Hardware Store Business Idea 2024 in Bengali (হার্ডওয়ারের দোকানের ব্যবসা 2024): How to Start Hardware Store Business in India | Hardware Store Business Plan 2024 in Bengali.
পৃথিবীতে বিভিন্ন রকমের কাজ এবং ব্যবসা রয়েছে। যা কিনা ভালোমতো চালিয়ে নিয়ে যেতে পারলে জীবনে অনেক উপার্জন করা সম্ভব। অন্যান্য দোকানের মত হার্ডওয়ারের দোকান কিন্তু একইরকম।
এই দোকান থেকে হার্ডওয়ার এর জিনিসপত্র গ্রাহকরা কিনে থাকেন। যে কোনো রকমের দোকান খোলার জন্য সেই দোকানে কি ধরনের জিনিসপত্র বিক্রি হয়ে থাকে সেসব সম্বন্ধে ভালোমতো তথ্য সংগ্রহ করতে লাগে।
এমন ভাবে আপনি যদি হার্ডওয়ারের দোকান খুলে থাকেন তাহলে এই হার্ডওয়ারের জিনিসপত্র সম্পর্কে ভাল মত জ্ঞান থাকতে হবে আপনার। কোন জিনিসটি কোন কাজে ব্যবহার করা হয় এবং কোন জিনিসের কি নাম সেটা আপনার ভালোমতো জানা থাকলে গ্রাহকদের সেগুলি দিতে আপনি খুব সহজেই পারবেন।
চলুন তাহলে জানা যাক এই হার্ডওয়ারের দোকান আপনি কিভাবে খুলবেন:
এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনার যে সমস্ত জিনিসপত্র প্রয়োজন পড়বে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো:
হার্ডওয়ারের দোকানে পাওয়া যায় এমন জিনিস পত্র:
হার্ডওয়ার এর মধ্যে বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র পাওয়া যায় এবং সেই জিনিস বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যেমন ধরেন দড়ি, স্টেপলার তার পাইপ বিভিন্ন রকমের হাতুড়ি, পেরেক, প্লাস এবং আরো অন্যান্য জিনিসপত্র। যে গুলির ব্যবহার কার্পেন্টার, মেকানিক এবং যারা ঘর তৈরি করে থাকেন মিস্ত্রি তারা ব্যাপক মাত্রায় ব্যবহার করে থাকেন।
যখন আপনি এই ব্যবসাটি করার জন্য হার্ডওয়ারের দোকান খুলবেন এই সমস্ত জিনিসপত্রগুলি প্রথমে কিনে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন। যার চাহিদা সবসময়ের জন্য বেশি পরিমাণে থাকে।
আর এর ফলে আপনি ভালোমতো উপার্জন করতে পারবেন। আর যখন আপনি এই দোকানটি একবার ভালোভাবে খুলতে পারবেন এবং চালিয়ে যেতে পারবেন তারপরে আরো অন্যান্য বিভিন্ন রকমের হার্ডওয়ার এর জিনিসপত্র এই দোকানে বিক্রি করতে পারবে।
কারা খুলতে পারবেন এই হার্ডওয়ারের দোকান:
যদি কোন ব্যক্তির হার্ডওয়ারের যে জিনিসপত্রগুলি পাওয়া যায়, সেগুলো সম্পর্কে ভালোমতো ধারণা থাকে এবং কোন জিনিস কোন কাজে ব্যবহার করা হয় তা ভালোমতো জেনে থাকেন তাহলে অনায়াসেই সেই ব্যক্তিটি এই দোকান খুলে ব্যবসাটি করতে পারেন।
কেননা এই সমস্ত জিনিসপত্রের নাম এবং কি কাজে ব্যবহার করা হয় সেগুলো যদি আপনি ভালোমতো না জানেন তাহলে জিনিস গুলো কিনতে এবং গ্রাহকদের বিক্রি করতে আপনার অনেকটাই অসুবিধা হবে।
দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা:
হার্ডওয়ারের দোকান খোলার জন্য কোন প্রকারের ডিগ্রী প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র এটা জানতে হবে যে হার্ডওয়্যারের জিনিসপত্রগুলি কিভাবে রাখতে হবে এবং সে জিনিসপত্রগুলো কিভাবে ব্যবহার করা হয়।
আর যদি আপনার কাছে এমন কোনো রকম অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে কোন হার্ডওয়ারের দোকানে কিছুদিন কাজ করেও এই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
এই ব্যবসায় বৃদ্ধি:
একবার যদি আপনি এই ব্যবসাটি ভালোভাবে শুরু করতে পারেন, তাহলে আপনার দোকানের ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়াও শুরু করতে পারেন।
ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়ার ফলে শুধুমাত্র আপনার ষ্টোর এর ব্র্যান্ড ভ্যালুই মার্কেটে বাড়বেনা, তার সাথে সাথে হার্ডওয়ারের স্টোর এর ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে ও তার থেকে উপার্জনও করতে পারবেন।
হার্ডওয়ারের দোকান খোলার প্রক্রিয়া:
হার্ডওয়ারের দোকান খোলার জন্য দোকান আপনি ভাড়া নিতে পারেন অথবা যদি আপনার নিজস্ব কোন দোকান থেকে থাকে সেই দোকানে ব্যবসাটি করতে পারেন এবং এই ব্যবসাতে যে জিনিসপত্রগুলি প্রয়োজন হবে সেগুলি রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান জায়গা রাখতে হবে। আর সেই জিনিসপত্রগুলি কোন পাইকারি মার্কেট থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
এই ব্যবসার জন্য জায়গা নির্বাচন:
#১) যে কোনো রকমের স্টোর খোলার জন্য সেই স্টোরের জায়গাটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কেননা আপনি যদি এমন কোন জায়গাতে হার্ডওয়ারের দোকান খুলে থাকেন যেখানে অধিকমাত্রায় মানুষ বসবাস করেন না, সে ক্ষেত্রে হার্ডওয়ার এর জিনিসপত্র বেশিমাত্রায় কেউ কিনতে পারবেন না। আর তার ফলে আপনার ব্যবসায় লোকসান হবে।
#২) আপনাকে হার্ডওয়ার স্টোর এমন জায়গায় খুলতে হবে যেখানে সবসময় লোকজনের ভিড় লেগেই থাকে। এছাড়াও আপনি দোকানটি কোন বড় রাস্তার পাশে এবং প্রসিদ্ধ মার্কেটে খুলতে পারেন। এর ফলে বেশি পরিমাণে মানুষ আপনার দোকানে এসে হার্ডওয়ারের জিনিসপত্র কিনতে পারবেন।
হার্ডওয়ারের স্টোর নির্মাণ:
দোকান নির্বাচন করে নেওয়ার পর আপনাকে দোকানের বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র নির্মাণ করতে হবে, যেমন ধরুন দোকানের ভিতর জিনিস পত্র রাখার জন্য ফার্নিচার বানাতে হবে।
তার সাথে সাথে হার্ডওয়ার এর জিনিসপত্র আলাদাভাবে স্টোর করে রাখার জন্য সেই জায়গার প্রয়োজন পড়বে। যেমন ধরুন বড় পাইপ, এরকম জিনিস পত্র রাখার জন্য খোলা জায়গা আপনার প্রয়োজন হবে।
স্টোর এর নাম নির্বাচন:
#১) আপনার হার্ডওয়্যারের দোকানের একটি নাম অবশ্যই রাখতে হবে এবং এমন ভাবে রাখতে হবে যে নাম সবাই খুব সহজেই উচ্চারণ করতে পারবে এবং সেই নামেই আপনার দোকান কে সবাই চিনবে। এমন ভাবেই কিন্তু দোকানের নাম নির্বাচন করতে হবে।
#২) আপনি আপনার দোকানের সাহায্যে হার্ডওয়ার এর জিনিসপত্র বিক্রি করছেন, তাহলে আপনার এই স্টোরের নাম এমন রাখতে হবে, যেন পড়ার সাথে সাথে বোঝা যায় যে এই দোকানে হার্ডওয়ারের জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
#৩) যখন আপনি একবার আপনার স্টোরের নাম নির্বাচন করে নেবেন। সে ক্ষেত্রে সেই নামের একটি বোর্ড আপনাকে বানাতে হবে। সেই বোর্ডকে আপনার দোকানের উপরে লাগাতে হবে। আর এই বোর্ডে আপনার দোকানের নাম ছাড়াও আপনার দোকানের ঠিকানা, ফোন, নাম্বার, মালিকের নাম, সব কিছু লিখতে হবে।
হার্ডওয়ার এর জিনিসপত্র কোথায় থেকে কিনবেন:
হার্ডওয়ারের দোকান শুরু করার সময় আপনার বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র কিনতে হবে। আপনি এগুলি, এই জিনিসপত্র যারা বানিয়ে থাকেন তাদের কাছ থেকেও কিনতে পারেন।
তাহলে অনেকটাই কম দামে আপনি কিনতে পারবেন। চেষ্টা করবেন যে, আপনি এই জিনিসপত্রগুলি একটি পাইকারি বিক্রেতার কাছ থেকে কেনার।
তার সাথে সাথে একজন পাইকারি বিক্রেতার উপরে নির্ভর না করে অন্য পাইকারি বিক্রেতার সাথেও সময় সময় যোগাযোগ রেখে তাদের কাছ থেকেও কিছু জিনিসপত্র কিনে রাখবেন এটা আপনার পরে অনেক কাজে আসবে।
আপনি Amazon Business Account-এর মাধ্যমে থোকে জিনিস কিনতে পারেন এবং বিক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন্য ট্রেডিং ওয়েবসাইটের মধ্যে গিয়েও হার্ডওয়ার এর জিনিসপত্র বিক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের কাছ থেকে এ সমস্ত জিনিসপত্র নিতে পারেন।
হার্ডওয়ারের দোকান খোলার জন্য বিজনেস প্ল্যান তৈরি করুন:
যেকোনো দোকান খোলার আগে তার ভালোমতো একটা প্ল্যান থাকা প্রয়োজন। তবেই তো সেই ব্যবসাটি ভালোভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। হার্ডওয়ারের দোকান শুরু করার আগে আপনাকে স্টোরের সঙ্গে জড়িত বিজনেস প্লান ভালোভাবে তৈরি করতে হবে।
যেমন ধরুন দোকান খোলার জন্য খরচা, কোথায় থেকে হার্ডওয়ার এর জিনিসপত্র কিনবেন, আপনার টার্গেট করা মার্কেট এবং গ্রাহক সম্পর্কিত বিভিন্ন রকমের তথ্য সংগ্রহ আপনাকে করে রাখতে হবে।
সেগুলি একটি খাতায় লিখে রাখতে পারেন। এছাড়াও আপনার আশেপাশে কোন হার্ডওয়ারের দোকানে গিয়েও দেখতে পারেন। যে কেমনভাবে ওই দোকানে জিনিসপত্র বিক্রি করা হয় এবং কেমন ভাবে দোকানটি বানানো হয়েছে।
এই ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় পারমিট এবং লাইসেন্স:
প্রতিটি ব্যবসার জন্য লাইসেন্স অথবা পারমিট ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। আর সেই কারণে এই ব্যবসার জন্য কিন্তু প্রয়োজনীয় পারমিট এবং লাইসেন্স আপনার নিয়ে রাখতে হবে।
আপনি যে রাজ্যে হার্ডওয়ারের দোকান খুলছেন, সেই রাজ্যের আধিকারিকের কাছে দোকান শুরু করার আগে লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারেন।
তাছাড়া এই ব্যবসার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। যদি আপনার এই লাইসেন্স এবং পারমিট সম্পর্কে কোনো রকম ধারনা না থাকে তাহলে কোন উকিলের সাহায্য নিতে পারেন।
ট্যাক্স এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করা:
আপনার এই হার্ডওয়ারের দোকান টি শুরু করার আগে আয়কর বিভাগের থেকে ব্যবসাটির রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।
কিভাবে আপনি ট্যাক্স দেবেন এবং বিভিন্ন রকমের তথ্য আপনি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এর সহযোগিতা নিয়ে জানতে পারেন এবং মনে রাখতে হবে যে জিএসটি রেজিস্ট্রেশন করা কিন্তু এই দোকানের জন্য একেবারে অনিবার্য। আপনি কিন্তু জিএসটি নাম্বার অবশ্যই নিয়ে রাখবেন এই ব্যবসা করার জন্য।
বিজনেস ইনসিওরেন্স:
আপনার হার্ডওয়ারের দোকান শুরু করার আগে এই দোকানের ইন্সুরেন্স কিন্তু অবশ্যই পড়ে নেবেন। ফলে যদি কোনো কারণে দোকানে কোনো রকম ক্ষতি হয়ে যায় তাহলে বীমার সাহায্যে সেই ক্ষতিপূরণ কিন্তু আপনি করতে পারবেন।
মার্কেটে এমন অনেক বীমা কোম্পানি আছে যারা ব্যবসার বীমা করে থাকে এই জন্য আপনি আপনার দোকানের বীমা অবশ্যই করিয়ে নেবেন প্রথমে।
কর্মচারী নির্বাচন:
হার্ডওয়ারের দোকানে বিক্রি হওয়া জিনিসপত্র ভীষণ ভারী হয়ে থাকে এই সমস্ত জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা এবং বহন করা খুবই মুস্কিল কাজ। আর এই জন্য শুধুমাত্র সেইসব লোকেদের এই কাজে রাখতে পারেন যারা হার্ডওয়ারে জিনিসপত্রগুলি কে ভালোভাবে সামলাতে পারেন এবং গুছিয়ে রাখতে পারেন।
তার সাথে সাথে দড়ির আকার দড়ি কত রকমের হয়ে থাকে, তাদের সাইজ কেমন, কেমন কাজে ব্যবহার করা হয় এবং পাইপ কেমন ভাবে কাটা হয় ইত্যাদি রকমের তথ্য তাদের জানতে হবে।
বাজেট এবং অন্যান্য খরচ:
১) হার্ডওয়ারের ছোট স্তরে দোকান খোলার জন্য আপনাকে কম করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচা করতে হবে। আর যদি আপনি এই দোকানটি বড় আকারে খুলে থাকেন সেক্ষেত্রে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।
২) এর সাথে সাথে যখন আপনি হার্ডওয়ারের দোকান শুরু করবেন এসবের সাথে সাথে অন্যান্য বিভিন্ন রকমের খরচ কিন্তু আপনার হবে। যেমন দোকানের ভাড়া, যদি আপনি দোকান ভাড়া নিয়ে থাকেন, বিদ্যুতের বিল কর্মচারীর বেতন ইত্যাদি।
হার্ডওয়ারের দোকান থেকে লাভ:
সাধারণত বলা যায় যে, এই দোকানের এক এক রকমের জিনিসপত্র এক এক রকমের দামের হয়ে থাকে এবং সেই দামের উপরে বিভিন্ন রকমের মার্জিন হয়ে থাকে।
যেটাকে প্রফিট মার্জিন বলা হয় অর্থাৎ আপনি প্রত্যেকটি জিনিসপত্রের উপরে এক এক রকমের প্রফিট মার্জিন রাখতে পারেন। আর সেই মত অনুসারে আপনারে ব্যবসা থেকে উপার্জন হবে। প্রতিমাসে কম করে ১৫ থেকে ২০ অথবা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব এই হার্ডওয়ারের বিজনেস করে।
কিভাবে অধিক উপার্জন করবেন এই ব্যবসা থেকে:
১) গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ:
হার্ডওয়ারের দোকানে বিভিন্ন রকমের টুল বিক্রি করা হয়, আর এই টুল গুলি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় কার্পেন্টার, মিস্ত্রি দের দ্বারা। আর এই জন্য আপনাকে অধিক পরিমাণে জিনিসপত্র বিক্রি করতে হবে। তাহলে সেক্ষেত্রে যে সমস্ত এরিয়াতে কার্পেন্টার এবং মিস্ত্রি কাজ করে থাকেন, তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
আপনাকে যার ফলে যখনই তাদের এই সমস্ত জিনিসপত্রের প্রয়োজন পড়বে তখনই যেন আপনার দোকান থেকে সেই জিনিস গুলি তারা কিনে থাকেন এমন করার মধ্যে দিয়ে আপনি যেমন গ্রাহক জানতে পারবেন। তিনি তার সাথে সাথে উপার্জন করতে পারবেন, অধিক মাত্রায়।
২) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে:
আজকাল বেশিরভাগ ব্যবসা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনেকেই করে থাকেন। আর তার ফলে বেশি পরিমাণে উপার্জন করছেন অনেক ব্যবসায়ী। আর সে কারণে আপনার ব্যবসাটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন করতে পারেন। কেননা আজকাল বেশিরভাগই মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটা করতে বেশি পছন্দ করেন।
তার সাথে সাথে আপনি বেশি পরিমাণে গ্রাহকদের কাছে আপনার দোকানের হার্ডওয়ার এর জিনিসপত্র পৌঁছে দিতে পারবেন, তার সাথে সাথে আপনার দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করা হার্ডওয়ার এর জিনিসপত্র কোন অন্য শপিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও বিক্রি করতে পারেন।
৩) বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে:
মানুষ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে যেকোনো জিনিস কিনতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। আর সেই কারণে আপনাদের হার্ডওয়ারের দোকান সম্পর্কে তথ্য বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কোন স্থানীয় খবরের কাগজ এ বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।
তাছাড়া কোনো বোর্ড বড় রাস্তার পাশে টাঙিয়ে দিতে পারেন। যার ফলে বেশি পরিমাণে মানুষ এগুলি দেখতে পায় এবং আপনার এই ব্যবসাটি সম্পর্কে জানতে পারে।
হার্ডওয়্যার এর দোকান খোলার সাথে জড়িত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
এই দোকানে বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র বিক্রি করা হয় সে তো আগেই বলা হয়েছে, তার সাথে সাথে ছোট জিনিস বিক্রি করা হয় এগুলোর হিসাব আপনাকে step-by-step কোন কাগজে লিখে রাখতে হবে।
যাতে আপনি মাসের শেষে কতটা ইনকাম করতে পেরেছেন, কতটা খরচ করেছেন এবং কত টাকা দিতে হয়েছে সে সম্পর্কে ভালোমতো একটা আইডিয়া আপনার আসবে। তার সাথে সাথে আপনি বুঝতে পারবেন যে এই ব্যবসাটি করে আপনি কতটা লাভ করতে পারছেন।
আপনার দোকানে যে সমস্ত জিনিসপত্র গুলো বিক্রি করা হয় সেগুলির একটি তালিকা কম্পিউটারে লিখে রাখতে পারেন সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনি সহজেই জানতে পারবেন কতটা জিনিসপত্র আপনার স্টকে আছে, কতটা জিনিস বেঁচে গেছে এবং কোন জিনিসটি একেবারে শেষ হয়ে গেছে অর্থাৎ বিক্রি হয়ে গেছে এবং কোন কোন জিনিসের বিক্রি সবচেয়ে বেশি হয়েছে।
হার্ডওয়ারের এমন অনেক জিনিসপত্র আছে যার উপরে এমআরপি লেখা থাকেনা। সে ক্ষেত্রে কিন্তু ওই সব জিনিস পত্রগুলো কে আপনি সামান্য একটু দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে পারেন। তার থেকেও অধিক পরিমাণে উপার্জন করা সম্ভব হবে।
যে জায়গাতে আপনি এই দোকানটি খুলতে চাইছেন সে জায়গার আশেপাশে ভালমতো খেয়াল করে দেখে নিতে হবে যে, আগে থেকে কোন হার্ডওয়ারের স্টোর সেখানে আছে কিনা।
তার সাথে সাথে কোন জিনিসপত্র কেমন দামে বিক্রি করে, সেইসব স্টোর গুলি, সে সম্পর্কে ভালোমতো তথ্য আপনাকে জোগাড় করতে হবে। তাহলে তাদের থেকে অল্প কিছু দাম কম রেখে আপনি জিনিসপত্র বিক্রি করলে গ্রাহকদের আকর্ষিত করতে পারবেন আপনার দোকানের প্রতি।
হার্ডওয়ারের দোকান করে আপনি এর মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারেন। আর এর চহিদা প্রচুর। কোন রকম ভয় ছাড়াই আপনি এই ব্যবসাটি অনায়াসেই শুরু করতে পারেন।