Amul Franchise Business Idea 2024 (আমুল পার্লার ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসা 2024): How to Start Amul Franchise Business in India? | Amul Franchise Business Idea in Bengali | Amul Franchise Business Plan in Bengali. জানুন আমুল পার্লার ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসা শুরু করার সম্পূর্ণ পদ্ধতি এবং লাভ ও ইনভেস্টমেন্ট।
আমুল কোম্পানির নাম আমরা সকলেই শুনেছি। এবং এর দুধ থেকে বিভিন্ন রকম দুগ্ধজাতীয় জিনিসপত্র আমরা সকলেই কম বেশি খেয়ে থাকি। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই প্রোডাক্ট বেশ জনপ্রিয়। আমুল কোম্পানি ভারতের একটি প্রসিদ্ধ এবং সফল কোম্পানি গুলির মধ্যে একটি। এই কোম্পানির তৈরি বিভিন্ন রকমের খাবার বাজারে বিক্রি হয়। আর এই আমুল কোম্পানির প্রোডাক্ট কিন্তু বেশ চাহিদাসম্পন্ন মার্কেটে।
এছাড়াও আমুল কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি এর মাধ্যমে এর উৎপাদন অর্থাৎ এ সমস্ত জিনিসপত্র দেশের কোনায় কোনায় পৌঁছে যাচ্ছে। যাতে আমুল কম্পানি আরো বেশি বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাছাড়া প্রতিটি মানুষ এই কোম্পানির খাবার ভীষণ পছন্দ করেন। বলতে গেলে এক কথায় একনামে সকলেই চেনেন।
এই কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে ব্যবসাটিকে আরো বেশি উন্নত করার দিকে এগোচ্ছে আর তাই আপনিও কিন্তু এই আমুল কোম্পানির থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। যা থেকে ভালোমতো উপার্জন হবে এটা আর নতুন করে বলার কিছু নেই।
তো চলুন তাহলে জানা যাক, আপনি কিভাবে আমুল কম্পানি থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে নিজের একটি সুন্দর ব্যবসা গড়ে তুলবেন।
আমুল কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি:
অন্যান্য বড় কোম্পানি গুলির মতো আমুল কোম্পানিও কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে নিজেদের ব্যবসা টিকে আরও বেশি বড় করতে চাইছে। তাছাড়া আমুল কোম্পানি ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়ার জন্য কিছু নিয়ম এবং শর্ত রেখে দিয়েছে। তার মধ্যে দিয়েই কিন্তু এই কোম্পানি ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে থাকে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি কি:
ফ্র্যাঞ্চাইজির অন্তর্গত যে কোন কোম্পানি যে কোন ব্যক্তিকে নিজের কোম্পানির নাম ব্যবহার করার অনুমতি দিয়ে থাকে। আর তার বদলে সেই ব্যক্তিকে কিছু টাকা দিতে হয় কোম্পানিকে। সারা বিশ্বজুড়ে এমন অনেক কোম্পানি আছে যা কিনা নিজেদের কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়ার কাজ করে থাকে।
আর ঠিক তেমনি আমুল কোম্পানিও কিন্তু নিজেদের ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়ার কাজ ভারতে করছে। এবং অনেকেই এই ব্যবসাটির ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে ভালো মত একটা নিজেদের ব্যবসা দাঁড় করিয়ে ফেলেছেন।
আমুল কোম্পানি সম্পর্কে কিছু তথ্য:
আমুল কোম্পানি আমরা সবাই চিনি, আমুল কোম্পানির শুরুটা হয়েছিল গুজরাত রাজ্যে। ১৯৪৬ সালে ত্রিভুবনদাস প্যাটেল দ্বারা স্থাপিত হয়েছিল।
আর এই কোম্পানি খুবই কম সময়ের ভিতর ভারতে ডেয়ারি ব্যবসার মধ্যে প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছিল। আর আজ এই কোম্পানি ভারতে বিভিন্ন রকমের ডেয়ারি আর ফাস্ট মুভিং কনজ্যুমার গুডস গুলি বিক্রি করে থাকে।
আমুল কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলি:
আমূল কোম্পানি দ্বারা বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্ট মার্কেটে বিক্রি করা হয়। আর সেই প্রোডাক্ট গুলি প্রতিটি ঘরে ঘরে ব্যবহার করা হয় বলতে গেলে। এই কোম্পানির বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্ট গুলি হল:
১) আমুল দুধ (Amul milk)
২) ব্রেড স্প্রেড (Bread spread)
৩) চিজ (Cheese)
৪) বেভেরেজ (Beverages)
৫) আইসক্রিম (Ice cream)
৬) পনির (Paneer)
৭) দই (Yogurt)
৮) ঘি (Ghee)
৯) মিল্ক পাউডার (Milk powder)
১০) চকলেটস (Chocolates)
১১) পাউচ মিল্ক (Pouch Milk)
১২) ফ্রেশ ক্রিম ইত্যাদি (Fresh cream)
আমুল কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি কেন নেবেন:
১) বাজারে আরও অনেক কোম্পানি আছে, সেই কোম্পানিগুলি থেকে যে কোন একটি কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি আপনি নিতেই পারেন। কিন্তু আমুল কোম্পানি দাবি করে যে, যদি আপনি আমুল কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে থাকেন, তাহলে খুবই কম সময়ের মধ্যে বেশি প্রফিট করতে পারবেন।
২) এই কোম্পানি অনুসারে আপনি প্রতিমাসে এই কোম্পানির তৈরি করা প্রোডাক্ট গুলি বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেন।
তাছাড়া এ কোম্পানি এটাও পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে যে, আপনার এই বিক্রি এই বিষয়ের উপর নির্ভর করবে যে, আপনি কোন জায়গাতে এই কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে চাইছেন অথবা খুলতে চাইছেন।
৩) আমুল কোম্পানির শর্ত অনুসারে এই কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি যে ব্যাক্তি নেবেন সে যে কোন ব্যক্তি হতে পারেন। সেই ব্যক্তিকে বেশি পরিমাণে ঝামেলা পোহাতে হবে না, আর তাই আপনি খুব সহজে আমূল কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে অধিক পরিমাণে লাভবান হতে পারবেন।
আমুল কোম্পানি যে সব রকমের ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে থাকে:
সাধারণত, আমুল কোম্পানি দু রকম ভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে থাকে। আর আপনি এই দুটো ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে যেকোনো একটি আপনার পছন্দ অনুসারে নিতে পারেন। এই দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির নাম হল:
১) আমুল প্রিপেয়ার্ড আউটলেট অথবা আমুল রেলওয়ে পার্লার:
এইরকম আমুল কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য আমুল কোম্পানি দ্বারা কিছু নিয়ম বানানো হয়েছে, যেগুলো এরিয়া অথবা জায়গা হিসেবে রয়েছে যা নিচে দেওয়া হল:
ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য জায়গা নির্বাচন:
i) এই ক্ষেত্রে আমুল কোম্পানির অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি আমুল প্রিপেয়ার্ড আউটলেট, আমূল রেলওয়ে পার্লার, আমুল কিওস্ক এই প্রকারের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে থাকেন তাহলে সেই ব্যক্তিকে এমন একটি জায়গায় এ ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে, যেখানে অধিকমাত্রায় লোকজনের সমাগম আছে।
ii) আমুল কোম্পানির নিয়ম অনুসারে কোন রেলওয়ে স্টেশন, বাজার, স্কুল, ইত্যাদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত জায়গা, হাসপাতাল এর আশেপাশে এই ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি খোলা যেতে পারে। এইজন্য যদি কোন ব্যক্তি আমুলের এই প্রকারের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে চান তাহলে ওই ব্যক্তিকে উপরে দেওয়া এই জায়গা অনুসারে দোকান ভাড়া নিতে হবে।
দোকান কত বড় হতে হবে:
i) আমুল আউটলেট এর দোকান শুরু করার জন্য কম করে ১০০ থেকে ১৫০ স্কয়ার ফিট এর বড় দোকান আপনার প্রয়োজন পড়বে। এইজন্য দোকান ভাড়া নেওয়ার সময় আপনি নিশ্চিত হয়ে নিন যে, এই দোকানের এরিয়া ততটা আছে কিনা, যতটা আমুল কোম্পানি দ্বারা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য ইনভেস্টমেন্ট:
i) যদি আপনার কাছে ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য অধিক পরিমাণে পুঁজি না থাকে, তাহলে আমুল কোম্পানির তরফ থেকে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য এক রকমের লোন দেওয়া হয়। কেননা আমুল কোম্পানি দ্বারা এই ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়ার ক্ষেত্রে কেবল মাত্র দু লাখ টাকা ইনভেস্টমেন্ট আপনার করতে হতে পারে।
ii) দু লাখ টাকার মধ্যে ২৫ হাজার টাকা ব্যবসার ব্রান্ড সুরক্ষার জন্য আমুল কম্পানি দ্বারা নেওয়া হয়ে থাকে যার পরে দোকানের রেনোভেশন করার জন্য এবং উপকরণগুলি কেনার জন্য আপনার এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে যাবে। এমন ভাবে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য দু লাখ টাকা আপনার কাছে থাকতে হবে।
এভারেজ রিটার্নস অন এমআরপি অর্থাৎ কমিশন:
আমুল কোম্পানি দ্বারা আমূল আউটলেট পার্লার কিওস্ক এর মাধ্যমে বিক্রি হওয়া আমূল প্রোডাক্ট আলাদা আলাদা রকমের এভারেজ রিটার্নস অন এমআরপি নির্ধারণ করা হয়েছে। ধরুন আপনি যদি পাউচ মিল্ক বিক্রি করে থাকেন, তাহলে আপনার এমআরপির উপরে এভারেজ রিটার্নস ২.৫ শতাংশ মিলতে পারে।
মিল্ক প্রোডাক্ট বিক্রি করার ক্ষেত্রে আপনার এমআরপি এর উপর এভারেজ রিটার্নস ১০% দেওয়া হয়। এছাড়াও আমুল কোম্পানির আইসক্রিম বিক্রি করার উপরে এমআরপি এভারেজ রিটার্নস ২০% দেওয়া হয়।
মিল্ক প্রোডাক্টস: ১০% (কমিশন)
আইসক্রিম: ২০% (কমিশন)
পাউচ মিল্ক: ২.৫% (কমিশন)
২) আমুল আইসক্রিম স্কুপিং (Scooping) পার্লার:
যেহেতু আগেই বলা হয়েছে যে আমুল কোম্পানির দু’রকমের ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে থাকে। আর তাই দ্বিতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি হলো আমুল আইসক্রিম স্কুপিং পার্লার (Amul Ice Cream Scooping Parlour)। এই পার্লার খুলে কোম্পানি দ্বারা বানানো বিভিন্ন রকমের আইসক্রিম গুলিকে বিক্রি করার কাজ করা হয়ে থাকে।
অর্থাৎ কোনো ব্যাক্তি যদি এই ফ্রাঞ্চাইজি নিয়ে থাকেন তাহলে আমুল কোম্পানির বিভিন্ন রকমের আইসক্রিম বিক্রি করতে পারবেন।
আইসক্রিম স্কুপিং পার্লারও কিন্তু এক রকমের দোকান হয়ে থাকে। যেখানে বিভিন্ন রকমের আইসক্রিম কে বিক্রি করা হয়। এইরকম দোকানে গিয়ে যে কোন ব্যক্তি নিজের পছন্দের আইসক্রিম, সেটা হতে পারে কাপ আইসক্রিম অথবা কোন (কর্নেটো) আইসক্রিম, নিতে পারেন।
আর যদি মনে করেন তাহলে দোকানে বসেও পছন্দের আইসক্রিম খেতে পারেন। আইসক্রিম স্কুপিং পার্লারে পিজ্জা, স্যান্ডউইচ, বার্গার, হট চকলেট ড্রিংক, কফি, এমন ধরনের খাবারও বিক্রি করা হয়।
এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য জায়গা নির্বাচন:
আপনি যদি এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে চান তাহলে শুধুমাত্র স্কুল, মার্কেট এবং এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট, এই ধরনের জায়গা আপনি নির্বাচন করতে পারেন। সবথেকে বড় বিষয় হলো, আমুল কোম্পানি সেই সব জায়গাতেই ব্যবসা করার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে থাকে, যে সব জায়গাতে সবসময়ের জন্য ভিড় বজায় থাকে।
এই ব্যবসাটি করার জন্য দোকান কত বড় হতে হবে:
আমুল কোম্পানির নিয়ম অনুসারে আইসক্রিম পার্লার খোলার জন্য আপনার কাছে কম করে ৩০০ স্কয়ার ফিট জায়গা থাকতে হবে। একটি দোকান থাকতে হবে। যেটা ভাড়াতেও নিতে পারেন অথবা নিজস্ব দোকান থাকতেও পারে। এছাড়াও আপনি যদি চান তাহলে যেকোনো ওপেন স্পেসের উপরে আপনার পার্লার শুরু করতে পারেন।
কতটা খরচা পড়তে পারে:
১) আইসক্রিম পার্লার খোলার জন্য আপনার কাছে কম করে ৬ লাখ টাকা থাকতে হবে। এই ছয় লাখ টাকার মধ্যে আমুল কম্পানি ৫০,০০০ টাকা non-refundable ব্রান্ড সিকিউরিটি হিসাবে আপনার থেকে নেবে।
২) দোকানে রেনোভেশন এর উপরে আপনার প্রায় চার লাখ টাকা পর্যন্ত খরচা হয়ে যাবে। উপকরণ (যেমন ধরুন ফ্রিজ, মিক্সচার ইত্যাদি) গুলি কিনতে এক লাখ টাকা থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হবে। আর এইভাবে কিন্তু আপনি স্কুপিং পার্লার খোলার জন্য ৬ লাখ টাকা ইনভেস্ট করতে পারেন।
এভারেজ রিটার্নস অন এমআরপি:
আমুল কোম্পানি থেকে আইসক্রিম স্কুপিং পার্লার খোলার পর আপনাকে কেবলমাত্র আমুল কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হবে। আর আমুল কোম্পানি নিজেদের আলাদা আলাদা রকমের প্রোডাক্ট বিক্রি করার উপরে আপনাকে কিছু কমিশন দেবে।
১) প্রি প্যাকড আইসক্রিম বিক্রি করার উপরে আপনাকে ২০% কমিশন দিতে পারে, আমুল কোম্পানির আইসক্রিম বিক্রি করা ছাড়াও আপনি যদি এই কোম্পানির অন্যান্য প্রোডাক্ট গুলি এই পার্লারে বিক্রি করতে পারেন, তাহলে ঐ সমস্ত প্রোডাক্ট এর উপরে এভারেজ রিটার্নস অন এমআরপি ১০% দেওয়া হয়ে থাকে।
২) আর যদি আপনি পিজা, স্যান্ডউইচ, বার্গার, হট চকলেট, ড্রিংক, কফি, কিছু বিক্রি করে থাকেন এই আমূল পার্লার খুলে, তাহলে আপনার এই সমস্ত জিনিসপত্র বিক্রি করার উপরে ৫০% প্রফিট পাবেন।
আর তাই আপনি চেষ্টা করবেন যে, পিজ্জা, বার্গার, কফি এবং বিভিন্ন রকমের স্নাক্স নিজের পার্লারে মাধ্যমে যতটা বেশি পরিমাণে বিক্রি করতে পারা যায় করবেন। কেননা এমন করার ফলে আপনার কমিশন এবং প্রফিট টা বেশি পরিমাণে হবে।
i) প্রি প্যাকড আইসক্রিম: ২০%
ii) কোম্পানির অন্যান্য প্রডাক্ট: ১০%
iii) পিজ্জা, স্যান্ডউইচ, বার্গার: ৫০% (হট চকলেট ড্রিঙ্ক, কফি ইত্যাদি)
আমুল কোম্পানির তরফ থেকে পাওয়া যাবে সাহায্য:
যদি আপনি আমুল কোম্পানির এই দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে যেকোনো একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্বাচন করে ব্যবসাটি করতে চান, তাহলে কোম্পানির তরফ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে ব্যবসাটি করার জন্য আপনি সাহায্য পেতে পারেন।
যেমন ধরুন স্টোর খোলার জন্য আপনাকে কোম্পানি সাহায্য করবে অথবা প্রোডাক্ট গুলি কেনার জন্য কোম্পানি আপনাকে সাহায্য করবে। যাতে আপনাকে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করার জন্য কোনরকম অসুবিধার মধ্যে না পড়তে হয়।
আমুল ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে জড়িত অন্যান্য তথ্য:
১) কোম্পানির নিয়ম অনুসারে করতে হবে রেনোভেশন:
আমুল কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি খোলার জন্য আপনি যে দোকানটি নির্বাচন করবেন, আপনার সেই দোকানের রেনোভেশন আমুল কোম্পানির নিয়ম অনুসারে যেভাবে করতে বলা হয়েছে সেভাবেই করতে হবে।
২) কত সময়ের জন্য হবে ব্রান্ড ডিপোজিট:
আমুল কোম্পানি কে আপনি যে টাকাটা ব্রান্ড ডিপোজিট এর জন্য দেবেন সেই টাকা কোম্পানি এক বছরের জন্য নিজেদের কাছে ডিপোজিট করে রাখবে। যদি আপনি এই ফ্র্যাঞ্চাইজি মাঝখানেই বন্ধ করে দেন তাহলে কিন্তু এই টাকাটি আপনার এক বছর পরেই দেওয়া হবে।
৩) হোলসেল ডিলারের থেকে আমুল প্রোডাক্ট পাবেন:
আমুল কোম্পানি থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার পরে যে কোন জায়গায় গিয়ে আমুল কোম্পানির প্রোডাক্ট কেনার প্রয়োজন পড়বে না। কেননা আমুল কোম্পানির যে ডিলার আছে, সেই ডিলার আপনার দোকানে গিয়ে আপনাকে আমুল কোম্পানির প্রোডাক্ট দিয়ে আসবে। আর এমন করার মধ্যে দিয়ে আপনার সময় যেমন বাঁচবে, তেমনি অনেকটাই সুবিধা হবে ব্যবসাটি করতে।
৪) লোক নির্বাচন:
আমুলের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি খোলার সময় আপনার কিছু লোক প্রয়োজন পড়বে, যাদেরকে আপনি বেতন দেওয়ার মাধ্যমে কাজে রাখতে পারেন। আর এই বেতন কিন্তু আপনার এই ব্যবসার প্রফিট থেকেই দিতে হবে। আর তাই সেইজন্য ততটা পরিমাণ লোক আপনি কাজে রাখুন, যাতে খুব সহজেই তাদের বেতন আপনি দিতে পারেন এবং আপনার প্রফিটও যেন বজায় থাকে।
আমুল ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রমোশন:
১) আমুল কোম্পানি প্রথম থেকেই একটি নামকরা কোম্পানি, আর এইজন্য আপনাকে এই কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার পর এই ব্যবসাটির জন্য কোনরকম প্রমোশন এর প্রয়োজন পড়বে না।
২) কিন্তু যখন আপনি আপনার পার্লার কে যখন কোন জায়গাতে খুলবেন তখন কিন্তু এই ফ্র্যাঞ্চাইজি সম্পর্কিত বিভিন্ন রকমের তথ্য, সেই জায়গার স্থানীয় লোকেদের আপনাকে দিতে হতে পারে। যাতে কিছুটা পরিমাণ হলেও খরচা হতে পারে। তাছাড়া আমুল কোম্পানির নিয়ম অনুসারে এরকম কাজের জন্য কিন্তু প্রমোশনেও সাহায্য করে থাকে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি খোলার জন্য বাজেট অথবা লোন:
আমুল কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য কতটা পরিমাণ টাকা আপনার প্রয়োজন পড়বে, সেটা কিন্তু উপরে বলা হয়েছে। তবে যদি আপনার কাছে টাকা কম থাকে তাহলে ব্যাংক থেকে লোনও নিতে পারেন। শুধুমাত্র লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে কিছু প্রমান পত্র আর যেকোন রকমের জমির কাগজ ব্যাংকে জমা করতে হতে পারে, এই লোন নেওয়ার জন্য।
আমুল ফ্র্যাঞ্চাইজি লোন নেওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন:
১) আমুল কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য আপনাকে সবার প্রথমে এই কোম্পানির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এই ওয়েবসাইটের নিচে রাইট সাইডে “আমুল পার্লার” লেখা আছে, আপনি দেখতে পাবেন, আর আপনাকে “আমুল পার্লার” এর উপর ক্লিক করতে হবে।
২) “আমুল পার্লার” এর উপর ক্লিক করার পর একটা নতুন পেজ ওপেন হবে। আর সেই পেজের উপরে আমুল কোম্পানির পার্লার খোলার জন্য বিভিন্ন রকমের তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন।
৩) এই একই পেজে তিন নম্বরে দেখবেন “অনলাইন ফর্ম ফর আমূল পার্লার” লেখা আছে। তার উপরে ক্লিক করতে হবে।
৪) এখানে ক্লিক করার পর একটি নতুন পেজ ওপেন হবে। আর এই পেজে আপনার কিছু তথ্য ভরতে হবে।
৫) তথ্যগুলি ভরার পর আপনাকে ওই পেজে সবার নিচে “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার আমূল পার্লার খোলার জন্য ফর্ম সাবমিট হয়ে যাবে।
৬) ফর্ম সাবমিট হওয়ার কিছু মাস পর, আমুল কোম্পানির তরফ থেকে ফোন আসবে আপনার কাছে। এই ফোনের মাধ্যমে আপনাকে আগে কি কি করতে হবে সে সম্পর্কে বলে দেওয়া হবে। তারপর এই প্রক্রিয়া গুলির ভালোমতো ঠিকঠাক করার পরে আমুল কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি আপনি পেয়ে যাবেন।
আমুল কোম্পানির ভারতের সবথেকে পুরনো কোম্পানি গুলোর মধ্যে একটি। কোম্পানিটিকে বিশ্ব স্তরে মানুষ চেনেন। এই কোম্পানির সাথে আপনি যদি ব্যবসা করেন, তাহলে শুধুমাত্র প্রফিট আর প্রফিট।
এই কোম্পানির সাথে কাজ করার পর ডেয়ারি সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন, যা কিনা আপনাকে আগে এগোতে সাহায্য করবে এবং এই ব্যবসাটি কে আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। যা কিনা ভবিষ্যতে ভীষণ লাভ দায়ক হবে আপনার জন্য।
আমুল পার্লার ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসার লাভ:
এই ব্যবসা থেকে শুধু প্রফিট আর প্রফিট। তবে কতটা পরিমাণ আপনি প্রতিমাসে উপার্জন করতে পারবেন সেটা আগেই বলা হয়েছে। তবুও আবার বলছি যে, এর থেকে আপনি প্রতিমাসে কম কোরে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আর বড় আকারে ধরতে গেলে ৫ লাখ ১০ লাখ টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন। তো আশা করি আজকের ব্যবসার আইডিটি আপনাদের ভাল লেগেছে।
যদি বড় কোন ব্যবসার স্বপ্ন দেখে থাকেন এবং তার সাথে সাথে নিজেদের স্বপ্নগুলো পূরণ করতে চান, তাহলে আমুল কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি আপনার জন্য বেস্ট অপশন হতে পারে।