Fish Farming Business Idea 2024 in Bengali, মাছ চাষের ব্যবসা 2024, যে কোন মাছ চাষের ব্যবসা শুরু করে প্রচুর রোজগার করুন। জানুন কিভাবে এই ব্যবসা শুরু করবেন? কত খরচ ও কত লাভ হবে? জানুন সবকিছু এখানে (How to start a Fish Farming Business in Bengali)
ভারতে মাছ চাষ করে ব্যবসা করা ভীষণ লাভ দায়ক। কেননা বাঙালি মাছ ছাড়া ভাত খেতে চান না। বিভিন্ন রকমের মাছ পাতে না থাকলে খাওয়াটা ঠিক জমে না। তাই এই ব্যবসা আপনার কাছে একটি দারুন লাভজনক ব্যবসা হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
কম করে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত মানুষ মাছ খেতে পছন্দ করেন। খাল, পুকুর, বড় ফিশরি সমস্ত জায়গাতেই আপনি অনায়াসেই মাছ চাষ করতে পারেন। চলুন জানা যাক, মাছ চাষ করবেন কিভাবে এবং তা দিয়ে কিভাবে ব্যবসা করবেন:
মাছ চাষ কেন করবেন?
শুধুমাত্র ভারতেই নয় সম্পূর্ণ পৃথিবীতে মাছের চাহিদা প্রচুর। কারণ বিভিন্ন রকমের স্বাদের মাছ খেতে সারা পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাছাড়া মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন যা কিনা স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী।
তাছাড়া মাছের তেল দিয়ে বিভিন্ন রকমের ওষুধও তৈরি হয়। আর সেই কারণেই সমস্ত বিশ্বজুড়ে মাছের চাহিদা একেবারে ধারণার বাইরে। আর এই কারণে আপনি খুব অনায়াসেই ব্যবসাটি শুরু করে তা থেকে লাভ দায়ক হতে পারবেন।
ফিশ ফার্মিং অথবা মাছ চাষ কি:
পুকুর খাল ফিশারি এসমস্ত জায়গাতে ছোট মাছ ছেড়ে সেগুলিকে খাবার দিয়ে বড় করে এবং তা থেকে আবার ছোট মাছের জন্ম হওয়া এবং সেগুলি আবার বড় হওয়া, সেগুলি নিয়ে বাজারে বিক্রি করার মধ্যে দিয়ে উপার্জন করা।
এমনভাবেই মাছ চাষ হয়ে আসছে। এই ব্যবসাতে আপনার যে ইনভেস্টমেন্ট লাগবে তা লাভের তুলনায় অনেক কম। এই ব্যবসা থেকে ৫ থেকে ১০ গুণ পর্যন্ত আপনি লাভ করতে পারবেন।
মাছ চাষ করার প্রক্রিয়া:
মাছ চাষ করার জন্য সবার প্রথমে বড় জলাশয়, পুকুর, খাল, আপনার থাকতে হবে। যদি না থেকে থাকে তাহলে বানিয়ে নিতে হবে। তারপরে সেই সমস্ত জায়গাকে মাছের থাকার উপযুক্ত করতে হবে।
মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন:
মাছ চাষ করার জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করাটা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। খেয়াল রাখবেন মাছ চাষ করতে গেলে কিন্তু জায়গা অনেকটাই ভূমিকা পালন করে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় শীতকালে মাছের আকার খুব ধীরগতিতে বাড়ে। আর ভারতে গরমের সময় মাছ চাষ অধিক পরিমাণে হয়ে থাকে।
মাছ চাষের জন্য পুকুর অথবা খাল মাছ চাষের উপযুক্ত করা:
এখন তো আবার ট্রাঙ্ক এর মাধ্যমে মাছ চাষ করা হয়। বড় বড় প্লাস্টিকের ট্রাংক কিনতে পাওয়া যায় মাছ চাষের জন্য। পুকুর না কাটিয়েও অনেকে এর মাধ্যমেই যে কোন জায়গাতে মাছ চাষ করে ব্যবসা করছেন।
মাছ চাষের জন্য পুকুরে অথবা যে জায়গাতে আপনি মাছ চাষ করবেন ব্লিচিং পাউডার এবং চুন অবশ্যই ছড়াবেন। এমন করার ফলে বিভিন্ন রকমের জীবাণু ব্যাকটেরিয়া যা চারা মাছকে নষ্ট করে দিতে পারে সেগুলোই ধ্বংস হয়ে যাবে এবং মাছ গুলি সুরক্ষিত থাকবে।
মাছেদের খাদ্য এবং সুরক্ষা:
মাছ চাষ এবং তার ব্যবসাতে যদি আপনি খুব তাড়াতাড়ি উন্নতি করতে চান, তাহলে মাছগুলি কে ভালোভাবে বেড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত খাবার এবং তাদের সংরক্ষণ করার জন্য দেখভালের প্রয়োজন হয়। উপযুক্ত খাবারের মাধ্যমে মাছ গুলি খুব সহজেই বেড়ে ওঠে।
তাছাড়া মাছের প্রজাতি অনুযায়ী আপনাকে খাবার দিতে হবে। তাদের জলের তারতম্যের জন্য মাছের অসুবিধা হতে পারে। আপনি যে মাছ চাষ করছেন সেই মাছের জন্য যেন সে জলটা উপযুক্ত হয়। সেটা পরীক্ষা করে নেওয়ার পর তবেই সেই জলে মাছ ছাড়ুন।
মাছের রক্ষণাবেক্ষণ অথবা দেখভাল:
মাছ চাষের এই ব্যবসাটি ভালোভাবে করার জন্য আপনার হয়তো কর্মচারীর প্রয়োজন পড়তে পারে। যারা মাছেদের খেয়াল রাখার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকেন যেমন ধরুন মাছেদের খাবার দেওয়া, তাদেরকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সেগুলি নেওয়া।
যদি কোন মাছের কোন রোগ হয়েও থাকে তাহলে আপনি পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট আর লবন অর্থাৎ সোডিয়াম ব্যবহার করুন কেননা একটি মাছের থেকে সেই রোগের জীবাণু সম্পূর্ণ মাছের মধ্যে অর্থাৎ সম্পূর্ণ পুকুরের মাছের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে। এইজন্য এই বিষয়ের উপরে আপনার বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
জলের গুণমান বজায় রাখা:
জলের মান বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একবার পরিষ্কার করুন। তাছাড়া মাসে দুবারও করতে পারেন। এর সাথে সাথে আপনার মাছ চাষের জলে পিএইচ লেভেল ৭ থেকে ৮ পর্যন্ত যেন থাকে। এই দিকটা খেয়াল রাখবেন। এমন করার ফলে মাছেদের ভালো জল মেলে এবং তারা খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠতে পারে।
মাছ চাষে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উপকরণ:
মাছের ট্রাংক অথবা পুকুর, খাল:
সাধারণত মাছের ট্রাংক তখনই প্রয়োজন পড়বে যখন কারো কাছে পুকুর অথবা খাল থাকবে না। যেমন ধরুন অনেকের ছাদের উপরে ট্রাংকের মধ্যে মাছ চাষ করে থাকেন। সেটা আপনার উপর নির্ভর করবে আপনি কোথায় মাছ চাষ করতে চান বা করতে পারবেন।
কোথায় থেকে নেবেন:
আপনি এইরকম মাছ চাষের জন্য ট্রাংক অনলাইন এবং অফলাইন দুটো মাধ্যমে কিনতে পারেন। অফলাইনে যদি চেনেন তাহলে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র বিক্রি করে এমন কোম্পানি অথবা দোকানে গিয়ে খোঁজ করলেই পেয়ে যাবেন। সেখানে আপনি জিনিসটি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। আর যদি মনে করেন যে অনলাইনে অর্ডার করে নেবেন তাহলে
Fish Aquaculture | Click here |
Fish Tank | Click here |
এই লিংকের মাধ্যমে ও কিনতে পারেন।
জল পরীক্ষা করার জন্য উপকরণ:
মাছেদের উপযুক্ত জল পরীক্ষা করার জন্য নিচে এই লিংকের মাধ্যমে গিয়েও কিনতে পারেন, যা কিনা ১৫০০ টাকার আশেপাশে আপনি পেয়ে যাবেন। মাছ চাষের ক্ষেত্রে জলের পরীক্ষা করতে গেলে আপনাকে এটি অবশ্যই নিতে হবে।
Water testing equipment kits | Click here |
অন্যান্য উপকরণ এবং তাদের দাম:
মাছ চাষ করার জন্য পাম্প প্রয়োজন পড়বে। জল ভরার জন্য এবং অন্যান্য কাজে জল সেচ করে মাছ তোলার কাজেও ব্যবহার করা হয়। পাম্প কেনার জন্য ৩০০০ টাকা পড়তে পারে, কম করে। তাছাড়া এমন অনেক পাম্প আছে যেগুলি লাখ টাকা পর্যন্ত দাম। আপনার বাজেট অনুযায়ী আপনি পাম্প কিনতে পারেন।
এর সাথে সাথে মাছগুলোকে যখন তুলবেন বিক্রি করার জন্য অথবা ছোট কোন মাছ অন্য পুকুর, খালে ছাড়ার জন্য সেক্ষেত্রেও বিভিন্ন রকমের উপকরণ লাগবে আপনার। যেমন ধরুন জাল তাছাড়া আরও কিছু জিনিস, যেগুলি ১০০ থেকে ১০০০ টাকার আশেপাশে পেয়ে যাবেন। কম করে তবে এর থেকেও দামি আছে।
মাছ চাষ করার পদ্ধতি:
#১) খাঁচা অথবা পিনজারা পদ্ধতি:
এই পদ্ধতি সমুদ্র, নদী, ঝিল, এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেননা বিস্তর জলের মধ্যে খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে আপনি মাছ গুলোকে খুব সহজেই তুলে বিক্রি করতে পারবেন।
এটা কিন্তু সবচেয়ে সহজ এবং ফায়দা সম্পন্ন ব্যবসা এবং মাছ চাষ। নদী এবং সমুদ্রে খাঁচা অথবা জাল বিছিয়ে রাখতে হবে তবে সমুদ্রে এই কাজগুলি করার সময় অবশ্যই বিশেষ খেয়াল রাখবেন নিজের প্রতি।
#২) কৃত্রিম পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ:
এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার জন্য আপনাকে কৃত্তিমভাবে পুকুর তৈরি করতে হবে। তারপর ভালোভাবে এটিকে মেন্টেন করার জন্য আপনার হয়তো একটু বেশি খরচ পড়তে পারে, আর এতে পরিশ্রম অনেকটাই লাগে।
যদি আপনার কাছে পুকুর অথবা খাল না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি এই কৃত্রিম পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করতে পারেন তাছাড়া পুকুর থাকলে পুকুরে করবেন।
#৩) ঘর অথবা বন্ধ রুমে মাছ চাষ:
আজকাল এই আধুনিক যুগে টেকনিকের ব্যবহার করে আপনি আপনার ঘর অথবা কোন বন্ধ কামরাতে মাছ চাষ করতে পারেন, এর জন্য টেকনিক ব্যবহার করতে হবে আপনাকে, এবং মাছের থাকার উপযুক্ত জায়গা তৈরি করতে হবে।
এর জন্য ঘরের তাপমাত্রা বাড়ানো অথবা কমানোর ব্যবস্থা করতে হবে আর তার জন্য ঘরে বিভিন্ন রকমের উপকরণ লাগাতে হতে পারে যার সাহায্যে ঘরের তাপমাত্রা হিসাব রাখতে পারবেন এইভাবে মাছ চাষ কিন্তু বিশেষ লাভ দায়ক। তবে খেয়াল রাখবেন জায়গাটি যেন উপযুক্ত হয় মাছ চাষের জন্য এবং বিদ্যুৎ-এর সুবিধা সবসময় থাকে।
মাছ চাষ করার ক্ষেত্রে লাভ:
#১) আজকাল মাছ চাষ প্রচুর পরিমাণে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আপনিও কিন্তু এই ব্যবসা করে প্রতিবছর ভালোমতো একটা উপার্জন করতে পারেন। শুধুমাত্র এটাই নয় এই ব্যবসাটিকে আপনি বিদেশ পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারেন। আর অন্য দেশে নিজের উৎপাদিত মাছ রপ্তানি করতে পারেন।
#২) সবচেয়ে ভালো বিষয় হল এই ব্যবসাটি শুরু করতে গেলে আপনার তেমন কিছু খরচ পড়বে না, অর্থাৎ আপনি খুব কম ইনভেস্টমেন্ট করে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। শুধু এই নয় আমাদের দেশের নদী, সমুদ্রে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায় আর সে ক্ষেত্রে এই ব্যবসাতে কখনোই লোকসান হবে না।
মাছ চাষ করার ক্ষেত্রে লাইসেন্স:
ভারতে যেকোন রকমের ব্যবসাই করুন না কেন, সে ক্ষেত্রে আপনার লাইসেন্সটা প্রয়োজন। সবার প্রথমে আপনার ব্যবসাটিকে রেজিস্ট্রেশন করান। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনার একটি ফর্ম ভরতে হবে। যে ফর্ম টির নাম হল উদ্যোগ আধার। আপনি সরাসরি এম এস এম ই মন্ত্রণালয়ে গিয়ে যেকোনো সরকারি কার্যালয় আপনার এই ব্যবসাটি রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারেন। যার জন্য আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র, আপনার পরিচয় পত্র, আপনার আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং আপনার ফটো ইত্যাদি লাগতে পারে।
রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাওয়ার পর রেজিস্ট্রেশন এর একটি সংখ্যা অথবা নাম্বার আপনাকে দেয়া হবে। যে নাম্বারের মাধ্যমে আপনি সরকার থেকে কোন সাবসিডি অথবা ছাড় কিংবা লোন নিতে পারবেন কিন্তু যদি আপনি সমুদ্র অথবা নদীতে এই ব্যবসাটি করে থাকেন তাহলে সরকার থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিয়ে রাখাটা অবশ্যই প্রয়োজন।
ঘর থেকে কিভাবে শুরু করবেন এই ব্যবসা:
টব এবং প্লাস্টিকের কৃত্রিম পুকুরের সাহায্যে এই ব্যবসাটি আপনি ঘর থেকেই শুরু করতে পারেন। তাছাড়াও ঘরের ছাদে ও কিন্তু এরকম কৃত্রিম পুকুর বানিয়ে তাতে মাছ চাষ করতে পারেন। কিন্তু খেয়াল রাখবেন মাছের দুর্গন্ধ যেন আপনার সারা ঘরে ছড়িয়ে না পড়ে।
মাছের জন্য খাবার জলের পরিবর্তন এবং মাছের জন্য ওষুধ, এগুলি কিন্তু সময় সময় আপনার যোগাড় করতে হবে। এছাড়াও সপ্তাহে এরকম কৃত্রিম পুকুরের জল আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে। সেক্ষেত্রে পরিশ্রমটা একটু বেশি।
মার্কেটিং:
ভারতে প্রায় সমস্ত শহরে এবং গ্রামে মাছের চাহিদা প্রচুর এবং সব জায়গাতেই মাছ বিক্রি করার জন্য বাজার বসে থাকে। যেখানে পাইকারি এবং খুচরা পদ্ধতিতে মাছ বিক্রি করা হয়। শুধু তাই নয়, ভারত থেকে মাছ বিদেশে পাঠানো হয়ে থাকে। এছাড়াও আপনি আপনার উৎপাদিত মাছকে কোন হোটেল, রেস্টুরেন্ট, দোকানদারের সাথে যোগাযোগ করে বিক্রি করতে পারেন।
প্যাকেজিং:
যখন আপনি আপনার উৎপাদিত মাছ হোটেল এবং দোকানদারের কাছে বিক্রি করবেন তার আগে সেই মাছ গুলোকে ভাল করে প্যাকিং করতে হবে আপনাকে। যার কারণে মাছগুলোকে খুব সহজেই কোন ঝামেলা ছাড়াই সেই ব্যক্তির কাছ পর্যন্ত পৌছাতে পারেন আপনি।
তাছাড়া বিদেশে যখন মাছ রপ্তানি করা হয় তখন ও ভালোভাবে প্যাকিং এর দিকে খেয়াল রাখতে হয়। আপনি এই মাছের প্যাকিং যেকোন রকমের পলিথিন ব্যাগের সাহায্যেও করতে পারেন। আর এই ব্যাগ আপনি খুব সহজেই বাজারে পেয়ে যাবেন।
মাছ চাষের জন্য ইনভেস্টমেন্ট:
যদি ইনভেস্টমেন্ট এর কথা বলা হয়, তাহলে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে আপনার এই মাছ চাষ এবং ব্যবসার সম্পূর্ণ সেটআপ তৈরি হয়ে যাবে। এরপরে মাছের চারা, মাছের খাদ্য, জল, বিদ্যুৎ সবমিলিয়ে ১ থেকে ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে আপনার। অর্থাৎ এই ব্যবসাটি কে ভালোভাবে শুরু করতে গেলে আপনার কাছে কম করে দুই লাখ টাকা পুঁজি থাকার প্রয়োজন আছে। তবে লাভের তুলনায় ইনভেস্টমেন্ট অনেকটাই কম।
মাছ চাষ এবং এর ব্যবসা থেকে লাভ:
এই ব্যবসার ক্ষেত্রে লাভের কথা বলতে গেলে, আপনি প্রচুর পরিমাণে লাভ করতে পারবেন। যদি আপনি এই ব্যবসাতে ১০০০০০ টাকা ইনভেস্টমেন্ট করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে তিন গুন লাভ আপনি পেতে পারেন। এছাড়াও এই ব্যবসাতে আপনার পরিশ্রম এর উপরে নির্ভর করবে লাভ, লোকসান।
তার উপরে বেশি নির্ভর করে মার্কেটিং এর উপর অর্থাৎ অন্যান্য ব্যবসার মতো আপনি যদি ভালোভাবে ব্যবসাটি করতে পারেন, পরিশ্রম করতে পারেন, মার্কেটিং ভালোভাবে করতে পারেন, তাহলে এই ব্যবসা আপনাকে তিন থেকে পাঁচ গুণ উপার্জন করে দেবে আপনার খরচের তুলনায়।