোট খরচ:

খরগোশ পালন করার জন্য ফার্ম এর নির্মাণ করতে গেলে অর্থাৎ ১০০ টি খরগোশ কেনার ক্ষেত্রে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার কাছাকাছি খরচ হতে পারে। এই টাকা দিয়ে আপনি খরগোশ কেনার সাথে সাথে খরগোশের থাকার জন্য ১০/৪ এর খাঁচা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র কিনে নিতে পারবেন। এছাড়াও খরগোশের খাওয়ানোর জন্য পাত্র এবং জল খাওয়ানোর জন্য ওয়াটার নিপল এর প্রয়োজন পড়বে।

খরগোশ ব্যবসার মার্কেটিং:

খরগোশ পালন এবং তার ব্যবসা করে বিভিন্ন রকমের লাভ পেতে পারেন। সবার প্রথমে তো এই ব্যবসা থেকে সেইসব ব্যবসায়ীদের প্রচুর লাভ হয় যারা খরগোশ কে ভালবেসে সেগুলিকে পালন করতে চান। কেননা যে কোন ফার্মে আলাদা আলাদা জাতের খরগোশ থাকে।

সেহেতু যদি কোন ব্যক্তি খরগোশ পালন করতে চান তাহলে বিভিন্ন রকমের খরগোশ এনে ফার্মে পালন করতে পারেন। যেহেতু খরগোশ একটি কিউট প্রাণী। বাচ্চা থেকে বড় সবাই ভীষণ পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে অনায়াসেই এগুলি বিক্রি করে আপনি তা থেকে অধিক উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও আরো বিভিন্ন উপায়ে আপনি এর মার্কেটিং করতে পারবেন। তার সাথে সাথে উপার্জন টাও বেশ ভালই হবে।

১) খরগোশের মাংস মেডিকেল এ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। এ সব জায়গাতে আপনার ফার্ম এর খরগোশ বিক্রি করতে পারেন।

২) বিভিন্ন রকম ব্যবসাতে খরগোশের লোম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর তাই আপনি এমন ব্যবসাতে আপনার ফার্ম এর সাহায্যে খরগোশ বিক্রি করতে পারেন।

৩) সরকার দ্বারা চালানো গভারনমেন্ট এগ্রিকালচার ইন্ডাস্ট্রিতে (Government Agriculture Industry) ও বিভিন্ন রকমের রিসার্চ করা হয়। সেখানেও খরগোশ বিক্রি করতে পারেন রিসার্চ করার জন্য।

খরগোশ ফার্মিং ব্যবসা থেকে লাভ:

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ৭০ টি মাদা (মেয়ে) খরগোশ প্রায় ৪৫ দিনের মধ্যে ৩৫০ টি খরগোশের জন্ম দিয়ে থাকে। আর এই সমস্ত নবজাতক খরগোশ গুলি সম্পূর্ণরূপে খরগোশ হতে গেলে কম করে চার মাস সময় লাগে।

এই ৩৫০ খরগোশ কে যদি খুব ভালো ভাবে খেয়াল রেখে চার মাস পর্যন্ত যত্ন নিয়ে রাখা যায়, তাহলে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করতে পারবেন।

এই সময় ছোট খরগোশ গুলিকে দেখভালের জন্য ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা খরচা হতে পারে, এবং তার থেকেও কম এইভাবে প্রথম স্তরে এই ব্যবসা থেকে কম করে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন।

এই ব্যবসার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন:

খরগোশ পালনের ক্ষেত্রে আপনার ফার্ম এ কিছু বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

১) খরগোশ পালনের জন্য যে ফার্ম আপনি তৈরি করেছেন সেটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। কেননা খরগোশ পরিষ্কার জায়গাতে থাকতে পছন্দ করে এবং তার পাশাপাশি পরিষ্কার জায়গাতে তাদেরকে রাখলে রোগজীবাণু তাদের থেকে দূরে থাকবে।

২) খরগোশ গুলিকে ঠিক সময় অনুযায়ী তাদের খাবার দিতে হবে এটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এবং যে খাবারগুলো ওদেরকে দেবেন সেই খাবারের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখবেন যে কি ধরনের খাবার তাদেরকে খেতে দিচ্ছেন।

৩) যদি কোন খরগোশের কোন রকম অসুখ হয়ে থাকে তাহলে তার জন্য ওষুধের প্রয়োজন হবে সেগুলিও জোগাড় করে রাখুন।

৪) যে-পাত্রে খরগোশের খাবার দেওয়া হয় এবং জল দেওয়া হয় সে পাত্র গুলিকে নিয়মিত রূপে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা টা অবশ্যই প্রয়োজন।

৫) গ্রীষ্মকালের সময় খরগোশের খেয়াল বেশি পরিমাণে রাখতে হয়। যদি আপনার ফার্ম এর গরমের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি থেকে বেশি হয় তাহলে সেটিকে ৩৮ ডিগ্রি তে রাখার এবং তার থেকেও কম রাখার চেষ্টা করুন।

৬) আপনার পালন করা খরগোশ গুলিতে যে সমস্ত ভ্যাক্সিনেশন করতে হয় সেগুলির দিকে বিশেষ খেয়াল দেবেন, সময় অনুযায়ী ভ্যাকসিন দিতে ভুলবেন না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *