Bread Manufacturing Business Idea in Bengali – পাউরুটি তৈরির ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন? পাউরুটি তৈরির ব্যবসা শুরু করে প্রথম দিন থেকেই শুরু করুন রোজগার.
কোন জনপ্রিয় খাবারের চাহিদা বরাবরই থাকে, তেমনি ব্রেড অথবা চলতি কথায় পাউরুটি, স্লাইস রুটি হিসাবেই অনেকেই চিনে থাকবেন। এটি শুধুমাত্র দেশেই নয় বিদেশেও এর চাহিদা প্রচুর রয়েছে। তবে আজকাল বেশিরভাগ মানুষের সকালবেলা শুরু হয় এই ব্রেড দিয়ে।
ব্রেড দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার বানানো যেতে পারে, অনেকে অনেক রকম ভাবে এটি বাড়িতে বানিয়ে থাকেন যেমন টোস্ট, ডিম টোস্ট, পিনাট বাটার ব্রেড, দুধের সাথে ও খাওয়া যেতে পারে। বাচ্চাদেরও অনেক প্রিয় এই খাবারটি। আর তাইতো এর চাহিদা এত গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
যদি কোন ব্যবসার কথা বলা যায় তাহলে এই খাবারের ব্যবসাটি নিঃসন্দেহে একটি লাভজনক ব্যবসা। প্রতিদিন সকালে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি এই ব্রেড এর চাহিদা প্রচুর রয়েছে। আপনি যদি কোন ব্যবসার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে এই ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারিং বিজনেস শুরু করতে পারেন। এর জন্য সরকার থেকেও আর্থিক সহযোগিতা পাবেন। তাছাড়া খুবই কম টাকা বিনিয়োগ করে এই ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে।
পাউরুটি/স্লাইস রুটি তৈরির ব্যবসা:
প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে থাকা আমাদের এই জীবনযাত্রায় আমাদের খাবারের তালিকাতে নিত্য নতুন খাদ্য সামগ্রী যুক্ত হতে থাকে। তবে সকালের জলখাবারে এই রুটির চাহিদা বহুগুণ।
কিছুটা অল্প জায়গাতে এই ব্যবসাটি শুরু করে খুব কম সময়ের মধ্যে বেশ ভালো লাভ অর্জন করতে পারবেন। তো চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক রুটি তৈরি করার ব্যবসা সম্পর্কে:
রুটি বানানোর ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র:
- ব্রেড অথবা রুটি বানানোর জন্য আপনাকে ফ্যাক্টরি খুলতে হবে অবশ্যই, এর জন্য আপনার জায়গার প্রয়োজন পড়বে,
- এছাড়া কিছুটা জায়গা অথবা জমি, বিল্ডিং যেখানে মেশিন বসাতে পারবেন,
- ব্রেড তৈরি করার মেশিন,
- বিদ্যুৎ সংযোগ,
- স্বচ্ছ জলের সরবরাহ,
- রুটি তৈরি করার কাঁচামাল,
- কিছু কর্মচারী অবশ্যই প্রয়োজন পড়বে,
- এছাড়াও আপনার কাছে এই বিজনেস করার জন্য সুন্দর একটি প্ল্যান থাকতে হবে।
- যেহেতু ব্রেড অথবা রুটি একটি খাদ্য সামগ্রী সেই জন্য আপনাকে অবশ্যই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে।
- আপনাকে FSSAI থেকে খাদ্য বিজনেস সঞ্চালন লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হবে।
রুটি বানানোর ব্যবসার জন্য টাকা বিনিয়োগ:
যদি আপনি এই ব্যবসাটি ছোট আকারে শুরু করতে চান তাহলে খুবই কম টাকা ইনভেস্ট করেও করতে পারেন আবার যদি এই ব্যবসাটি বড় আকারে শুরু করতে চান সে ক্ষেত্রে বেশ অনেকটাই টাকা ইনভেস্ট করতে হতে পারে তার জন্য আপনি লোনের আবেদন করতে পারেন।
যদি ছোট আকারে এই ব্যবসাটি শুরু করেন সে ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। এছাড়াও ১০০০ বর্গফুট জায়গার প্রয়োজন পড়বে, যেখানে আপনি এই ফ্যাক্টরি লাগাতে পারবেন। এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনি সরকার থেকেও প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (PM Mudra Yojana) এর সাহায্যে লোন নিতে পারেন।
রুটি তৈরীর ব্যবসা থেকে উপার্জন ও লাভ:
এই ব্যবসার লাভের কথা বলতে গেলে বলা যায় যে আজকের বর্তমান সময়ে ব্রেড অথবা রুটির যে পরিমাণে চাহিদা রয়েছে তা আপনি প্রতিনিয়ত সাপ্লাই দিয়েও শেষ করতে পারবেন না।
একটি ছোট ব্রেড এর প্যাকেট এর দাম ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, আবার এটি বানানোর জন্য যে খরচ হয় সেটা খুবই কম হয়ে থাকে। বলতে গেলে যদি আপনি খুব বড় আকারে এই ব্যবসাটি শুরু করেন সেখানে প্রোডাকশন অর্থাৎ উৎপাদন ও সাপ্লাই এর উপর ভিত্তি করে মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন।
এই ব্যবসাটি বাড়ানোর জন্য ভালোমতো মার্কেটিং করতে হবে, আশেপাশে থাকা স্থানীয় বাজার (Local Market) কে অবশ্যই আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানাতে হবে এবং সেখানে সাপ্লাই দিতে হবে আপনার উৎপাদিত পণ্য। তারপর ধীরে ধীরে এর চাহিদা বাড়তে থাকবে। তবে অবশ্যই আপনার উৎপাদিত পণ্যের মান ভালো রাখতে হবে ও যাঁরা কিনবেন তাঁদেরও ভালো লাগতে হবে। অবশ্যই যে উপাদান গুলি ব্যবহার করবেন সেগুলি যেন ভালো মানের হয়।
বাচ্চা থেকে বড় সকলেরই পছন্দের এই খাবারটির চাহিদা আগেও ছিল বর্তমানে তো রয়েছেই এবং ভবিষ্যতে এর চাহিদা আরও দ্বিগুণ পরিমাণে বাড়তে থাকবে। তাই এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আর যদি ব্যবসা করার চিন্তা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার কাছে কিছুতো পুঁজি থাকবেই তার পাশাপাশি লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন। উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে তার থেকে প্রতিমাসে কিছু কিছু করে আপনি এই লোন পরিশোধ করে দিতে পারবেন, তারপর এই ব্যবসার সমস্ত লাভ আপনার থাকবে।