Sugarcane Juice Making Business Idea 2024 (আখের রস বিক্রির ব্যবসা 2024): জানুন আখের রস বিক্রির ব্যবসা শুরু করার সম্পূর্ণ পদ্ধতি এবং লাভ ও ইনভেস্টমেন্ট। How to Start Sugarcane Juice Making in India? | Sugarcane Juice Making Business Idea in Bengali.
আখের রস পছন্দ করেন না এমন মানুষ মেলা ভার। আর তাছাড়া এই মিষ্টি এবং সুস্বাদু আখের রস বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই বেশ মজা করেই খেয়ে থাকেন। আর যদি এই রসের সাথে একটু হালকা মসলা এবং বরফ মেশানো যায় তাহলে এর স্বাদ আরও দ্বিগুন পরিমাণে বেড়ে যায়। আর সেই কারণে এই আখের রস এর ব্যবসা বেশ ভালো জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
এই ব্যবসাটি বেশ লাভজনক একটি ব্যবসা। যেটি আপনি খুব সহজেই কম টাকা ইনভেস্ট করে খুব তাড়াতাড়ি শুরু করতে পারেন। যদি মনে করেন যে আজকে, এই ব্যবসাটি শুরু করবেন তাহলে কাল থেকে এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়, এমন ভাবে ধরা হয়।
আখের রসের চাহিদা:
আখের রস সারাবছর খেতে ভালো লাগে তার সাথে সাথে গরমের সময় যেমন আইসক্রিমের চাহিদা বাড়ে তার সাথে সাথে আখের রসের চাহিদাও অধিক পরিমাণে বেড়ে থাকে। কেননা এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন রকমের উপকারে আসে।
তাছাড়া গরমের সময় যে কোন জায়গাতে আপনি আখের রসের গাড়ি আপনি দেখতে পাবেন, অথবা দোকান দেখতে পাবেন। যে দোকানে আখের রস বরফ এবং মসলা দিয়ে বেশ সুস্বাদু করে বিক্রি করা হয়। আর যা মানুষ বেশ ভিড় করে খেয়ে থাকেন।
যদি শীতকালের কথা বলা হয় এই সময় হয়তো একটু চাহিদা কম হয়, তবুও অনেকেই এই সময়ে বিনা বরফের আখের রস খেতে পছন্দ করেন। আর তাই সারা বছর এই ব্যবসাটি করে আপনি ভালোমতো উপার্জন করতে পারবেন।
আখের রস তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত সামগ্রী:
আখের রস তৈরি করার জন্য যে সমস্ত জিনিসপত্র প্রয়োজন পড়বে আপনার সেগুলি হল:-
১) আখ
২) লবণ
৩) বরফ
৪) পুদিনা
৫) লেবু
৬) গ্লাস
৭) আখের রস রাখার পাত্র
আখ কোথায় থেকে নেবেন এবং এর দাম:
আপনার শহর অথবা গ্রামের কাছাকাছি যেকোনো জায়গা থেকে পাইকারি বাজার থেকেও আপনি সংগ্রহ করতে পারবেন। যেখানে আপনি খুবই কম দামে পেয়ে যাবেন।
তাছাড়া চাষীদের কাছ থেকেও আপনি সংগ্রহ করতে পারেন খুবই অল্প দামে। সেক্ষেত্রে হয়তো ১ কুইন্টাল আখের দাম ৩০০ টাকা পর্যন্ত পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি কোনো আখ চাষীদের কাছ থেকে আখ কিনে থাকেন তাহলে অনেকটাই দাম কম পাবেন আপনি।
লেবু:
আখের রস যখন কোন গ্রাহককে দেওয়া হয় তার মধ্যে লেবু অবশ্যই ব্যবহার করা হয়। আর তাই জন্য এই ব্যবসার ক্ষেত্রে লেবু আপনার প্রয়োজন পড়বে। আপনি বাজার থেকে পাইকারি দামে এই লেবু কিনতে পারেন।
আর এর দাম গরমের সময় একটু বেশি হতে পারে। গরমের সময় এক কিলো লেবু ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তাছাড়া লেবুর দাম সবসময় একরকম থাকে না। কখনো কম অথবা কখনো বেশি হতে পারে।
পুদিনা:
পুদিনা এমন একটি পাতা যা কিনা খুবই সুন্দর খেতে এবং যে খাবারের সাথে এই পুদিনা পাতা মেশানো হয় অথবা পুদিনা পাতার রস মেশান হয় সেটা বেশ ভালই সুস্বাদু খেতে লাগে, আর এর ব্যবহার আখের রসের সাথে করা হয়ে থাকে। যার কারণে আখের রস আরো বেশি সুস্বাদু হয়ে যায়।
পুদিনা গরমের সময় বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। আর এক গ্লাস আখের রসের উপরে পুদিনা পাতা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে যেমন দেখতে ভালো লাগে তার সাথে সাথে খেতেও বেশ সুন্দর লাগে। আর পুদিনা পাতার গন্ধ একেবারে মন ভরিয়ে দেয়।
একগোছা পুদিনা ৫ টাকা দামে পেয়ে যাবেন। আর যদি এই পুদিনা পাতা কোন পাইকারি সবজি বাজার থেকে নিয়ে থাকেন তাহলে আরও সস্তা দামে পেয়ে যাবেন। এই জন্য চেষ্টা করবেন যে আখের রস তৈরি করার জন্য লেবু এবং পুদিনা পাতা পাইকারি দামে কোন মার্কেট থেকে কম দামে কেনার।
বরফ:
আখের রসে বরফের টুকরো দেওয়ার ফলে আখের রস বেশ ঠান্ডা হয়। এটি বেশিরভাগ মানুষ পছন্দ করে থাকেন। তার জন্য আপনার ভালোমতো বরফ এর যোগান রাখতে হবে। ব
রফের চাঁই আপনি যেকোন বড় পাওয়া যাবে এমন জায়গা থেকে অনায়াসেই নিতে পারবেন, বরফ ছাড়াও আখের রসের মধ্যে আদা ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেই কারণে এই আদাও আপনি সবজি বাজার থেকে পাইকারি দামে কিনতে পারেন। একেবারে খুবই কম দামে এই বরফের চাঁই আপনি কিনতে পারবেন।
গ্লাস:
আপনি যদি মনে করেন তাহলে কাচের গ্লাস ও এই ব্যবসাতে ব্যবহার করতে পারেন সেক্ষেত্রে দেখতেও যেমন ভাল লাগবে তেমনি কাস্টমার এই গ্লাসে খেতে বেশি পছন্দ করে থাকেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনার ভালোমতো খেয়াল রাখতে হবে যাতে ওগুলি ভেঙে না যায়, সেই কারণে ব্যবসাটি শুরু করার সাথে সাথে আলাদা আলাদা সাইজের দশটি কাচের গ্লাস কিনতে হবে আপনাকে।
যেকোন থালা বাসনের দোকান থেকে আপনি এই গ্লাস কিনতে পারবেন। তাছাড়া এখন যে পেপার গ্লাস পাওয়া যায়, তা দিয়েও আপনি ব্যবসাটি করতে পারেন। যেটা কেবলমাত্র একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হয়। আজকাল আবার এই গ্লাস এর প্রচলন এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে গ্রাহক এই গ্লাসে যেকোনো জুস অথবা ড্রিংকস খেতে পছন্দ করছেন।
আখের রস বের করার মেশিন:
আখের রস বের করার জন্য আপনার একটি মেশিনের প্রয়োজন পড়বে, যা কিনা বিদ্যুৎ এর সাহায্যে চলে থাকে তাছাড়া একটি হাতে চালানো মেশিন পাওয়া যায়, তবে সেটা ছোটখাটো ব্যবসার ক্ষেত্রে ঠিক আছে। যদি আপনি বড় আকারে ব্যবসাটি শুরু করতে চান তাহলে বড় মেশিন যেটা বিদ্যুতের মাধ্যমে চলে সেটা নিতে হবে। এই মেশিন আপনি অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই কিনতে পারবেন।
Sugarcane Juice Machine | Click here |
SYGA Sugarcane Juice Machine | Click here |
Master Sugarcane Juice Machine | Click here |
Big Sugarcane Juice Machine | Click here |
আখের রস বের করার মেশিনের দাম:
আখের রস বের করার মেশিনের দাম ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু। তাছাড়া এই মেশিনের দাম মেশিনের কোয়ালিটির সাথে সাথে বাড়তে পারে। মানে যদি আপনি অটোমেটিক মেশিন নিয়ে থাকেন তাহলে একটু দামি হতে পারে।
আখের রস বের করার প্রক্রিয়া:
১) আখের রস বের করার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে আখ গুলি কে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর আপনি চাইলে আখ গুলিকে ভালো করে ছাড়িয়ে নিতে পারেন অথবা না ছাড়িয়েও সরাসরি মেশিনে দিতে পারেন।
২) মেশিনের মধ্যে আখ গুলিকে দেওয়ার পর মেশিন চালু করতে হবে। এই মেশিনের সাহায্যে আপনি একবারে তিন থেকে পাঁচ টি আখ দিতে পারবেন।
৩) মেশিনের মধ্যে আখ গুলিকে দেওয়ার পর আখ থেকে আখের রস বের হতে শুরু করবে।
৪) মেশিনের মধ্যে আপনি আখের সাথে লেবু পুদিনা আর আদা দিয়ে দিতে পারেন অথবা এই জিনিসগুলো আপনি পরেও দিতে পারবেন যখন আখের রস আখ থেকে বের হয়ে একেবারে পাত্রে এসে জমা হবে। এছাড়াও আখের রসের সাথে লবণ এবং বরফ দিতে একেবারেই ভুলবেন না।
আখের রস এর দাম কত টাকা রাখবেন:
এই আখের রসের এক গ্লাস পাঁচ টাকা, দশ টাকা, কুড়ি টাকা, পর্যন্ত দাম দিয়ে বিক্রি করতে পারেন। আবার আপনি চাইলে গরমের সময় আখের রস এর দাম বাড়িয়ে দিতে পারেন কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার আশেপাশে যদি কোন অন্য ব্যক্তি আপনার থেকেও কম দামে আখের রস বিক্রি করছেন, তাহলে সেই ব্যক্তি যে দামে বিক্রি করছেন সেই দাম দিয়েই কিন্তু আপনি বিক্রি করবেন। না হলে আপনার ব্যবসায় লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
এই ব্যবসার জন্য সঠিক এলাকা নির্বাচন:
আপনি আখের রস বিক্রি করার জন্য, যে জায়গাতে বেশি পরিমাণে ভিড় জমায় সেই সমস্ত জায়গাতে যেমন ধরুন মার্কেট, স্কুল এবং কলেজের আশেপাশেই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। কেননা এই জায়গাতে সবসময়ের জন্য মানুষজনের ভিড় লেগেই থাকে।
আখের রস বিক্রি করার ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে:
১) নিজস্ব দোকান খুলে:
আপনি ব্যবসাটি দু রকম ভাবে করতে পারেন, প্রথমত আপনি কোন দোকান ভাড়ায় নিয়ে চালাতে পারেন। এই দোকানে আপনার মেশিন এবং আখ গুলি রাখার জায়গা থাকতে হবে। আর এই দোকান থেকে আখের রস বের করে বিক্রি করতে পারবেন অনায়াসেই।
২) ঠেলাগাড়ির মাধ্যমে:
আর একটি উপায় হল কোন ঠেলাগাড়িতে আখের রস বের করার মেশিন লাগিয়ে নিতে পারেন, যে মেশিনটি বিদ্যুৎচালিত নয় এবং খেয়াল রাখতে হবে যে সেই ঠেলাগাড়ি নিচের দিকে আপনার আখ গুলি রাখার জায়গা যেন অবশ্যই করা থাকে। মার্কেটে বিভিন্ন রকমের ঠেলাগাড়ি আপনি পেয়ে যাবেন। যার মাধ্যমে আপনি এই ব্যবসাটি অনায়াসেই করতে পারবেন।
উপরের ওই দুই রকম ভাবে ব্যবসা করার মধ্যে দিয়ে কোন মাধ্যমটি সবচেয়ে বেশি লাভ দায়ক:
আপনি যদি দোকান করে তার মাধ্যমে এই ব্যবসাটি করে থাকেন তাহলে আপনি বেশি লাভ দায়ক হবেন বলে মনে করা হয়। কেননা আপনাকে বারবার জায়গা বদলাতে হবে না।
শুধু তাই নয় আপনি যদি খুব ভালো রকম জুস বানাতে পারেন তাহলে গ্রাহক আপনার তৈরি করা হয় এই আখের রস খেয়ে আপনার দোকানে বারবার আসতে শুরু করবেন। আপনাকে আর কোথাও খুঁজতে হবে না সেই গ্রাহককে।
এই ব্যবসাতে সম্পূর্ণ খরচ:
আখের রস বিক্রি করার জন্য আপনি যদি কোন দোকান ভাড়া নিয়ে থাকেন, তাহলে প্রতি মাসে দোকান ভাড়া দিতে হবে এবং দোকানের ভাড়া সেই জায়গার উপর নির্ভর করবে।
আপনি কেমন জায়গায় সেই দোকানটি ভাড়া নিচ্ছেন সে ক্ষেত্রে কম হতে পারে আবার বেশিও হতে পারে। আর যদি ঠেলাগাড়ির মাধ্যমে আপনি এই ব্যবসাটি করেন তাহলে আপনার একবার মাত্র ঠেলাগাড়ি কিনতে হচ্ছে খুবই অল্প দামে।
আর দোকান ভাড়া দিতে হচ্ছে না, তাছাড়া আপনার মিউনিসিপ্যালিটি থেকে যে কোন এক জায়গায় এই ঠেলাগাড়ি লাগানোর অনুমতি নিয়ে নিতে পারেন, আর যদি এক জায়গা থেকে আপনি এই আখের রস বিক্রি করতে না চান তাহলে কারো কাছ থেকে আপনার অনুমতি নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
এই ব্যবসাতে কর্মচারীর প্রয়োজনীয়তা:
১) যেমন ধরুন আখগুলি কে পরিষ্কার করা, গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া এবং তাদের আখের রস খাওয়া গ্লাস গুলিকে ভালো করে ধোয়ার কাজ করার জন্য এক দুই জন কর্মচারী আপনার রাখতে হতে পারে।
২) আর যদি আপনি দোকান খুলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই লোকগুলো আপনার কাজে রাখতে হবে। যদি আপনার কাছে এত বাজেট না থাকে তাহলে আপনার পরিবার থেকে যেকোন কাউকে এই দোকানে আপনার সাহায্য করার জন্য রেখে দিতে পারেন।
৩) আর যদি ঠেলাগাড়ির মাধ্যমে ব্যবসাটি করতে চান, তাহলে একজন কে আপনার সাথে রাখতে হবে আর যদি সেই ব্যক্তিকে বেতন দেওয়ার মতো কোন রকম টাকা আপনার কাছে না থেকে থাকে তাহলে সমস্ত কাজ আপনার একাই করতে হবে। যদি আপনি তা পেরে ওঠেন তাহলে কোন অসুবিধা নেই। আপনি একাই এই কাজগুলো করতে পারেন।
এই ব্যবসার ক্ষেত্রে কিছু জরুরী তথ্য:
১) আখের রস এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে মাছি ঘোরাঘুরি করে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনাকে সুরক্ষিত রাখতে হবে আখের রস এই মাছি দের থেকে। সে ক্ষেত্রে কোন ধূপকাঠি ব্যবহার করতে পারেন অথবা আখের রস বের করে নেওয়ার পর সেটিকে নেটের মধ্যে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।
২) এছাড়াও আখের রস বের করার সময় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আখ গুলি কে ভালোভাবে ধোয়া হয়েছে কিনা, কেননা আপনার সামান্য একটু গাফিলতির কারণে কারো শরীর খারাপ হতে পারে এবং আপনার এই ব্যবসাতে লোকসান হতে পারে।
৩) দোকানে চারিপাশটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কেননা যদি আপনার দোকানের চারিপাশে নোংরা আবর্জনা ভরা থাকে, তাহলে লোক এই নোংরা আবর্জনার মধ্যে থেকে আপনার দোকানে আখের রস খেতে কখনোই আসবেনা। সে আপনার দোকানের আখের রস যতটাই সুস্বাদু হোক না কেন।
৪) যে সমস্ত গ্লাসে গ্রাহক আখের রস খেয়ে থাকেন সেগুলিকে ভালোভাবে পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিতে হবে। কারণ খাবার জিনিসের প্রতি সকলের একটা ভালো মত রুচি হওয়া অবশ্যই জরুরি।
আপনার ব্যবহৃত এ আখের রসের গ্লাস যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না হয় তাহলে কেউ ওই গ্লাসে আখের রস খেতে পছন্দ করবেন না। তাছাড়া আপনি চাইলে পেপার গ্লাস ব্যবহার করতে পারেন একবার ব্যবহার করে সেগুলিকে ফেলে দেওয়া যায়।
৫) মার্কেট থেকে আপনি শুধুমাত্র সতেজ এবং ভালো কোয়ালিটির আখ কিনবেন, কেননা আপনি যদি পুরনো এবং খারাপ কোয়ালিটির আখ কিনে থাকেন তাহলে তার থেকে যে রস বের হবে সেটা কখনোই ভালো হবে না, তাছাড়া আখের রস বের করার সময় আপনি যদি পুরনো আখ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এক গ্লাস আখের রস বের করতে আপনার অনেকগুলি আখ ব্যবহার করতে হবে।
৬) প্লাস্টিকের গ্লাস এবং প্যাক করে দেওয়ার মত সামগ্রী আপনার দোকানে অবশ্যই রাখবেন। কেননা অনেকেই প্লাস্টিকের গ্লাস এ জ্যুস অথবা আখের রস খেতে পছন্দ করেন এবং অনেকেই পরিবারের কারোর জন্য আখের রস প্যাক করে নিয়ে যেতে চাইবেন, সে ক্ষেত্রে আপনি এই গ্লাসে প্যাক করে দিতে পারবেন।
এই ব্যবসা থেকে লাভ:
আপনি যদি ভালোভাবে ব্যবসাটি করতে পারেন এবং আখের রস ভালো সুস্বাদু হয়ে থাকে এবং অনেক দূর পর্যন্ত আপনার চেনাশোনা হয়ে যায় তাহলে আপনি প্রতিমাসে কম করে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা অনায়াসেই উপার্জন করতে পারবেন।
এই ব্যবসার সাথে অন্য ব্যবসাও শুরু করতে পারেন:
আখের রস বিক্রি করার সাথে সাথে অন্যান্য জুসও বিক্রি করতে পারেন। কেননা গরমের সময় মানুষ বেশি পরিমাণে আখের রস এবং অন্যান্য জুস খেতে পছন্দ করেন এবং এগুলি শরীরের জন্য বেশ উপযোগী। আর এই কারণে আপনি চেষ্টা করুন আখের রসের সাথে সাথে মৌসম্বি, বেদানা, গাজর, পুদিনার শরবত এবং আরো অন্যান্য ফলের জুস বানিয়ে বিক্রি করার।
আর যদি আপনি এই ব্যবসাটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সাথে ভালো মতো, গ্রাহকদের মনমতো চালাতে পারেন, তাহলে অধিক লাভজনক এই ব্যবসাটি আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। আশা করি আজকের এই ব্যবসার আইডিয়া টি আপনাদের ভাল লেগেছে।