Photo Editing Business Idea 2024 (ফটো এডিটিং ব্যবসা 2024): How to Start Photo Editing Business in India | Photo Editing Business Idea in Bengali | Photo Editing Business Plan 2024 in Bengali.
Photo Editing Business Idea in Bengali 2024: বর্তমান দিনে স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে ক্যামেরাতে ছবি তোলা কমে গেছে বললেই চলে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে ছবি তোলা অথবা ফটো তোলা অনেকটাই সুবিধাজনক ও সহজ হয়ে গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, বিভিন্ন রকমের ফটো এডিটিং এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করে জনপ্রিয়তা পাওয়ার ধুম পড়ে যায় একেবারে। অনেক আগে যখন ইন্টারনেটের কোন সুবিধা ছিল না এইসব ফটো এডিটিং এর কাজ স্টুডিওতে করা হতো।
আর তার বদলে স্টুডিওতে ফটো এডিটিং এর জন্য টাকা দিয়ে সেই ফটো এডিটিং করাতে হত। কিন্তু এখন সেই জায়গাটা স্মার্টফোন একেবারে দখল করে নিয়েছে। স্মার্টফোনের মধ্যে অনেক রকম ফটোশপ অ্যাপ থাকে যার মাধ্যমে যে কোন ফটো অথবা ছবিকে যেকোনোভাবে আপনি এডিট করে দিতে পারবেন।
তাছাড়া টেকনোলজি এতটাই বেশি উন্নত হয়েছে যে মানুষ শুধুমাত্র ফটো এডিটিং এর কাজ করে হাজার নয় লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারছেন। তাহলে নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই কাজটি আপনি কিভাবে করতে পারবেন। চলুন তাহলে জানা যাক ফটো এডিটিং করে আপনি কিভাবে উপার্জন করতে পারবেন।
ফটো এডিটিং ব্যবসার চাহিদা:
আজকাল প্রত্যেকেই নিজের ফটো এবং পরিবারের ফটো অথবা কোন বন্ধুবান্ধবের ফটো এবং সবার সাথে তোলা ফটো অবশ্যই এডিট করতে পছন্দ করেন। কেননা এডিট করার ফলে সেই ফটো আরও বেশি সুন্দর হয়ে ওঠে। যার কারণে সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই ফটো দেওয়ার পর অনেকটাই আকর্ষণীয় লাগতে থাকে।
সেই কারণে আজকাল বেশিরভাগ মানুষ নিজের ফটো এডিট করিয়ে নেন। কিছু মানুষ তো এই এডিট নিজে থেকে করে নিতে পারেন। আবার কিছু কিছু মানুষ এই কাজ নিজে করতে পারেন না অন্য কোন এডিটর এর কাছ থেকে এডিট করে নেন। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা কিনা ফটো এডিট করতে ভীষণ পছন্দ করেন, সেই পছন্দ টাকে ব্যবসার আকারে নিয়ে যেতে পারেন।
এমন যদি আপনিও ফটো এডিট করতে পছন্দ করেন, সেক্ষেত্রে এই কাজটা আপনার অনেক আনন্দের এবং লাভ দায়ক হতে চলেছে। আপনি ফটো এডিট করার বদলে টাকা নেবেন তাদের কাছ থেকে। এই ভাবে আপনার কাছে যত বেশি পরিমাণে গ্রাহক আসবেন আপনার লাভ কিন্তু ততটাই হবে।
সে ক্ষেত্রে কম করে ধরলে আপনি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তাছাড়া এর চাহিদা প্রচুর তখন আর হাজার টাকা নয় লাখ টাকা পর্যন্ত আপনি উপার্জন করতে পারবেন।
ফটো এডিটিং ব্যবসা করতে গেলে গুরুত্বপূর্ণ স্কিল অথবা দক্ষতা:
যদি আপনি মনে করেন যে আপনি ফটো এডিটিং করে ভালো টাকা উপার্জন করবেন সে ক্ষেত্রে আপনার মধ্যে সুন্দর ভাবে ফটো এডিটিং এর স্কিল থাকাটা প্রয়োজন।
যেমন ধরুন ফটোতে কালার চেঞ্জ করা এবং সেই ফটোতে আলাদা কোন জিনিস অ্যাড করা, আবার কোন জিনিসকে ছবি থেকে সরিয়ে ফেলা, তাছাড়া আরও অনেক রকমের কাজ হয় যেগুলো আপনি খুব দক্ষ ভাবে সুন্দর ভাবে করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে আপনার জন্য এই ব্যবসা একেবারে পারফেক্ট। তাছাড়া আপনি ইন্টারনেটে বিভিন্ন রকমের অ্যাপের মাধ্যমে ফটো এডিটিং খুব ভালোভাবে শিখতে পারবেন এবং করতেও পারবেন তা থেকে ভালোভাবে উপার্জন করার একটা সুযোগ কিন্তু তৈরি করে নিতে পারবেন, নিজে থেকেই।
আপনার হাতের কাজ যদি খুব ভালো হয় এবং সবার খুব পছন্দের হয় তাহলে আপনি এই কাজ করে উঠতে পারবেন না।
ফটো এডিটিং করার জন্য কিছু অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট:
ফটো এডিটিং করার জন্য আপনি বিভিন্ন অ্যাপ এর সাহায্য নিতে পারেন যেমন:- Snapseed, PicsArt, Adobe Photoshop, Colour Maker, Pic Shot ইত্যাদি।
এছাড়াও কিছু ওয়েবসাইট ও আছে যার মাধ্যমে আপনি ফটো এডিটিং ব্যবসা করতে পারবেন যেমন ধরুন:- Fiverr, Upwork, Freelancer ইত্যাদি।
ফটো এডিটিং ব্যবসা করার প্রক্রিয়া:
ইন্টারনেটে বিভিন্ন রকমের ওয়েবসাইট আছে যা কিনা ফটো এডিটিং এর কাজ করে থাকে। যদি আপনি এই ওয়েবসাইটের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যবসা করতে চান, তাহলে আপনাকে ওই ওয়েবসাইটে আপনাকে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর আপনি যখন ওই ওয়েবসাইটে লগইন করবেন তখন আপনি ফটো এডিটিং সম্পর্কিত বিভিন্ন রকমের কাজ ওখানে দেখতে পাবেন।
এই ওয়েবসাইটের সাথে সারা বিশ্বের মানুষ একসাথে জুড়ে আছেন অর্থাৎ সারা বিশ্বের মানুষ এই ওয়েবসাইটের সাথে কাজ করে থাকেন। আপনি ফটো এডিটিং এর যে সমস্ত কাজ খুব ভালো ভাবে করতে পারেন এবং আপনার সেই কাজে আগ্রহ থেকে থাকে আপনি সেই কাজটি নির্বাচন করে নিতে পারেন।
নির্বাচন করে নেওয়ার পর আপনাকে সেখানে একটি মেসেজ করতে হবে। যে আপনি সেই কাজটি করতে চান, আবার আপনাকে ওই কাজের জন্য কত টাকা দেওয়া হতে পারে সেটাও কিন্তু ওখানে উল্লেখ করা থাকে। তাহলে এইভাবে আপনি এই সাইটের মাধ্যমে ফটো এডিটিং করে উপার্জন করতে পারেন, আপনার দক্ষতা অনুযায়ী।
সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট এর মাধ্যমে:
এছাড়াও ফটো এডিটিং এর ব্যবসা যদি করতে চান সে ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া একটি ভালো প্লাটফর্ম। আপনি যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া, যেমন ধরুন- ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং পিন্টারেস্ট ইত্যাদি তে আপনি আপনার একাউন্ট বানাতে পারেন, তারপর সেখানে এক একটি পেজ বানিয়ে আপনি যে ফটো ইডিট করেছেন সেগুলো পোস্ট করতে পারেন।
তবে একটা কথা খেয়াল রাখতে হবে যে, অরিজিনাল ফটোও কিন্তু আপনাকে এখানে পোস্ট করতে হবে। যার ফলে মানুষ বুঝতে পারে যে আপনি অরিজিনাল ফটো টা কে কিভাবে এডিটিং করেছেন।
আর যদি আপনার এডিটিং করা ফটো কারো পছন্দ হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি ফটো এডিটিং এর জন্য অর্ডার পেতে পারেন। তাছাড়া এডভান্স নিয়েও আপনি কিন্তু একটি ভালোমতো আয় করতে পারবেন, লোক আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে, সেই জন্য আপনার পেজে আপনার কন্টাক্ট ডিটেলস দিতে ভুলবেন না কিন্তু। যেমন ধরুন- আপনার মোবাইল নাম্বার, ইমেইল এড্রেস এবং হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার ইত্যাদি।
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর মাধ্যমে:
যদি আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর শখ থেকে থাকে তাহলে এর মাধ্যমেও কিন্তু আপনি ফটো এডিটিং করে ব্যবসা করতে পারেন। বিভিন্ন রকমের গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কিনে থাকে যে সব ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট গুলি ও ইন্টারনেটে থাকা গ্রাফিক ডিজাইনিং কিনে তার ব্যবহার করে থাকে,
এসমস্ত ওয়েবসাইট গুলি হল:- Shutterstock.com, Istockphoto.com, Graphicstocs.com ইত্যাদি আপনি আপনার সুবিধামতো গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করে তারপর ওয়েবসাইটকে আপনার ডিজাইন বিক্রি করে কমিশন নিতে পারেন এবং এই কমিশনের মধ্যে দিয়ে আপনি আপনার উপার্জন করতে পারেন।
তার জন্য আপনাকে এখানে নিজের একটি একাউন্ট বানাতে হবে। এতে আপনি ব্যানার, আইকন, পোস্টার ইত্যাদি তৈরি করেও টাকা উপার্জন করতে পারেন। এই ফটো এডিটিং এর মাধ্যমে একটি উপার্জনে সুন্দর আইডিয়া।
ইউটিউব এর মাধ্যমে:
আপনি ফটো এডিটিং কিভাবে করেন তার একটি ভিডিও তৈরি করে আপনার নিজস্ব কোন ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে দিতে পারেন। তা থেকেও কিন্তু আপনি ভালোমতো একটা আয় করতে পারবেন কিন্তু এর জন্য আপনাকে নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেল বানাতে হবে।
যেখানে আপনি আপনার ভিডিওগুলি আপলোড করতে পারবেন। এবং লোক ওই ভিডিওগুলি কে দেখতে পারে। আপনার ফটো এডিটিং করার ভিডিও তে আপনাকে সমস্ত বিষয় ভালোভাবে বোঝাতে হবে, এটা কিভাবে করেছেন, ওটা কিভাবে করেছেন, কোথা থেকে করেছেন সবকিছু ডিটেইলস এ বোঝাতে হবে মানুষকে।
ফটো এডিটিং এর সময় কোন বিষয়ে কেমন টুলস ব্যবহার করেছেন সেটাও কিন্তু ভালোভাবে বলতে হবে আপনাকে, এবং তা থেকে আপনি কেমন পরিমাণ উপার্জন করতে পারেন সেটাও কিন্তু এখানে উল্লেখ করতে হবে। এরপরে মানুষকে এর সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলুন। যত বেশি লোক আপনার ভিডিও দেখবেন এবং সাবস্ক্রাইব করবেন আপনার কিন্তু ততটাই ফায়দা।
তো এটাই ছিল ফটো এডিটিং করে কিভাবে টাকা উপার্জন করা যায়, তার কিছু ধারনা। যে কটি মাধ্যম ছিল সেই সবকটি মাধ্যমই কিন্তু আপনি ঘরে বসে বসেই করতে পারবেন, না তো আপনাকে বাইরে কোথাও যেতে হবে, নাতো আপনাকে কিছু ইনভেস্ট করতে হবে।
কি বিষয়টা মজাদার তাইতো! আপনার যদি ফটো এডিটিং করার শখ থাকে এবং আপনি যদি সেটা খুব ভালোভাবে করে ফেলতে পারেন তাহলে আর বসে থাকা নয়, এটা কে আপনার কাজে লাগিয়ে ফেলুন, উপার্জন আপনার চোখের সামনেই দেখতে পাবেন।
ফটো এডিটিং ব্যবসা থেকে আয় অথবা লাভ:
ফটো এডিটিং ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা, যেখানে নাতো আপনাকে কোন কিছু ইনভেস্টমেন্ট করতে হচ্ছে, না কোন কিছু কিনতে হচ্ছে, কিন্তু আপনার আয় কমপক্ষে ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা প্রতিমাসে উপার্জন করতে পারবেন। তবে একটা কথা মাথায় রাখাটা জরুরি যে শুরুতে হয়তো আপনার বেশি লাভ নাও মিলতে পারে, তবে জনপ্রিয় হতে একটু সময় লাগে।
সেই সময়টা পার করে দেখবেন মানুষ আপনার কাজ পছন্দ করতে শুরু করেছে। তার সাথে সাথে আপনার কাজের মত এটাও বাড়তে শুরু করেছে কাজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া মানেই আপনার উপার্জনের মাত্রাটা কিন্তু অনায়াসেই বেড়ে যাবে। তবে ধৈর্য রাখা এবং সুন্দর কাজ করে যেতে হবে আপনাকে। তবেই আপনি এই ব্যবসা থেকে লাভ দায়ক হতে পারবেন, খুব সহজেই।
এভাবে আপনি আপনার মোবাইল ফোন থেকে বিভিন্ন রকমের ফটো এডিটিং করে ভালোমতো একটা বিজনেস অথবা ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং সেই ব্যবসা থেকে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
Photo editing