2024 সেরা ১৬টি ফ্রিল্যান্সিং ব্যাবসার দুর্দান্ত আইডিয়া ও ইনকাম – 2024 Freelancing Business Idea in Bengali (ফ্রিল্যান্সিং ব্যাবসার দুর্দান্ত আইডিয়া 2024): কিভাবে বাংলায় ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসা শুরু করবেন? | বাংলায় নতুন ফ্রিল্যান্সিং বিজনেস আইডিয়া।
ফ্রিল্যান্সিং ব্যাবসার আইডিয়া 2024: দৈনন্দিন জীবনে 8 টা থেকে 5 টা, এই রুটিন মেনে কাজ করতে করতে মানুষ একেবারে হাঁফিয়ে উঠেছে। কিন্তু তবুও অনেকেই এই কাজটা কে ভালোবেসে করে যাচ্ছেন, নিজেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য।
তাছাড়াও এত কষ্টের পর নিজের কাজ অনুযায়ী সেইরকম অনুরূপে বেতনও কিন্তু পাওয়া যায় না, সংসারের খরচ, পরিবারের চাহিদা সবকিছু অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
আপনি যদি ভেবে থাকেন যে আলাদা কিছু রোজগারের রাস্তা দেখে নিজেদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে চান, সে ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যবসাটা (Freelancing Business) কিন্তু ভীষণ ভালো একটা অপশন।
সবথেকে বড় বিষয় হলো, এই কাজের যে সুবিধাটা, সেটা আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোনো সময় করতে পারেন ঘরে থেকেই। তবে আপনি হয়তো ভাবছেন যে ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যবসা টা আসলে কি? তাহলে জানা যাক ফ্রিল্যান্সিং কি।
ফ্রিল্যান্সিং জব কি :
টাকা উপার্জনের জন্য ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) হল এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে আপনার কোন বস থাকবে না, সেখানে আপনি নিজেই নিজের বস। আর আপনার সময় মত যে সময় আপনি এই কাজটি করতে পছন্দ করবেন অথবা ফাঁকা থাকার সময় এই কাজটি করতে পারেন।
তবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে গেলে আপনাকে প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে আপনি যে ওয়েবসাইটের হয়ে কাজ করছেন সেই ক্ষেত্রে সবকিছু যেন সত্যি হয় অথবা জেনুইন হয়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য প্রতারণার শিকার হতে হয়েছে অনেকের। আবার কাজ হয়ে যাওয়ার পরেও ঠিকমতো টাকাও পাননি অনেকেই।
আবার অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখানে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায় এবং অনায়াসেই কাজ করা যায়, সেখানে কোনো রকম প্রতারণা হওয়ার সুযোগই নেই।
সেই সব ওয়েবসাইটে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং জব (Freelancing Job) করতে পারবেন অনায়াসেই। আর এইসব ওয়েবসাইটের মধ্যে দিয়ে আপনি রোজগারও করতে পারবেন খুব ভালোমতো।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করবেন কিভাবে আর উপার্জন কিভাবে করবেন:
- 1) এ জন্য প্রথমে আপনাকে কোন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে (Freelancing Website) গিয়ে নিজের প্রোফাইল বানাতে হবে।
- 2) কিছু ওয়েবসাইটের নাম হল Upwork, Freelancer, Guru, 99 design, fiverr ইত্যাদি। এখানে আপনার প্রোফাইল বানাতে পারেন।
- 3) ওয়েবসাইটের উপর প্রোফাইল বানাতে গেলে আপনাকে আপনার নাম, পুরনো কাজের অভিজ্ঞতা, কেমন ধরনের কাজ করতে চাইছেন ইত্যাদির তথ্য দিতে হতে পারে।
- 4) এখানে আপনাকে প্রথমে কাজের শুরুতে ট্রেনিং দেওয়া হয়ে থাকে। যেখানে আপনি কাজ শিখেও করতে পারবেন।
- 5) এই ওয়েবসাইটে আপনার প্রোফাইলের তথ্য দেখে ক্লাইন্ট নিজে থেকেই আপনার সাথে যোগাযোগ করবেন, এমনভাবে আপনি ঘরে বসেই কাজ পেয়ে যেতে পারেন।
- 6) যদি আপনার কাজ ভালো হয় এবং ক্লায়েন্টের পছন্দ হয় সেই ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট এর দ্বারা আপনার প্রোফাইল এর রেটিং হয়ে যাবে এই রেটিং এর উপর ভিত্তি করে অন্য কোন ক্লায়েন্ট ও আপনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন। এইভাবে ধীরে ধীরে আপনার ভালো রকম কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তার সাথে উপার্জন করার সুযোগও।
- 7) কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর আপনার কাজ এর জন্য আপনাকে টাকা অথবা পেমেন্ট দেওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এইরকম কাজে আপনাকে ডলার এর মাধ্যমে পেমেন্ট দেওয়া হয়। যেটা আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন।
অনলাইন ফ্রীলান্স বিজনেস আইডিয়া, অথবা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কি কি কাজ সম্পন্ন হয়:
এখানে আপনি আপনার যোগ্যতা অনুসারে কাজ পেয়ে যাবেন এবং এই ফ্রিল্যান্সিংয়ের উপর আপনি আপনার জব অথবা কাজ করতে পারেন। আর তার থেকে ভালো মত টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আপনি যত বেশি ভাল এবং উন্নত রকমের কাজ করতে পারবেন ততই আপনার উপার্জনের পরিমাণটা বাড়তে থাকবে দিন দিন। এই ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ (Freelancing Business) করলে আপনি হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত ঘরে বসে উপার্জন করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার সময় আপনাকে যে বিষয়ের উপর বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। সেটা হল আপনার কাজ এর মধ্যে উন্নতমানের গুনবত্তা যেন সবসময় বজায় থাকে। কারণ এসব এক্ষেত্রে আপনার কাজের মার্কেটিং শুধুমাত্র আপনার কাজের উপরেই নির্ভর করবে।
ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে বেশ কিছু কাজ করে আপনি উপার্জন করতে পারেন তার মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো:
1) ব্লগিং: Blogging
নামটা হয়তো অনেকেরই চেনা, আজকাল অনেক সাইট আছে যেখানে ব্লগিং লেখে এমন মানুষের খোঁজ করা হয়, যারা ওয়েবসাইটের হয়ে বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখার কাজ করে থাকেন।
যারা ব্লগিং করেন তারা নিজের ইচ্ছা অনুসারে কোম্পানি সার্চ করে নিজের ঘরে থেকে অন্য কারোর জন্য ব্লগিং এর কাজ করতে পারেন।
তাছাড়া আপনি যদি মনে করেন আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী নিজে থেকে সাইট বানিয়ে সেখানেও ব্লগিং এর কাজ শুরু করতে পারেন।
আজকাল বর্তমানে এমন অনেক মানুষের উদাহরণ পাওয়া যায়, যারা কিনা শুধুমাত্র ঘরে থেকেই ব্লগিংয়ের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা মাসে রোজগার করছেন।
2) শিখন: Teaching
শিখন অথবা টিচিং এমন একটি কাজ যেটা আপনি অনলাইন এবং অফলাইন দুটো মাধ্যমে করতে পারেন, এর চাহিদা প্রচুর।
যদি আপনার মধ্যে কাউকে শেখানোর ক্ষমতা থেকে থাকে, তো আপনার পছন্দমত বিষয়ের উপর ভিডিও বানিয়ে সেটাকে অনলাইন প্লাটফর্মের উপর শেয়ার করে, আপনি কাউকে কোন কিছু শেখাতে পারেন এটা আপনার জন্য একটা ভীষণ ভালো ব্যবসা হতে পারে, এছাড়াও আপনি কোন অন্য ব্যক্তির জন্য অনলাইনে এই শেখানোর কাজ করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনি আপনার কাজ অনুযায়ী ঘণ্টার হিসাব করে টাকা অথবা বেতন পেতে পারেন।
3) স্টক ফটোগ্রাফি: Stock Photography
যদি আপনার কাছে একটি ভালো ক্যামেরা থাকে আর আপনি ছবি তোলার জন্য বেশ উপযুক্ত এবং সবদিক থেকে তৈরি সেক্ষেত্রে আপনার ক্যামেরায় তোলা ছবি বিভিন্ন ফটো সাইটস এর উপর ডাউনলোড করতে পারেন,
আর আপনি যে ডাউনলোড করেছেন যে ফটোগুলো সেই ফটোগুলো বিক্রি হওয়ার সাথে সাথে এবং ডাউনলোড হওয়ার সাথে সাথে আপনার কমিশন মিলবে প্রতি ছবি অনুযায়ী।
4) ম্যাগাজিন আর্টিকেল রাইটিং: Content Writing
বাজারে এমন অনেক ম্যাগাজিন কোম্পানি আছে যারা নিজেদের ম্যাগাজিনের উপর এমন কিছু রাইটারদের দিয়ে লেখাতে চান যারা ভীষণ ভাল আর্টিকেল লিখতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনিও তাদের চাহিদা অনুযায়ী লেখা এবং কোন কাহিনী, তা ছড়া অন্য কোন প্রজেক্ট এর উপর কাজ করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে ম্যাগাজিন আর্টিকেল রাইটিং টা আপনার ভালো লাগার বিষয় হতে পারে, তার সাথে সাথে উপার্জন টাও বশ ভালই।
5) গ্রাফিক ডিজাইনিং: Graphics Designing
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে অনলাইন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে গ্রাফিক ডিজাইনার এর ভীষণ চাহিদা, কিছু কিছু কোম্পানি এবং লোকেদের লোগো, ইনফোগ্রাফিক্স মেন্স আর কভার ফটো এর মত জিনিসের প্রয়োজন হতে পারে,
প্রত্যেক জায়গায় গ্রাফিক ডিজাইনার এর জন্য অনেক কাজ থাকে, কিন্তু আমরা যদি পুরো ফিল্ডের ক্ষেত্রে কথা বলি সে ক্ষেত্রে গ্রাফিক ডিজাইনার এর জন্য এতটাই কাজ আছে যে কি কোন গ্রাফিক ডিজাইনার ফুলটাইম এই কাজ করতে পারবেন।
6) প্রোগ্রামিং: Programming
যদি প্রোগ্রামিং না থাকতো তাহলে ইন্টারনেট ও হয়তো থাকত না, আর না তো এই প্লাটফর্মে কোনরকম উন্নতি ও হতো।
যদি আপনার প্রোগ্রামিং বিষয়ে বিশেষ ধারণা থেকে থাকে এবং প্রোগ্রামিং নিয়ে আপনি ভাল কাজ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্লাটফর্মে আপনি খুব ভালো একটা উপার্জনের পথ পেতে পারেন।
আপনি এই প্লাটফর্মে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট নতুন এবং জটিল ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন, এমন কাজ করে বছরে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
7) ফটো এডিটিং: Photo Editing
আপনি যদি ফটোশপের কাজটা নিখুঁতভাবে করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে কিন্তু এই কাজটা আপনার জন্য বেস্ট। আপনার ফটোশপের কাজ এবং ফটো এডিটিং এর বিষয়টা শুধুমাত্র আপনার পছন্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সেটাকে অনলাইনে উপার্জনের রাস্তায় নিয়ে যেতে পারেন।
বাজারে এর চাহিদা প্রচুর। মানুষ নিজের অনলাইন প্লাটফর্মে বিভিন্ন ফটো ব্যবহার করেন, যার জন্য সেই ফটোতে কোন রকম পরিবর্তন প্রয়োজনীয় হতে পারে, সে ক্ষেত্রে ওইসব লোক ফটো এডিটিং সফটওয়্যার কিনতে চান না, তাছাড়া অনেক মানুষের কাছে সে সময় টাও পর্যন্ত থাকে না।
এমন অবস্থায় কাউকে দিয়ে এই কাজটা করিয়ে তাকে সেই কাজের বিনিময় টাকা দিয়ে কাজ করে থাকেন অনেকে।
8) অ্যাকাউন্টিং: Accounting
আপনি যদি একাউন্ট ম্যানেজ করার ক্ষেত্রে ভীষণ ভালো দক্ষতা দেখাতে পারেন, সেক্ষেত্রে কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্লাটফর্মে একাউন্টিং (Accounting) এর কাজ করে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন।
যদি আপনার মধ্যে ট্যাক্স সম্পর্কে জ্ঞান থাকে, সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনি তুলনায় অনেক বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন, কিছু অনেক ছোট ব্যবসায়ী ও আপনাকে একাউন্ট ম্যানেজ করার জন্য অনলাইন একাউন্ট কে হায়ার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনিও এই কাজের জন্য ঘরে বসেই টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
9) এডিটিং: Editing
অনলাইন প্লাটফর্ম এর মধ্যে এডিটিং সার্ভিস এই বিষয়টা এত বেশি চাহিদা সম্পন্ন যে, এক্ষেত্রে কাজ করার জন্য বিভিন্ন ফ্রীলান্স প্রজেক্ট এর উপর আপনি কাজ করতে পারবেন, আর আপনার বেতনটাও কিন্তু নজরকাড়া হতে পারে।
আপনি একজন এডিটর হিসেবে কতটা উপার্জন করতে পারবেন সেটা আপনার কাজের দক্ষতা এবং জ্ঞানের উপর নির্ভর করবে, যেমন আপনি কি রকম প্রজেক্ট এর উপর এডিটিং করেন অথবা করতে পারেন।
1০) সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট: Social Media Management
আজকালকার দিনে যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর বিষয়ে গুরুত্ব রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী এই বিষয়টাকে নিজের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য এবং নিজের ব্যবসা সম্পর্কে গ্রাহকদের কাছে তথ্য প্রদান করার জন্য নিয়মিত রূপে গ্রাহকদের গ্রাহক সেবা প্রদান করার জন্য কোম্পানির নিজস্ব অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের উপর ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য এই বিষয়টাকে প্রয়োগ করে থাকেন।
তাছাড়া যে কোন ব্যবসার জন্য এই বিষয়টাকে ভালোভাবে মেনটেন করতে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে যেতে পারে, আপনি যে কোন ব্যবসার জন্য সেই ব্যবসার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কে ম্যানেজ অথবা ভালোভাবে হ্যান্ডেল করতে পারেন, তার সাথে ভালো মতো উপার্জনও করতে পারেন।
11) পডকাস্ট প্রোডাকশন: Podcast Production
এই বিষয়টা যেকোনো অনলাইন প্লাটফর্মের উপর আপনি পেয়ে যেতে পারেন, এর জন্য আপনার প্রয়োজন পড়তে পারে একটি স্ক্রিপ্টের।
তার সাথে সাথে আপনার যে কাজটা করতে হবে সেটা হল সাউন্ড এডজাস্টমেন্ট, বিভিন্ন ক্ষেত্রে এডিটিং এর কাজ করতে হয়, তাছাড়া আরও অনেক বিষয়ের উপরে খেয়াল রাখতে হয়।
আপনি যদি চান তাহলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্য এই কাজ করে আপনি আপনার বেতন নিতে পারেন। আর এই ভাবেই আপনি ঘরে বসেই কাজ করতে পারবেন এবং উপার্জন করতে পারবেন।
12) ভিডিও এডিটিং: Video Editing
যেকোনো অনলাইন প্লাটফর্মে ভিডিও খুব তাড়াতাড়িই জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারে, কারন মানুষ শোনার থেকে, পড়ার থেকে, দেখতে বেশি পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে আপনি খুব তাড়াতাড়ি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেন।
এই কাজের জন্য আপনাকে র ফুটেজ এবং ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়ে থাকে, আর সেক্ষেত্রে আপনাকে সফটওয়্যার এবং নিজের দক্ষতা অনুযায়ী ওই ভিডিওতে পরিবর্তন করতে হয়।
এমনভাবে আপনি বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও বানিয়েও ওই ভিডিওটিকে এডিটিং করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের উপর পোস্ট করে ভালোমতো উপার্জন করতে পারেন।
13) বিজনেস ম্যানেজমেন্ট: Business Management
ব্যবসার ক্ষেত্রে কিছু ইনভেস্টর বিভিন্ন অনলাইন ব্যবসাতে নিজের টাকা ইনভেস্ট করে থাকেন। কিন্তু এ ওয়েবসাইটগুলোকে চালানোর জন্য তাদের কাছে কোন রকম সময় থাকেনা।
সেই জন্য ওই ওয়েবসাইটগুলোতে চালানোর জন্য কোন অন্য ব্যক্তিকে হায়ার করে অথবা নিযুক্ত করা হয়। এই কাজের জন্য সে ক্ষেত্রে এমন ব্যক্তির খোঁজ করা হয় যে ব্যাক্তি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান রাখেন।
যদি আপনার মধ্যে এমন কোন গুনাগুন থেকে থাকে এ বিষয়ে, যদি আপনি ভালভাবে কাজ করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে এইসব ইনভেস্টরদের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট করে আপনি ভালোমতো উপার্জন করতে পারেন।
14) ভয়েস অ্যাক্টিং (ভয়েস ওভার জব): Voice Over Job
একজন ভয়েস এক্টর অনলাইনে বিভিন্ন রকমের প্রজেক্ট এর উপর কাজ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি কোন অডিওবুক অথবা কোন বইয়ের লেখা কে নিজের ভয়েস দিয়ে পড়ে সে থেকেও আপনি উপার্জন করতে পারেন, তাছাড়াও কোন কার্টুন চরিত্র কে নিজের আওয়াজ দিয়ে, কারো জন্য ব্যবসার রিপোর্ট তৈরি করতে এবং অন্য কোন কাজ করে আপনি ভয়েস ওভার এর কাজ করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার বেতন টা বেশ ভালোই। যখন আপনি এমন কাজ করে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করবেন তখন দেখবেন এই ভয়েস অ্যাক্টিং এর মার্কেট ভ্যালু কতটা পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
এছাড়া আরো অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি এই ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্লাটফর্মে করতে পারেন, যেমন – মারকেটিং কন্সুলটিং, এস ই ও সার্ভিস, ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং কনসালটিং, রিজুম মেকার, পার্সোনাল ফিটনেস ট্রেনিং, হাউস ক্লিনিং, রিয়েল এস্টেট সেলস কনসালটেন্ট, ঘোস্ট রাইটিং, ট্রানসলেশন, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ওয়ার্ক, মিউজিক রাইটিং এন্ড প্রোডাকশন, ট্রাভেল কনসাল্টিং, অনলাইন রিসার্চিং।
এইভাবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে দিয়ে আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী আপনার দক্ষতা ও জ্ঞান অনুযায়ী এর মধ্যে থেকে যেকোন রকমের কাজ নিজের পছন্দ ও পারদর্শিতা অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং বিজনেস শুরু করতে পারেন এবং ঘরে বসে অফিসের কোন রকম চিন্তা ছাড়াই ভালোমতো উপার্জন করতে পারবেন অনায়াসেই।